আজকের এই ভিডিওতে আমরা জানার চেষ্টা করবো ডক্টর ইউনুস কিভাবে গ্রামীণ ব্যাংক শুরু করলেন উনার সাথে সরকারের আসলে সমস্যাগুলো কি কি উনি শ্রম আদালত থেকে কেন মামলা পেলেন এবং উনার একদম শুরুর জীবন থেকে শুরু করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো থেকে শুরু করে গ্রামীণ ব্যাংকের এই বিশাল কর্মযজ্ঞ থেকে মাইক্রো ক্রেডিট সবকিছু আমরা খোলাসা করবো আজকের এই ভিডিওতে চলো শুরু করা যাক এই ব্যাপারটা আমার ভালো লাগতেছে খুব যে আমি কোন কিছু না ভেবেই অনেক কিছু চিন্তা ভাবনা না করেই আমার যা বলতে ইচ্ছা করতেছে এখন বলতে পারতেছি থ্যাংক ইউ এভরিওয়ান যাদের জন্য এই জিনিসটা আমি আসলে করতে পারতেছি আজকে
1940 সালে চিটাগং এ ডক্টর ইউনুসের জন্ম হয় এবং 1940 সালটা থেকে আপনারা বুঝতে পারতেছেন যে এটা ইন্ডিয়া পাকিস্তান বিভাগ হওয়ার আগে 1947 এ তো ইন্ডিয়া পাকিস্তান ভাগ হয়ে গেল 1940 সালে ডক্টর ইউনুসের জন্ম হয় জন্ম হইলো তার কিছুদিন পরে মাত্র সাত বছর পরে ইন্ডিয়া পাকিস্তান ভাগ হয়ে গেল পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী হইলো ঢাকা ঢাকার মধ্যে ছিল ঢাকা ইউনিভার্সিটি এবং ডক্টর ইউনুস ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে তার কিছুদিন পরে চলে আসলেন উনার ব্যাচেলর এবং উনার মাস্টার্স করতে উনার ব্যাচেলর এবং উনার মাস্টার্স দুইটাই উনি করছেন ইকোনমিক্স এর উপরে এবং আপনি যদি উনার আর্লি ক্যারিয়ার দেখেন আপনি দেখবেন যে উনি ইকোনমিক্স অর্থনীতি
ফাইনান্স এগুলার খুব বাইরে দূরে কোথাও যেয়ে কিছু করার চেষ্টা করেন নাই সারাজীবন ধরেই উনার ইচ্ছা ছিল উনি ইকোনমিক্সের দুনিয়ায় ঢুকবেন অর্থনীতির দুনিয়ায় ঢুকবেন এবং এর আশপাশেই উনি মোটামুটি সবসময় ছিলেন আরেকটা ব্যাপার আমার খুব ইন্টারেস্টিং লাগছে যে ডক্টরসের জন্ম হইলো ভারতবর্ষে এরপরে উনি উনার স্কুল শুরু করলেন ভারতবর্ষে উনি উনার ইউনিভার্সিটিতে গেলেন আসলে পাকিস্তানে টেকনিক্যালি তখন পূর্ব পাকিস্তান পাকিস্তানের অংশ এবং তারপরে উনি যখন পিএইচডি শেষ করলেন তখন ওইটা হয়ে গেছে বাংলাদেশ সো উনার স্টুডেন্ট ক্যারিয়ার যদি আপনি দেখেন প্রত্যেকটা সার্টিফিকেট এক একটা আসলে এ এক দেশের তার কারণ উনার বেশি আসলে চেঞ্জ হইতে থাকছে বিভিন্ন রেভলিউশনের কারণে এটা
খুবই ইন্টারেস্টিং একটা ব্যাপার এরকম খুব বেশি মানুষের সাথে হয়তো হয় না তো 1960 সালে উনি উনার ব্যাচেলর এবং মাস্টার্স ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে শেষ করলো দুইটাই ইকোনমিক্সে ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স শেষ করার পর উনি যখন ভাবতেছেন যে এখন কি আমি আসলে চাকরি বাকরি করবো নাকি ঠিক এই সময় উনার আমেরিকার একটা ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডির ফুল স্কলারশিপ অফার চলে আসে এবং এই ফুল স্কলারশিপ অফার নিয়ে উনি আমেরিকায় চলে যান এবং আমেরিকায় উনি উনার পিএইচডি শুরু করেন পিএইচডির বিষয় কি ছিল এগেইন ইকোনমিক্স এর আশপাশেরই একটা জিনিস রুরাল গ্রামে কিভাবে ইনফ্লেশন প্রভাব ফেলে এটার উপর ভিত্তি করে ইংলিশ নামটা আরেকটু
কঠিন আমি আপনাদের জন্য বাংলা করে বলতেছি এই কনসেপ্টটা এই যে কেন আসলে ইনফ্লেশন রুরাল ইকোনমিতে প্রভাব ফেলে এবং কিভাবে প্রভাব ফেলে এটা নিয়ে উনি উনার পিএইচডি টা করেন যে পিএইচডি উনি শেষ করেন 1969 সালে যখন বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থান চলতেছে পিএইচডি শেষ করার পরে ডক্টর ইউনিসের মনে একটা খুব সিরিয়াস প্রশ্ন আসে এখন আমি কি করব এখন কি আমি আমেরিকায় থাকবো এখন কি আমি আমেরিকায় কোন একটা চাকরি বাকরি করার চেষ্টা করব আমি কোন একটা বিজনেস দাঁড় করানোর চেষ্টা করবো আমেরিকায় নাকি আমি দেশে চলে যাব এই ডিলেমার ভিতর দিয়ে আমরা যারা বিদেশ থাকি আমরা সবাই কোনো না কোনো সময়
গেছি যে আমরা আসলে কি করবো আমাদের পড়াশোনা শেষ করার পরে বিদেশে ডক্টর স্টিক করেন উনি দেশে চলে যাবেন এবং 1972 সালে উনি দেশে চলে যান এবং দেশে চলে যেয়ে উনি বাংলাদেশের প্রফেসর হয়ে যান উনি চিটাগং ইউনিভার্সিটিতে যদি আমি ভুল না করে থাকি ইকোনমিক্স এরই টিচার হন এবং পড়ানো শুরু করেন কয়েক বছর উনি মোটামুটি ভালোভাবেই পড়ান তেমন কোন বৈচিত্র নাই জীবনে উনি পড়াচ্ছেন রেগুলারলি উনি ক্লাস নিচ্ছেন এবং মোটামুটিভাবে সবকিছু চলছে এই করতে করতে চলে আসে 1976 সাল যখন ডক্টর ইউনিসের মনে হয় যে টিচার হিসেবে আমি মনে হয় অনেক বেশি অবদান রাখতে পারতেছি না আমার এর থেকেও
