আমি আপনাদের এত ভয়ঙ্কর একটা জিনিস দেখাবো এখন যে ভয়ঙ্কর জিনিসটা দেখার পরে আমার ধারণা আপনারা কেউই আর ঠিক থাকতে পারবেন না আমার স্ক্রিনে যদি আমরা যাই আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে আমি একটা বইয়ের একটা চ্যাপ্টার খুলে রাখছি এবং এই চ্যাপ্টারটার নাম আত্মপরিচয় ও মানবিক আচরণ খুবই সুন্দর নাম এবং এই চ্যাপ্টারের প্রথমে যা লেখা আমি পুরা প্যারাগ্রাফ আপনাদের জন্য পড়তেছি না এখানে লেখা যায় আমার নাম আছে আমার পরিবার আছে আমার এলাকা আছে সমাজ আছে তারপরে একটা অনুশীলন দেওয়া একটা কাজ করতে বলা হয়েছে যে এই বইটা পড়তেছে তাকে যেটা হলো প্রথমে আমার নাম লিখবো তারপরে আমার বয়স লিখবো
লিংক লিখবো পূর্বপুরুষের নাম লিখবো পরিবার লিখবো আবাসস্থল লিখবো দেশ লিখবো ভাষা লিখবো খাবার লিখবো গান লিখবো পছন্দের খেলা লিখবো এরপরে আমার করতে যা ভালো লাগে ওইটা লিখবো এরপরে আমার একটা সহপাঠীর সঙ্গে নিজের এবং তার আত্মপরিচয় নিয়ে আলোচনা করব আপনারা বুঝবেন আমি কেন এখন এই ব্যাপারগুলো নিয়ে কথা বলতেছি আমি এবং আমার বন্ধুর আত্মপরিচয়ের মিলগুলা বাম পাশে লিখবো এবং আমি এবং আমার বন্ধুর আত্মপরিচয়ের অমিলগুলা ওই পাশে লিখবো যে আমার ইলিশ মাছ পছন্দ ওর রুই মাছ পছন্দ সো ইলিশ মাছ হবে এই পাশে রুই মাছ হবে ওই পাশে যে দুইটা আলাদা এরপরে আমরা পাঁচ ছয় জন করে একটা নতুন
দল গঠন করব এই দলের মধ্যে আমাদের আত্মপরিচয় নিয়ে আলাপ করব কার কি পছন্দ কার ভৌগোলিক অবস্থান কি কার সামাজিক ইত্যাদি ইত্যাদি এটুক ঠিক আছে এবং তারপর হঠাৎ করে আমরা দেখলাম যে আমরা আরব বেদুইনের জীবনীতে চলে গেলাম যে আরব বেদুইনদের জীবন কিরকম এটা এখন আমার জানতে হবে আরব বেদুইনরা মরুভূমির বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ায় এজন্য মরুভূমির সব দুর্গম পথ তাদের জানা ইত্যাদি ইত্যাদি জানলাম এবং তারপরে আমার অনুশীলনটা কি আমার অনুশীলনটা হলো আরব বেদুইনদের আচরণিক বৈশিষ্ট্য নির্ণয় করতে হবে এখন আমার আরব বেদ্বীনরা সময় কি খাইতো আরব বেদুইনরা কি পড়তো না পড়তো এগুলা নিয়ে এখন আমার এখানে একটা ছোট
করে লিখতে হবে লিখলাম তারপরে চলে আসলো বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার এটা রাজনৈতিক ভিডিও না সো আমি বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশ রূপকার পার হয়ে চলে গেলাম এরপরে রূপান্তরের কথা পার হয়ে চলে গেলাম এরপর সাহিত্য সাংস্কৃতিক সম্মেলনের কথাবার্তা আসলো এবং তারপর আমি যখন একটু নিচে যাব এখন আমাকে বলা হয়েছে যে বিভিন্ন মানুষের কাছে যায় তাদের ইন্টারভিউ নিতে এবং তাদের ইন্টারভিউ এই কথাগুলো জিজ্ঞেস করতে আপনার জন্মস্থান কোথায় আপনার পূর্বপুরুষ কোথায় থাকেন আপনার পরিবার কোন ভাষায় কথা বলে আপনি পরিবারে কোন ভাষায় কথা বলেন আপনার পরিবারের প্রধান খাবার কি এবং প্যানেল আলোচনার আয়োজন করব আমি আমার বন্ধু আমার সহপাঠীরা মিলে
এবং এইখানে আমরা কথাবার্তা বলব যে আমি যেই মানুষের ইন্টারভিউ নিছিলাম তার পরিবারের প্রধান খাবার কি আমার বন্ধু যার ইন্টারভিউ নিছে তার পরিবারের প্রধান খাবার কি ইত্যাদি ইত্যাদি এবং তারপরে আমরা আবার চলে যাচ্ছি বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধুতে এগেইন পাঁচ ছয়জনের একটা দল গঠন করব আমরা এবং দলে বসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশপ্রেম এবং আত্মত্যাগ নিয়ে আলোচনা করব এবং একটা একটা প্রবন্ধ কবিতা ছবি দেয়ালিকা তৈরি করব আপনাদের জন্য একটা কুইজ বলেন তো আমি এতক্ষণ কোন ক্লাসের বই পড়তেছিলাম যেখানে বলা হচ্ছে যে তোমরা একটা গ্রুপ কইরা বসো তোমরা সবাই মিলে একটা প্রেজেন্টেশন বানাও তোমরা যাও তোমার পরিবারের কারো ইন্টারভিউ
