মিটিং মিছিল হয় না শুধু প্ল্যাকাটার্ট হাতে নিয়ে থাকে আমি বলেছি এটা আমার মৌন প্রতিবাদ যতবার এটা দেখবেন আপনাদের যেন মনে হয় আপনারা আমাকে অবৈধভাবে অপহরণ করেছেন অবৈধভাবে আটক রাখছেন আপনারা আমার জুলুম করছেন হারাম কাজ করেছেন এই কথাগুলো যেন আপনাদের বুকে বাঁধে এ আমার মৌন প্রতিবাদ তো আমি স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক আমার বাবা 2000 12 সালের 12ই জানুয়ারিতে এক প্রহসনের ট্রাইবুনাল তাকে গ্রেফতারের আদেশ দেয় এবং উনি প্রায় পৌনে তিন বছর চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকে জালিমের কারাগারে থেকে উনি চিকিৎসার সুচিকিৎসার অভাবে উনি আস্তে আস্তে 23শে অক্টোবর 2000 আমি আট বছর থাকায় আমার বছর হয়েছে ক্ষমা করবেন 2013 সালের
23শে অক্টোবর উনি ইন্তেকাল করেন এই দিনগুলো আমার পরিবারের জন্য অত্যন্ত দুর্বিষহ ছিল একজন 90 বছরের ঊর্ধে মানুষ কি অসহায়ের মত কারণ ছোট কামড়ায় বন্দিশালায় দিন কাটিয়েছেন আমাদের জন্য আমরা বলতে পারি চোখের পানি আটকা রাখতে হবে না আমার মার যে কি কষ্টের দিন ছিল আমি আমার মার পাশে সেই দিনগুলো থেকেছি এবং এরপরে আমার বাবা 23 ইন্তেকাল করার পরে আমি আমার সমস্ত কর্মকাণ্ড বন্ধ করে সারাক্ষণ আমার মায়ের পাশে থাকতাম আমার মা সজাশায়ী ছিলেন প্রায় উনি অসুস্থ হয়ে যেতেন আমি লোকমা খাওয়াতাম আমার মায়ের হাত পা টিপে দিতাম প্রেসারে দিতাম ওষুধ খাওয়াতাম সারারাত ঘুমাতেন না উনার মায়ের পাশে থেকে
হাত বুলি বলে মা আমি ঘুম পাড়ে দিতাম আমি সেই মাকে নিয়ে 22শে আগস্ট 2016 সালে রাতের ভাত খাচ্ছিলাম আপনারা ক্ষমা করবেন আমার মার নিয়ে কথা বলতে গেলে আমি আবেগ থামাতে পারি না আমার মা আমার মা ছিলেন আমার মা ছিলেন আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ বন্ধু আছে আমি আমার মা সাথে খেতে বসেছিলাম এই সময় সরকারের গুন্ডা বাহিনী আমি গুন্ডা বাহিনী এই জন্যই বলছি যে আইন প্রয়োগ করে সংস্থার লোক ওয়ারেন্ট ছাড়া মামলা ছাড়া ওয়ারেন্ট ছাড়া উঠে নিয়ে যাওয়ার মানেই গুন্ডার দেখায় এক কাজ সুতরাং যেই করুক না কেন সে গুন্ডা এবং এটা করেছে সরকারি যেই বাহিনী হোক সরকারি গুন্ডা বাহিনী
এই সরকারের গুন্ডা বাহিনী আমার বাসায় আসে এবং তাদের মধ্যে যাকে আমার একজন অফিসার বলে মনে হয়েছে আমি 30 বছর একটা বাহিনীতে চাকরি করেছি আমি পোশাক দেখলে বলতে পারি কে অফিসার কে নিম্ন পদবীর কর্মচারী কর্মকর্তা তো যাকে আমার অফিসার বলে মনে হয়েছে সে আমার সাথে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেছে আমাকে তুই করে কথা বলেছে আমার সাথে চরম দুর্ব্যবহার করেছে আমি তাদের কাছে জানতে চাইছি আপনারা কারা আপনাদের পরিচয় কি আপনাদের পরিচয়পত্র দেখান তারা আমার কথার জবাব দেয়নি আমি বলেছি আপনার আইন সংস্থা নাকি আপনাদেরকে আপনারা পরিচয়পত্র দেখান কোন জবাব দেয়নি আমি জিজ্ঞাসা করেছি আমার বিরুদ্ধে কোন মামলা আছে কোন ওয়ারেন্ট
আছে মামলা ওয়ারেন্ট ছাড়া আমাকে আপনারা গ্রেফতার করতে পারেন না আপনারা আমাকে উঠিয়ে নিয়ে যেতে পারেন আপনাদের পরিচয় তারা আবার কোন কথার জবাব না দিয়ে খালেখা বলছে হাত দেন হাত দেন হাত দেন হাত দেন হাত করা হাতে নিয়ে বসে আছে হাত দেন হাত দেন হাত দেন এবং এই পর্যায়ে যে অফিসার একটা অসভ্য তার তার পারিবারিক কোন শিক্ষা আছে বলে আমি মনে করি না কোন ভদ্রলোকের মানুষ এরকম করতে পারে না আমার মত একটা ব্রিগেডি জেনারেলকে সে তুই তাকাড়ি করে কথা বলেছে সে মানে খালি আমার গায়ে হাত তুলে নিয়ে বাকি এমন দুর্ব্যবহার করেছে এবং শেষ পর্যন্ত আমি আমার
সম্মান বাঁচানোর জন্য আমি হাত উঠিয়ে দিচ্ছি না হলে তারা আমার গায়ে হাত উঠিয়ে দিত আমি হাত দিয়েছি হাত বেঁধেছে আমার চোখ বেঁধেছে চোখ বেঁধে আমাকে নিচে গাড়িতে গিয়ে উঠিয়েছে মাইক্রোবাসে নিয়ে উঠিয়েছে এবং তখন পর্যন্ত আমি বলছি বারবার যে আমি স্বাভাবিক আমার জানার অধিকার আছে আপনারা কারা কারা নিচ্ছেন তখন আমাকে তুইতাকারি করে কথা বলেছে তোর সেনাবাহিনী তোর এটা সেটা এভাবে কথা বলেছে আমাকে তারপরে গাড়িতে নিয়ে আমাকে মুখোশ করিয়েছে তারপরে তারা আমাকে বাড়ি থেকে নিয়ে গেল এখন আমি ফিরে এসে আরো যা জানতে পারছি সেটা হলো তারা আমার স্ত্রীর সাথে চরম দুর্ব্যবহার করেছে তাকেও তারা উঠিয়ে নিয়ে যেতে
চেয়েছিল এবং তার সাথে চরম দুর্ব্যবহার করেছে তাকে এক পর্যায়ে গায়ে হাত দেওয়ার মত অবস্থা হয়েছিল সে আমার মার গায়ে হাত জোরে জোরে ধরে বলেছে আমি একা যাবে না নিতে হলে আমার মাকেও নিতে হবে তারপরে তারা আমার মাকে তাকে আর কিছু বলেনি কিন্তু আমার বাসার যুবতী কাজের মেয়ে তার গায়ে হাত উঠিয়েছে আমার বাসার যে বাসার উপর দেখাশোনা করে আমাদের ম্যানেজার তাকে মাঠে ফেলে তার বুকের উপরে লাফিয়েছে বাসার যত সিকিউরিটি গার্ড ছিল দারোয়ান ছিল যত্ন ছিল তাদেরকে নির্মম ভাবে তারা নির্যাতন করেছে আমার বাসা তসনচ করে তার আমরালী সবকিছু তারা ভেঙে চুড়ে তারা মোবাইল কম্পিউটার আর যা ইচ্ছা
তাদের তারা নিয়ে গিয়েছে আলমারি স্টিল আলমারি তারা ভেঙে ফেলেছে এবং আমাদের বাসার রাস্তাটা 200 গজের ঘড়ির সামনে বন্ধ মহল্লা কমিটি তারা সিসিটিভি দিয়ে আমাদের পাড়ার পুরা এলাকাটা কাভার করা আছে তারা সিসি ক্যামেরাগুলি সব ভেঙেছে যেখানে রেকর্ডার আছে সেই বাসায় গিয়ে দরজা ভেঙে তারা রেকর্ডার নিয়ে গিয়েছে এবং সমস্ত এলাকার একটা ট্রাসার সৃষ্টি করে তারা আমাকে নিয়ে চলে গেল প্রায় আমার চোখ বাঁধা মুখ বাঁধা মুখে মুখোশ পড়া আমার তো জানার কোন উপায় নেই আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে ডানে বামে ডানে বামে করে প্রায় ঘন্টা ধরে ড্রাইভ করে আমাকে একটা রুমে নিয়ে গেল রুমে নিয়ে গিয়ে আমাকে তারা চোখ