আরো অনেক বেশি কিছু করার সুযোগ বা সামর্থ্য আছে এবং আমি যদি আরো বড় করে কোন কিছু করতে চাই তাহলে আমার কি করা উচিত আমার মনে হয় একটা ব্যবসা দাঁড় করানো উচিত এই টিচিং প্রফেশনের বাইরে চলে যেয়ে 1976 সাল 1975 এ বঙ্গবন্ধু মারা গেলেন এবং একটা দুর্ভিক্ষ হইলো তার মাত্র কয়েকদিন আগে বিশাল একটা দুর্ভিক্ষ হইলো বাংলাদেশে ইকোনমির অবস্থা খুবই খারাপ পুরা দেশের অবস্থাই ভয়ঙ্কর খারাপ সবাই ওই যে তলাবিহীন ঝুরি এই সেই অনেক কিছু বলতেছে এরকম একটা সময়ে ডক্টর ইউনুস ঠিক করলেন 1976 সালে এসে যে না আমি আমার ব্যবসা দাঁড় করাবো টিচার হওয়ার থেকে ইস্তফা দিয়ে দিলেন
এবং কি ব্যবসা নরমাল কোন ব্যবসা না আমি একটা ব্যাংক দাঁড় করাবো সেই ব্যাংকের নাম কি হবে সেই ব্যাংকের নাম হবে গ্রামীণ ব্যাংক গ্রামীণ ব্যাংক আর আট দশ টা নরমাল ব্যাংকের মতন না গ্রামীণ ব্যাংক যদি আপনি বুঝতে চান তাহলে গ্রামীণ ব্যাংকের সাথে যেই শব্দগুলো একদম সমার্থক এই শব্দগুলো আপনার একটু বুঝতে হবে যে শব্দগুলো হলো মাইক্রো ক্রেডিট মাইক্রো ফাইনান্সিং বাংলায় আমরা বলি ক্ষুদ্র ঋণ এই মাইক্রো ক্রেডিট মাইক্রো ফাইনান্সিং ক্ষুদ্র ঋণ এই প্রত্যেকটা টার্ম প্রত্যেকটা শব্দ কিন্তু ডক্টর ইউনিসিরই ব্রেইন চাইল্ড এবং উনাকে ক্রেডিট বা ক্ষুদ্র ঋণের জনকও বলা হয় এই কারণে মাইক্রো ক্রেডিট কি জিনিস মাইক্রো ক্রেডিট বা
বাংলায় ক্ষুদ্র ঋণের মানে খুবই সিম্পল ক্ষুদ্র ঋণ অনেক ছোট টাকার ঋণ এবং এই ঋণগুলা শুধুমাত্র তাদেরকেই দেওয়া হয় যাদের নরমাল ব্যাংকিং চ্যানেলে নরমাল ভাবে কোন ঋণ পাওয়ার আসলে কোন সুযোগ নাই আপনি জিনিসটা একটু চিন্তা করেন মানুষ সাধারণত ঋণ কখন নেয় মানুষ সাধারণত নরমালি একটা ব্যাংক থেকে ঋণ তখন নেয় নরমাল সিনারিওতে আপনি চিন্তা করেন মনে করেন আপনি ডাচবাংলা ব্যাংক থেকে কথার কথা একটা ঋণ নিবেন ডাচবাংলা ব্যাংক থেকে আপনি যখন লোন নিবেন তখন আপনি ওই লোনটা কেন নিবেন আপনার বিশাল একটা ব্যবসা আছে আপনি ব্যবসা আরো বড় করতে চান এজন্য আপনি লোন নিবেন বা আপনি হায়ার স্টাডিজের জন্য
চলে যাচ্ছেন আপনার এডুকেশন লোন লাগবে বা আপনি একটা গাড়ি কিনবেন আপনার একটা কার লোন লাগবে বা আপনি একটা বাড়ি কিনবেন আপনার একটা হাউস লোন লাগবে ট্রেডিশনাল লোন বলতে কিন্তু এগুলাকেই বোঝানো হয় হাউ এভার আপনার কিছুই নাই আপনার জীবনে কিছুই নাই আপনি খুবই গরীব মানুষ আপনি একটা ছোট্ট ঋণ পাইলে আপনি পাঁচটা মুরগি কিনতে পারবেন বা আপনি দুইটা ছাগল কিনতে পারবেন বা আপনি একটা গরু কিনতে পারবেন এইরকম সিচুয়েশনে আপনি কখনো কোন ব্যাংকে যেয়ে কোন লোন বা ঋণ পাবেন না তার কারণ আপনি কোন কোল্যাটারাল দিতে পারবেন না আপনি কোন কিছু বন্ধক রাখতে পারবেন না ব্যাংকের কাছে যে যদি
আমি ঋণ পরিশোধ করতে না পারি তাহলে তুমি এসে আমার এটা নিয়ে নিও কারণ আপনার কিছু নাই ইনফ্যাক্ট গ্রামীণ ব্যাংক যেসব গ্রামীণ ব্যাংকের যে ক্লায়েন্ট পুল গ্রামীণ ব্যাংক যাদেরকে সার্ভ করে তাদের বেশিরভাগের তার আগ পর্যন্ত আসলে কোন ব্যাংকে একাউন্টই ছিল না সো ব্যাংকের ঋণ নেওয়ার স্বপ্ন তো দূরে থাক তারা নরমাল ব্যাংকিং এর ভিতরেই ছিল না তারা কখনো ব্যাংকে যাইতো না একাউন্টের কাজকর্ম করতে সো ঋণ তো আর অনেক পরের ব্যাপার এইরকম একটা ক্লায়েন্ট পুলকে টার্গেট করে গ্রামীণ ব্যাংক তাদের ব্যবসা শুরু করে এখানে আপনি নরমাল ব্যাংক কেন এই জিনিস করে নাই ভার্সেস গ্রামীণ ব্যাংক কেন এই জিনিস করছে
এই কারণে নরমাল ব্যাংক কেন মানুষকে মুরগি কেনার জন্য লোন দেয় না নরমাল ব্যাংক খারাপ এইভাবেও জিনিসটা আসলে দেখা যায় না তার কারণ হলো ব্যাংকিং ইজ এ বিজনেস ব্যাংকিং একটা ব্যবসা এবং এই ব্যবসায় ব্যাংক যখন কাউকে ঋণ দেয় তখন সেই ঋণের এগেন্স্টে ব্যাংক যে ইন্টারেস্ট পায় সেই ইন্টারেস্ট দিয়েই আসলে ব্যাংক অপারেট করে ওই ইন্টারেস্টটাই আসলে ব্যাংকের জন্য প্রফিট কোট আনন্দে সো কাউকে যখন দুইটা মুরগি কেনার জন্য লোন দেওয়া হয় তখন ওই লোন হয় বা কয় টাকার আর ওই কয় টাকা ইন্টারেস্টই বা আসে কয় টাকার খুব বেশি না এই কারণে প্রাইভেট ব্যাংক বলেন বা ইভেন ব্যাংক বলেন