নিয়ে জেনে আসো তার কি খাবার পছন্দ সে কোন ভাষায় কথা বলে ইত্যাদি ইত্যাদি আপনারা হয়তো ভাবতেছেন ক্লাস টু বা ক্লাস থ্রি হবে এটা ক্লাস নাইন এবং টেন এর সমাজবিজ্ঞান বই থেকে আমি পড়তেছিলাম এতক্ষণ ক্লাস নাইন এবং 10 বাচ্চাকাচ্চার না ক্লাস টু থ্রির না ক্লাস ওয়ান না ক্লাস নাইন এবং টেন এর এবং আপনারা যারা অনেকদিন আগে পাশ করেছেন আমার মত তারা একটু কষ্ট করে যদি হাতে সময় থাকে এনসিটিভির ওয়েবসাইটে যেয়ে আমাদের বোর্ডের বইগুলো একটু নামায় পইড়েন আপনারা অবাক হয়ে যাবেন আপনাদের সময়ের ভার্সেস এই সময়ের ডিফারেন্সটা দেখলে আমি কিন্তু রাজনৈতিক আলাপ করতেছি না রাজনৈতিক আলাপ আসলে করা
যায় কিন্তু আমি রাজনৈতিক আলাপ করতেছি না আমি এটাও বলতেছি না যে এই বইয়ের মধ্যে এত কেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা এই ওই এঙ্গেলে আমি যাচ্ছিই না আমার এঙ্গেলটা হইলো এই ক্লাস নাইন এবং টেন এর একটা মানুষের বইয়ের ভিতরে কেন এই কথা বলা থাকবে যে যাও তুমি আরব বেদুইনদের ব্যাপারে একটু জায়না জুনে এইখানে এই বক্সটার মধ্যে লেখো তুমি তোমার দাদী ইলিশ মাছ পছন্দ করে নাকি রুই মাছ পছন্দ করে সেটা জেনে এটা ক্লাস নাইন টেন এর বাচ্চার করার কথা না ক্লাস নাইন টেন এর বাচ্চা অলরেডি এডুকেশন লেডারের অনেক উপরে চলে গেছে যেই কারণে তাকে আরো অনেক
কমপ্লিকেটেড প্রবলেম নিয়ে ডিল করানোর কথা আমাদের সেটা না করায়ে তাকে আমরা বাচ্চাদের মত ট্রিট করতেছি দেখেন বাংলাদেশের এডুকেশন সিস্টেম আহামরি ছিল এটা কখনোই কেউ বলবে না কোন সময়ই আসলে আহামরি ছিল না আমি যখন বাস করছি 2010 এসএসসি তখনও বাংলাদেশের এডুকেশন সিস্টেম আহামরি কিছু ছিল না এই যে যে আহামরি ছিল না এটা আসলে কাগজ কলমে প্রমাণ করা যায় আপনি যদি ফরচুন 500 এর দিকে তাকান মাইক্রোসফট এর সিইও আইবিএম এর সিইও হ্যানের সিও দেন এর সিও সব ইন্ডিয়ান ইন্ডিয়ান আপনি বাদও দেন আপনি ইভেন ছোট ছোট দেশ যেমন সাউথ কোরিয়া ফর এক্সাম্পল বা জাপান ফর এক্সাম্পল এরা যে
পরিমাণ বড় বড় কোম্পানি দাঁড় করাইছে এরা যে পরিমাণ সিইট এক্সিকিউটিভ দাঁড় করাইছে বাংলাদেশ কিন্তু পারে নাই এবং এটা গত 15 বছরের 20 বছরের সমস্যা না বাংলাদেশের ইতিহাসের কখনোই আসলে এই জিনিস করতে পারে নাই ইট ইজ ট্রু বাট গত 20 বছরে এডুকেশন সিস্টেমের যে পরিমাণ ক্ষতি হইছে সেই পরিমাণ ক্ষতি আমার মনে হয় না বাংলাদেশের অন্য কোন সেক্টরের হইছে কারণ এডুকেশন এমন একটা সেক্টর যে সেক্টরের যখন একবার ক্ষতি হয় তখন এমন না যে আপনি একটু দুর্নীতি থামাইলেন ঠিক হয়ে গেল বা আপনি কয়েকটা জিনিস কয়েকজনকে আদালতে নিলেন বা কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দিলেন ঠিক হয়ে গেল জেনারেশনাল ইম্প্যাক্ট পড়ে
একটা মানুষকে যখন আপনি বাজে শিক্ষা দিয়ে তার স্কুল জীবন শেষ করান তার কলেজ জীবন শেষ করান তার ইউনিভার্সিটি জীবন শেষ করান তার মানে সেই মানুষটা তার যে সন্তান জন্ম দেয় তার কে বাজে শিখায় সেই সন্তানটা তারপরে তার যে সন্তান থার্ড জেনারেশন যে সেও বাজে শিক্ষা পায় সো তিন জেনারেশনের ক্ষতি হয় এক জেনারেশনের বাজে এডুকেশনাল লেসনস এর কারণে এবং এই বাজে জেনারেশন আমরা অলরেডি 10 থেকে 15 টা ক্রিয়েট করে ফেলছি যার মানে হলো তিন পুরুষ ধরে আমাদের এই সাফার করতে হবে আমি একটা ছোট গল্প বলি গল্প আমি আগেও কোথাও কোথাও বলেছি বাট এই youtube চ্যানেলে হয়তো
গোছায়ে বলি নাই আমি যখন ইউনিভার্সিটি অফ ডবলিনের ট্রিনিটি কলেজ থেকে আমার মাস্টার্স শেষ করি ডিজিটাল মার্কেটিং এ আমরা আমি আমার সব ক্লাসমেটদের আমরা যখন থিসিস লিখি থিসিস দেখার সময়ই সবার ইন্টারভিউ কল আসা শুরু হয় সো আমাকে ফেসবুক থেকে আমার মনে আছে কল করে তখন তো আমি মাত্র আয়ারল্যান্ডে আসছি এক বছর হয়েছে আমি আয়ারল্যান্ডে আসছি এবং ফেসবুক থেকে একজন কল দিছে ইন্টারভিউ এর জন্য এটা একটা বিশাল ব্যাপার যদিও রোলটা ভালো ছিল না রোলটা ছিল একটা সেলস জবের এবং শেষ পর্যন্ত আমি পাইও নাই বিশাল ব্যাপার তো আমার মনে আছে যে থিসিস যখন শেষ হচ্ছে আমাদের লেখা আমার
