ওরে আবু মাহজুরা কেমন দেখা যায় তোমারে তুমি সামনের চুল কাটো না কেন আবু মাহজুরা বলে আমি হাঁটু গেড়ে পেয়ারা নবীর সামনে বসেছিলাম আমার এই মাথার চুলের মধ্যে মোবারক হাত লাগিয়ে বিশ্বনবী নিজে আমাকে আযানের প্রতিটা প্রতিটা বাক্য শিক্ষা দিয়েছেন বিশ্বনবীর মোবারক হাত পবিত্র হাত আমার মাথার চুলের যেই জায়গায় লেগেছে আমি চাই ওই চুলগুলো নিয়ে আমি আমার কবরের ভিতরে যাব সুবহানাল্লাহ সাইয়েদেনা আবু মাহজুরা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু ইন্তেকালের আগের পর্যন্ত মাথার সামনের চুলগুলা কাটে নাই মাথার সামনের চুল তিনি কাটেন নাই সুবহানাল্লাহি বিহামদিহি কেমন ভালোবাসতেন বিশ্বনবী সাহাবীদেরকে সাহাবারা কেমন ভালোবাসতেন বিশ্বনবীকে অষ্টম হিজরীতে হুনাইনের যুদ্ধে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
ফিরে আসতেছেন মদিনায় পথিমধ্যে বেলাল রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু আজান দিচ্ছেন কি দিচ্ছেন তো পাশে ছিল মুশরিকদের একটা পল্লী কিছু মুশরিক তরুণ কিছু অমুসলিম কিশোর তারা আযানকে ব্যঙ্গ করতেছে আমাদের বাংলায় মুখ ভেঙ্গানো বলে আর কি বেলাল রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু আজান দিচ্ছেন ওই বাচ্চাগুলো মুশরিক তো ওরা আযানকে ব্যঙ্গ করতেছে বিকৃতি করে ওরাও আজান দিচ্ছে উদ্দেশ্য হচ্ছে আযানকে নিয়ে ঠাট্টা করা উদ্দেশ্য কি ঠাট্টা করা ব্যাপারটা মনে কষ্ট পাওয়ার মতো ব্যাপার না কিন্তু বিশ্বনবী ওইখানে দেখেন কি খুঁজলেন বিশ্বনবী খেয়াল করলেন অমুসলিম কিশোরদের মধ্য থেকে একটা কিশোরের গলাটা বড় দরাজ গলা কণ্ঠটা বড় সুন্দর খেয়াল করে দেখলেন যে কিশোর কিছু কিশোর
বেলালের আজানকে ব্যঙ্গ করে বিকৃতি করে কিন্তু একজনের কন্ঠ দেখতে পাচ্ছেন না এতদূরে কিন্তু কন্ঠটা বড় সুন্দর দরাজ গলা বিশ্বনবী সাহাবীদেরকে বললেন ধরো এগুলারে ধরো সবগুলারে ধরে বিশ্বনবীর সামনে আনা হলো ওরা হাঁটু গেড়ে বসলো বিশ্বনবী বললেন তোমাদের মধ্যে কে যেন ব্যঙ্গ করে আজান দিচ্ছিলা তার গলাটা বড় উঁচু গলার বেইসটা বড় মজবুত মেলোডিয়াস সুমধুর কণ্ঠ কে আবু মাহাজুরা বলে আমার বন্ধুরা সবাই আমার দিকে আঙ্গুল দেখায় আমি পড়ে গেছি বিপদে রাসূল বাকি অমুসলিম তরুণদেরকে ছেড়ে দিলেন বললেন তোমরা যাও এবার আবু মাহাজুরারে পাইছে আবু মাহজুরার চুলের মধ্যে হাত দিলেন বিশ্বনবী মাথায় হাত দিয়ে বললেন এবার আজান দাও দেখি আবু
মাহজুরা বলে আমি তো আজান দিতে জানিনা কারণ আমি তো বেলালেরটা শুইনা শুইনা দিছি আমার তো মুখস্ত নাই আমি তো আজান দিতে জানিনা বিশ্বনবী বললেন জানো না তাহলে আসো আমি তোমারে শিখায় দেই সুবহানাল্লাহ পড়েন আবু মাহজুরা হাঁটু গেড়ে বসে বিশ্বনবীর মোবারক হাত আবু মাহজুরার চুলের মধ্যে বিশ্বনবী আযানের মুয়াল্লেম আবু মাহাজুরাকে বলতেছে ঠিক আছে তোমারে শিখায় দিচ্ছি আমি যা যা বলবো আমার সাথে সাথে বলো পারবা আবু মাহাজুরা বলে পারবো বিশ্বনবী আজান দিচ্ছেন মাথায় হাত দিয়ে আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার আবু মাহাজুরা এ বাক্যটা পড়লেন বিশ্বনবী দ্বিতীয় বাক্য পড়তে আরম্ভ করলেন আল্লাহু আকবার আবু মাহাজুরা এই বাক্যটাও পড়লেন বিশ্বনবী
আবু মাহাজুরার মাথার মধ্যে হাত দিয়ে তৃতীয় বাক্য পড়লেন আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আবু মাহাজুরা তৃতীয় বাক্য পড়লেন বিশ্বনবী একটা বাক্য পড়ে আবু মাহাজুরা পড়ে বিশ্বনবী পড়ে আবু মাহাজুরা পড়ে আবু মাহাজুরা কিন্তু অমুসলিম মুশরিক আবু মাহাজুরা বলে এক একটা বাক্য পড়ি আমার কলিজাটা গলে ঠান্ডা হয়ে যায় এতদিন মোহাম্মদকে গালি দিতাম এখন মোহাম্মদ আমার মাথায় যখন হাত রাখছে আমার সারা শরীর ঠান্ডা হয়ে গেছে বিশ্বনবী আযান শিখাচ্ছেন একটা একটা বাক্য পড়ে আবু পড়ে বিশ্বনবী পড়ে আবু মাহজুরাও পড়ে পুরো বাক্যগুলো যখন শেষ আযান শেষ আবু মাহুজুরাও যখন পুরো আযান পড়লেন আবু মাহজুরা বললেন এতদিন মোহাম্মদের চেহারা দেখলে আমার ঘৃণা
লাগতো আজ থেকে মোহাম্মদের চেহারার চেয়ে প্রিয় চেহারা আমার কাছে নাই আবু মাহজুরা বললেন ও মোহাম্মদ আযানের বাক্য তো আপনি আমারে শেখালেন এখানেই শেষ করবেন না আপনি আমারে পড়ায় দেন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশ্বনবীর সাথে দাঁড়িয়ে উনি শাহাদা পড়ে মুসলমান হয়ে গেলেন সুবহানাল্লাহ এবার আবু মাজুরা বলে ইয়া রাসুলুল্লাহ ইয়া হাবিবাল্লাহ আমি মুমিন হয়েছি মুসলমান হয়েছি আপনার কাছ থেকে আযান শিখার সৌভাগ্য আমি লাভ করেছি গো নবী আমার কন্ঠের বড় তারিফ করেছেন আপনি আমার আজানকে আপনি পছন্দ করেছেন একটা জিনিস আপনার কাছে চাই আপনি আমাকে মক্কার মসজিদুল হারামের মুয়াজ্জিন হিসেবে অ্যাপয়েন্ট করে দেন বিশ্বনবী বললেন