তারা এরকম ছোট ছোট ঋণ ক্ষুদ্র ঋণের প্রতি খুব একটা আগ্রহী হয় না তারা 100 200 500 600 কোটি টাকা ঋণের ব্যাপারে আগ্রহী হয় বড় ঋণে বড় ইন্টারেস্ট বড় ইন্টারেস্ট মানে ব্যাংকের বড় লাভ সো বিজনেস ওয়াইজ যদি আপনি চিন্তা করেন এক্ষেত্রে আপনি ব্যাংককে কখনো দোষ দিতে পারবেন না যে না তুমি কেন ক্ষুদ্র ঋণ দিতা না গ্রামীণ ব্যাংক লোন দেওয়া শুরু করে এবং গ্রামীণ ব্যাংক ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হওয়া শুরু করে গ্রামগঞ্জের মানুষের ভিতরে এবং এই সময় ডক্টরিস এর বিরুদ্ধে প্রথম অ্যাললিগেশনটা আসে প্রথম অ্যাললিগেশন কিন্তু শুধুমাত্র বাংলাদেশের ভিতর থেকে আসছে তা না নরওয়ে ভিত্তিক ডকুমেন্টারিতে এবং গ্রামীণ ব্যাংক যেহেতু
ততদিন আস্তে আস্তে ছড়ায় যাওয়া শুরু করছে পৃথিবীর অনেক দেশে মাইক্রো ক্রেডিট ব্যাপারটা শুরু হয়েছে অনেক জায়গা থেকে ইভেন ইন্ডিয়া থেকেও এরকম অ্যাললিগেশন আসা শুরু হয় যে মানুষজন ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ ব্যাংক নাকি তাদের বাড়ি ঘর সব উঠায় নিয়ে চলে যাচ্ছে এই কথা বেশিরভাগ সময় সত্যি না তার কারণ গ্রামীণ ব্যাংক যেটা আমি একটু আগে বললাম কোন কোল্যাটারাল দাবি করে না গ্রামীণ ব্যাংককে বলতে হয় না যে আমি যদি আপনার ঋণ পরিশোধ করতে না পারি তাহলে আপনি আমার গরু নিয়ে চলে যায় এরকম বলতে হয় না তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে যে যদি কোন
কোল্যাটারাল ছাড়া আমি ঋণ দেই তাইলে এটা কি আমার জন্য এজ এ ব্যাংক এজ এ ব্যাংক গ্রামীণ ব্যাংকের জন্য এটা কি খুব বড় ধরনের একটা রিস্ক না যে আসতেছে মুরগি কেনার জন্য গরু কেনার জন্য তাকে আমি ঋণ দিয়ে দিচ্ছি সে যদি পরিশোধ করতে না পারে তাহলে আমি কিছুই করতে পারবো না এটা যদি সে জানে তাহলে সে ওটার এডভান্টেজ নিতে পারে থিওরিটিক্যালি প্রশ্নটা সত্যি বাট এই জিনিসটা খুব বেশি হয় না তার কারণ গ্রামীণ ব্যাংক এখানে একটা ইউনিক মডেল এস্টাবলিশ করছে যেটা আর কোন ব্যাংক করে না সেটা হলো পিয়ার সাপোর্ট ল্যান্ডিং মানে হইলো গ্রামীণ ব্যাংক মনে করেন একটা
গ্রামে গেল একটা গ্রামে যেয়ে বলল যে তোমরা 10 জন আমার কাছ থেকে লোন নাও কোন সমস্যা নাই কিন্তু তোমাদের এই গ্রামের ভিতরে যদি দুইজন লোন পরিশোধ না করে তাইলে বাকিদের আমরা আর কখনো লোন দিব না সো একটা পিআর নেটওয়ার্ক একটা গ্রুপ টাইপ করে দেওয়া হয় যেখানে ওই গ্রুপের 10 জনই গ্রামীণ ব্যাংকের কাছ থেকে লোন নিছে ওই গ্রুপের 10 জনই নিয়মিত ওই লোনের টাকা পরিশোধ করতেছে এবং গ্রামীণ ব্যাংক থেকে বলা হয় এই 10 জনের ভিতরে দুইজন যদি লোন আমাদের আর পরিশোধ না করে পরের মাসে তাহলে বাকি আট জনও কিন্তু এফেক্টেড হবা কারণ আমরা আমাদের অপারেশন গুটায়
চলে যাব বা আমরা এই পুরা গ্রুপটার ভিতরেই আর লোন টন দিব না অনেক সিম্প্লিফাই করে বলতেছি বাট এগুলো হইলো গ্রামীণ যেহেতু ওদের কোলাটারাল নেওয়ার সিস্টেম নাই সো এইগুলো হইলো গ্রামীণ ব্যাংকের স্টাইল এনসিওর করার জন্য যে না আমরা আমাদের লোনের টাকা যেন ফেরত পায় এই মাইক্রো ক্রেডিট ব্যাপারটা নিয়ে সমালোচনাও আছে এবং মাইক্রো ক্রেডিট ব্যাপারটা নিয়ে বিশাল রিসার্চও আছে মেইন যে সমালোচনা সেটা হলো মাইক্রো ক্রেডিট কি আসলেই কাজ করে নাকি করে না অনেকেই বলেন যে এসব ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে আসলে মনে হয় তেমন কোন কাজে আসে না বড় ঋণ বড় টাকা পয়সার ডিল বড় এম্পাওয়ারমেন্ট বড় ইনস্টিটিউশনাল লোন
এগুলা বাদ দিয়ে একদম ক্ষুদ্র 500 1000 2000 4000 5000 টাকার ঋণ দিয়ে মনে হয় তেমন কোন লাভ হয় না এটা একটা সমালোচনা মাইক্রো ক্রেডিট ব্যাপারটার উপরে গ্রামীণ ব্যাংকের উপরে না এবং এটা নিয়ে অনেক রিসার্চ হয়েছে বেশিরভাগ রিসার্চে দেখা গেছে মাইক্রো ক্রেডিটের কিছু ইউনিক বেনিফিট আছে যে বেনিফিট গুলা অন্য কোন ক্রেডিট সিস্টেমের নাই এক নাম্বার বেনিফিট হইলো উইমেন এম্পাওয়ারমেন্ট গ্রামীণ ব্যাংকের বেশিরভাগ লোন গ্রহীতা নারী 96 বা 97% আমি এক্সাক্ট নাম্বারটা বলতে পারবো না বাট এই 96% খুব ভয়ঙ্কর রকম হাই অ্যামাউন্ট হইলো নারী এবং এই নারীরা যখন গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নিচ্ছেন এবং লোন পরিশোধ করতেছেন এবং