বন্ধুদের চাকরি হয়ে যাওয়া শুরু হয় আমার কিছু বন্ধু linkedন এ জয়েন করে আমার কিছু বন্ধু ফেসবুকে জয়েন করে আমার কিছু বন্ধু তখনও গুগল এ জয়েন করে এখন গুগল এ তারা চাকরি করতেছে আমার একটা বন্ধু আছে যে প্রথমে linkedন এ জয়েন করে ডাবলিন অফিসে এরপরে থিসিসের রেজাল্ট আসার আগেই ও স্যান ফ্রান্সিস্কো অফিসে চলে যায় linkedনের ওকে এখান থেকে ট্রান্সফার তখনও কিন্তু আমাদের থিসিসের রেজাল্ট আসে নাই সো আমরা অফিশিয়ালি আসলে পাশ করি নাই তখনো তার আগেই ও স্যান ফ্রান্সিস্কো অফিসে চলে যায় আমি তো জানি যে আমি গ্রাজুয়েশন করে ব্যবসা করবো সো আমি চাকরি বাকরির জন্য এপ্লাই করতেছি
না বাট আমি দেখতেছি আমার ডানে বামে দুইদিকে মানুষজন এমন এমন কোম্পানিতে জয়েন করতেছে যেসব কোম্পানিতে জয়েন করলে বাংলাদেশে হেডলাইন হয় আপনারা জানেন জিনিসটা এত লজ্জা লজ্জার এবং কষ্টের যে বাংলাদেশে এমন এমন মানুষ আছে যাদেরকে আমরা আইডিওলাইজ করি যাদেরকে আমরা সেলিব্রিটি বানাইছি তার কারণ তাদের যোগ্যতা হলো সে বিসিএস এ ফার্স্ট হইছে সে গুগল এ চাকরি করে এই ধরনের জিনিসপত্র একটা চাকরি পাওয়ায় চাকরি জিনিসটা কিন্তু আধুনিক দাসত্ব ডক্টর ইউনুস বলে আমি বলি না একটা মানুষ চাকরি করে সে চাকরি পাইছে আধুনিক দাসত্ব সে পাইছে এই কারণে সে একটা দেশে সেলিব্রেটি হয়ে গেছে এই ঘটনা পৃথিবীর আর কোন দেশে
হয় না ইভেন ইন্ডিয়া হয় হয় না যে জিনিস আমরা বাংলাদেশে হইতে দেখি এবং এর থেকে লজ্জার ব্যাপার আর কিছু আসলে হইতে পারে না আসার কথা হইলো এখনো খুব বেশি দেরি হয়ে যায় নাই এবং আমরা যদি এখনই রিফর্ম শুরু করি আগামী 30 বছরের মধ্যে আমরা পুরা জিনিসটা একদম এক্সাক্টলি উল্টায় ফেলতে পারি আমাদের যে বার্ডেন বিশাল এই এডুকেশনাল বার্ডেন যে আমরা ক্রিয়েট করছি এই বার্ডেন কে আমরা একচুয়ালি শক্তিতে এবং স্কিলফুল মানুষে রূপান্তর করে ফেলতে পারি তেমন কোন আহামরি পরিবর্তন লাগবে না জাস্ট এফর্ট লাগবে কয়েকটা জিনিস ফিক্স করতে হবে দেখেন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নেগেটিভ ব্যাপার বাংলাদেশে অনেক জনসংখ্যা
বাট বাংলাদেশের অনেক বড় একটা পজিটিভ ব্যাপারও বাংলাদেশের অনেক মানুষ যেই দেশে অনেক মানুষ স্ট্যাটিস্টিক্যালি যদি আপনি চিন্তা করেন সেই দেশ যদি পড়াশোনায় ভালো হয় সেই দেশ যদি ভালো স্কিলফুল মানুষ দাঁড় করাইতে পারে সেই ক্ষেত্রে সেই দেশ থেকেই সব জায়গায় সিইও হবে সেই দেশ থেকেই সব জায়গায় সি সুইটে মানুষ যাবে সেই দেশের সেকেন্ড জেনারেশন থার্ড জেনারেশন ইউকেতে যাইয়া প্রাইম মিনিস্টার হবে অমুক জায়গায় যাইয়া প্রেসিডেন্ট হবে এবং এই জিনিস আমরা ইন্ডিয়ার সাথে অলরেডি হুইতে দেখতেছি বাংলাদেশের সাথে এই জিনিস হওয়া সম্ভব জাস্ট আমাদের এডুকেশনে কয়েকটা মাইনর ফিক্স করতে হবে এডুকেশন সেক্টরের জন্য আমার পাঁচটা আছে এবং আমি বিশ্বাস
করি এই পাঁচটা সাজেশন যদি মানা যায় এবং যদি 30 বছর কাজ করা যায় তাহলে বাংলাদেশ একদম পৃথিবীর টপ টেন কান্ট্রি গুলোর একটা চলে আসবে ইন টার্মস অফ ম্যানপাওয়ার এক নাম্বার টিচ প্রবলেম সলভিং নট টুলস এটার মানে হলো মনে করেন আমি আপনাকে ছবি আঁকা শিখাবো এখন আপনাকে ছবি আঁকা আমি অনেক ভাবেই শিখাইতে পারি একটা উপায় কি হতে পারে আমি আপনাকে একটা কাগজ দিলাম সাদা আমি আপনাকে কিছু রং পেন্সিল দিলাম আপনি অলরেডি চিনেন এরকম কোন একটা কিছু আপনাকে আঁকতে বললাম সো বললাম যে তুমি তোমাদের বাসার কথা তোমার মনে আছে বা তোমার ড্রইং রুমটার সোফাটার কথা তোমার মনে
আছে আপনি বললেন হ্যাঁ মনে আছে আমি বললাম যে এই যে সাদা কাগজ এই যে কলম আঁকো অনেক মানুষ আঁকলো এর মধ্যে থেকে যারা মোটামুটি ভালো তাদেরকে আমি আরো গ্রুম করা শুরু করলাম যারা অনেক ভালো তাদেরকে আমি আরো এক্সট্রা কেয়ার দেওয়া শুরু করলাম আর অনেকে এত বাজে আঁকলো যে আমি বুঝলাম ছবি আঁকা তাদের স্কিলের মধ্যে পড়ে না তাদের সাথে হয়তো অন্য একটা স্কিল দিয়ে আমার টেস্ট করতে হবে সিম্পল পুরা দুনিয়ার সবচেয়ে এফেক্টিভ এডুকেশন সিস্টেমের মধ্যে এটা হলো একটা যেটাকে বলা হয় প্রবলেম সলভিং ওয়ে অফ টিচিং নট টুলস বেসড টিচিং বাংলাদেশে এই জিনিসটা করা হয় না বাংলাদেশে