হাত খুলে দিল এবং আমাকে একটা পায়জামা দিল একটা লুঙ্গি দিল বলল আপনার কাপড় পাল্টে দেন তো আমি কাপড় পাল্টে ওগুলো দিয়ে দিয়ে আমার প্যান্ট শার্ট পড়ানো ছিল ওগুলো দিয়ে দিলাম আমাকে আমার পরানো একটা স্যান্ডেল ছিল যেটা আমার বাবা পড়তেন আমার বাবার স্মৃতি শুরু আমি স্যান্ডেলটা পরতাম তারা আমাকে একজন স্যান্ডেল দিল আমার স্যান্ডেল নিজেদের জন্য আমি স্যান্ডেল নিতে দেই নাই আমি বলেছি না এটা আমার বাবার স্মৃতি আমি এটা দেবো না তারা অনেক জোড়াজোরি করেছে আমি বলছি না আপনারা দেবো না আপনারা যা করতে পারেন আমি আমার স্যান্ডেল দেবো না এটা আমার বাবার স্মৃতি তো শেষ পর্যন্ত তারা
আমার স্যান্ডেল রাখতে দিয়েছে তারপর আমাকে খাবার দিয়েছে তারা এক প্যাটে বিরিয়ানি তখন কি বিরিয়ানি খাওয়ার মত কোন মানুষ থাকে আমি খাবার তো খাইনি তখন পর্যন্ত আর বিরিয়ানি তো কেন আমি তো তখন মৃত্যুর আশঙ্কা করেছি আমি গাড়ি তাদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম আপনারা কি আমাকে ক্রস ফায়ারের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন তো আমার পাশে থেকে একজন বলল না আমাদের উপর কর্তৃপক্ষ আপনার সাথে কথা বলবে কথা বলা শেষ হলে আপনাকে দিয়ে যাবে আমরা রাতে আমাকে দিয়ে গেল আমি নামাজ আশায় আগে পড়েছিলাম ভোর রাতের দিকে আমি টয়লেটে গিয়ে তাহাজ্জুদ ওযু করে এসে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়লাম ফজরের নামাজ পড়লাম আমার রুম থেকে আমাকে
টয়লেটে নিয়ে যাওয়ার পথে প্রায় 50 কদম যেতে হতো আমার দু হাত বেঁধে চোখ বেঁধে তারপর মুখোশ পড়িয়ে আমাকে নিয়ে যেত টয়লেটের ভিতরে গিয়ে খুলে দিত বাইরে দিয়ে তারা স্টিলের দরজা বন্ধ করে তালা মেরে দেখতো তালা মেরে রাখতো আমার কাজ শেষ হলে নক করলে তারা দরজা খুলে এসে আবার চোখ বেঁধে হাত বেঁধে মুখোশ পড়িয়ে নিয়ে আসতো রুমে এসে আমি তাহাজ্জুদ পড়লাম তাহাজ্জুদ পড়ে আল্লাহর কাছে খুব কান্নাকাটি করলাম আর সারারাত তো আমি এই আতঙ্কে আছি একটা আপায়ের আওয়াজ শুনলে আমি মনে করছি এই বুঝে আমাকে ক্রসফায়ার নিয়ে যাচ্ছে এই বুঝে বুঝে আমার ক্রস ফায়ার নিয়ে যাচ্ছে তো আমাদের
সে ঘুম মানেই তো ক্রস ফায়ার এটাই চিরাচরিত হয়ে আসছে সারারাত আমি তাহাজ্জুদে আল্লাহর কাছে চোখ ফেলে ফেলে চোখের পানি ফেলে কান্না করলাম আল্লাহ এই নামাজ যদি আমার শেষ নামাজ হয় আর জালেমরা যদি আজকে আমাকে জালেমদের হাতে আমার মৃত্যু রেখে থাকো তুমি আমাকে শহীদের মর্যাদা দিও আর আমার লাশ যেন কুকুর বিড়াল না খায় আল্লাহ আমার লাশটা অক্ষত অবস্থায় আমার মা স্ত্রী সন্তানদের কাছে পৌঁছে দিও আমি তাহাজ্জুদের ফজরের নামাজ পড়ে দোয়া পড়ে বিছানায় শুলাম চোখে তো ঘুম আসে না আগের দিন দুপুরে খেয়েছি এরপরে যে সারারাত ঘুম নাই খাবার নাই মৃত্যুর আতঙ্ক পরের দিন সকালে নাস্তা দিয়েছিল আমাকে
চা পরেরটা ডিম ভাজি নাস্তা খাওয়ার তো নাস্তা দিয়ে দেখলেই আমার চোখ দিয়ে ঝরঝর করে পানি পড়ে কারণ আমি মাকে নিয়ে খেতে বসছিলাম মাকে লোক মাখিয়ে দিলাম আমি বললাম এগুলো নিয়ে যাও আমি খাবো না এরপরে বারোটার দিকে হঠাৎ করে আমার মনে হলো আমার হাত পা সব খিচুড়ি আসছে আমার মনে হলো আমি যেন মরে যাচ্ছি আমার চোখ মুখ অন্ধকার হয়ে আসতেছে আমি চিৎকার চেচামেচি শুরু করলাম এরপরে আমি আর কিছু বলতে পারবো না কতক্ষণ পরে আমার হুশ আসছে আমি বলতে পারবো না আমি দেখলাম আগে যে রুম নিয়েছেন তাতে অন্য আরেকটা রুমে এবং আমার হাতে থ্যালাইন দেওয়া এবং এখন
একজন আমাকে বলল যে আপনি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন এখন আপনাকে ওষুধ দিয়ে আপনার প্রেসার খুব বেড়ে গিয়েছিল আপনাকে প্রেসারের ওষুধ এবং ঘুমের ওষুধ দিয়ে আপনার ঘুম বাড়িয়ে রাখা হয়েছিল যাই হোক এভাবে প্রায় ছয় দিন বা সাত দিন আমার ঠিক মনে নেই আমার এই অবস্থায় কাটতো আমি যখন টয়লেটে দিতাম তখন ক্যান লাগানো ছিল ওটা খুলে দিত আমি টয়লেটে দিতাম খাবার দিত আমাকে তিন বেলা খাবার খাবার যাই দিত রান্নার এত মান দেখলে আমার আমার রান্নার ব্যাপারে আমার চেহারা দেখে আমার খেতে ইচ্ছা হতো না চোখের খাবার সামনে বসলেই আমার চোখ দিয়ে ঝরঝর করে পানি পড়তো খারাপও কি ছয় সাত
দিন আমি বলতে গেলে না খাওয়াই শুধু একটু চা খেতাম বা একটু পরোটা এক টুকরা কোনা টুকরা খেতাম সাদা ভাত দুই এক লোকমা খেতাম এভাবে আমার ছয় সাত দিন গেল স্যালাইনের উপরে ছিলাম তারপরে ছয় সাত দিন পরে আমাকে প্রথম যে রুমে নিয়ে গিয়েছিল আবার সেই রুমে নিয়ে আসলো তারপরে সেখানে প্রতিদিনই বলছি আপনারা বলেছেন যে আমাকে আপনাদের সব কথা বলবে কোথায় তারা কোথায় তারা আসে না কেন আসে না কেন আসবে উনাদের সময় হলে আসবে উনাদের সময় হবে আসলে এইভাবে দিন ঝুলতে থাকলো আমার তো খাওয়া-দাওয়া কিছুই নাই আস্তে আস্তে আমি শুকিয়ে যেতে থাকলাম দাড়ির নামাজ পড়ার ক্ষমতা হারিয়ে
ফেললাম বসে নামাজ পড়া শুরু করলাম পরে এক মাস প্রায় না খাওয়া আমি এই অবস্থায় এক পর্যায়ে আমি শুয়ে নামাজ পড়তে শুরু করলাম আমি বসে নামাজ পড়ার আমার ক্ষমতা ছিল না ঠিক এক মাস পরের ঘটনা 22শে আগস্ট রাতে নিয়ে গেল 21শে আগস্ট রাত 11:50 এ আমাকে একজন এসে বলল যে আপনাদেরকে আপনার সাথে আমাদের বড় ভাই কথা বলবে তো বড় ভাই শব্দটা আমি প্রথম শুনলাম ওখানে আমি বললাম বড় ভাই মানে আমাদের উপরস্থ কর্তৃপক্ষ তো আমি বললাম তো বাংলাদেশের সকল ব্যাংক বীমা প্রতিষ্ঠান স্কুল কলেজ সকালে তো উপর স্যার বলে আপনারা কি বড় ভাই বলে আমাকে বুঝাতে চাচ্ছেন যে
আপনার বেসামরিক প্রতিষ্ঠান আমি 30 বছর একটা বাহিনীতে কাজ করেছি এই ধরনের কাজ কি কোন বেসামরিক প্রতিষ্ঠান করে আপনারা আমাকে কি গর্ধ পেয়েছেন যাই হোক আমার রুম বন্ধ করে অন্ধকার করে দিল অন্ধকার করে করে দিয়ে টর্চ লাইট নিয়ে একজন আসলেন আমি তো চেহারায় চেহারায় কিছু দেখার সুযোগ নেই রুম অন্ধকার আমার মাথার পিছনে উনি একটা চেয়ার নিয়ে বসলেন বসে আমাকে বললেন খুব সংক্ষিপ্ত কথা একটা অঘটন ঘটনের আশঙ্কায় আপনাকে আটক করা হয়েছিল সে আশঙ্কাটা কেটে গেছে আপনাকে এখন মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে আমি বলছি 21শে সেপ্টেম্বর রাত 11:50 মিনিটের কথা আপনাকে এখন মুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তো আমি বললাম