এম্পাওয়ার হচ্ছেন লোন নিয়ে উনারা কি করতেছেন উনারা ছোট একটা ব্যবসাধার করাচ্ছেন উনারা কিছু এগেইন মুরগি গরু ছাগল এক্সাম্পল বা ছোট একটা ফার্ম দিচ্ছেন এরকম কাজকর্ম করতেছেন এই টাকা ইনকাম উনারা যখন নিজেরা করতেছেন ওই গ্রামের ভিতরে এই নিজের ছোট্ট একটা গোষ্ঠীর ভিতরে তখন উনারা নিজেরা এম্পাওয়ার হচ্ছেন এম্পাওয়ার হওয়ার মানে কি এম্পাওয়ার হওয়ার মানে হইলো উনার মেয়েকে তারপরে যখন ঠিক হচ্ছে যে 13 বছর বয়সে বিয়ে দেওয়া হবে তখন ওই মাটা বলতে পারতেছেন যে না আমি 13 বছর বয়সে আমার মেয়েকে বিয়ে দিব না তখন উনার হাজবেন্ড যখন বলতেছে যে বিয়ে দিবা না কেন দিতেই হবে তখন এই মাটা
আবার বলতে পারতেছেন যে তুমি চাইলে না খাওয়াইতে চাইলে না খাওয়া এই যে এম্পাওয়ারমেন্ট যেটা শুধুমাত্র তখনই আপনার জন্য আসে যখন আপনার ফাইনান্সিয়াল ক্যাপাবিলিটি বাড়ে ওই ব্যাপারটা গ্রামীণ ব্যাংক এনসিওর করেছে বাংলাদেশের নারীদের মধ্যে যেটা আগে ওরকম ছিল না এবং এই নারীদের এম্পাওয়ারমেন্ট কে বলা হয় গ্রামীণ ব্যাংকের লোনের সবচেয়ে বড় বেনিফিট গুলার একটা সেকেন্ড বেনিফিট হইলো ব্যবসায় কর্মসংস্থান এই ছোট যে লোনগুলো দেওয়া হচ্ছে মুরগি কেনার লোন গরু কেনার লোন বা টয়লেট বসানোর লোন বা ছোট ফার্ম বসানোর লোন এই লোনগুলো যখন একজন মানুষ নেয় প্রত্যেকেই ওই গ্রামের ভিতর থেকে দুই তিনজনকে হায়ার করে তাদের ওই ছোট্ট বিজনেস ম্যানেজ
করার জন্য তার ওই ছোট্ট গরুর ফার্মটা ম্যানেজ করার জন্য কিন্তু দুইজন মানুষ লাগে তার ওই ছোট্ট ফার্মটা ম্যানেজ করার জন্য কিন্তু দুইজন কৃষক লাগে সো ছোট্ট ছোট্ট ভাবে কোন সময় এরকম হয় না যে একজনের 500 এমপ্লয়ী হয়ে গেছে বাট ছোট ছোট ছোট ভাবে অনেক মানুষ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্রভাবে একজন দুইজন একজন দুইজনকে চাকরি দেয় সো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনেক এমপ্লয়মেন্ট অপরচুনিটি সৃষ্টি হয় যেটাও গ্রামীণ ব্যাংকের বা ইন জেনারেল মাইক্রো ক্রেডিটের একটা বড় বেনিফিট হিসেবে দেখা হয় তো গ্রামীণ ব্যাংক ডক্টর ইউনিস চালাচ্ছে ততদিনে তো উনি পড়াশোনা চলা শেষ উনি এডুকেশন লাইন থেকে বের হয়ে গেছে উনি ব্যাংকিং এর দুনিয়ায়
চলে আসছে এবং কিছুদিন পরে দেখা যায় যে 97% মানুষ গ্রামীণ ব্যাংকের লোন নিয়ম করে পরিশোধ করে একটু আমি যেটা বললাম যে 95 96% এর মধ্যে নারী কোন সমস্যা নেই এবং এই ব্যাপারটা যখন আস্তে আস্তে জনপ্রিয় হওয়া শুরু হয় তখন ডক্টর ইউনুসের গ্লোবাল রেকগনিশন আসা শুরু হয় বাংলাদেশের প্রত্যেকটা গ্রামে গ্রামীণ ব্যাংক তো যাই একই সাথে বাংলাদেশের বাইরে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় মাইক্রো ক্রেডিটের কনসেপ্টটা বিস্তার হওয়া শুরু হয় ডক্টর ইউনুস প্রত্যেকদিন এক দেশ থেকে আরেক দেশে ইনভাইটেশন পায় প্রত্যেকটা দেশে উনি যায় ওই দেশে মাইক্রো ক্রেডিট এস্টাবলিশ করার ব্যাপারে হেল্প করা শুরু করে অনেক সময় ওরা গ্রামীণ ব্যাংকে টাকা
দিয়ে এক্সপার্ট হায়ার করে নিয়ে যায় অনেক সময় ডক্টর ইউনিস নিজেই যায় মাইক্রো ক্রেডিট ব্যাপারটা পুরা দুনিয়ায় জনপ্রিয় হওয়া শুরু হয় এখানে আমি একটা ইন্টারেস্ট ব্যাপার বলে রাখি আপনাদের অনেকেই হয়তো ব্যাপারটা মজা পাবেন গ্রামীণ ব্যাংক যখন এক্সপ্যান্ড করা শুরু করে তখন গ্রামীণ ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের এক্সট্রা ইনিশিয়েটিভ নেয় শুধুমাত্র ওই লোনের সম্পর্কটা থেকে বের হয়ে আরো সাইড ভেঞ্চার শুরু করে গ্রামীণ ব্যাংক এবং এই সাইড ভেঞ্চার গুলোর মধ্যে একটা ছিল গ্রামীণ টেলিকম যেটা হইলো গ্রামেগঞ্জে টেলিকম কমিউনিকেশন এই ব্যাপারটা বাড়ানোর জন্য গ্রামীণ ব্যাংকের একটা প্রজেক্ট ছিল গ্রামীণ টেলিকম এই গ্রামীণ টেলিকম শুরু করার কিছুদিন পরে নরওয়ের একটা কোম্পানি আছে
টেলিনর ওই টেলিনর বাংলাদেশে আসে এবং টেলিনর নরওয়ে টেলিনর এবং গ্রামীণ ব্যাংকের গ্রামীণ টেলিকম এই দুইটা কোম্পানি মিলে জয়েন্ট ভেঞ্চারে আরেকটা ব্যবসা শুরু করে যে ব্যবসাটার নাম দেওয়া হয় গ্রামীণ ফোন সেই গ্রামীণ ফোন এখন আপনারা আমরা অনেকেই ইউজ করি বাংলাদেশের গ্রামীণ ফোন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় টেলিকম অপারেটরদের একজন তো গ্রামীণ ব্যাংক অনেক ভালো করতেছে গ্রামীণ টেলিকম হইছে আরো অনেক সাইড ভেঞ্চার দাঁড়াইছে সবকিছু মোটামুটি ঠিকঠাক মতো চলতেছে এই চলতে চলতে চলতে চলতে 2006 সালে এসে গ্রামীণ ব্যাংক এবং ডক্টর ইউনুস দুইজনই শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পায় এবং ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হইলো উনারা ইকোনমিক্সে নোবেল পায় নাই উনারা অর্থনীতিতে নোবেল পায় নাই