করা হয় টুলস বেস টিচিং টুলস বেসড টিচিং মানে আসলে কি মনে করেন সেম জিনিস আমি আপনাকে ছবি আঁকা শিখাবো বাংলাদেশে প্রথমে শিখানো হবে রং কি জিনিস তারপরে শিখানো হবে পেন্সিলের ইতিহাস পেন্সিলের আবিষ্কারক কে রঙের আবিষ্কারক কে এর সাথে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কে কে জড়িত ছিল কার কার অবদানের কারণে পৃথিবীতে রং আসছে বাংলাদেশে পেন্সিল আসছে রং আসছে ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক কিছুর পরে আপনাকে এক্সাক্ট একটা জিনিস দেওয়া হবে এটাই আপনার রাখতে হবে এবং আপনি গ্রামের দৃশ্য আঁকবেন ভালো কিন্তু আপনি যদি ভুলে এভারেস্ট আইকে বসেন আমি যেহেতু এভারেস্ট আমি এজ এ টিচার যেহেতু আমি এভারেস্ট চিনি না আমি আপনাকে
এই কারণে খারাপ মার্কিং দিব কারণ আপনি এমন একটা জিনিস আঁকছেন যে জিনিসটা আমার নলেজের ভিতরে নাই সো আপনার পরীক্ষাটা সবসময় হবে আমার নলেজের ভিতরে আমার নলেজের বাইরের কিছু যদি আপনি করে ফেলেন তাহলে একচুয়ালি আপনি নেগেটিভলি পানিশড হবেন বিকজ আপনি আমার ইন্সট্রাকশনের বাইরের একটা কাজ করছেন আপনার মনে হইতেছে ধুর এগুলা কি হয় নাকি রং পেন্সিল নিয়ে হয়তো হয় না বাট এক্সাক্টলি এই জিনিসটাই হয় আপনাকে আমি 12 বছর ধরে ইংরেজির গ্রামার শিখাই আপনি যেভাবে ওই যে রং পেন্সিলের পেন্সিলের আবিষ্কারক কে কাগজের আবিষ্কারকে এগুলো আপনি বুঝেন ওভাবে আপনি একদম ইংরেজি ইংরেজির গ্রামার খুব ভালো পারবেন আপনি এই যে
চৌধুরী এন্ড হোসেন রেন এন্ড মার্টিন এগুলো সব খুব ভালো পারেন কিন্তু আপনি দুই লাইন ইংরেজিতে বলতে পারবেন না আপনি আমি আপনি আমি দুই লাইন ইংরেজিতে কারো সাথে কথা বলতে পারবো না আমি যদি ফ্রি ফ্লোইং কনভার্সেশনাল ইংলিশের চেষ্টা করি পারবো না আমি দেখা যাবে কিছু একটা সুন্দর যদি ইন্টারেস্টিং লিখতে হয় আমার যদি মুখস্ত করা না থাকে যদি ওটা ওই যে কিভাবে জার্নি বাই বোর্ড ওই এঙ্গেলের কিছু না হয় নরমাল কিছু হয় দেখা যাবে আমি লিখতে পারতেছি না যারা পারে তারা স্কুল সিস্টেম থেকে শিখা পারে নাই তারা পারে কারণ তারা ইংরেজি সিনেমা দেখে কারণ তারা ইংরেজি টিভি
সিরিজ দেখে কারণ তারা ইংরেজিতে রেগুলারলি কনভার্স করে তাদের ফ্রেন্ডদের সাথে সাথে এডুকেশন সিস্টেম তার দুই পয়সার উপকারেও আসে নাই আমার মনে আছে আমি যখন ক্লাস নাইনে পড়ি ফিজিক্সে আমাদের ভার্নিয়ার স্কেল শিখানো হইতো যে ভার্নিয়ার স্কেল দিয়ে বিভিন্ন জিনিসপত্র মাপা এবং আজকে পর্যন্ত আমার কোন ধারণাই নাই ভার্নিয়ার স্কেল আসলে কি জন্য ইউজ করে ভার্নিয়ার স্কেল দিয়ে কি করে আপনি যদি আমাকে আজকে আমার সামনে একটা ভার্নিয়ার স্কেল ধরায় দেন আমি আপনাকে বলতেও পারবো না যে ভার্নিয়ার স্কেল মাপে কোন দিক দিয়ে নিচে দিয়ে মাপে না উপর দিয়ে মাপে এইটা হইলো গিয়ে আমাদের টুলস বেসড এডুকেশন সিস্টেমের সমস্যা সেকেন্ড
হোয়াট এডুকেশন ইজ ফর এটা একটা ফিলোসফিক্যাল ডিবেট হাউ এভার এটা খুব সিম্পল একটা জিনিস এবং এটাকে গোলায় ফেলার কোন মানে নাই তারপরেও এটাকে আমরা রেগুলারলি গোলায় ফেলি স্কুল কলেজ মাদ্রাসা দেশ কালচার সমাজ এগুলো সব আলাদা আলাদা জিনিস এদের সবার একে অন্যের সাথে কাজ করার কথা হাউ এভার এগুলার কোনটাই অন্য আরেকটা রিপ্লেসমেন্ট না আপনি যখন একটাকে আরেকটা রিপ্লেসমেন্ট ভাবেন তখন খুব বড় কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয় সমস্যাগুলো কি কি আপনার মনে হইতে পারে যে আমি একজনকে স্কুলে পাঠাবো ভালো মানুষ বানাইতে বাট আমরা জানি যে স্কুল ভালো মানুষ বানানোর কারিগর না অনেকে বলবে হয়তো হ্যাঁ বাট একচুয়ালি না
ভালো মানুষ বানানোর প্রাইমারি দায়িত্ব হইলো পরিবারের সেকেন্ডারি দায়িত্ব হইলো তার আশপাশের সমাজের থার্ড দায়িত্ব হইলো তার কালচারের স্কুল আপনাকে ভালো মানুষ বানাইতে পারবে না স্কুল যদি আপনাকে ভালো মানুষ বানাইতে পারতো তাইলে সেইম স্কুল থেকে বের হয়ে একজন মানুষ খুব ভালো আরেকজন মানুষ হেলমেট পড়ে গুলি করে এরকম হইতো না সেইম স্কুল থেকে বের হয়ে সবাই খুব ভালো মানুষ হইতো এরকম হয় না সেইম স্কুল থেকে চোর বাটপারও বের হয় সেইম স্কুল থেকে খুবই সাধু সন্ন্যাসীও বাইর হয় সো স্কুল আপনাকে ভালো মানুষ কখনোই বানাইতে পারবে না আপনার মাথার মধ্যে নোশন যদি এটা থাকে যে আমি স্কুলে মানুষকে পাঠাই