যাও আবু মাহজুরা আমি তোমাকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম মসজিদ মক্কার মসজিদুল হারামের মুয়াজ্জিন হিসেবে অ্যাপয়েন্ট করে দিলাম দেখছেন কিভাবে ট্যালেন্ট হান্টিং করতে হয় কিভাবে হিউম্যান রিসোর্স মানব সম্পদকে ব্যবহার করতে হয় আসছিল আজানকে ভেঙ্গাইতে আসছিল কেন আযানকে ব্যঙ্গ করার জন্য বিকৃত করার জন্য আযানকে বিকৃত করতে যেয়ে ইসলামের সবচাইতে শ্রেষ্ঠ মসজিদের মুয়াজ্জিন হয়ে গেল পড়েন সুবহানাল্লাহ হযরত আবু হাজরা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু উনার এই সুরলিত কণ্ঠ ব্যবহার করে মসজিদুল হারামে এত সুন্দর করে আল্লাহু আকবার বলে আজান দিতেন মানুষগুলোর মুসল্লিগুলোর মক্কাবাসীর হৃদয়কে তিনি বিগলিত করে দিতেন মানুষের হৃদয়কে ঠান্ডা হয়ে যেত শুধু এখানে শেষ না আমার যশোরের ভাইয়েরা বিশ্বনবী যখন সাইয়েদেনা
আবু মাহজুরা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুকে আজান শিখাচ্ছিলেন বলেন তো বিশ্বনবীর হাতটা কোথায় ছিল আবু মাহজুরার মাথার সামনে এই চুলের উপরে ছিল আবু মাহজুরা ওই স্মৃতিটাকে ধারণ করবার জন্য ওই স্মৃতিকে বহন করার জন্য বিশ্বনবীর মোবারক হাত আবু মাহজুরার কপালের চুলের যেই জায়গায় লেগেছে মৃত্যুর আগের দিন পরে পর্যন্ত আবু মাহুদুরা মাথার ওই চুলে কোনদিন ছুরি আর কামার লাগায় নাই সেখানে কেঁচি লাগায় নাই চুলের মধ্যে খুর লাগায় নাই আবু মাহুজুরা ডানদিকের চুল কাটতো বামদিকের চুল কাটতো পেছনের চুল কাটতো সামনের চুল কাটতো না আবু মাহুজুরা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর সামনের চুলগুলো বড় হতে হতে বড় হতে হতে যখন এত বড় হয়ে
যায় তিনি চুলগুলো পেঁচিয়ে মাথার মধ্যে রাখতেন তারপরে তিনি পাগড়ি পড়তেন সবাই জিজ্ঞেস করতো আবু মাহাজুরা এটা আবার কেমন স্টাইল দেখতে তোমারে কি বিদঘুটে লাগে কেমন অড লাগে কেমন খারাপ দেখা যায় মক্কায় এমন কোন মানুষ তো দেখি নাই ডানে চুল কাটে বায়ে চুল কাটে পেছনে চুল কাটে সামনে কাটে না ওরে আবু মাহজুরা কেমন দেখা যায় তোমারে তুমি সামনের চুল কাটো না কেন আবু মাহজুরা বলে আমি হাঁটু গেড়ে পেয়ারা নবীর সামনে বসেছিলাম আমার এই মাথার চুলের মধ্যে মোবারক হাত লাগিয়ে বিশ্বনবী নিজে আমাকে আযানের প্রতিটা প্রতিটা বাক্য শিক্ষা দিয়েছেন বিশ্বনবীর মোবারক হাত পবিত্র হাত আমার মাথার চুলের যেই
জায়গায় লেগেছে আমি চাই ওই চুলগুলো নিয়ে আমি আমার কবরের ভিতরে যাব সাইয়েদেনা আবু মাহজুরা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু ইন্তেকালের আগের পর্যন্ত মাথার সামনের চুলগুলা কাটে নাই মাথার সামনের চুল তিনি কাটেন নাই সুবহানাল্লাহি বিহামদিহি কেমন ভালোবাসতেন বিশ্বনবী সাহাবীদেরকে সাহাবারা কেমন ভালোবাসতেন বিশ্বনবীকে সামনের চুলগুলো বড় হতে হতে এত বড় ছিল পেঁচিয়ে রেখে পাগড়ি করতেন কাটতেন না নবীর হাত লেগেছিল সুবহানাল্লাহ পড়েন তাহলে হোয়াট ইজ দা লেসন মোরাল অফ দা স্টোরি কি মোরাল অফ দা স্টোরি হচ্ছে আসছিল আযানকে ব্যঙ্গ করার জন্য বিকৃত করার জন্য হয়ে গেল মাসুল হারামের মুয়াজ্জিন দেখেন বিশ্বনবী একটা খারাপ সিচুয়েশনের মধ্য থেকে কি ভালো জিনিস বের
করে আনলেন আমি যে শুরুতে বলেছি কিভাবে তিনি হিউম্যান রিসোর্সকে ডেভেলপ করেছেন ম্যানেজ করেছেন তিনি যে চৌকোশ ট্যালেন্ট হান্টার ছিল দেখেন সবার মধ্য থেকে এরে বাছাই করে মুয়াজ্জিন বানায় দিছেন সুবহানাল্লাহ পড়েন তার মানে এই না সবাইরে ধইরা ধরে উনি মুয়াজ্জিন বানাইছেন যার যেই ট্যালেন্ট আছে তাকে ওই কাজে এসাইন করেছেন যার যেই প্রতিভা আছে তার প্রতিভাকে ইসলামের কাজে লাগিয়েছেন মানুষকে আল্লাহ স্বাধীনতা দিয়েছেন চাইলে মুমিন হতে পারো চাইলে কাফের হতে পারো তোমার ইচ্ছা তবে জেনে রাখো মুমিন হলে পাবা জান্নাত কাফির হলে পাবা জাহান্নাম ডিসিশন সিদ্ধান্ত তোমার জান্নাতে যাবা না জাহান্নামে যাবা যশোরের ভাইয়েরা আওয়াজ করে বলুন কই যেতে
চান জান্নাতে না জাহান্নামে ডানদিকে না বামদিকে ডানপন্থী না বামপন্থী বামপন্থী চিল্লাচিল্লি না চুপচাপ চুপচাপ চুপচাপ কইয়া আবার চিল্লাচিল্লি শুরু করে দিছে মাশাআল্লাহ তাহলে কোরআনের কেন্দ্রীয় আলোচ্য বিষয় মানুষ আমার সাথে থাকতে হবে তোমাদেরকে নিয়ে আমি আলোচনার শেষ পর্যন্ত যাব অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বাকি আছে আমাকে সহযোগিতা করতে হবে মাশাল্লাহ এইতো ঠান্ডা হয়েছে হ্যাঁ ঠিক আছে ঠিক আছে ঠিক আছে মানুষকে আল্লাহ এত স্বাধীনতা দিয়েছেন মানুষ চাইলে অনেক ভালো হইতে পারে ভালোর রাস্তাও খোলা খারাপ হওয়ার রাস্তাও খোলা ভালো হলে মানুষ অনেক ভালো খারাপ হলে অনেক খারাপ ভালো হলে সবচেয়ে ভালো খারাপ হলে সবচেয়ে খারাপ এজন্য সিদ্ধান্ত আপনাকে নিতে হবে