উনারা শান্তিতে নোবেল পেয়েছে এবং শান্তিতে নোবেল পাওয়ার কারণটাই হইলো এই মাইক্রো ক্রেডিট ব্যাপারটা যেইভাবে এক্সট্রা বেনিফিট গুলা দিছে এই উইমেন এম্পাওয়ারমেন্ট বলেন এই জব অপরচুনিটি সৃষ্টি করার সুযোগ বলেন গ্রামের ভিতরে একটা ছোট্ট কমিউনিটির ভিতরে যে শান্তি বাড়ানোর ব্যাপারটা বলেন ওই ব্যাপারগুলো কনসিডার করেই উনাদেরকে শান্তিতে নোবেল দেওয়া হয় ইকোনমিক্স বা অর্থনীতিতে না দিয়ে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ছাড়াও মোটামুটি আপনি যদি পুরস্কারের লিস্ট দেখেন ডক্টর ইউনিসের পুরস্কার গুনে আপনি শেষ করতে পারবেন না ওইদিকে আমরা না যাই মোটামুটিভাবে পুরা দুনিয়ার যত প্রেস্টিজিয়াস পুরস্কার আছে সবকিছুই ডক্টর ইউনুস বা গ্রামীণ ব্যাংক অথবা উনারা দুইজনই পেয়েছেন সো ওই লিস্টে আমরা না
যাই আমার মনে আছে আমি তখন স্কুলে পড়ি যখন ডক্টর ইউনুস নোবেল পায় বিশাল সেলিব্রেশন হয় সরকার ছিল সম্ভবত তখন বিএনপি এবং বিএনপি বলেন আওয়ামী লীগ বলেন সবাই বিস্তর সেলিব্রেশন করে কারো মধ্যে কোন ধরনের কোন সমস্যা ছিল না ডক্টর ইউনুস ওই সময় যখন তিনি নোবেল পান বিশাল বিশাল সংবর্ধনার আয়োজন করা হয় এবং পুরা দেশ হিসেবে আমরা অনেক হ্যাপি হই ওই সময় যে আমাদের দেশের একজন নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন সমস্যা শুরু হয় তার কিছুদিন পরে 2000 ছয়তে উনি নোবেল জিতলেন এবং তারপরে 11 সরকার আসলো এবং 11 সরকার আসার সময় ডক্টর ইউনুসকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হইতে অফার দেওয়া হইলো
উনি রাজি হইলেন না বলা হয় উনি এই কারণেই রাজি হন নাই কারণ উনি আরো লঙ্গার টার্মে রিফর্ম করার জন্য পাওয়ার চেয়েছিলেন যেটা ওই সময়ের তত্বাবধক সরকার দিতে রাজি হয় নাই এটার কোন নির্ভরযোগ্য সূত্র নাই এটা জাস্ট কথায় কথায় বলা হয় এনিওয়ে সো ডক্টর ইউনুস তখন শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগ তখন চেয়েছিল যে ডক্টর ইউনুস তাদের পার্ট হোক তাদের পলিটিক্যাল পার্টির অ্যালায়েন্স হোক ডক্টর ইউনুস অন্যদিকে চেয়েছিল নিজেই একটা দল গঠন করবেন এবং উনি আলাদাভাবে রাজনীতিতে আসবেন উনি আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি এই দুইটার বাইরে একটা তৃতীয় শক্তির উত্থান ঘটাতে চেয়েছিলেন একটা তৃতীয় রাজনৈতিক পক্ষ বানাতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশে
এবং উনি ওইটা বানানো ওই দলটার নাম দেওয়া হয় নাগরিক শক্তি এবং ওই দল আস্তে আস্তে অপারেশন শুরুও করে বাংলাদেশে ইলেকশন করতে পারে নাই বাট ওই দল অপারেশন শুরু করে এক বছর ওই দল অপারেশনাল ছিল নাগরিক শক্তি যেটা ডক্টর ইউনুস প্রধান ছিলেন ওই রাজনৈতিক দলের এবং এক বছর অপারেশনাল থাকার পরেই ডক্টর ইউনুস বুঝতে পারেন যে রাজনীতি মনে হয় উনার জন্য না উনি ওই দল বন্ধ করে দেন উনি রাজনীতি থেকে চলেন যান শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের দুঃখটা এই জায়গায় ছিল যে উনারা চেয়েছিলেন ডক্টর ইউনুস আলাদা রাজনৈতিক দল না করে উনাদের সাথে একটা কোয়ালিশন করবেন উনাদের সাথে
উনাদের আওয়ামী লীগ পার্টিটার অংশ হবেন যেটা আসলে হয় নাই এই ব্যাপারটা আওয়ামী লীগকে অনেক রাগায় এবং এরপরে যখন আওয়ামী লীগ তারপরে যে ইলেকশনটা হয় ওই ইলেকশনে কিন্তু আওয়ামী লীগ পাওয়ারে আসে এবং তখন থেকে মাত্র গত সপ্তাহ পর্যন্ত পুরোটা সময় আওয়ামী লীগই পাওয়ারে ছিল গত 16 বছর বা 17 বছর বা 15 বছর এরকম টাইম সো এরপরে আওয়ামী লীগ যখন পাওয়ারে আসে তখন দেখা যায় যে আওয়ামী লীগ সরকারের পুরো বিরাগ ভাজন হয়ে গিয়েছেন ডক্টর ইউনুস প্রথম ঝামেলাটা কিভাবে হয় বলছি বাংলাদেশ ব্যাংকের কোম্পানি আইন অনুসারে 60 বছর যদি আপনার হয়ে যায় এরপরে আপনি আর ব্যাংকের পর্যালোচনার প্রধান থাকতে
পারবেন না সো ব্যাংকের এমডি আপনি হইতে পারবেন না যদি আপনার 60 বছরের বেশি হয়ে যায় যদি আপনি 60 হওয়ার পরেও ব্যাংকের এমডি থাকতে চান সেক্ষেত্রে আপনার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে স্পেশাল পারমিশন নিতে হবে প্রথম বাংলাদেশ সরকারের সাথে ডক্টর ইউনিসের ঝামেলাটা হয় এখানেই আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে বলা হয় যে ডক্টর ইউনুসের বয়স 60 এর বেশি হয়ে গিয়েছে এবং ডক্টর ইউনিস এখন আর গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান থাকতে পারেন না গ্রামীণ ব্যাংক এবং ডক্টরস এর পক্ষ থেকে বলা হয় দুইটা জিনিস এক গ্রামীণ ব্যাংক যদি চায় আমার ব্যাংক যদি আমাকে নিয়ে হ্যাপি থাকে আমার এমপ্লয়ীরা যদি আমাকে নিয়ে হ্যাপি