আমাকে মুক্তির জন্য কি দিন গুনবো না ঘন্টা গুনবো তো উনার উনি বললেন যে আপনি একজন সেনাবাহিনীর ছিল সাবেক জেনারেল আপনি জানেন আপনার সিদ্ধান্ত সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আসবে আমার মত ব্যক্তির পক্ষে এটা সিদ্ধান্ত দেওয়া সম্ভব না এই কথা বলে উনি চলে গেলেন এরপর থেকে আমি দিন গুনছি দ্বীন গুনছি কেউ মুক্তির কথা বলে না কিছুই বলে না প্রতিদিন দোয়া করি প্রতিদিন দোয়া করি নামাজ পড়ি দোয়া করি চোখের পানি পানি ফেলে কান্নাকাটি করি কোন কথা 19শে সেপ্টেম্বর আরো প্রায় মাসখানে 19শে অক্টোবর প্রথম কয়েকজন অফিসার আসলো আমাকে তখন আমার রুম থেকে চোখ বেঁধে হাত বেঁধে মুখে সরিয়ে ওখানে একটা
রুমে নিয়ে গেল এটা তাদের ইন্টারোগেশন রুম মানে কয়েকটা রুম আছে তাদের ইন্টারোগেশন রুম এবং ওখানে অন্যান্য বন্দিদেরকে তারা অনেক নির্যাতন করে আল্লাহর রহমত যে আমাকে তারা কোন শারীরিক নির্যাতন করেনি তো আমাকে তারা আমার নামটা অনেক কিছু জিজ্ঞাসা করলো তারপরে আমার সাথে বিভিন্ন অফিসারের পরিচয় ছিল তাদের সাথে আপনার কি পরিচয় অমুকের সাথে আপনার কি পরিচয় অমুকের সাথে আপনি কি পরিচয় কিভাবে চিনেন তো স্বাভাবিকভাবে এই সরকারের যারা যারা জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছে তারাই আমার সাথে বেশি যোগাযোগ করেছে কারণ আমিও একজন জুলুম নির্যাতনের শিকার তো আপনার সাথে তো সব সরকার বিরোধী লোকের সাথে যোগাযোগ দেখা যায় আমাকে তারা
বলছে তো আমি বললাম যে আমরা সেনাবাহিনীতে কে সরকারি বেসরকারি আমরা এটা কখনো দেখি না সেনাবাহিনীতে কোন দল নাই সেনাবাহিনীর সবাই আমরা ভাই আমরা সবাই সবাইকে ভাইয়ের মতো মনে করি আমরা সেইভাবে যোগাযোগ করি কে কি দল করে আমরা সেনাবাহিনীদের দেখি না সুতরাং আপনারা যেটা বলছেন এটা আপনাদের কল্পনা প্রসুত আমার সাথে এই ধরনের কারণ কে এই ধরনের বিরোধী কষ্ট এগুলো হিসাব করে আমরা যোগাযোগ করি এরা আমি অমুকের সাথে অমুক জায়গায় চাকরি করেছি অমুকের সাথে অমুক জায়গায় চাকরি করেছি আমি সমস্ত বিবরণ দিলাম 19 তারিখে কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা চলে গেল আবার তিন দিন পরে 22শে অক্টোবর আবার তারা
আসলো আবার একই ধরনের প্রশ্ন এটা একটা আপনার ইন্টারোগেশনের একটা পদ্ধতি একই প্রশ্ন বারবার করা যেন কোন যদি আমার বক্তব্যে বেশ কম হয় তাহলে তারা বুঝতে পারে যে মিথ্যার আশ্রয় নিচে তখন ওটা নিয়ে তারা আমাকে বারবার জিজ্ঞাসা করে তো সত্য বললে তো বারবার জিজ্ঞাসা করলে 100 বার জিজ্ঞাসা করলেও কোন সমস্যা নাই ইংরেজিতে বলে মোস্ট ডিফিকাল্ট পার্ট অফ টেলিং এজ ইউমার ফার্স্ট টাইম প্রথমে যেটা বলেছিল যদি মনে রাখতে না পারি তাহলে আমি দ্বিতীয়বার উল্টাপাল্টা বললে মিথ্যা তো আমি যদি মিথ্যা না বলি তো আমার তো এটা মনে রাখার কোন দরকার নেই তো আমি দ্বিতীয়বার আমি যা জিজ্ঞাসা করলাম
একই কথা মনে হলো একই প্রশ্ন করলো এরপরে দীর্ঘদিন পরে জিজ্ঞাসা করেন আমি তাদের বললাম আপনারা কতদিন আমাকে এভাবে আটকে রাখবেন বলে আপনারা থাকেন আরো আরো কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করবো 7ই ডিসেম্বর আমাকে তৃতীয়বার জিজ্ঞাসাবাদ করলো আগের প্রশ্ন করি কিন্তু এই প্রশ্ন এবার কিছু ব্যতিক্রম ধনীর প্রশ্ন ছিল এখানে তারা আমাকে হঠাৎ করে বলল আপনি ভারতের বিরুদ্ধে ফেসবুকে এত সচ্চার সচ্চার কেন আমি এখন একটু পিছনের দিকে ফিরে যেতে চাই আমি আমার শরীরের প্রতিটা অণু পরমাণু শিরা উপসার লঙ্কুর রক্তবিন্দু সমস্ত অস্থিমধ্য খাঁটি দেশপ্রেমিক আপাদমস্ত সৈনিক আমি যেন জীবন দেওয়ার জন্য শপথ নিয়ে যোগদান করেছি আমি এখনো প্রস্তুত জীবন দেওয়ার জন্য
তো আমি বলেছি যে আমাকে যে খুব ভারতের বিরুদ্ধে ফেসবুক এত সোচ্চার কেন তো আমি বললাম ভারতের বিরুদ্ধে ফেসবুকে সোচ্চার হওয়া যদি বেআইনে হয় তাহলে আপনারা আমাকে আটকে রেখেছেন কেন বিচার বহিষ্ঠ আমাকে সেই আইনে মামলা দিচ্ছেন না কেন আর আমি স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে আমি 2016 সালের 7ই ডিসেম্বরের কথা বলছি তখন স্বাধীনতার 45 বছর প্রায় আমি বলছি আমি স্বাধীনতার পরে 45 বছরে ভারতকে বন্ধু হিসেবে দেখিনি আমি ভারতকে একটা বন্ধু প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চাই আমাদের ফরেন পলিসি হলো আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হলো ফ্রেন্ডশিপ টু অল ম্যালিস টু রান সবার সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈধতা না করে আমি আমার
সকল প্রতিবেশীকে বন্ধুরা পেতে চাই কিন্তু বন্ধুত্ব কখনো একতরফা হয় না আমি আপনাকে বন্ধুর মত ভালোবেসে যাব আপনি আমাকে চর থাপ্পড় লাথি মারবেন এটা কোনদিন বন্ধুত্ব হয় না তো আমি দেখেছি তারা আমাদের সমস্ত বাদ দিয়ে ফারাক্কাদের মত বাদ দিয়ে যখন আমাদের বন্যা পানির দরকার তারা আমাদের দেশে খরাতে তৈরি করছে আর যখন আমাদের দেশে বন্যা তখন তারা বাদ খুলে দিয়ে আপনারা এখন দেখতে পাচ্ছেন আজকে আজকে দেখতে পাচ্ছেন কি হচ্ছে আমাদের এই পূর্বাঞ্চল জেলাগুলোতে কিভাবে লাখ লাখ মানুষ আজকে কষ্ট স্বীকার করছে আমি 2009 সালে আমাকে বরখাস্ত করার পর থেকে আমি এই কাজ করছি আমার বরখাস্ত প্রসঙ্গে আমি একটু