আল্লাহতালা [মিউজিক] বলছেন আমি মানুষকে অনেক সুন্দর সুন্দর আকৃতিতে সৃষ্টি করেছি তার শুধু চেহারার ডিজাইনটাই সুন্দর নয় তার ব্রেইনটা বড্ড সুন্দর তার মানসিকতা বড্ড সুন্দর তার সৃজনশীলতা বড্ড সুন্দর পড়েন সুবহানাল্লাহ আমাদের চেহারা অবয়ব ডিজাইন যে সুন্দর তা না আমাদের ব্রেইনটা অনেক সফিস্টিকেটেড ব্রেইন অনেক সফিস্টিকেটেড এই দেড় কেজি ব্রেইন ইউজ করে মানুষ গোটা বিশ্বে সভ্যতা বিনির্মাণ করেছে ঠিক কিনা এই আল্লাহতালা আমাকে দিয়েছে এটারে কাজে লাগালে আপনার সিক্স সেন্স কাজে লাগালে আপনি অনন্য মানুষ হয়ে উঠবেন মহামানবে রূপান্তরিত হবেন মানুষ হতে পারে চাইলেই মহামানব হতে পারে আবার যদি মানুষ চায় খারাপও হতে পারে আল্লাহ বললেন শুধু ভালোই না ভালো
হতে চাইলে অনেক ভালো তুমি হতে পারো আবার খারাপ হতে চাইলে অনেক খারাপ তুমি হতে পারো খারাপ হলে একেবারেও খারাপ হতে পারো নিকৃষ্ট হলে একেবারে নিকৃষ্ট হতে পারো ভালো হলেও ভালো হতে পারো কন সুবহানাল্লাহ এবার আওয়াজ করে বলুন ভালো হতে চাই না খারাপ শ্রেষ্ঠ না নিকৃষ্ট মানুষ ভালো হলে মানুষ ফেরেশতার চেয়েও ভালো মানুষ খারাপ হলে সে পশুর চেয়েও খারাপ ঠিক কথা ঠিক কিনা বলেন ভালো হলে ফেরেশতার চেয়েও ভালো খারাপ হলে পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট তার মানে শ্রেষ্ঠত্বে মানুষ শ্রেষ্ঠত্বে ফেরেশতাকে হার মানায় আর অধঃপতনে শ্রেষ্ঠত্বে ফেরেশতাকে ছাড়িয়ে যায় আর অধঃপতনে পশুকেও হার মানায় আই রিপিট আমি আবারো বলছি
মানুষ শ্রেষ্ঠত্বে ফেরেশতাকে ছাড়িয়ে যায় আর অধঃপতনে সে পশুকেও আওয়াজ করে বলতে হবে ঠিক কিনা এটার প্রমাণ কি মানুষ শ্রেষ্ঠ হলে যে ফেরেশতার চেয়েও সেরা তার প্রমাণ কি আল্লাহতালা [মিউজিক] বলছেন আল্লাহ বলেন স্মরণ করো সে সময়ের কথা যখন আমি ফেরেশতাদেরকে বললাম ফেরেশতারা আদমকে সেজদা দাও সব ফেরেশতারা সম্মানসূচক সেজদা আদমকে দিল তারা আদমের জন্য সেজদায় লুটিয়ে পড়লো একজন ছাড়া তার নাম ইবলিশ আওয়াজ করে বলেন তার নাম কি ইবলিশ সে অহংকার প্রদর্শন করলো সে কাফের হয়ে গেল বাকি সব ফেরেশতারা সেজদা দিল সুবহানাল্লাহ আবার আদম আলাইহিস সালামকে আল্লাহ জিজ্ঞেস করলেন সব বলে দিল উত্তর কিন্তু ফেরেশতাদেরকে একই প্রশ্ন জিজ্ঞেস
করলেন তারা উত্তর করতে পারে নাই তার মানে এর মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয় মানুষ ভালো হলে ফেরেশতার চেয়েও ভালো ফেরেশতার চেয়েও মানুষের মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছে কে সব নূরের ফেরেশতা যখন মাটির আদমকে সেজদা দেয় এটা প্রমাণ করে ফেরেশতার চেয়েও মানুষের মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছে কে তুমি মাটির আদমকে প্রথম সৃষ্টি [প্রশংসা] করিয়া ঘোষণা করিয়া দিলে শ্রেষ্ঠ বলিয়া তাইতো নূরের ফেরেশতা করে আদমকে সেজদা ঠিক কিনা বলেন তাইতো নূরের ফেরেশতা করে আদমকে সেজদা সবার চেয়ে সম্মান দিলে মাটির আদমকে আল্লাহু আল্লাহু তুমি জাল্লে জালালুহু শেষ করা তো যায় না গেম গুনগান পড়েন না পড়েন আল্লাহু আল্লাহু তুমি জাল্লে জালালুহু শেষ করা তো
যায় না গেম গুণগান আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু আকবার আদমের মর্যাদা বেশি মানুষের মর্যাদা বেশি মানুষ শ্রেষ্ঠ তার প্রমাণ নূরের ফেরেশতা মাটির আদমকে সেজদা করে আওয়াজ করে বলেন ঠিক কিনা তাহলে মানুষ ভালো হলে ফেরেশতার চেয়ে ভালো আবার মানুষ যদি খারাপ হয় সে পশুর চেয়েও খারাপ অধঃপতনে পশুত্বকে হার মানায় তার প্রমাণ তার প্রমাণ কি তার প্রমাণ হচ্ছে যশোরের ভাইয়েরা দেখবেন পত্রিকায় পত্রিকায় নিউজপেপারে মাঝে মাঝে এরকম দেখা যায় এক মানুষ আরেক মানুষকে হত্যা করে 20 টিকরা 20 টুকরা করে বস্তার ভেতরে পড়েছে ঠিক আপনারা এই নিউজ পড়েন নাই না দেখেন নাই দেখছেন মানুষ মানুষকে হত্যা করে কয় টুকরা জোরে বলেন
এখানেই ক্ষান্ত হয় নাই আবার কোথায় ভরছে বস্তার ভেতরে আচ্ছা বুঝে থাকলে আওয়াজ করে বলেন কোনদিন শুনছেন একটা হাতি আরেকটা হাতিকে হত্যা করে বিষ টুকরা করছে এরপরে বস্তার ভিতরে ভরছে হইছে তাইলে দেখেন মানুষ যদি খারাপ হয় সে পশুকেও হার মানায় চিল্লায় বলো ঠিক কিনা এমনও দুশ্চরিত্র মানুষ আছে যার বদ নজর থেকে যার নজর থেকে ছয় মাসের ছোট্ট মেয়ে থেকে শুরু করে 80 বছরের বৃদ্ধারাও নিরাপদ নয় ঠিক পশুকেও হার মানে মানুষ মানুষের ঘর জ্বালিয়ে পুড়ে মেশাকার করে দেয় জনপদের পর জনপদ জ্বালায় দেয় এরকম আছে না নাই প্রিয় ভাইয়েরা চোখ আর নাক মুখ থাকলেই মানুষ না যা সামনে
দেখেন এগুলো সব মানুষ না এগুলো জনসংখ্যা এগুলো কি সবাই বলুন এগুলো কিং বাড়ছে জনসংখ্যা কমছে মানুষ বাড়ছে জনসংখ্যা কমছে মানুষ এই এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই মানুষ নামের মানুষ আছে দুনিয়া বোঝায় সেই মানুষের ভিড়ে আমার আসল মানুষ নাই ঠিক কিনা ঠিক আসল মানুষের বড্ড অভাব আসল মানুষের বড্ড অভাব আমার ভাইয়েরা মানুষ খারাপ হলে পশুকেও হার মানায় তাহলে আমরা বুঝলাম মানুষ ভালো হলে অনেক ভালো খারাপ হলে অনেক খারাপ ও আমার কলিজার টুকরা যশোরের ভাইয়েরা আসুন না তিন দিনব্যাপী এই তাফসীরুল কোরআনের ঐতিহাসিক প্রোগ্রাম থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নেই আমরা ভালো মানুষ হব নাকি খারাপ মানুষ