থাকে আমার বেশি থাকতে সমস্যা কি আমি চাইলে থাকতেই পারি এটা যেহেতু একটা প্রাইভেট ব্যাংক সো আমি আমার কোম্পানির সিইও কাকে বানাবো এটা আমার ব্যাপার এখানে সরকারি ইন্টারভিউ দরকার নেই এটা বলা হয় এবং দ্বিতীয় আরেকটা যে ব্যাপার বলা হয় সেটা হলো যদি আমি ভুল করেই থাকি আমি তো গত 11 বছর ধরেই আছি এটা বলা হয় হলো ডক্টরের বয়স তখন হয়তো 70 এর একটু বেশি বলা যায় আমি গত 11 বছর ধরেই আছি যদি 60 এর পরেই থাকা না যায় তাহলে গত 11 বছরে আমাকে কিছু বলা হয় নাই কেন এই দুইটা ব্যাপার বলা হয় এবং আরো কিছু মাইনর
জিনিস বলা হয় বলে এটার এগেইনস্টে হাইকোর্টে আপিল করা হয় পুরা বিশাল একটা ব্যাটেল হয় এবং এই ব্যাটেলে ডক্টর ইউনুস এবং গ্রামীণ ব্যাংক হেরে যায় ডক্টর ইউনুসকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অপসারণ করা হয় অনেকে বলেন এগেইন এগুলা কথা এগুলোর কোন আপনি কাগজপত্রের প্রমাণ পাবেন না এগুলো অনেকেই বলেন যে ডক্টর ইউনুস যদি সরকারের বিরাগভাজন না হতেন তাহলে উনাকে কখনোই এই পদ থেকে সরানো হতো না এবং ওই সময় অ্যাটর্নি জেনারেল যিনি ছিলেন তিনি এইটা পাবলিকলি বলেন যে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার কথা ছিল আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কিন্তু নোবেল পুরস্কার পেলেন কিভাবে ভাবে ডক্টর ইউনুস এটা তো ঠিক হইলো
না এরকম কিছু কথাবার্তা স্টেটমেন্ট তখন অ্যাটর্নি জেনারেল তো বলেন এবং রেগুলার আওয়ামী লীগের নেতারা তো বলেছেনই সো এই গুলার থেকে দুয়ে দুয়ে অনেকে চার মিলিয়ে নেয় যে নোবেল পুরস্কার প্লাস সরকারের বিরাগ ভাজন হওয়ায় এই দুইটা ব্যাপার যদি না হইতো তাহলে হয়তো ডক্টর ইউনুসকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে সরানো হইতো না তো গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ডক্টর ইউনুস চলে গেল উনি উনার মত করে এখন পুরা দুনিয়া ঘুরে উনি পুরা দুনিয়ায় স্পিচ দিয়ে বেড়ায় বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি উনাকে ডাকে ওইসব ইউনিভার্সিটিতে উনি যায় বিভিন্ন দেশ উনাকে ডাকে মাইক্রো ক্রেডিট ব্যাপারটা ওই দেশে এস্টাবলিশ করার জন্য উনি ওই দেশে যায় উনি বই লেখে
বইয়ের থেকে উনি টাকা পায় উনার এই যে যে রয়ালিটির ইনকাম অনেকে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ইউনুস সেন্টার বানায় সেই ইউনুস সেন্টার গুলা উনাকে ইউনুস নামটা ব্যবহার করার জন্য রয়ালটি টাকা দেয় মাইক্রো ক্রেডিট এস্টাবলিশ করার জন্য টাকা পায় উনি সব থেকে উনার ইনকাম দিয়ে উনার জীবন চলতেছে গ্রামীণ ব্যাংকের সাথে উনার কোন লেনাদেনা নাই তখন থেকে আরো কাহিনী চলতেছে ডক্টর ইউনুস গ্রামীণ ব্যাংক থেকে চলে গেল গ্রামীণ ব্যাংক গ্রামীণ ব্যাংকের মত চলতেছে বাংলাদেশে উনি আর তেমন কিছু করতে পারতেছেন না বাংলাদেশে উনি কিছু করার সুযোগও পাচ্ছেন না কারণ ওই সময় উনি সরকারের পুরা বিরাগ ভাজন একজন ব্যক্তি মধ্যে আরো একটা
টুইস্ট আছে বাংলাদেশ সরকার একই সময়ে পদ্মা সেতু বানানোর চেষ্টা করতেছে এবং পদ্মা সেতুর জন্য লোন নেওয়ার চেষ্টা করতেছে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিশ্বব্যাংক থেকে বাংলাদেশ সরকার লোন নিতে নিতে নিতে নিতেও শেষ পর্যন্ত ওই লোন আটকে যায় এবং বাংলাদেশ সরকার অভিযোগ করে এই লোন যে আটকে গেছে এটার মেইন কারণগুলার একটা হইলো ডক্টর ইউনুস লবিং করে বিশ্বব্যাংককে বলছে বাংলাদেশকে যেন পদ্মা সেতুর জন্য লোন দেয়া না হয় এবং ফেমাসলি পদ্মা সেতু শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশে নিজেদের অর্থায়নে হয় লোন পাওয়া যায় নাই এবং ফেমাসলি যখন এই পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয় উদ্বোধনের পরে একটা অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞেস করা হয় যে এখন