আমার সন্তানকে কারণ সে ভালো মানুষ হয়ে আমার কাছে ফেরত আসবে না ভালো মানুষ পাঠানো আপনার দায়িত্ব আপনার ইনহাউস এফোর্ট দিয়ে আপনার ভালো মানুষ দাঁড় করাইতে হবে আপনার পরিবারের পরে আপনার নেইবারহুডের দায়িত্ব ভালো মানুষ বানানো নেইবারহুডের পরে আপনার সমাজের দায়িত্ব ভালো মানুষ বানানো এরপরে আপনার কালচারের দায়িত্ব ভালো মানুষ বানানো স্কুল অনেক পরে আসে স্কুলকে আপনি এটার দায়িত্ব দিয়ে চুপচাপ বসে থাকতে পারেন না প্রত্যেকটা কাজের একটা বয়স থাকে আমি স্কুলে প্রতিদিন জাতীয় সংগীত গাইতাম আমি স্কুলে প্রতিদিন শপথ পড়তাম মুখস্ত হয়ে গেছিল একসময় এত পড়তাম হাউ এভার আমরা কিন্তু কেউ ইন্টার্নালাইজ করি আমরা বুঝিই নাই আমরা কি পড়তেছি
শপথের মধ্যে কি লেখা ছিল আমি এই করবো হ্যান করবো তেন করবো আমরা পড়ে গেছি তোতা পাখির মতো বাট আমরা একচুয়ালি বুঝি নাই কারণ ওই বয়সটা আসলে বোঝার বয়সই না সো কোন সময় কোন জিনিস প্রপারলি ইনজেক্ট করাইতে হবে ভার্সেস কোন সময় আমি একজনকে তোতা পাখির মত বিভিন্ন জিনিস মুখস্ত করাই যাব এই ডিফারেন্সিয়েশনটা না আমাদের এখন করতে পারতে হবে আমার এডুকেশন সিস্টেমের ভিতরে স্কুল কিছু স্পেসিফিক জিনিস শিখাবে আপনার বাচ্চাকে স্কুল আপনার বাচ্চাকে শিখাবে লিডারশিপ স্কুল আপনার বাচ্চাকে শিখাবে কোলাবোরেশন অন্যদের সাথে কিভাবে কাজ করতে হয় স্কুল আপনার বাচ্চাদের শিখাবে ডিসিপ্লিন স্কুল আপনার বাচ্চাদের কিছু একাডেমিক জিনিসপত্র শিখাবে বেসিক
যে নলেজ বেসিক যে দুনিয়ার নলেজ এগুলো সব স্কুল আপনাকে শিখাবে বাট স্কুল আপনার বাচ্চাকে নৈতিকতা শিখাবে না আমরা জানি টাইম এন্ড টাইম এগেইন এটা কখনো হয় নাই এটা ভবিষ্যতে কখনো হবে এটা আশা করা যাবে না থার্ড রিফর্ম যেটা আমার মতে অবশ্যই অবশ্যই হওয়া জরুরী সেটা হলো রিডিউসিং দা লেন্থ অফ এডুকেশন আমরা সবাই জানি মানুষের একচুয়াল শিক্ষা শুরু হয় তার কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের পরে অন দা জব ওজেটি যে অন দা জব ট্রেনিং হাবিজাবি বলে যেগুলা ওগুলা আমরা স্কুলে যা শিখে আসছি খুবই ভালো আমাদের বেসিক নলেজ হইছে খুবই ভালো বাট একচুয়ালি আমরা যখন কাজকর্ম শুরু না করতেছি একচুয়ালি
আমাদের যখন রিস্ক রেওয়ার্ড রেশিও না আসতেছে ততদিন পর্যন্ত মানুষ কিছু শিখে না এটা সত্যি কথা আপনি আমি আমরা সবাই আমাদের 99% যা যা শিখছি সব কাজ করতে করতে শিখছি মুখস্ত করে আইসা এপ্লাই করছি এরকম না আপনি আপনার স্কুলে যা যা মুখস্ত করছিলেন তার অনেক কিছু আপনার কোনদিনও কাজে লাগে নাই কোনদিনও হয়তো কাজে লাগবেও না হাউ এভার আপনি আপনার চাকরিতে প্রথম দিন থেকেই যা যা শিখছিলেন বা আপনি আপনার ব্যবসায় প্রথম দিন থেকেই যা যা শিখছিলেন তাই কিন্তু আপনার তার পরের দিন থেকেই কাজে লাগা শুরু হয়েছে এবং চান্স আছে সারাজীবন আপনার এগুলা কাজে লাগবে তাহলে আপনি ব্যাপারটা
চিন্তা করেন আমরা যদি প্লে নার্সারি যুক্ত করি তাইলে 12 বছর এক যুগ আমরা স্কুলে পড়ি তারপর দুই বছর আমরা কলেজে পড়ি এরপর চার বছর আমরা ব্যাচেলর এরপরে এক বছর বা দুই বছর আমরা মাস্টার্স করি তারপরে আবার অনেকে আছে এমবিএ করে আরো এক বছর প্রায় 20 বছর ধরে এবং প্রাইম 20 বছর এটা কিন্তু আপনার 60 বছর থেকে 80 বছরের সময়ের কথা আমি বলতেছি না আপনার বয়স যখন 15 16 তখন থেকে বা আপনার বয়স যখন 10 তখন থেকে 30 একদম প্রাইম একটা টাইম আপনার জীবনের এই প্রাইম 20 বছর আপনি রেন্ডম জিনিসপত্র শেখার পিছনে কাটায় দিচ্ছেন এটার কি
কোন মানে হইতে পারে দুইটা জিনিস করতে হবে আমাদের এক আমাদের স্কুল ছোট করতে হবে আট বছরের ভিতরে নিয়ে আসতে হবে জিনিসটা পুরা জিনিসটাকে 12 বছর টানার কোন মানে নাই প্লে নার্সারি কেজি ওয়ান তারপরে ওয়ান এই এই ঢঙের আসলে কোন মানে নাই এর জন্য যদি সিলেবাস ছোট করা লাগে খুবই ভালো এর জন্য যদি ক্লাস কমাইতে লাগে খুবই ভালো ক্লাস সেভেন এর পরে যায় ব্যাচেলর শুরু হবে ক্লাস এইটের পরে যায় ব্যাচেলর শুরু হবে কোন সমস্যা নাই বাট এটা আমাদের কমায়ে আনতেই হবে আমরা আমাদের তরুণ সমাজের মূল্যবান জীবনের বছর নষ্ট করতেছি রেন্ডম জিনিসপত্র পড়া এটা হইতে পারে না