হব কলিজা থেকে প্রাণ থেকে আওয়াজ করে সবাই বলুন ভালো মানুষ নাকি খারাপ মানুষ ভালো মানুষ হইতে হবে ভালো মানুষ যারা জগতটাকে এনলাইটেন করবে যারা এনলাইটেন করবে যারা সত্যের বীর সেনানী হয়ে দাঁড়াবে যারা সত্যের পক্ষে কথা বলবে যারা জালিমের মসনদকে ভেঙে খান খান করে দেবে এরকম হওয়ার দরকার আছে না নাই এরকম ভালো মানুষ আমরা হতে চাই কি চাই না মানুষকে যত্ন নিলে মানুষ যে কত ভালো হয় আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না এই যে আপনাদের যশোর যে ভালো ছেলেগুলো আছে যেই ভালো তরুণগুলো আছে যে যুবকগুলো আছে যে ভালো আলেমরা আছে ভালো নেতারা আছে সবাই যদি তাদের মত
হতো পুরো যশোরটা একটা জান্নাতের টুকরা হয়ে যেত আওয়াজ করে বলেন ঠিক কিনা মানুষকে নার্চারিং করলে মানুষকে পলিশ করলে মানুষকে গ্রুমিং করলে মানুষকে সঠিক তারবিয়া দিলে মানুষ অনন্য হয়ে ওঠে প্রতিটি মানুষ অনন্য আমি অনন্য আপনি অনন্য আমরা সবাই অনন্য সুবহানাল্লাহ বলেন মানুষকে আল্লাহতালা দিয়েছেন অসীম ক্ষমতা অসীম ক্ষমতা সুবহানাল্লাহ একটা মানুষ পারে না এমন কিছু নাই একটা মানুষ পারে না এমন কিছু নাই বিশ্বাস করতে হবে মানুষ যা কল্পনা করতে পারে ওইটা মানুষ করে দেখাতে পারে মানুষ যা কল্পনা করতে পারে সেটা মানুষ করে দেখাতে পারে তুমি তোমার কল্পনার রাজ্যকে সাজাও তোমাকে হারাতে পারে এমন কোন শক্তি আল্লাহর জমিনে
নাই তোমার কি শক্তি কি সম্ভাবনা তুমি জানোই না মিয়া তুমি এদিকে তাকাও কেন তোমার রাস্তা তো ওই দূরে তুমি কোথায় যাবা আল্লাহ তোমারে টেনে কোথায় নিয়ে যাবে তুমি কিছুই জানো না প্ল্যান বিগ বিগ কল্পনার শক্তিকে বড় করো মানুষ যা কল্পনা করতে পারে মানুষ তা করে দেখাতে পারে মানুষের কাছে অসাধ্য কিছু নাই মৃত্যু ছাড়া মৃত্যু ছাড়া মানুষ সবকিছুকে জয় করতে পারে মৃত্যু ছাড়া যেকোনো অসাধ্যকে সাধন করার ক্ষমতা মানুষকে দিয়ে দিয়েছে কে হারার জন্য তোমার জন্মই হয় নাই তোমার জন্ম হয়েছে জিতার জন্য বিজয়ের জন্য তোমার জন্ম মানুষের শুরুটাই হয় বিজয় দিয়ে যশোর আওয়াজ করে বলো মানুষের শুরু
হয় কি দিয়ে আমরা যখন আমার পিতার পৃষ্ঠদেশে ছিলাম পিতার পৃষ্ঠ দেশ থেকে শুক্রাণু যখন মায়ের গর্ভে যেয়ে পড়ে কতটা শুক্রাণু ভ্রমণ শুরু করে জানো 20 কোটি শুক্রাণু একবার সিমেন্ট আউট হলে সেখানে 20 কোটি শুক্রাণু থাকে ভ্রমণ শুরু করে ওই 20 কোটি শুক্রাণুর মধ্য থেকে তুমি আমি আজকে এক বিকশিত শুক্রাণু মানবরূপে পৃথিবীতে এসেছি সুবহানাল্লাহ ওই 20 কোটি শুক্রাণুর প্রতিযোগিতায় সবাইরে পেছনে ফেলে সেদিন আমি সফল হয়েছিলাম সেদিন আমি বিজয়ী হয়েছিলাম সেদিন আমি এত ছোট ছিলাম মাইক্রোস্কোপ দিয়েও আমার অস্তিত্ব টের পাওয়া যায় না আমি এত তুচ্ছ ছিলাম নগণ্য ছিলাম আমার কান ছিল না আমার চোখ ছিল না আমার
হাত ছিল না আমার জন্য রিকমেন্ডেশন করার মত মামু ছিল না খালা ছিল না কেউ ছিল না তারপরেও ওই প্রতিযোগিতায় ওই কম্পিটিশনে যখন আমারে কেউ হারাতে পারে নাই আল্লাহর জমিনেও আমারে কেউ হারাতে পারে না হারার জন্য তোমার জন্ম হয় নাই তুমি আসছো জিতার জন্য সুবহানাল্লাহ বিশ্বনবী বলেন পিপল লাইক মাইন্ড অফ গোল্ড এন্ড সিলভার সোনার খনি রুপার খনি এর চেয়েও বড় খনি হচ্ছে এই মানব সম্পদের খনি আওয়াজ করে বলেন আল্লাহু আকবার আল্লাহতালা এই সম্পদ আমাদেরকে দিছে বিশ্বনবী বলেন মানুষ হচ্ছে খনির মত ফিল জাহেলিয়াতিহুম ফিল ইসলাম জাহেলি যুগে যারা সেরা ইসলামেও তারা সেরা যদি তারা বুঝবান হয় তাহলে
তাদেরকে সেরা বানায় দিবে কে তাহলে মানুষের চেয়ে সেরা কেউ হতে পারে মানুষের চেয়ে অনন্য কেউ হতে পারে মানুষকে কেউ হারাতে পারে আওয়াজ করে বলো তোমাকে কেউ হারাতে পারবে এই সাহস জাগছে আজকের আলোচনা থেকে আমি তুমি অনন্য আমাকে তোমাকে হারায় দেওয়া এত সহজ না ঠিক কিনা ঠিক একটা কথা জীবনের সাথে সেট করে নিতে হবে আমি জিতি নয় শিখি আমি কখনো হারি না ঠিক জীবনের সাথে সেট করে নাও জেনজি অফ জেসর আমি কখনো হারি না আমি হয় জিতি নয় শিখি চিল্লায় বলো ঠিক কিনা ঠিক আমি কখনো হারি না আমারে হারানো এত সোজা না কি সাহস জাগছে বুকে
সাহস জাগছে তাকবীর পড়ো লিল্লাহে তাকবীর তাহলে বিশ্বনবী বললেন মানুষ হচ্ছে খনি এই ধাক্কাধাক্কি আমি জানি এগুলো ভালোবাসার ধাক্কাধাক্কি এজন্য আমি সহ্য করি নেই এগুলো যে ভালোবাসার ধাক্কাধাক্কি এটা আমরা বুঝি পৃথিবীর কোন আইন সিকিউরিটি প্রোটোকল দিয়ে এটারে মানানো যাবে না কারণ এটা তো ভালোবাসা লাভ লাভ কোন আইন-কানুন দিয়ে বাঁধা যায় না মানানো যায় না ঠিক কিনা বলো ঠিক ঠিক আছে বসুন বসুন বসুন আল নাসু মাদেন মানুষ হচ্ছে খনি এই খনির যত্ন নিতে হবে আমার মা-বাবা যারা এসেছেন আপনার ছেলেমেয়ের যত্ন নেন আপনার ছেলের মধ্যে যে কি পটেনশিয়াল আপনি জানেন না আপনার এই ছোট্ট অবুঝ ছেলেটাই আগামী দিনের