পরে আসছি 2009 সালে কিভাবে আমাকে বরখাস্ত করলেন আমি একটু পরে আসছি তো আমি এই তখন থেকে আমি ভারতের বিরুদ্ধে facebook সচ্চার ছিলাম আমার বোন ফেলানির লাস্ট 24 ঘন্টা তার কাটা চলেছিল আমার এখন বুক ফেটে যায় দুইদিন পর পর আমার ভাই বোনদেরকে বর্ডারি গুলি করে মারছে কোন প্রতিবাদ নাই কোন প্রতিবাদ নাই তারা আমাদের তারকাটা বাইরে দিয়ে রেখেছে ওয়াশ টাওয়ার বানিয়ে রেখে ডগ মানে তারা আমাদের বাণিজ্যিক বৈষম্য করে তৈরি করে রেখেছে এগুলোর কোন প্রতিবাদ নাই কেউ কিছু বলে না আমি আমার প্রতিজ্ঞা ছিল আমার পথ ছিল আমার জিহাদ ছিল আমি আমার দেশের পক্ষে আমার জীবন যে আমি যা
কিছু বলে যাব আমার প্রতিষ্ঠা আমি ফেসবুকে লেখালেখি করছি এগুলো নিয়ে আমার বিরুদ্ধে তারা খুব ক্ষুব্ধ তারা আমি বিস্মিত যে বাংলাদেশের কোন একটা বাহিনী যেকোনো বাহিনী হোক তারা ভারতের বিরুদ্ধে আমি যদি ক্ষোভ প্রকাশ করে থাকি তাদের এত ক্ষুব্ধ হওয়ার কি আছে তারা কি ভারত প্রেমী তাহলে ভারত প্রেমী না হলে তাদের কেন এত ক্ষোভ হবে আমি আশ্চর্য হই না যে বিগত সরকার যাদেরকে ব্যবহার করেছে সেই স্বার্থান্তিক সেই মহল তারাও সরকারের দ্বারা প্রবাহিত তারাও ভারতীয় ছিল না তারা আমার বিরুদ্ধে কিন্তু প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতো না আমি এই প্রসঙ্গে আরেকটু পূর্বে ফিরে যেতে চাই আমরা যেমন ভারতকে বন্ধু মনে করলে
হবে না ভারতের আমাদের ইতিহাস জানতে হবে আমরা যদি ইতিহাস না জানি তাহলে আমরা ভুল করব আমরা বারবার ভুল করেছি আমরা এখন আর ভুল করতে চাই না 1905 সালে ব্রিটিশ সরকার আমাদের বঙ্গভঙ্গ করেছিল পুরো বাংলা মুসলমানদের উন্নতির জন্য এই ভারত এটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে বঙ্গভঙ্গ রদ মানে বাতিল আন্দোলন করে ছয় বছর পর্যন্ত আন্দোলন করে এটাকে বাতিল করে আমাদের দুই বাংলা এক করেছে তারা আমাদের মুসলমানদের উন্নতি চায়নি 1971 সালে আপনারা জানেন না দেশবাসী জানা উচিত এগুলো আমরা মৈত্রী চুক্তি নামে অক্টোবর 1971 সালে আমাদের অস্থায়ী সরকারের চুক্তি করেছিল সৈয়দ নজরুল ইসলাম সাহেব অস্থায়ী চুক্তি করে স্বাক্ষর করে অজ্ঞান
হয়ে গিয়েছিলেন না আমার কথা নয় আপনারা 266 দিনের স্বাধীনতা আওয়ামী লীগ এডভোকেট নুরুল কাদের বই পড়ে দেখেন উনার কথা আছে যে অস্থায়ী সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন ওটার চুক্তি ছিল আমি তিনটা আপনাদের সুদর্শ আকর্ষণ করছি এক নম্বর এদেশে কোন সেনাবাহিনী থাকবে না এদেশে ভারতের সেনাবাহিনী থাকবে দুই এদেশের প্রশাসনে যারা মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেছে তারা বাদে বাকি সবাই কে অপসারণ করতে হবে ভারতের প্রশাসনের লোক এই দেশের প্রশাসন চালাবে এই দেশের প্রশাসনের শতকরা একজন লোকও মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেনি আপামও ছাত্র যোগদান করেছে তার মানে এদেশের প্রশাসন তাদের হাতে তুলে যাবে তৃতীয়ত এই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ভারতের নিয়ন্ত্রণে থাকবে আমি দেশবাসীর কাছে জানতে চাই আপনারা বলেন এটা কি স্বাধীনতার চুক্তি মৈত্রী চুক্তি না গোলামের চুক্তি এই চুক্তি যারা করেছে তারা মির্জাফরের বংশবর তারা এই দেশকে বিক্রি করে দিচ্ছিল আল্লাহ আমাদেরকে রক্ষা করেছেন আমি এগুলোর বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার ছিলাম সেনাবাহিনীর চাকরি করা অবস্থায় আমি এগুলো বলতে পারিনি 2009 সাল থেকে আমি বলেছি এটাই ছিল আমার অপরাধ এটা আমার বড় অপরাধ ছিল আর অপরাধ আমি অধ্যাপক গোলাম আজানের ছেলে এই কারণে তারা আমাকে নিয়ে বন্দি করে রেখেছে এবং এই 29794 ঘন্টার কাহিনী 29794 দিন বলেও শেষ করা যাবে না সেই নির্মম কারাগারে আল্লাহ আমাকে চোখ দিয়েছেন
আল্লাহর পৃথিবী দেখার জন্য আমার এটা অধিকার আমার আমার সেই অধিকার কে নেয়া আছে আমি আল্লাহর আকাশ দেখিনি সূর্য দেখিনি চাঁদ দেখিনি মেঘ দেখিনি বৃষ্টি দেখিনি রোদ দেখিনি আমি মাল্লার মাটি দেখিনি গাছ দেখিনি আমার রুমের দক্ষিণ দিকে দুইটা ছোট ভেন্টিলেটর ছিল ওগুলো দিয়ে মাঝে মাঝে একটু আলো দেখা যেত আমি মাঝে মাঝে তাকিয়ে দেখতাম তারা একটা সিসি ক্যামেরা দিয়ে খেয়াল করে ওটাও বন্ধ করে দিয়েছে আমার বুক হাহাকার করতো আমি আল্লাহর দুনিয়া দেখতে চাই মাঝে মাঝে মনে হতো আমি বন্ধ দোয়া করি তাহাজ্জুদ পড়ে যে আল্লাহ যারা তোমার দুনিয়া দেখা আমার জন্য বন্ধ করে দিয়েছে তুমি তাদের দৃষ্টিশক্তি বন্ধ
করে দাও কিন্তু আমি আল্লাহর কাছে বিচার দিয়েছি আল্লাহ আমি বদদোয়া করি না তুমি আহকামুল হাকিমিন সর্বশ্রেষ্ঠ বিচারক আল্লাহ তুমি তাদের ব্যবস্থা ব্যবস্থা নিও আমি দেশবাসী হিসেবে বলতে চাই আপনারা যদি মনে করেন আমি ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে অন্যায় করেছি এটা আমি খারাপ কাজ করেছি দেশ বিরোধী করেছে আমাকে ফাঁসিয়ে দেন আমি হাসতে হাসতে মাসিক মঞ্চে যাব আমি দৃঢ়ভাবে বলছি আর যদি আপনারা মনে করেন আমি দেশপ্রেমিক হিসেবে সঠিক কাজ করেছি তাহলে যারা আমার প্রতি জিকির করছে তাদের বিরুদ্ধে আমি সরকারের কাছে বিচার চাই আপনাদের কাছে বিচার চাই আপনারা এদেরকে খুঁজে বের করুন এদেরকে একটা একটা করে বিচার করে তাদের
যদি যার যে প্রাপ্য শাস্তি তা সে আপনার স্বাস্থ্য প্রাপ্ত হবে সরকারের কাছে আহ্বান জানাই আপনারা আমাকে সহ যত রকমের যত ঘুম খুন ধর্ষণ রাহাজানি যত অন্যায় বিচার জুলুম হয়েছে এ সবগুলির দোষী ব্যক্তিদের সাথে পূর্ণাঙ্গ বিচার করে মৃত্যুদণ্ড হোক যে দন্ড হোক আপনার সেই দন্ড প্রদান করেন আমার ওখানে দিনগুলো কিভাবে কেটেছে এগুলো আমি মনে করে আমার বুক ফিরে যায় আমি এগুলি এই ওই দুর্দশ এই বিভীষণীয় দিন এগুলোর কথা মনে করতে চাই না আমার চোখ 41000 বারের মত আমি হিসাব করেছি এই 2000 এই আট বছরে মোট 41000 মতো আমার হাত করা পড়েছে আমার হাতের এখানে শত শত