স্কুল শেষ হবে সবাই ডিরেক্টলি চলে যাবে হয় ভোকেশনালে বা যারা স্টেম এডুকেশনে আগ্রহী তারা চলে যাবে ব্যাচেলরে আমি আপনাদের একটা গল্প বলি আমার আমার সাথে আমাদের এজেন্সিতে কাজ করতো একটা ছেলে নাম বললে আসলে সমস্যা হইতো না আইরিশ ছেলে বাট নাম বললাম না নাম অত রেলেভেন্ট না তো আমাদের সেলসে কাজ করে আমি নিজে ওকে হায়ার করছি খুব ভালো ছেলে খুব ভালো সেলসে কাজ করে জিম নিয়ে খুব সিরিয়াস প্রতিদিন সকালবেলা জিমে যায় জিমের থেকে অফিসে আসে মোটামুটি সবাই আমরা ওকে পছন্দ করি ভালো করতেছে বেশ ইনকাম টু ইনকামও হচ্ছে হঠাৎ ওই ছেলে আমাকে একদিন বলতেছে যে খালিদ তোমার
সাথে আমি একটু কথা বলবো একটা মিটিং দরকার তো আমি ওকে নিয়ে তিন তলায় তখন আমাদের কোভিডের আগের কথা এটা তো তিন তলায় আমাদের অফিস ছিল আমি ওকে নিয়ে দোতলায় গেছি আমি সাধারণ মিটিং দিয়েও তালা করতাম গিয়ে বলছে বলতেছে যে আমি চাকরি ছেড়ে দিব আমার তো তখন তখন আমি আয়ারল্যান্ডে আসছি দুই তিন চার বছর হয়তো হইছে তো আমার মাথায় আসছে যে ছেড়ে দিচ্ছে মনে হয় অন্য কোন এজেন্সিতে যাবে বা অন্য আরো ভালো কোন অপরচুনিটি পাইছে এইজন্য যাবে তো আমি বললাম ছেড়ে দিচ্ছ ওকে ঠিক আছে ছেড়ে দিও কোথায় যাচ্ছ আমি ইলেকট্রিশিয়ান হব চিন্তা করেন ও সেলস টিমে
কাজ করে একটা ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সিতে ও ঠিক করছে ও ইলেকট্রিশিয়ান হবে এখন তারপরে ও আসলেই ছেড়ে দিল ও তারপরে ইলেকট্রিশিয়ান স্কুলে ভর্তি হইলো পড়াশোনা করলো দুই বছর বোকেশন ডিগ্রি নিল ডিগ্রি নিয়ে এরপরে ও ইলেকট্রিশিয়ান হয়ে গেল এ কারণে ওর সমাজে ওর রেস্পেক্ট কমে নাই ওর রেস্পেক্ট বাড়ছে ওর ইনকামও বাড়ছে আমার গাধার সাইকোলজি যেটা বাংলাদেশি আমার মাথার মধ্যে আমার মনে হয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর থেকে তো ইলেকট্রিশিয়ান খুবই বাজে একটা রোল সো ও কেমন বোকার মত একটা কাজ করতেছে আমি যেহেতু বাংলাদেশি সো আমি জিনিসটা ধরতেই পারি নাই যে ইলেকট্রিশিয়ান আসলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর থেকে আরো অনেক বেশি
ইম্পর্টেন্ট একটা জিনিস ও এতদিন পর্যন্ত আরেকজনের চাকরি করতো এখন ও নিজে ইলেকট্রিশিয়ান হয়ে নিজের কোম্পানি সেটআপ করতে খুব ভালো আছে ছেলেটা এই কাহিনী আমি আপনাদের এইজন্য বললাম সেটা হলো আননেসেসারি এডুকেশন কিভাবে ক্ষতি করে মানুষের আপনি আট বছর একজনকে স্কুলে পড়ান আট বছর স্কুলে পড়ানোর পরে তাকে ডিসাইড করতে যান যে সে স্টেম এডুকেশনের দিকে যাবে সে ডাক্তার হইতে চাইলে সে মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়ে যাক ইঞ্জিনিয়ার হইতে চাইলে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হয়ে যাক ভোকেশনাল ডিগ্রি নিতে চাইলে ঐরকম কোন একটা ইলেকট্রিশিয়ান স্কুল টুলে ভর্তি হয়ে যাক তার জীবন সে ফিগার আউট করা শুরু করুক এরপরেই যাতে করে তার
যদি ভুল হয়েও তার হাতে এনাফ চার বছর থাকে ওই ভুল রেকটিফাই করার ওই ভুলটা ঠিক করার আপনি তাকে 20 বছর পরায় 25 বছর পরে যখন ছেড়ে দিচ্ছেন কর্মক্ষেত্রে তার বয়স হয়ে যাচ্ছে তার উপর রেসপন্সিবিলিটি চলে আসতেছে তার বাবা-মার বয়স হয়ে যাচ্ছে তাদের অনেকে বিয়ে করে ফেলছে তাদের বাচ্চাকাচ্চা হয়ে যাচ্ছে এত রেসপন্সিবিলিটি তার মধ্যে চলে আসতেছে যে ওই যে আমি যেই ছেলেটার এক্সাম্পল নিলাম ও যেরকম হঠাৎ করে ঠিক করলো যে আমি এখন ইলেকট্রিশিয়ান হয়ে যাব এই ডিসিশন সে নিতে পারবে না বাংলাদেশের একটা মানুষ কারণ তার উপর অলরেডি পাহাড়ের মত বোঝা চেপে বসছে সো এই জিনিসের থেকে