শায়েখ আহমদুল্লাহ হবে আপনার হেফজখানায় পড়া ওই ছোট্ট ছেলেটাই আগামী দিনের আল্লামা মামুনুল হক হবে আপনার ওই ছেলেটা আমির হামজা হবে আব্দুল হাই সাইফুল্লাহ হবে এভাবে বড় বড় আলেম হবে তারা যুগ শ্রেষ্ঠ আলেম হবে সেই একদিন এই বাংলাদেশের পার্লামেন্টে যেয়ে বক্তব্য দিয়ে যশোরের পক্ষে কথা বলবে আপনি জানেন না কাউকে ছোট করবেন না আপনি ওর কনফিডেন্স আপনি কমাবেন না আপনি কমাতে পারেন না প্যান্ডেলে আমার যে মা-বোনেরা আছেন ছেলেমেয়েদেরকে কখনো ছোট করে কথা বলবেন না ও যে কোথায় যাবে আপনি জানেন না আপনি মা হয়ে তাকে সাহস দেবেন তার কল্পনার জগতটাকে সাজাতে তাকে উৎসাহিত করবেন ঠিক কিনা বলেন আর
আমার প্যান্ডেলের আমার শ্রদ্ধাশীলা মায়েরা বোনেরা আপনারা তো আরো দামি সম্পদ বিশ্বনবী বলেন দুনিয়া আল্লাহ বিশ্বনবীর কথার ওজন দেখেন দুনিয়া বিশ্বনবী বলেন দুনিয়ায় যা দেখো সব আল্লাহর দেওয়া অ্যাসেট মানে সম্পদ আর এত অ্যাসেটের ভিড়ে সবচাইতে শ্রেষ্ঠ সম্পদ হচ্ছে নেককার [প্রশংসা] নারী ভাইয়েরা বোনের সাথে খারাপ আচরণ করো না সন্তান মায়ের সাথে খারাপ আচরণ করো না আমাদের মায়েরা আমাদের অ্যাসেট দে আর আওয়ার প্রাইসলেস অ্যাসেট কারণ এই মায়েদের পেটে এসেছে আল্লাহর ওলিরা এই মায়েদের পেটে এসেছে খানজাহান আলী ঠিক এই মায়ের পেটে এসেছে শাহজালাল ইয়ামানি এই মায়ের পেটে এসেছে আল্লাহর সব নবীরা নাকি নবীরা আকাশ থেকে ধপ করে জমিনে নেমে
আসছে মায়ের পেটে আসছে এই মায়ের পেটগুলো খনি আমার সম্মানিত মায়েরা বোনেরা নিজেকে ইসলাম দিয়ে সাজান নিজেকে ইসলাম দিয়ে সাজান নিজেকে পবিত্র রাখুন নিজের আব্রু ঈমান ইজ্জতের হেফাজত করুন কোরআন পড়ুন সুন্নাহ পড়ুন আপনি জানেন না আপনার গর্ভে কে আসছে কোন ক্ষণজন্মা পুরুষকে আল্লাহতালা আপনার গর্ভে পাঠাবে আপনি জানেন না মায়েরা নিজেদেরকে পবিত্র রাখুন ইসলাম চর্চা করুন কোরআন চর্চা করুন নৈতিকতা দিয়ে নিজেকে সাজান যশোরের জেনজি নিজেদেরকে প্রস্তুত রাখো আগামীর বাংলাদেশের জন্য নৈতিকতা মোরালিটি ভ্যালুস দিয়ে নিজেকে সাজাও ইসলাম দিয়ে নিজেকে সাজাও কারণ আগামীর বাংলাদেশ ইসলামের বাংলাদেশের আসল পরিচয় ইসলাম বাংলাদেশের আসল পরিচয় কি সবাই বলে না বাংলাদেশের আসল পরিচয়
কি ইসলাম এই ইসলাম নিয়ে আমরা সংসদ ভবন সাজাবো রাজি আছি না নাই শেকর ভুলে যাওয়া যাবে না আমরা ধাপে ধাপে সারিয়া আইনের দিকে যাব ইনশাআল্লাহ কিন্তু জঙ্গিবাদ দিয়ে নয় কট্টরপন্থা দিয়ে নয় আমরা ইন্টেলেকচুয়ালি গ্রাজুয়ালি ধাপে ধাপে সারি আইনের দিকে মুভ করবো ইনশাআল্লাহ বলো লিল্লাহে তাকবীর আল্লাহু আকবার এদেশের আসল পরিচয় সবাই বলে না আওয়াজ করে এদেশের আসল পরিচয় এদেশে আযান শুনে সূর্য ওঠে শহর গ্রামে এদেশে আযান শুনে সূর্য ডুবে সন্ধ্যা নামে এদেশে সকল কাজে সবাই বলে বিসমিল্লাহ এদেশে ভালো কিছু দেখে শুনে হাসিমুখে সবাই বলে মাশাআল্লাহ সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ ও নবীন তরুণ
তোমার কিসের এত ভয় জেনে রেখো বাংলাদেশের আসল পরিচয় বাংলাদেশের আসল পরিচয় ইসলাম আওয়াজ তুলে বলো আসল পরিচয় কি ইসলাম এদেশে পরস্পরে দেখা হলে দেয় সালাম এদেশে আম জনতার হৃদয় জুড়ে পাক্কালাম ঠিক কিনা এদেশে বিপদ এলে সর্বজনে সর্বক্ষণে দোয়া পড়ে ইন্নালিল্লাহ সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ এদেশে আজান শুনে সূর্য ওঠে শহরগ্রামে এদেশে আজান শুনে সূর্য ডুবে সন্ধ্যা নামে এদেশে সকল কাজে সবাই বলে বিসমিল্লাহ এদেশে ভালো কিছু দেখে শুনে হাসি মুখে সবাই বলে মাশাআল্লাহ সুবহানাল্লাহ আওয়াজ করে সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ সবাই একসাথে সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ এদেশের আসল পরিচয় কি আওয়াজ করে বলতে ভয় লাগে এদেশের আসল পরিচয়
কি ইসলাম দিয়ে আমাদের সংসদ ভবন চলুক আমরা চাই কি চাই না বঙ্গভবনে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর পতাকা উড়ুক আমরা চাই কি চাই না প্রতিটি জেলা অফিসে ডিসি অফিসে লা ইলাহার পতাকা ঝুলুক আমরা চাই কি চাই না কারা কারা চাই হাত তুলে আল্লাহরে দেখাই [প্রশংসা] মাশাআল্লাহ মাশাল্লাহ মাশাল্লাহ মাশাল্লাহ যশোর আওয়াজ করে বলো ভালো মানুষ না খারাপ মানুষ বুঝে বলছো তো মানুষ ভালো বলে যে কত ভালো এই মানুষকে যত্ন নিলে মানুষকে মানুষ বানালে যে সে কি হতে পারে শুনবা নাকি মোনাজাত দিয়ে দিব শুনবা তাহলে থামতে হবে থামো আমি যখন বলব থামো থামো তাকবীরের সময় দিলে তাকবীর থামো থামো