আপনি ডক্টর ইউনিসকে পেলে কি করতেন কারণ শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময় বলেছেন যে ডক্টর ইউনিসি আসলে পদ্মা সেতুর এই লোন আটকে দিয়েছিল এবং যখন জিজ্ঞেস করা হয় শেখ হাসিনাকে যে আপনি এখন ডক্টর ইউনিসকে পেলে কি করতেন তখন শেখ হাসিনা বলেন একটা প্রেস কনফারেন্সে সবার সামনে যে এখন উনাকে পদ্মায় দুইবার চুবানো উচিত পদ্মা সেতুর মত সেতুর টাকা বন্ধ করেছে তাকেও আবার পদ্মা নদীতে দিয়ে দুইটা চুবনি দিয়ে উঠায় নেওয়া উচিত মরে যাতে না যায় একটু পদ্মা নদীতে দুইটা চুবনি দিয়ে সেতুতে তুলে দেওয়া উচিত এবং পরবর্তীতে ডক্টর ইউনিভার্সিটি নিয়ে অনেক আক্ষেপ করেছেন আরেকটা টকশোতে উনি এই ব্যাপারটাই আবার বলেছেন
যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী তো আমাকে পানিতে পদ্মায় চুবাইতে চায় দুইবার চুবাইতে চাই এবং খেয়াল রাখতে বলেছেন যেন মরে না যাই এই ব্যাপারটা নিয়েও ব্যাপক আলোচনা হয় ওই সময় ওকে সো এগুলা চলতেছে এবং ডক্টর ইউনুস বিভিন্ন সময় যখনই সুযোগ পাচ্ছে সরকারের এগেন্স্টে বিভিন্ন ধরনের স্টেটমেন্টও দিচ্ছে সো সরকারই যদিও বেশিরভাগ করতেছিল ওই সময় বাট ডক্টর ইউনুসকে যখনই সরকার বিষয়ে কোন কিছু জিজ্ঞেস করা হয়েছে ডক্টর ইউনুস কিন্তু বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকার সেই সময় ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের এগেন্স্টে বিভিন্ন ধরনের স্টেটমেন্ট দিয়েছেন এবং এই কাহিনী চলতে চলতে চলতে চলতে চলে আসে 2021 সাল এইবার শুরু হইলো মামলা
শ্রম আইনে লেবার কোর্ট ফার্স্ট যে মামলাটা করা হয় বা সবচেয়ে সিগনিফিকেন্ট যে মামলাটা করা হয় ডক্টর ইউনেস এর বিরুদ্ধে সেই মামলার মূল বক্তব্য হইলো গ্রামীণ ব্যাংকের আইনে আছে যে গ্রামীণ ব্যাংকের যে লোভ্যাংশ সেই লোভ্যাংশের 5% এমপ্লয়ীদের মধ্যে ডিস্ট্রিবিউট করে দিতে হবে যেই ডিস্ট্রিবিউট করা হয় নাই এবং আরেকটা অভিযোগ হইলো গ্রামীণ ব্যাংকের 100 বা 110 জন এরকম সংখ্যক কর্মীকে পারমানেন্ট করা হয়নি তারা অস্থায়ী কর্মী হিসেবে থেকে গিয়েছিলেন এই দুইটা মেজর ফ্ল এবং আরো কিছু এক্সট্রা জিনিসপত্র নিয়ে একটা মামলা করা হয় ডক্টর ইউনিটস এর বিরুদ্ধে লেবার কোর্টে কলকারখানা ও পরিদর্শন অধিদ দপ্তর এই মামলাটা করে এবং ডক্টর
ইউনুস ছাড়াও গ্রামীণ ব্যাংকের আরো চারজনকে আসামি করা হয় আত্মসমর্পণ করেন ডক্টর ইউনুস এবং জামিন চান উনাকে ইমিডিয়েটলি 36 দিনের জামিন দেওয়া হয় এই টাইমটাই ডক্টর ইউনুসকে হয়রানি বন্ধ করতে বইলে ফার্স্টে ওবামা একটা চিঠি লেখে এবং তারপরে আরো অনেক দেশের প্রধান এবং নোবেল বিজয়ীরা প্রাক্তন নোবেল বিজয়ীরা জ্ঞানীগুনি মানুষরা সবাই মিলে একটা খোলা চিঠি লেখে এবং এই যে জ্ঞানীগুনি মানুষদের লিস্ট এখানে আইরিশ প্রাইম মিনিস্টার ছিল আমার মনে আছে তো এই খোলা চিঠি পড়ে এবং বারাক ওবামার চিঠি পড়ে তখনকার প্রাইম মিনিস্টার শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ সরকার দুইজনই আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এবং উনারা বলেন যে এটা পুরোপুরি
একটা জুডিশিয়াল ম্যাটার আমরা তো আসলে কিছু করি নাই এটা কারা মামলা করছে আমরা জানিনা মামলা আদালতে বিচার হবে এবং আদালতে এই ডিসিশন হবে যে ডক্টরস আসলেই শ্রমিকদের টাকা খেয়ে ফেলছে নাকি যিনি এত নামি দামি নোবেল প্রাইজ প্রাপ্ত তার জন্য এই 40 জনের নাম খয়রাত করে এনে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট দিতে হবে কেন তা আবার বিদেশী পত্রিকায় এটাই আমার প্রশ্ন আর কিছু না এবং খুব ইন্টারেস্টিংলি দেখা যায় যে ডক্টর ইউনিসের বিরুদ্ধে এই চিঠিটি গুলো পাবলিশ হওয়ার পরে মামলা আরো বেড়ে যায় এবং একসময় দেখা যায় ডক্টর ইউনিসের বিরুদ্ধে 18 টা মামলা চলতেছে 19 টা মামলা চলতেছে এবং ডক্টর ইউনুসের নিজের
যে ব্রেইনের ক্যাপাসিটি সেটার একটা বড় অংশ ব্যয় হওয়া শুরু হয় এই মামলাগুলায় হাজিরা দিতে এবং মেন্টালি এই মামলাগুলার প্রস্তুতি নিতে আপনি কোন প্ল্যান প্রোগ্রাম করতে পারছেন না রোববারে সোমবারে কি করবেন আমি বুঝতে পারতেছি না সোমবারে কি করবেন যেহেতু আপনি জানেন না এটা কাজেই নিশ্চয়তা শুধু আমার সঙ্গে যারা জড়িত আমার সঙ্গে যারা কাজ করে তাদের সবার কর্মীদের পরিচয়পত্র দেওয়া হয় নাই হাইকর রিটার্ন ঠিকমত জমা দেওয়া হয় না কর্মীদের কাজের পরিবেশ নাই কর্মীদের ঠিকমত ছুটি দেওয়া হয় না এরকম বিভিন্ন অভিযোগে বিভিন্ন ধরনের মামলা করা হতে থাকে তখন ডক্টর ইউনুসের বিরুদ্ধে এগেইন এই কথার কতটুকু সত্যতা আছে আমি