বের হওয়ার একমাত্র উপায় হইলো এডুকেশনের লেন্থ কমানো সেকেন্ড যে জিনিস সেটা হলো ইম্পর্টেন্ট জিনিস পড়ানো বাড়াইতে হবে আমি যে ভিডিওর শুরুতে যে এক্সাম্পলটা আপনাদের দিলাম এই ধরনের আজাইরা জিনিস পড়ানোর কোন মানে নেই এই ধরনের আজাইরা জিনিস পড়ানোর বদলে আমাদের পড়াইতে হবে ট্যাক্সেশন ট্যাক্সেশন বাদ দেন একাউন্টিং বেসিক পার্সোনাল ফাইনান্স কোন জায়গায় টাকা টাকা ইনফ্লেশন কি জিনিস টাকা বাড়ে না কমে একচুয়াল কাজে আসে এরকম জিনিসপত্র আমাদের এডুকেশন সিস্টেমে খুব কমই শিখানো হয় যেটা খুবই খারাপ একটা ব্যাপার এরকম একচুয়াল কাজে আসা জিনিসপত্র আমাদের শিখানো বাড়াইতে হবে পিএনএল স্টেটমেন্ট কিভাবে বানাইতে এটা সবার জানতে হবে বেসিক আন্ডারস্ট্যান্ডিং অফ বিজনেস
আমাদের সবার জানতে হবে ইন্টারেস্টের পজিটিভস কি ডাউনসাইডস কি সবার জানতে হবে ইনফ্লেশনের পজিটিভস কি ডাউনসাইড কি টাকা ব্যাপারটা কিভাবে কাজ এগুলো সবার এগুলো বেসিক নলেজ আমি লিস্ট আর কত বড় করবো মূল কথা হলো আমাদের বেসিক নলেজ এডুকেশনের ভিতরে বাড়াইতে হবে আজাইরা জিনিসপত্র এডুকেশনের ভিতরে কমাইতে হবে ফোর্থ স্কুল সিস্টেমের ভিতরে এন্টারপ্রেনরশিপ ইনক্লুড করতে হবে ইটস মাস্ট কারণ আপনি যদি স্কুল সিস্টেমের ভিতরে এন্টারপ্রেনরশিপ ইনক্লুড না করেন বাংলাদেশ এমনিতেই লাভিং দেশ না আমরা ব্যবসায়ীদের ভালোবাসা দেশ না এবং এটার অনেক যৌক্তিক কারণও আছে আমরা ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি যে একজন ব্যবসায়ী বেশিরভাগ সময় একজন খারাপ মানুষ হইছে এমনিতেই বাংলাদেশে
বড় লোকদের খারাপ মানুষ ধরা হয় কারণ ধরে নেওয়া হয় বড় লোকরা বেশিরভাগই অনৈতিক উপায়ে বড় লোক হইছে সো বড় লোকদের উপরে একটা স্টিগমা আছে আমাদের একই সাথে আমরা ব্যবসায়ীদেরকেও খারাপ মানুষ ধরি কারণ ব্যবসায়ীদের উপরে আমাদের একটা স্টিগমা আছে এবং এই কারণে আপনারা দেখবেন কোম্পানির মালিকের অনেক সমস্যা হয় বিয়ে করতে কোম্পানির মালিকের অনেক সমস্যা হয় ব্যাংক একাউন্ট বলতে ওই সেইম কোম্পানির যে চাকরি করে যে প্রত্যেক মাসে বেতন পায় তারা তো সমস্যা হয় না কোন কিছু করতে কারণ তার চাকরি আছে বাট যে ব্যবসা করে সে অনেক রিস্কের মধ্যে থাকে সমস্যাটা কি হয় এতে এতে সমস্যা যেটা হয়
জেনারেশনের পর জেনারেশন ব্যবসায় নিরুৎসাহিত হয়ে যায় এটা হয়ে গেছে অলরেডি গত 30 বছরে আপনি যেকোনো রেন্ডম স্কুলের যেকোনো একটা বাচ্চার এম ইন লাইফ উঠায়ে দেখেন আপনি দেখবেন ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার পাইলট ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার কিছু কিছু ক্রিকেটারও হয়তো আপনি পাবেন ব্যবসায়ী পাবেন না সো মানুষের সাইকোলজিক্যালি এটা ভিতরে চলে আসছে যে ব্যবসা করা যাবে না আর করি ক্ষতিটা কি হইলো ব্যবসা যদি না থাকে এমপ্লয়মেন্ট কোত্থেকে জেফ বেজোস বা একজন ইলন মাস্ক লাখ লাখ মানুষকে চাকরি দেয় লাখ লাখ লাখে লাখে চাকরি দেয় amazon এ কাজ করে চার লাখ বা পাঁচ লাখ মাইক্রোসফট এ কাজ করে হয়তো 15 লাখ
ম্যাসিভ নাম্বার অফ পিপলকে চাকরি দেয় এবং এই এক একটা মানুষের এক একটা কোম্পানি 20 টা 30 টা 40 টা 50 টা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির সমান সো আপনি যখন ব্যবসায়ী হওয়াকে নেগেটিভলি দেখাবেন তখন লং টার্মে আপনার দেশের ইকোনমি সাফার করবে আপনার দেশ অন্য একটা দেশের উপর ডিপেন্ডেন্ট হয়ে যাবে কারণ আমরা নিজের আগে কিছু বানাই না আমরা নিজেরা কিছু করিই না খারাপ কিছু মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্য করে নরমাল মানুষের ব্যবসায় কোন আগ্রহ নাই এই জিনিস সলভ করবো কিভাবে আমাদের অন্ট্রপ্রেনরশিপ স্কুল লেভেল থেকেই মানুষকে পড়াইতে হবে এবং ট্রু অন্ট্রপ্রেনরশিপ অন্ট্রপ্রেনারশিপ মানে কিন্তু এটা না যে এখন তুমি বিল গেটস এর জীবনী