মানুষকে যত্ন নিলে এই এদিকে এদিকে ড্রোন নামায় ফেলো হয়েছে ড্রোনের ফুটেজ হয়ে গেছে এবার ড্রোন নামায় ফেলো আমার দিকে তাকাও মানুষকে তোমরা এদিক সেদিক তাকালে তো গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট মিস হয়ে যাবে এদিকে এদিকে হ্যাঁ ঠিক আছে এদিকে মানুষকে যত্ন নিলে মানুষের মধ্যে যে আল্লাহ কি পটেনশিয়াল রেখেছে আমি জাপানের দুইটা উদাহরণ দেই জাপানের আল্লাহ 2022 সালে জাপানের সাথে জার্মানির খেলা ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ 2022 একপক্ষে জাপান আরেক পক্ষে কোন দেশ কথা শোনে নাই একপক্ষে কোন দেশ আরেক পক্ষে সবাই একপক্ষে আরেক পক্ষে ওই খেলায় জিতেছিল জাপান জিতেছিল 22 সালের এই ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপে জাপান ফুটবল খেলায় জিতে পার্ট অফার
সেলিব্রেশন তারা খেলার পরে পুরো স্টেডিয়ামটারে ক্লিন করে ফ্যান বেইজ অফ জাপান লক্ষ লক্ষ মানুষ খেলা দেখতে যায় তো এত ডাস্টবিনও তো নাই তো যারা জায়গা পায় নাই তারা এই যে চকলেটের প্যাকেট পানির বোতল চিপসের প্যাকেট তারা এদিকে সেদিকে রেখে দিয়েছে জাপানের ভক্তরা জাপানের ফলোয়াররা পার্ট অফার সেলিব্রেশন তারা খেলার পরে পুরো স্টেডিয়ামের সব ময়লা আবর্জনা ক্লিন করে তারপরে বিদায় নিয়েছে তাদেরকে কি ক্লিন করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল এই যশোর জাপানের যে ছেলেরা খেলা দেখতে গেছিল ওদেরকে কি ক্লিন করার দায়িত্ব দিছিল না তারা কি স্টেডিয়ামের পরিচ্ছন্নতা কর্মী না তাদের আকল তাদের সিক সেন্স তাদেরকে বলেছে ছোটবেলা থেকে জাপান
গভমেন্ট ওদেরকে এত পরিচ্ছন্নতা শেখায় ক্লিনলিনেস এওয়ারনেস ক্যাম্পেইন করায় ক্লাসে আমি দেখেছি ক্লাসে নিজের ব্যান্ড নিজে মুছে ক্লাসের মাঝখানে একটা সময় দেয় নিজের টেবিল নিজে মুছে নিজের ক্লাসরুমটা নিজে পরিষ্কার করে রাস্তাঘাটে একটা ধুলা নাই ময়লা নাই একটা টিস্যু নাই খেলার পরে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে জাপানের ফ্যানরা সবার রেখে যাওয়া গার্বেজ টিস্যু বোতল পরিষ্কার করে তারপরে স্টেডিয়াম থেকে বিদায় নিয়েছে আমরা কেন এমন হইতে পারলাম না আমরা কেন এমন হইতে পারলাম না জাপানের যারা এগুলো করছে ওদের তিনটা করে চোখ না চোখ তো তিনটা জাপানওয়ালা জাপানওয়ালা হাত তো চারটা কান তো ছয়টা নাকি আমার মত দুই হাত দুই
কানওয়ালা মানুষ চোখে দেখলে ওটা মানুষ না চিন্তা করছেন তার মানে জাপানিজদেরকে যে গ্রুমিং করে শিখানোর মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন বানানো গেছে ওরা যেমনি মানুষ আমরাও মানুষ আমাদের সন্তানদেরকে শেখালে তারাও পারবে পারবে কিনা দুই নাম্বার উদাহরণ বলি চট্টগ্রাম ফেনীতে যারা গিয়েছেন মেঘনা গমী ব্রিজ প্রকল্প নাম শুনছেন মেঘনা একটা ব্রিজ পার হওয়া লাগে এই মেঘনা গোমতি এখানে তিনটা ব্রিজ কাজপুর সহ এই তিনটা ব্রিজের নির্মাণ কাজ রেনোভেশনের কাজ দেয়া হয়েছিল জাপানের একটা কোম্পানিকে কাকে জাপানের কোম্পানির নির্মাণ শেষে 738 কোটি টাকা বেঁচে গেছিল এটা গভর্মেন্টের হাতে দিয়ে তারা বিদায় নিয়েছে কত টাকা 738 কোটি টাকা যত প্রাক্কলিত ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে
সব টাকা সরকার তৎকালীন সরকার 2019 এর সরকার কারা ছিল তো জানেন এই 2019 এর সরকার তাদেরকে দিয়েছে তারা রিনোভেশন নির্মাণ শেষে 738 কোটি টাকা অতিরিক্ত বেঁচে গেছিল এটা আবার গভমেন্টের হাতে বুঝায় দিয়ে তারা বিদায় নিচ্ছে আমরা কেন এমন হইতে পারলাম না জাপানের ওরাও মানুষ আমরাও মানুষ তার মানে মানুষে মানুষে পার্থক্য আছে না নাই আচ্ছা জাপানের দুইটা উদাহরণ দিলাম এবার আমার দেশের দুইটা উদাহরণ দিব না বাংলাদেশের দুইটা উদাহরণ দেই এক নাম্বার উদাহরণ গত সপ্তাহে আপনারা জানেন কক্সবাজারে আমার একটা প্রোগ্রাম ছিল তো হেলিকপ্টারে গিয়েছিলাম ফেনী জেলা যখন পার হচ্ছি আমি দেখলাম তিনটা উইন্ডমিল উইন্ডমিল চিনেন তো বিশাল
পিলার তিনটা চারটা পাখা থাকে বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশের প্রথম বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র এটা মুহুরি প্রজেক্ট বলে ওটারে সম্ভবত মুহুরি প্রজেক্ট তো সাগরের বাতাসের ঝাপটায় এটা ঘুরে এনার্জি হয় ইলেকট্রিসিটি উৎপাদন হয় তো আমি পাইলট কে বললাম ভাই এগুলো থেকে কেমন ইলেকট্রিসিটি উৎপাদন হয় কয় হুজুর একটু হয় না কিছুই হয় না কিছুই হয় না মানে বলে হুজুর বাংলাদেশে যত উইন্ডমিল আছে এটার পাখা একটাও ঘুরে না আল্লাহ বলেন কি তাহলে এই যে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে যে উইন্ডমিল কয় হুজুর ভিতরে ফিটফাট উপরে ফিটফাট ভিতরে সদরঘাট তার মানে কোটি কোটি টাকা দিয়ে উইন্ডমিল বানায় এখানে কিছু নাই দুর্নীতির আড্ডাখানা আখরাখানা
বাংলাদেশ ঠিক কিনা বলেন হায়রে জাপানিজরাও মানুষ আমরাও মানুষ আমার এক নিকত্মীয় সরকারি চাকরিজীবী উনি আমাকে বললেন বাংলাদেশের আরেকটা উদাহরণ দেই উনি আমাকে বললেন যে প্রতিবছর আমাদের অফিসের ফার্নিচার চেঞ্জ করে আমি বললাম প্রতিবছর ফার্নিচার চেঞ্জ করে কেন বলে যে ফার্নিচার নতুন পারচেস করলেই তো ওইখানে টাকা নতুন কিনতে পারলেই টাকা নতুন উন্নয়নের সবক শোনাতে পারলেই টাকা প্রথম আলোর রিপোর্ট কি আলো প্রথম আলোর রিপোর্ট গত 15 বছরে উন্নয়নের নামে লুটপাট হয়েছে প্রায় পৌনে তিন লাখ কোটি [মিউজিক] টাকা কার রিপোর্ট আমাদের বানানো কথা প্রথম আলোর রিপোর্ট গত 15 বছরে কারা ছিল জানেন তো হ্যাঁ শুধু উনাদেরকেই দোষ দিয়ে লাভ