দাগ হয়ে গেছে আমার চোখের এখানে চোখ এত জোরে বাঁধ চোখের মনি মনে হয় ফেটে যাচ্ছে আমি অনুরোধ করতাম একটু ঢিলা করে বাঁধেন একটু ঢিলা করে বাঁধেন আমার চোখে মনি ব্যথা হচ্ছে আমার নাক চাপ পড়ছে আমি ঠাস নিতে পারছি না কোন মায়া দয়াহীন ছিল না আর কষ্ট লাগতো যে ছেলেগুলি রুমে আমাকে খাবার দিত বা আমাকে টয়লেটে নিয়ে যাওয়া আশা করতো সেই ছেলেগুলি আমি যখন 1981 সালে কমিশন হই যে সৈনিক আমার বোট পালিশ করতো তাদের নাতির বয়সের ছেলে আমার বড় সন্তান থেকে 10-12 বছরের ছোট ছেলে তারা আমাকে ধমকের সুরে হুকুমের সুরে কথা বলতো আমার সমস্ত শরীর আগুন
জ্বলত কিছু করতে পারতাম না প্রতিবাদ করতে পারতাম না ওইখানে দৈনন্দিন প্রশাসন দেখার জন্য একটু সিনিয়র লেভেলের আমার ধারণা তারা ওই হাবিলদার পর্যায়ের হবে আমি তাদের কাছে বারবার অনুরোধ করেছি দুই একজন ছিল একটু সহানুভূতি ছিল একজন ছিল তারাও সুরভাইদাররা আমার সাথে চরম দুর্ব্যবহার করেছে এক পর্যায়ে তো এমন হলো যে একটা ছেলে বারবার দুর্ব্যবহার করছে আমি তাকে বারবার পরিবর্তন করার অথবা তাকে পরিবর্তন করছি না আমি সুরাইজারকে বললাম যে আমি যদি আপনারা যদি একে পরিবর্তন না করেন তাহলে আমার খাবার সময় যদি তার ডিউটি থাকে আমি খাবার খাদ্য বর্জন করব তখন আমাকে হুমকি দিল আপনি যদি খাদ্য বর্জন করেন
তাহলে প্রতিবেলা খাবার সময় আমি তাকে ডিউটি দেব এবং সে সেটা বাস্তবায়ন করেছে আমি দুইদিন শুধু মুড়ি বানিয়ে খেয়ে থেকেছি কারণ যখনই আমার নাস্তার সময় তাকে ডিউটি দেয় যখনই আমার দুপুরে খাবার সময় তাকে ডিউটি দেয় যখনই আমার রাতের খাবার সময় তাকে ডিউটি দেয় ডাক্তার কিছুদিন এটা গত বছর শেষের দিকের কথা বলছি আমার কথা একটু আগে পেশে হয়ে যাবে কিছু ক্ষমা করবেন আমাকে তো ডাক্তার গত জানুয়ারি মাসের 19 20 তারিখের দিকে আমাকে দেখতে আসলো প্রথম দিকে এক মাস পর পর দেখতে আসতো এরপরে বছরখানেক পর থেকে দুই মাস পর পর দেখতে আসতো বছর তিনের পর থেকে তিন মাস
পর পর দেখতে আসতো শেষ পর্যন্ত তিন মাস পর পর দেখতে আসতো তো গত জানুয়ারি মাস রাত্রি 19 20 তারিখে থেকে দেখতে আসলেন আমাকে বলেন আপনি কেমন আছেন আমি বললাম ডাক্তার সাহেবকে বললাম ডাক্তার সাহেব আপনাকে হাত জোড় করে বলছি আমার শারীরিক চিকিৎসা দরকার নাই আপনি আমাকে মানসিক নির্যাতন থেকে রক্ষা করেন আমি সহ্য করতে পারি না এই যে যারা আমার ভুট পালিশ করেছে তাদের নাতির বয়সী ছেলেরা আমাদের সাথে যেই ব্যবহার করে আমার বাবা-মা আমার বড় বোন বড় বোন আমার কোন বোন নাই আমার ছয় ভাইয়ের বড় তিন ভাই আমার চাচা চাচি মামা মেয়ে খালাখালি খালু ফুফা বাবু মোট
35 জন এই 35 জন মিলে সারাজীবনে আমার সাথে দুর্ব্যবহার করেনি একটা ছেলে শুধু কয়েক মাসের আমাদের জন্য দুর্ব্যবহার করেছে আমি সেনাবাহিনীর চাকরি তো সিনিয়র কর্তৃক নিয়াতে বকাঝকা দেওয়া এটা যেকোনো বাহিনীতে হয়ে থাকে আমার 35 বছর সেনাবাহিনীর চাকরিতে আমার সিনিয়ররা আমাকে এত বকাঝকা করেনি একটা ছেলে আমার সাথে এত দুর্ব্যবহার করছে আমি সুপারভাইজারকে বারবার বলেছি আপনি তাকে দয়া করে পরিবর্তন করেন পরিবর্তন করেনি আমি ডাক্তার সাহেবকে সব বললাম আমি তাকে যখন বলেছি যে আমি খাদ্য বর্জন করব সে তখন বলেছে আমি তাকে বারবার ডিউটি দিব এবং সে হুমকি বাস্তবায়ন করেছে তারপরে ডাক্তার সাহেব দয়া বড় অবশ্যই উনি উদ্ভস্ত করতে
ওই সুপারভাইজার ওই সৈনিককে পাল্টে দিয়েছে তো আমার এই কষ্ট আমি আপনাদেরকে বসায় প্রকাশ করতে পারবো এটার প্রকাশের কোন ভাষা নেই যারা এই সুপারভাইজারের বয়সের ছেলেরা তাদের জন্মের আগে তাদের মত আমি তাদেরকে একজনকে বলেছিলাম একদিন যে সুপারভাইজার সাহেব আপনার জন্মের আগে আমি আপনার মত লোক চড়িয়ে খেলেছি আমার চোখের ইশারা তারা বুলেটের মত কাজ করেছে আজকে আপনি আমার সাথে আমার দুর্ব্যবহার করছেন সে তারপরেও দুর্ব্যবহার করেছে এবং দুর্ব্যবহার না তারপরে আমার চোখ আরো বেশি লাইট করে বাঁধতে শুরু করেছে আরো নতুন নতুন আগে এবং প্রথম নতুন নামাজের সময় বলতো তারা নামাজের সময় বলেন আমি বললাম আপনাকে মুসলমানের ছিলেন নাকি
আমাকে নামাজের সময় বলেন না আমি তাহাজ্জুদ পড়ে বসে আছি ফজরের নামাজ পড়বো কিন্তু নামাজের সময় বলে না আমি যোহরের নামাজে টাইম জানতে চাচ্ছি যে যোহরের নামাজে ওয়াক্ত হলে নামাজটা পড়ে একটু শুভ তারা নামাজের টাইম পড়ে না আমার আযান মাঝে মাঝে শোনা যায় তো হালকা হালকা শোনা যায় তো ভেন্টিলেটরটা বন্ধ করার পরে ওটাও শোনা যায় না কারণ মানে রুমের এত চারিদিকে তো আপনার এক্সস্ট ফ্যান আর জেনারেটরের মত সাউন্ড আর পানির বাপের মত বিভিন্ন রকমের সাউন্ড ঠিক এভাবে কি কি যেন সাউন্ড তারা তৈরি করে আযান হলে আরো বেশি সাউন্ড তৈরি করে তারা যেন আমরা আজান শুনতে না
পাই আমি আপনাকে মুসলমানের বাচ্চা একটা কাফেরের দেশেও তো এরকম অন্যায় করা হয় না বলে আমার মনে হয় ভারতের মত দেশ সে দেশেও তো আজান শোনা যাচ্ছে মানুষ আজান আমি বিভিন্ন দেশে দেখে আসছি আজান শোনা যাচ্ছে আর আপনারা আমাকে আজান শুনতে দেবেন না আপনারা কি কি মন মানসিকতা আপনারা কি আল্লাহর ভয় নাই আখেরাতের ভয় নাই জাহান্নামের ভয় নাই বলেন না আমরা নামাজ পড়ি করি আপনাদের এগুলি অন্তরের কথা না এগুলি আপনাদের মুখের কথা আমি তাদেরকে এভাবে বলেছি আমি বহুবার বলেছি পাঁচবার আমি লিখিতভাবে দিয়েছি আপনারা শেষবার আমাকে কে বলল যে আমরা 7ই ডিসেম্বরে যারা আমার কথা বলল ভারতের
বিরুদ্ধে এত সত্যাকারী এগুলো বলার পরে বলল আমরা আপনার বিরোধী কিছু তদন্ত করছি তদন্ত চলাকালীন আপনার থাকতে হবে তাদের কথাতেই এবং সুরে এবং স্বরে এমন আশঙ্কা হয়েছে তারা আমাকে সহজে ছাড়বে না আমি বললাম তদন্ত কিসের আপনারা জানেন এখন বিভিন্ন তদন্ত কমিটি হচ্ছে এই কমিটি হচ্ছে একটা ঘটনা ঘটে ওটা সত্যতা জানানোর জন্য এবং দোষী ব্যক্তিরণের জন্য তদন্ত হয় কোন ঘটনা না ঘটলে কিসের উপর তদন্ত আমি বললাম আপনি কিসে তদন্ত করবেন তারা আমরা বলল যে আপনি লুকিয়ে লুকিয়ে কিছু করছিলেন কিনা এটা তদন্ত আমি বললাম এটাকে কি তদন্ত বলে আর যদি তদন্তী হয় আমার বিরুদ্ধে কি অভিযোগ আমাকে জানাতে