মুখস্ত করে পরীক্ষা দাও একচুয়াল বিজনেস দাঁড় করানো শিখানো একচুয়াল বিজনেস কি কি দাঁড়াচ্ছে এগুলা ইন্টারেস্টিং ওয়েতে প্রেজেন্ট করা ওই ব্যাপারগুলো আমাদের করতে হবে বাচ্চাদের জন্য যাতে তার মনে হয় হ্যাঁ বড় হয়ে আমি একটা বড় কোম্পানি দাঁড় করাবো বড় হয় আমার কোম্পানিতে 30 জন কাজ করবে 50 জন কাজ করবে আমি এশিয়ার সবচেয়ে বড় এই কোম্পানি দাঁড় করাবো এখন থেকে আমি কাজ করা শুরু করি ওই জিনিসটা তখনই সম্ভব যখন আপনি স্কুল লেভেল থেকে এন্টারপ্রেনারশিপ ইনক্লুড করবেন লাস্ট আউটডোর অ্যাক্টিভিটি বাড়ানো আরবান জনসংখ্যার সবচেয়ে সমস্যা বড় সমস্যাগ গুলার একটা হইলো গিয়ে আমাদের আউটডোর অ্যাক্টিভিটি খুব কম এরকম অনেক বাচ্চা
আছে যে জীবনে কখনো আলু কিভাবে মাটির নিচে হয় দেখে নাই এরকম অনেক বাচ্চা আছে যাকে মরিচ ফুল দেখাইলে সে বুঝতে পারবে না যে এটা আসলে মরিচ ফুল নাকি এটা সূর্যমুখী তার কোন ধারণাই নাই আই এম অল ফর ডিজিটাল লাইফ আমার থেকে বেশি কেউ ডিজিটাল লাইফ পছন্দ করে এরকম না বাট এট দ্যা সেইম টাইম আপনি যখন স্কুলের একটা বাচ্চাকে পড়াচ্ছেন স্কুল এর একটা বাচ্চার কারিকুলাম আপনি সাজাচ্ছেন তখন আপনার এটা ইনসিওর করতে হবে তার যেন আউটডোর প্রেজেন্স এনাফ থাকে তাকে ফার্মিং এ নিয়ে যাওয়া ফার্মিং শুড বি অ্যান আউটডোর অ্যাক্টিভিটি তাকে কৃষি কাজের সিলেবাস না দিয়ে বইয়ের ভিতরে
কৃষি কাজ বা গাঢ়স্থ অর্থনীতি না পড়ায় তাকে আপনি গ্রামে নিয়ে যান তাকে আপনি গ্রামে একটা ফ্যামিলি কিভাবে ছাগল পালন করে দেখান তাকে আপনি গরুর দুধ দোয়ানোতে ইউজ করেন তাকে দিয়ে গরুর দুধ দোয়ান একবার শুনলে মনে হইতেছে দূর এগুলা কি হইতে পারে নাকি বাট এগুলা সম্ভব এগুলা তেমন অবাক করার মত ব্যাপার না এগুলা হয়ে আসতেছে চায়নায় জাপানে ইউরোপে এবং এবং এগুলা খুব ভালো ইভেন আমার খুব ভালো লাগে আমি যখন আয়ারল্যান্ডের কোথাও ঘুরতে ঢুকতে যাই স্পেশালি সামারে এটা হয় বাচ্চার লাইন 100 200 বাচ্চা পর্তুগাল থেকে আসছে বা ইটালি থেকে আসছে ওদেরকে সামার ক্যাম্পে বিভিন্ন দেশে নিয়ে নিয়ে
বিভিন্ন জিনিসপত্র দেখাচ্ছে আমার দেখতে খুব ভালো লাগে এবং এই জিনিস বাংলাদেশে খুব সহজ খুব আহামরি কোন টাকাও লাগে না এই জিনিস করতে এটা না করার কোন মানে নেই এবং একটা বাচ্চাকে পিথাগোরাসের উপপাদ্য মুখস্ত করানো যতটা ইম্পর্টেন্ট তার থেকে হাজার হাজার হাজার হাজার কোটি কোটি গুণ ইম্পর্টেন্ট হইলো ওই বাচ্চাটাকে দেখানো আলু কিভাবে মাটির নিচ থেকে উঠায় ধান কিভাবে চাষ হয় মরিচ কিভাবে গাছে ধরে এইটা লাস্ট ভিডিও অনেক বড় হয়ে গেছে শেষ এটা রেন্ট টাইপ ভিডিও হয়ে গেছে এজন্য দুঃখিত আন্ডারস্ট্যান্ড দ্যা রিজন অফ স্কুলিং এটা যদি আমরা না বুঝি তাহলে কোন কিছুরই আসলে কোন মানে নাই স্কুলের
উদ্দেশ্য বাচ্চাকাচ্চাদের বিভিন্ন জিনিসপত্রে শেখানো বিভিন্ন জিনিসপত্র ইন্ট্রোডিউস করা তাদের মনোজগতের ভিতরে এবং তারা কোন বিষয়ে আগ্রহী এইটা তাদেরকে খুঁজে বাইর করতে হেল্প করা স্কুল স্কুলের উদ্দেশ্য এইটা না তাকে একটা সার্টিফিকেট দেয়া যেন সে একটা চাকরি পায় নীল ডিগ্রিস টাইসনের খুব সুন্দর একটা কথা আছে যে স্কুল যেদিন শেষ হয় ওইদিন মানুষের সবচেয়ে কষ্টের দিন হওয়া উচিত কারণ সে এখন আর কিছু শিখতে পারবে না এত সহজে এতদিন পর্যন্ত সে কত বিষয় শিখতে পারতো বাট এখন সে আর কিছু শিখতে পারবে না কারণ তার স্কুল শেষ হয়ে গেছে কিন্তু একচুয়ালি দেখা যায় মানুষ খুশি হয় কারণ সে এখন একটা
সার্টিফিকেট পাইছে এই সার্টিফিকেট দিয়ে সে এখন চাকরি পাবে যেটা হওয়ার কথা ছিল না স্কুল সিস্টেমের উদ্দেশ্য হওয়ার কথা ছিল মানুষকে বিভিন্ন দুনিয়ার ব্যাপারের সাথে ইন্ট্রোডিউস করানো যাতে করে সে নিজে বুঝতে পারে তার আসলে কি করতে ভালো লাগে এন্ড পয়েন্ট ওটাই আমাদের এডুকেশন সিস্টেমকে এমন ভাবে রিফর্ম করতে হবে যেন আমরা বাচ্চাদেরকে খুব কম সময়ের মধ্যে বোঝাইতে হেল্প করতে পারি যে বাবা তোমার কি ভালো লাগে তুমি দেখো আমি তোমাকে সবকিছুরই টাচ দিলাম যেটা তোমার ভালো লাগে তুমি তাড়াতাড়ি যেয়ে ওইটা নিয়ে তোমার জীবন গোছানো শুরু করো টাটা তোমাকে বাট তা না করে আমরা তাকে 20 25 বছর ধরে
আটকায় রেখে রেন্ডম জিনিসপত্র শিখাচ্ছি এরকম হইতে দেওয়া যায় না আমি আশা করব এরকম হবে না আপনারা যারা এই বিষয়ে দায়িত্বে আছেন তারা একটু হলেও এই বিষয়ে কাজ কর্ম করবেন ধন্যবাদ