নাই স্বাধীনতার পর থেকে শুধু শাসকের হাত বদল হয়েছে আমরা কিছু পাই নাই ঠিক কিনা বলেন ঠিক শুধু উনাদের দোষ দিয়ে কি লাভ একদল খাইছে আরেক দল খাওয়ার জন্য রেডি হয়ে আছে ঠিক আমরা এরকম চাই না আমরা চাই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ ঠিক আমরা চাই দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ ঠিক আমি নিউজটা যে কতবার পড়লাম এটা কি সম্ভব পৌনে তিন লাখ কোটি টাকা লুটপাট মানে লুটপাট করতে করতে এদেশের জনগণকে ফুটপাতে বসায় দিছে ঠিক প্রিয় ভাইয়েরা জাপানের মানুষও মানুষ আমরাও মানুষ সিদ্ধান্ত আপনার কোন মানুষ হবেন ভালো মানুষ না খারাপ মানুষ আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে মানব সম্পদের উন্নয়ন হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট প্রসেস
ইনক্রিস ক্যাপাসিটি অফ নলেজ স্কিল ক্যাপাসিটি অফ দা পিপল অফ কান্ট্রি একটা দেশের মানুষের জ্ঞান তাদের দক্ষতা কি করে বাড়ানো যায় বাড়িয়ে দেশের উন্নয়ন করানো যায় এটাই হচ্ছে মানব সম্পদ উন্নয়নের মূল কথা তাহলে মানব সম্পদ হচ্ছে একটা দেশের সবচাইতে শক্তিশালী পুঁজি প্রাকৃতিক সম্পদ খনিজ সম্পদের চেয়েও দামি হচ্ছে মানব সম্পদ আমার প্রিয় যশোর প্রাকৃতিক সম্পদ খনিজ সম্পদের চেয়েও দামি সম্পদ কি সম্পদ আল্লাহতালা দয়া করে আমাদেরকে এই মানব সম্পদ দিয়েছেন আসুন আমাদের এই মানুষগুলোকে আমরা সোনার মানুষ বানাই রাজি আছেন তো সবাই রাজি আছেন মানুষ পারে না এমন কোন কিছু নাই চাইলে সব পারে এজন্য মানুষকে তার বিয়া দিতে
হবে যথাযথভাবে তাদেরকে গড়তে হবে আসুন আমরা সিরাতের আয়নায় বিশ্বনবীর জীবনী থেকে দেখি তিনি কিভাবে হিউম্যান রিসোর্স কে ম্যানেজ করতেন যদি আপনাদের সময় হয় দুই একটা উদাহরণ দিয়ে আজকে আমি আমার আলোচনার বিদায় নিব হবে সময় হবে কয়েক মিনিট শেষ কথা শেষের দিকে চলে আসছি বিশ্বনবী কিভাবে হিউম্যান রিসোর্স কে ম্যানেজ করতেন মজার কথা আছে কয়েকটা বলে বিদায় নিব বিশ্বনবী কিভাবে এই মানব সম্পদকে ম্যানেজ করতেন বিশ্বনবী হিজ ভেরি গুড ট্যালেন্ট হান্টার চৌকোশ ট্যালেন্ট হান্টার ছিল কার মধ্যে কি ট্যালেন্ট আছে দেখলেই বুঝে ফেলতেন সুবহানাল্লাহ পড়বেন না কি নবী আমরা পেয়েছি ভেরি গুড ট্যালেন্ট হান্টার আমার নবী তিনি চৌকোষ ট্যালেন্ট
হান্টার ছিলেন কার মধ্যে কি প্রতিভা বের করতেন ওই প্রতিভাকে ইসলামের কল্যাণ কাজে লাগাতেন সুবহানাল্লাহ বলেন যাকে যেই জায়গায় সেট করলে ভালো হবে তাকে ওই জায়গায় সেট করতেন কয়েকজন সাহাবীর জীবনী শোনাই আবু মাহজুরা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু মক্কার মুয়াজ্জিন আগে ছিল মুশরিক পরে হইছে মুমিন উনি কিভাবে মুমিন হইলেন এই ঘটনাটা একটু আপনাদের শোনাতে চাই রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু কিভাবে মুসলিম হলেন আওয়াজ করে শোনেন অষ্টম হিজরী কত হিজরী সবাই বলেন না একটু কত হিজরী অষ্টম হিজরীতে হুনাইনের যুদ্ধে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফিরে আসতেছেন মদিনায় পথিমধ্যে বেলাল রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু আজান দিচ্ছেন কি দিচ্ছেন তো পাশে ছিল মুশরিকদের একটা পল্লী
কিছু মুশরিক তরুণ কিছু অমুসলিম কিশোর তারা আযানকে ব্যঙ্গ করতেছে আমাদের বাংলায় মুখ ভেঙ্গানো বলে আর কি বেলাল রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু আজান দিচ্ছেন ওই বাচ্চাগুলো মুশরিক তো ওরা আযানকে ব্যঙ্গ করতেছে বিকৃতি করে ওরাও আজান দিচ্ছে উদ্দেশ্য হচ্ছে আযানকে নিয়ে ঠাট্টা করা উদ্দেশ্য কি ঠাট্টা করা ব্যাপারটা মনে কষ্ট পাওয়ার মত ব্যাপার না কিন্তু বিশ্বনবী ওইখানে দেখেন কি খুঁজলেন বিশ্বনবী খেয়াল করলেন অমুসলিম কিশোরদের মধ্য থেকে একটা কিশোরের গলাটা বড় দরাজ গলা কণ্ঠটা বড় সুন্দর খেয়াল করে দেখলেন যে কিশোর কিছু কিশোর বেলালের আজানকে ব্যঙ্গ করে বিকৃতি করে কিন্তু একজনের কন্ঠ দেখতে পাচ্ছেন না এতদূরে কিন্তু কন্ঠটা বড় সুন্দর দরাজ
গলা বিশ্বনবী সাহাবীদেরকে বললেন ধরো এগুলারে ধরো সবগুলারে ধরে বিশ্বনবীর সামনে আনা হলো ওরা হাঁটু গেড়ে বসলো বিশ্বনবী বললেন তোমাদের মধ্যে কে যেন ব্যঙ্গ করে আজান দিচ্ছিলা তার গলাটা বড় উঁচু গলার বেইসটা বড় মজবুত মেলোডিয়াস সুমধুর কণ্ঠ কে আবু মাহুজুরা বলে আমার বন্ধুরা সবাই আমার দিকে আঙ্গুল দেখায় আমি পড়ে গেছি বিপদে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাকি অমুসলিম তরুণদেরকে ছেড়ে দিলেন বললেন তোমরা যাও এবার আবু মাহাজুরারে পাইছে আবু মাহজুরার চুলের মধ্যে হাত দিলেন বিশ্বনবী মাথায় হাত দিয়ে বললেন এবার আযান দাও দেখি আবু মাহাজুরা বলে আমি তো আযান দিতে জানিনা কারণ আমি তো বেলালেরটা শুইনা শুইনা দিছি আমার