হবে আমাকে আত্মপ্পর্শ আপনি কি করছেন বলেন আমরা তদন্ত করছি আপনার থাকতে হবে ওইভাবে আমি থাকতে থাকলাম চলতে থাকলাম এবং আমার দিন যত যায় আমার আশেপাশে আমি তো জানিনা কোথায় কি সেল আছে না আছে আমার তো চোখ বেঁধে নিয়ে যায় নিয়ে আসি 50 কদম হেঁটে যায় হেঁটে আসি আমি আশেপাশের বিভিন্ন সেলকে চিৎকার আহাজারি বিলাপ আমার বুক ফেটে যেত আমার তখন আমার কষ্ট যে তাদের কষ্ট আরো বেশি হতো আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করতাম আল্লাহ তুমি ব্যক্তিদেরকে সাহায্য করো আল্লাহ তুমি তাদেরকে ধৈর্য সহকারে শক্তি দাও তাদের পরিবারের প্রতি রহম করো আল্লাহ তুমি মজলুমদেরকে মুক্তি দাও সারারাত বিলাপ করছে
সারারাত কান্নাকাটি করছে সারারাত তাহাজারি করছে চিৎকার চেচামেচি করছে এগুলো সহ্য করার মত নয় আল্লাহ যে আমাকে এখন মানসিকভাবে সুস্থ রেখেছে কিভাবে এটা আল্লাহর রহমত আমি যে মানসিকভাবে হয়ে যায়নি প্রতি রাত রসের আতঙ্ক নিয়ে একটা মানুষ যদি দিনের কোন দিন বছরে কোন বছর আল্লাহর কাছে দোয়া করে আল্লাহ এটা যদি আমার শেষ নামাজ হয় আজকে যদি মৃত্যু হয় আমাকে শহীদের যদি আমার লাশ অক্ষত অবস্থায় আমার পরিবারের কাছে পরিচিতি মাতৃ সন্তানের কাছে মানুষের অনুভূতি কি হবে পৃথিবীর সমস্ত কবি সাহিত্যিক মিলে জীবন লেখন শেষ করতে পারবে না আমি আমার ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না এত কিছুর মধ্যেও আমি নিরাশ
হইনি কোরআনে আল্লাহ বলেছেন তোমরা আল্লাহর সাহায্য থেকে নিরাশ হয় না হতাশা এসেছে বিষন্নতা এসেছে দিনের পর দিন খাবার খায়নি মন ভেঙে একেবারে চুরমার হয়ে গেছে আমি আল্লাহর সাহায্য থেকে নিরাশ হইনি আল্লাহর সাহায্য থেকে নিরাশ হয়নি আল্লাহ আপনাদের দোয়ায় আমাকে সেই শক্তিটা দিয়েছিলেন এবং আল্লাহর শক্তি দেওয়ার ফলেই এই ছাত্রজনতার এই গণবিপ্লবের মাধ্যমে যে বিজয় অর্জন হয়েছে এরপরে আমাকে তারা মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছে এই প্রসঙ্গে আমি একটা কথা একটু গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বের সাথে বলতে চাই 2021 সালের মে মাসের আনুমানিক 22 তারিখে যে একজন আগে পিছে হতে পারে তাদের একজন কর্মকর্তা আমাকে আসলো আমাকে এসে আমাকে বলল যে আপনি
একটা লিখিত দরখাস্ত করেন যে আমি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হব না আমি এই দেশে থাকবো না আমি স্ত্রী সন্তান নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকতে চাই আপনারা আমাকে মুক্তি দেন আমি বিদেশে চলে যাব আমি তাদেরকে বললাম আমি স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক আপনারা অবৈধভাবে আমাকে অপহরণ করেছেন অবৈধভাবে আটক করেছেন আপনারা আমাকে এখানে যে আটকে জুলুম করছেন নির্যাতন করছেন আমি এটা তো মানি না মানবো না মিটিং মিছিল করতে পারছি না আমি এটার প্রতিবাদে এই যে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমি বড় চুল রেখেছি আমি বলেছি এটা আমার মৌন প্রতিবাদ আপনারা যখন মৌন প্রতিবাদ দেখেন মিটিং মিছিল হয় না শুধু ব্ল্যাক হাতে নিয়ে থাকে
আমি বলেছি এটা আমার মৌন প্রতিবাদ যতবার এটা দেখবেন আপনাদের যেন মনে হয় আপনারা আমাকে অবৈধভাবে অপহরণ করেছেন অবৈধভাবে আটক রাখছেন আপনারা আমার জুলুম করছেন হারাম কাজ করেছেন এই কথাগুলো যেন আপনাদের বুকে বাঁধে এ আমার মৌন প্রতিবাদ তো আমি স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক আমার এটা আমার ব্যক্তিগত ইচ্ছা আমি রাজনীতি করবো কি করবো না আমি দেশে থাকবোই থাকবো না আমার মুশলেকা দিয়ে আমি মুক্তি পেতে চাই না আমার আল্লাহ আমাকে এই সৎ সাহসটুকু দিয়েছিলেন আমি এটার দৃঢ়তার সাথে বলেছি তারপর আমাকে আর কিছু বলেনি জুলাই মাসের এখন শেষ দিকে আসি আমি যেখানে ছিলাম সেখানটায় আমি প্রতিদিন প্লেন উঠার আওয়াজ
পেতাম দৈনিক আপনার যে আমাদের ডোমেস্টিক ফ্লাইট যেটা বলা অভ্যন্তরে ওটার আওয়াজে প্লেনগুলো একরকম আর যেগুলি বোইং আন্তর্জাতিক ওগুলোর আওয়াজ এখন দুই রকমের আওয়াজে পার্থক্য বুঝতে পারতাম তো টোটাল দিনে 20 থেকে 22 টা প্লেনের আওয়াজ পেতাম জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে আমি দেখলাম প্লেনের আওয়াজ কমে গেল তো আমি ধারণা করলাম হয়তো বাইরে কোন আন্দোলন টানন্দোলন হচ্ছে সাধারণত আমাদের কাছে লাগাতার হরতাল হলে তখন প্লেনে চলাচল আমি এই ধরনের একটা আলোচনা রাজনৈতিক হয়তো লাগাতার হরতাল হচ্ছে বা এই ধরনের কিছু একটা আমাদের দেশের ছাত্র জনতা যে কি এত বিপ্লব ঘটিয়ে দিবে এটা আমি কল্পনাও করতে পারিনি আমি প্রাউড অফ দ্যাট
আমি আপনাদের কাছে গর্বিতভাবে গর্বের সাথে বলতে চাই যে আমি এই তরুণ ছাত্রদের ব্যাপারে গর্বতী বোধ করছি যে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি বিশ্বের কাছে আমরা কি করতে পারি তো আমার কল্পনাও করতে পারেন যে তারা এত বিশাল কিছু একটা অর্জন করতে পারবে কিন্তু আমার মনে হচ্ছিল কিছু একটা করতে হচ্ছে কিছু একটা হচ্ছে আমি দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করানোর চেষ্টা করেছি বাট আমি আমার সাথে কথা ছিল যারা রুমে আসবে প্রয়োজনের একটা কথাও বলবেন না আমি একটু দুইটা মাঝে মাঝে তাদেরকে তারা অনেকে আমার আমি কোরআন হাদিস পড়ি আমার কাছে কোরআন হাদিসের বিভিন্ন মসলা মাসায়েল জানতে যেত নামাজের বিভিন্ন বিষয় জানতে যেত এগুলো
নিয়ে কথা বললে আমার সিসি ক্যামেরা দেখেন হাজির হয়ে যেত আপনি কথা বলছেন কেন প্রয়োজন কথা বলছেন কেন তো আমি বলছি যে আমি কোন আজেবাজে কথা বলছি না ও আমার জিজ্ঞাসাবাদের সময় সময় আমাকে বলছিল যে আপনি সৈনিক যারা ডিউটি করে তাদের আজেবাজে কথা বলবেন না আমি তাদেরকে বলতাম যে আপনাদের কর্মকর্তা তারা আমাকে অবৈধভাবে অপহরণ করেছে অবৈধভাবে আটক করে রেখেছে এটা হারাম কাজ করে জুলুম কাজ করেছে এটা আমি যারা আমাকে রুম থেকে ডিউটি নিয়ে যেত খাবার দিয়েছে তাদেরকে মাঝে মাঝে বলতাম তো তারা এগুলো করেছে কর্তৃপক্ষে জানার পরে আমাদের অফিসাররা বলেছিল তারা জিজ্ঞাসাবাদের সময় আপনি তাদের সাথে আজেবাজে