জানিনা আপনারা যারা হাইকোর্টে কাজ করেন তারা হয়তো আমাকে কমেন্টে বলতে পারবেন ডক্টর ইউনুসের বিরুদ্ধে যেহেতু এখন অনেকগুলো মামলা চলতেছে 18 টা 19 টা সো ডক্টর ইউনিসকে কিছুদিন পর পরই আদালতে হাজিরা দিতে হইতো জামিনের জন্য বলা হয় যে ডক্টর ইউনুস যখন আদালতে আসতেন তখন মামলাগুলো শুনানিী হইতো একদম উপরের দিকের কোন একটা ফ্লোরে এইটথ ফ্লোরে বা নাইনথ ফ্লোরে আট তলা নয় তলায় এই মামলাগুলো শুনানিীর জন্য রাখা হইতো এবং কোন কোন একটা কারণে ডক্টর ইউনুস যখনই হাজিরা দিতে আসতেন শুনানিীর সময় তখনই ওই আদালতে যে আদালতে উনি যাইতেন ওটার লিফট কাজ করতো না এটার কতটুকু সত্যতা আছে আমি জানিনা
সত্যতা যদি থেকে থাকে তাহলে জিনিসটা খুবই খুবই খুবই স্যার একটা ব্যাপার বাট আপনারা আমাকে কমেন্টে জানতে পারেন কেউ যদি ডিরেক্টলি দেখে থাকেন এরকম যাই হোক ফাইনালি 2024 সালের জানুয়ারি মাসে আমরা জানতে পারি যে ডক্টর ইউনুসের ছয় মাসের জেল হইছে শুধু জেল হইছে তা না ডক্টর ইউনুসের জেলের সাথে ৳5000 টাকা জরিবানাও হইছে এবং পুরাটাই ওই ফার্স্ট মেইন মামলাটাকে কেন্দ্র করে আদালতে রায় দেয় যে ডক্টর ইউনুস এখন একজন আসামি রায়ের পরে আদালতের বাইরে এসে ডক্টর ইউনুস বেশ আবেগন একটা প্রেস কনফারেন্সে প্রেস কনফারেন্স ঠিক না মানে সাংবাদিকরা দাঁড়ায় ছিল তার কথা শোনার জন্য সো ডক্টর ইউনুস যখন আদালত
থেকে বাইরে আসেন উনি খুব ইন্টারেস্টিং একটা কথা বলেন উনি বলেন যে দোষ আমরা করি নাই সেই দোষের ওপরে শাস্তি পেলাম এটা আমাদের কপালে ছিল জাতির কপালে ছিল জাতির কপালে যেটা ছিল আমরা সেটা বহন করলাম এরপরে উনি ওটার আপিল করেন যে এটা ঠিক হয় নাই এবং আপিলের কার্যক্রম শুরু হয় আপনি চিন্তা করেন একটা মানুষের জীবন কতটা ইন্টারেস্টিং আপনারা অনেকেই জানেন প্যারিস অলিম্পিক যেটা 2024 অলিম্পিক ওই অলিম্পিক ডক্টর ইউনুস প্রধান অতিথিদের একজন এবং ডক্টর ইউনুসের জীবনটা কি ইন্টারেস্টিং ফেজে ছিল চিন্তা করেন একদিকে উনি শ্রম আদালতে উনার বিরুদ্ধে রায় হইলো যে উনি আসামি উনার ছয় মাসের জেল এবং
৳5000 টাকা জরিবানা উনি ওটার বিরুদ্ধে আপিল করলেন আপিলের শুনানিী শুরু হইলো শুনানিী চলতে চলতে উনি চলে গেলেন প্যারিসে কারণ উনি প্যারিসে অলিম্পিকের প্রধান গেস্টদের মধ্যে একজন এবং প্যারিস অলিম্পিকের উনার ডক্টরিসের একটা নতুন কনসেপ্ট আছে থ্রি জিরো ওটা নিয়ে আলাদা একটা ভিডিও বানানো যাবে হয়তো যদি দরকার হয় ওই থ্রি জিরো ব্যাপারটা ফ্রান্স চায় প্রমোট করতে এবং এই কারণেই উনাকে প্যারিস অলিম্পিকের প্রধান গেস্টদের একজন বানানো হয়েছিল তো ডক্টরসের পিকুলিয়ার লাইফটা আপনি চিন্তা করেন একদিকে শ্রম আদালতে উনার বিরুদ্ধে একটা মামলা উনি আসামি হয়েছে ওটার আপিল চলতেছে অন্যদিকে আরো 17 18 টা মামলা এমনিতে চলতেছে দেশে উনার খুব বাজে
অবস্থা কিন্তু বাকি দুনিয়া ইউনিয়নের একটা প্রেস্টিজ অ্যাসিস্ট উনার জন্য পুরা দুনিয়া পাগল পুরা দুনিয়া উনাকে ডেকে নিয়ে যাচ্ছে এরকম ভালো ভালো প্রিমিয়াম জায়গাগুলো গেস্ট বানানো হচ্ছে পুরাপুরি মুদ্রার এপিট ওপির চিত্র উনার দুই দিকে এই চলতে চলতে উনি যখন প্যারিসে অলিম্পিক দেখছেন এই অলিম্পিক ব্যাপারটা চলতে চলতে বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলন তুবুল আকার ধারণ করে এবং ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পরে ছাত্র আন্দোলনের মেইন যারা ছিল আপনারা কাহিনী এর পরে একটু মোটামুটি জানেন উনারা ডক্টর ইউনিসের সাথে যোগাযোগ করেন ডক্টর ইউনিসের সাথে যোগাযোগ করে উনাকে বলা হয় যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
উনি হইতে রাজি নাকি উনি রাজি হন উনি প্যারিস থেকে বাংলাদেশে রওনা দেন এবং তখন আরো কিছু ইন্টারেস্টিং ব্যাপার ঘটে উনি যে মামলার আপিল করছিলেন উনার যে ওই যে ছয় মাসের জেল হইলো এবং বাচ্চা যে টাকা জরিমানা হইলো ওই আপিলের শুনানিী হঠাৎ করে একদম স্পেড আপ হয়ে পরের দিনই চলে আসে ডক্টর ইউনোজ বাংলাদেশের নেমে জানতে পারেন যে উনার আপিলের শুনানিী হয়ে গেছে এবং উনাকে পশুর খালাস দেওয়া হয়েছে এই খালাস দেওয়ার একদিন পরে উনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ডক্টর ইউনিসের জীবন যে ফ্যাসিনেটিং এবং ইন্টারেস্টিং এত ইন্টারেস্টিং জীবন আমার মনে হয় খুব কম মানুষেরই এক্সপেরিয়েন্স
করার সুযোগ হয়েছে এই কারণে ডক্টর ইউনাস কে অবশ্যই অনেক অনেক কংগ্রাচুলেশনস