কথা বলেন কেন তো আমি তাদের দৃঢ়তা বলেছি আপনারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জিজ্ঞাসা করে আসেন আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিতা সেনাবাহিনীতে একটা আদর্শ সেনা কর্মকর্তা হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করার সৌভাগ্য আল্লাহ আমাকে সেই সুযোগ দিয়েছেন আজ আমি কোন আজেবাজে কথা বলে না আপনারা বলেন আমি কি একটা বাক্য বলেন আমি কি আজেবাজে তারা তো এই কথা বলতে পারছে না মুক্তি দিয়ে উচ্চারণ করতে পারছেন যে আমরা অবৈধ কাজ করেছি অপহরণ কাজ করেছি এগুলো মুক্তি বলতে পারে খালি বলে আজেবাজে কথা বলবেন না আমি বললাম আমি কোন আজেবাজে কথা বলি না যা বলি আমি প্রয়োজনে কথা বলি ওই সুপার ভাইজার আইসা বলে যে আপনি
প্রয়োজন কথা বলবেন না আমি বললাম আপনার প্রয়োজন আর আমার প্রয়োজন তো এক না আমি তাদেরকে আল্লাহর রাসূলের কথা বলি আমি আল্লাহর রাসূলের কথা বলেই যাব আমার যদি মৃত্যু হয় তাও আমি বলে যাব আপনারা যা পারেন করেন তারপরে বললেন না আপনে কথা বলে না উপরস্থ করতে জানলে অসুবিধা হবে তো আমি সময় শুধু বলতাম তারা জিজ্ঞাসা করতো বলতাম অনেক সময় আমার মন ভালো থাকলো আমি নিজে থেকে বলতাম তো জুন মাসের এই জুলাই মাসের পাঁচ তারিখে যে বিপ্লব হয়ে গেছে এটা তো আমি জানিনা আমি আমাকে পাঁচ তারিখ 10:30 টার সময় এসে বলল যে আপনাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া
হবে ডাক্তার প্রথম দিকে সকালের দিকে আসতেন আমি তো ডাক্তারকে বললাম যে সকালের দিকে তো আমি ফজরের নামাজ তাহাজ্জুদ পড়ে ফজর পড়ে ঘুমাই আমার যদি দুইটার দিকে আসা অনেক সুবিধা হয় তারপর তিনি দুইটার দিকে আসতেন এবং তিনি 30শে জুলাই আমার যতটুকু মনে করি শেষ দেখে গেছেন তার মানে এই কয়দিন আগে আমাকে দেখে গেল পাঁচ দিন আগে ডাক্তার দেখে গেল আমার রক্ত পরীক্ষা গেল এবং রিপোর্ট আমার জানা গেল সব রিপোর্ট নরমাল আছে তো এখন ডাক্তারের কাছে 10:30 টার সময় কোথায় নিয়ে যাবেন বলেন আপনাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে বলে আমাকে আমার রুম থেকে চোখ হাত দিয়ে মুখোশ করিয়ে
একটা গাড়িতে করে এই এক দেড় মিনিট গাড়ি চালিয়ে ওখানে আশেপাশে কোন আরেকটা রুমে নিয়ে গেল এখন আমি ধারণা করি আমি ধারণা করি যে জেনারেল হাসান নাসিরের নেতৃত্বে কিছু সংখ্যক সামরিক অফিসার কর্নেল হাসিনের মত সাহসী সামরিক অফিসার হাসানের সাহসীরা কিছু অফিসার বোধহয় ওই কচুক্ষেত্রে যে ডিজিএফআর আছে ওই অফিসারের সামনে গিয়ে তারা চিৎকার চেচামেচি করেছে আমরা আজমিকে চাই আজমিকে চাই তখন তারা তাদের সব 24 ঘন্টা সময় নিয়েছে এ ধরনের একটা কিছু সম্ভবত আমি যথাযুক্ত শুনতে পেরেছি বাইরে এসে ওই জন্য তারা যদি ঢুকে পড়ে এবং ওই রুমগুলোতে আমার সার্চ করে এজন্য তারা আমাকে ওদিকে সরিয়ে আরেকখানে নিয়ে গেল
পাঁচ তারিখ রাতের কথা বলছি আমি 10:30 তারপরে ওখান থেকে আমাকে রাত্রে আড়াইটা তিনটার দিকে বলো আপনাকে আমরা হাসপাতালে নিয়ে যাব তো আমি বললাম গত আট বছর থেকে আমি আপনাদেরকে বলছি আমার দাঁত ভেঙে গেছে আমার একটা দুটা দাঁত ভেঙে গেছে আমার কানে সমস্যা হচ্ছে আমার চোখে চশমা যেটা দেখছেন আমি মুক্তির পরে ডাক্তারের দিকে চশমা নিয়েছি কিছুদিন পরে আমি চশমা পড়তে পারতাম না আমি বলতাম আমার চোখের চিকিৎসা তবে স্পষ্টভাবে চোখের চিকিৎসা হবে না দাঁতের চিকিৎসা হবে না কানে চিকিৎসা হবে না এখানে রেখে যা করা যায় করা যাবে উনাখানে যারা ডাক্তার ডাক্তার ছিল উনারা মেডিকেল স্পেশালিস্ট ছিলেন আমার
প্রথমে যাওয়ার পরে যখন চোখ বান্ধ এখানে আমার ঘা হয়ে গেল তো একটা ওষুধ দিলেন পরে এটা পুরা মুখ ঘা ছড়িয়ে গেল যাই হোক পরবর্তীতে ওষুধ আমার ওই মুখে এখনো চারিদিকে অনেক সমস্যা রয়ে গেছে চামড়ায় হাতে পায়ে চামড়া নানানোর সমস্যা হয়েছে তো আমি বললাম যে এত আট বছর ধরে আমি বলছি আপনাদের কাছে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যান আপনারা হাসপাতালে নিয়ে যেতেন না এখন রাত তিন টার সময় আপনারা হাসপাতালে নিয়ে যেটা কি কথা তো বলে না যেতে হবে তো তার যেতে হবে বলে তার কিছু উপায় চোখ হাত বেঁধে আবার মহকুশ পড়ে এম্বুলেন্সে করে যাচ্ছে যাচ্ছে যাচ্ছে যাচ্ছে রাত
পৌনে এর দিকে যাচ্ছে যাচ্ছে যাচ্ছে আর শেষ নাই তো আমি বললাম যে ঢাকা শহরে কোন হাসপাতাল তো এত দূরে না আপনারা কোথায় হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন তখন কোন জবাব দিল না তারপরে রাস্তা ভাঙ্গাচোড়া তো আমি বললাম যে ঢাকা শহরের রাস্তা তো এত ভাঙ্গাচোড়া না আপনারা কি আমাকে কোন গ্রামের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন নাকি তার কোন জবাব দিল না আমাকে নতুন একখানে নিয়ে গেল নিয়ে গিয়ে ওই ওরকম বন্দিশার মত একটা বন্দি হলো এটাতে অবশ্য এটাচ টয়লেট ছিল ছোট রুম একটা খাট একটা টেবিল ছিল তো আমাকে বলল আপনি এখানে থাকেন না তখন ওখানে একটা ঘড়ি ছিল ঘড়িতে দেখলাম তখন
সকাল প্রায় পৌনে ছয়টা তো প্রায় তিন ঘন্টার মত ড্রাইভ করে তারা আমাকে নিয়ে গেল এবং আমার ধারণা ঢাকার বাইরে কোন একখানে নিয়ে গেছে এবং আমি যতটুকু অনুমান করতে পারি এখন যেটা অনুমান করছি রাস্তাঘাটে যেভাবে ছাত্ররা রাস্তাঘাটে গাড়ি চেক করছিল তারা আমাকে পাকা রাস্তা দিয়ে নিতে সাহস করেনি তারা আমাকে গ্রামের রাস্তা দিয়ে নিয়ে গেছে এটা এখন আমি অনুমান করে বলছি তো আমাকে ওখানে বলল আপনি এখানে থাকেন আমি বললাম আপনারা কথা বলে এখানে কোথায় নিয়ে আসলেন বন্দি আরেক বন্দিখানায় বলে থাকেন আমাকে পরে জানানো হবে তো এটা ছয় তারিখ সকালের কথা বলছি ছয় তারিখ দুপুরে আমাকে বলল আপনাকে
আজকে রাত্রে মুক্তি দেওয়া হতে পারে একজন বলল আমাকে আপনার কাপড়ের সাইজ বলেন তো আমি বললাম তো আমি সাধারণত গার্মেন্টের কাপড় পড়ি না আমি সাইজ বলতে পারবো না তো তারা একটা কাপড় নিয়ে আসলো আমাকে দেখালো যে আমি যে কাপড়টা আপনারা প্রথম দেখেছেন আমি প্রথম মুক্তিপরে যে একটা প্যান্ট শার্ট গ্যারান্টি পড়েছিলাম ওই কাপড়গুলো ওটা পড়ে দেখলাম ঠিক আছে তো বলল আমরা রাত্রে আড়াইটা তিন টার দিকে আপনাকে নিয়ে যাব তো পৌনে তিনটার দিকে এসে বলল যে আমরা আজকে কোন একটা বিশেষ অসুবিধা কারণে নিতে পারছি না আপনার কালকে মুক্তি হবে তোমার অপেক্ষা করা ছাড়া তো কোন উপায় নেই আমি
বাইরের কোন জগতের কোন খবরই নাই আমার কাছে পরের দিন সকালবেলা দুপুরে আমাকে এসে বলল আজকে রাত 9:00 টার দিকে আপনাকে নিয়ে যাব আমি সাধারণত 9:30 দিকে ভাত খেতাম বলল রাত 9:00 টার দিকে আপনি নিয়ে যাওয়া হবে আপনার 8:00 টার দিকে ভাত দিয়ে দিব এর মধ্যে আপনার খাবার টাবার খেয়ে রেডি হয়ে যাবেন তো আমি সেই অনুযায়ী রেডি হয়ে গেলাম তখন তো আমি কোথায় নিয়ে যায় আবার কোথায় নিয়ে মেরে ফেলে কিন্তু আমি তো কোন কিছু সবকিছু অনিশ্চয়তার মধ্যে আমাকে এগুলি ভাতা দিয়ে আমাকে কোথাও নিয়ে ঘুম করে মেরে ফেলবে লাশ কোথায় ফেলে রাখবে এই আশঙ্কায় তখন থেকে খাবারও
মুখে আসে না যাই হোক সামান্য কিছু খেয়ে আমি রেডি হয়ে থাকলাম তার সোনাটা যখন নিয়ে রওনা হলো প্রায় আড়াই ঘন্টার মধ্যে গাড়ি চালিয়ে আমাকে সেই টাঙ্গাইল যমুনার রাস্তায় এলেঙ্গা রাস্তার পাশে নিয়ে আমাকে চোখ হাত বেঁধে ছেড়ে দিল আমাকে কিছু টাকা দিল আপনার বাস ভাড়া তো বললাম এটা কোথায় বলল যে সামনে বাস টেন্ডার আছে ওইদিকে পিছন দিক থেকে গাড়ি আসবে আপনি বাসনা গেলে দেখতে পারেন খুব প্রবাস আমাকে টাকা ভাড়া দিয়ে দিল বলল আপনি মুক্তি আপনি এখন মুক্ত আপনি যেতে পারেননি জিজ্ঞাসা করলাম রাত কটা বাজে তখন রাত পৌনে টা তো তারপরে আমি গাড়ি থেকে নেমে আমার এই
আবেগ আমি প্রকাশ করতে পারবো না আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে চিৎকার আল্লাহু আকবার আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তুমি রহমানির রাহিম তুমি কারিম আল্লাহ আমি তো আট বছর পরে তোমার আকাশ দেখছি তোমার তারা দেখছি তোমার মেঘ দেখছি তোমার চাঁদ দেখছি আল্লাহ মাটির দিকে তাকিয়ে বললাম আল্লাহ তোমার মাটির মানুষ আমি তুমি আমার সেই মাটি দেখাচ্ছ আট বছর পরে আমি উত্তেজনায় কতক্ষণ পর্যন্ত যখন আমি বলেছি বলতে পারবো না তখন হঠাৎ করে মাথা চোখ মুখ অন্ধকার হয়ে আসলো আমি গাছ থেকে নামিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম আমার জিপে নিয়ে গেছে ডানে একজন বসা বামে একজন বসা তো আমি বললাম আমার মাথা ঘুরেছে আমি একটু বসতে
পারি বলে আচ্ছা বসেন বসলাম কিছুক্ষণ পরে বললাম ঠিক আছে আমি যেতে পারবো তো আমি নামলাম আমার বামে যেয়ে বসে ছিল সে আমার আমাকে হাতে টাকা দিল আপনি টাকা নেন তো আমি বললাম এখানে ঢাকার ভাড়া কত বলে আমি জানিনা ঠিক এখানে কত টাকা ৳5000 তো আমি বললাম আমি আপনাদের টাকার মুখোপক্ষী নেই আল্লাহ আপনাকে আপনাদের টাকার মুখোমুখী করেনি আমার টাকার দরকার নেই আমার এখান থেকে ঢাকার ভাড়া যতটুকু শুধু ততটুকু ভাড়া দেন বলল না আপনি নিয়ে যান আপনি না যা করেন করেন আপনি দান করেন করেন আমাদের গিয়ে টাকা আপনাকে দিতে হবে তাদের সাথে এক সেকেন্ড কথা বলার মত
আমার রুচি ছিল না আমি তারা আমাকে নামিয়ে দিয়ে চলে গেল সবাই মুখোশ করা ছিল যার ফলে দেখার কোন সুযোগ নেই আমি খুব সংক্ষেপে বাকি শেষ করে দিচ্ছি একটু এলোমেলো ছিল উঁচু নিচে ছিল আমি ঠিকমত হাঁটতে পারছিলাম না আবেগে উত্তেজনায় রাস্তা উঁচু নিচে দুর্বলতার সময় হাঁটতে পারছিলাম না এর মধ্যে হঠাৎ করে দেখলাম একটা পিছুতে দাঁড়িয়ে এসে ওই সামনে বাস টেনে দাঁড়ালো আমার তখন মানে মনে হয় যেন আমি পারলে উড়ে গিয়ে ঝাঁপিয়ে বাসের মধ্যে উঠি কিভাবে যে আমি 100 গজের মত রাস্তা দৌড়ে ওই অবস্থা পার হয়েছে আমি এখন কল্পনা করতে পারি না দৌড়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম আপনি
কি ঢাকা যাবেন বলেন আমরা ঢাকা যাব না চিটাগাং যাব আপনি ঢাকা কোথায় যাবেন আমি বললাম আমাকে টেকনিক্যাল মোড়ে যদি নামিয়ে দিতে পারেন বাপ তৈরি টেকনিক্যাল মোডে না হবো আপনি উঠেন সো আমি বাসে উঠলাম উঠে পিছনের দিকে গিয়ে একজনের কাছে বললাম যে আমার তো মোবাইল নাম্বার নাই আমার দুইটা নাম্বার ফোন নাম্বার আমার জানা ছিল আমার স্ত্রীর নাম্বার আর আমার সাথে ভাইয়ের নাম্বার এই নাম্বার দুটা মনে ছিল আমি দুজনকে ফোন করে বললাম তারা আরো লোকজনকে নিয়ে তারা ওখান থেকে টেকনিক্যাল মোডে এসে আমাকে ওখানে নামে নিল তারপরে তো ওখান থেকে আমি প্রথমে হাতটা নিয়ে আমাকে কিছুটা পড়ে আমি
সাত তারিখ রাতের কথা বলছি এটা আট তারিখ ভোর নাগাত আমি বাসায় গিয়ে পৌঁছালাম সাত তারিখ সাত আট তারিখ রাতে সারারাত ঘুম নাই আট নয় তারিখেও আমার সারারাত ঘুম নাই আত্মীয়-স্বজন সব আসছে নয় তারিখ রাতে আমি অজ্ঞান হয়ে গেলাম তারপর আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলো আমি তখন থেকে চিকিৎসা নিয়েছি আমার শরীরে নানা রকমের সমস্যা বড় খুব বেশি সমস্যা না হলে নানা রকমের সমস্যায় ভুগছি এগুলো চিকিৎসা আমি চিকিৎসার কারণে আপনাদের কাছে আসতে বিলম্ব হলো আমার আমার মোটামুটি এই ছিল আমার বন্দি জীবনের দুর্দশার কথা আমি আমার বাকি খুব সংক্ষিপ্ত ভাবে শেষ করবো আমি এখানে বলতে চাই আমার মূল
দুটা কারণে তারা আমাকে ধরে রেখেছে এক আমার প্রিয় পৈত্রিক পরিচয় আমার পারিবারিক পরিচয় দুই আমি ভারত বিরোধী এবং এটা স্পষ্ট যে আমি বিদেশী চক্রের গভীর ষড়যন্ত্র শিকারের সাথে হিসেবে তারা আমাকে আটকে রেখেছিল মুক্তির সিদ্ধান্ত দেওয়ার পরেও বিদেশী প্রভুদের হুকুমে আমাকে আটকে রাখা হয়েছিল [মিউজিক]