তো মুখস্ত নাই আমি তো আজান দিতে জানিনা বিশ্বনবী বললেন জানো না তাহলে আসো আমি তোমারে শিখায় দেই সুবহানাল্লাহ পড়েন আবু মাহজুরা হাঁটু গেড়ে বসে বিশ্বনবীর মোবারক হাত আবু মাহাজুরার চুলের মধ্যে বিশ্বনবী আযানের মুয়াল্লেম আবু মাহাজেরাকে বলতেছে ঠিক আছে তোমারে শিখায় দিচ্ছি আমি যা যা বলবো আমার সাথে সাথে বলো পারবা আবু মাহাজুরা বলে পারবো বিশ্বনবী আজান দিচ্ছেন মাথায় হাত দিয়ে আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার আবু মাহাজুরা এ বাক্যটা পড়লেন বিশ্বনবী দ্বিতীয় বাক্য পড়তে আরম্ভ করলেন আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার আবু মাহজুরা এই বাক্যটাও পড়লেন বিশ্বনবী আবু মাহাজুরার মাথার মধ্যে হাত দিয়ে তৃতীয় বাক্য পড়লেন আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ
আবু মাহাজুরা তৃতীয় বাক্য পড়লেন বিশ্বনবী একটা বাক্য পড়ে আবু মাহাজুরা পড়ে বিশ্বনবী পড়ে আবু মাহাজুরা পড়ে আবু মাহাজুরা কিন্তু অমুসলিম মুশরিক আবু মাহাজুরা বলে এক একটা বাক্য পড়ি আমার কলিজা গলে ঠান্ডা হয়ে যায় এতদিন মোহাম্মদকে গালি দিতাম এখন মোহাম্মদ আমার মাথায় যখন হাত রাখছে আমার সারা শরীর ঠান্ডা হয়ে গেছে বিশ্বনবী আযান শিখাচ্ছেন একটা একটা বাক্য পড়ে আবু মাহজুরাও পড়ে বিশ্বনবী পড়ে আবু মাহজুরাও পড়ে পুরো বাক্যগুলো যখন শেষ আযান শেষ আবু মাহুজুরাও যখন পুরো আযান পড়লেন আবু মাহজুরা বললেন এতদিন মোহাম্মদের চেহারা দেখলে আমার ঘৃণা লাগতো আজ থেকে মোহাম্মদের চেহারার চেয়ে প্রিয় চেহারা আমার কাছে নাই ঠিক
আবু মাহাজুরা বললেন ও মোহাম্মদ আযানের বাক্য তো আপনি আমারে শেখালেন এখানেই শেষ করবেন না আপনি আমারে পড়ায়ে দেন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশ্বনবীর সাথে দাঁড়িয়ে উনি শাহাদা পড়ে মুসলমান হয়ে গেলেন সুবহানাল্লাহ এবার আবু মাজরা বলে ইয়া রাসুলুল্লাহ ইয়া হাবিবাল্লাহ আমি মুমিন হয়েছি মুসলমান হয়েছি আপনার কাছ থেকে আযান শিখার সৌভাগ্য আমি লাভ করেছি গো নবী আমার কন্ঠের বড় তারিফ করেছেন আপনি আমার আজানকে আপনি পছন্দ করেছেন একটা জিনিস আপনার কাছে চাই আপনি আমাকে মক্কার মসজিদুল হারামের মুয়াজ্জিন হিসেবে অ্যাপয়েন্ট করে দেন বিশ্বনবী বললেন যাও আবু মাহজুরা আমি তোমাকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম মসজিদ মক্কার মসজিদুল হারামের
মুয়াজ্জিন হিসেবে অ্যাপয়েন্ট করে দিলাম সুবহানাল্লাহ দেখছেন কিভাবে ট্যালেন্ট হান্টিং করতে হয় কিভাবে হিউম্যান রিসোর্স মানব সম্পদকে ব্যবহার করতে হয় আসছিল আজানকে ভেঙ্গাইতে আসছিল কেন আযানকে ব্যঙ্গ করার জন্য বিকৃত করার জন্য আযানকে বিকৃত করতে যেয়ে ইসলামের সবচাইতে শ্রেষ্ঠ মসজিদের মুয়াজ্জিন হয়ে গেল পড়েন সুবহানাল্লাহ হযরত আবু হাজরা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু উনার এই সুরলিত কণ্ঠ ব্যবহার করে মসজিদুল হারামে এত সুন্দর করে আল্লাহু আকবার বলে আজান দিতেন মানুষগুলোর মুসল্লিগুলোর মক্কাবাসীর হৃদয়কে তিনি বিগলিত করে দিতেন মানুষের হৃদয়কে ঠান্ডা হয়ে যেত শুধু এখানেই শেষ না আমার যশোরের ভাইয়েরা বিশ্বনবী যখন সাইয়েদেনা আবু মাহজুরা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুকে আযান শিখাচ্ছিলেন বলেন তো বিশ্বনবীর
হাতটা কোথায় ছিল আবু মাহজুরার মাথার সামনে এই চুলের উপরে ছিল আবু মাহজুরা ওই স্মৃতিটাকে ধারণ করবার জন্য ওই স্মৃতিকে বহন করার জন্য বিশ্বনবীর মোবারক হাত আবু মাহজুরার কপালের চুলের যেই জায়গায় লেগেছে মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত আবু মাহজুরা মাথার ওই চুলে কোনদিন ছুরি আর কামার লাগায় নাই সেখানে কেঁচি লাগায় নাই চুলের মধ্যে খুর লাগায় নাই আবু মাহুজুরা ডানদিকের চুল কাটতো বামদিকের চুল কাটতো পেছনের চুল কাটতো সামনের চুল কাটতো না আবু হাজরা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর সামনের চুলগুলো বড় হতে হতে বড় হতে হতে যখন এত বড় হয়ে যায় তিনি চুলগুলো পেঁচিয়ে মাথার মধ্যে রাখতেন তারপরে তিনি পাগড়ি পড়তেন
সবাই জিজ্ঞেস করতো আবু মাহজুরা এটা আবার কেমন স্টাইল দেখতে তোমারে কি বিদঘুটে লাগে কেমন অড লাগে কেমন খারাপ দেখা যায় মক্কায় এমন কোন মানুষ তো দেখি নাই ডানে চুল কাটে বায়ে চুল কাটে পেছনে চুল কাটে সামনে কাটে না ওরে আবু মাহজুরা কেমন দেখা যায় তোমারে তুমি সামনের চুল কাটো না কেন আবু মাহাজুরা বলে আমি হাঁটু গেড়ে পেয়ারা নবীর সামনে বসেছিলাম আমার এই মাথার চুলের মধ্যে মোবারক হাত লাগিয়ে বিশ্বনবী নিজে আমাকে আযানের প্রতিটা প্রতিটা বাক্য শিক্ষা দিয়েছেন বিশ্বনবীর মোবারক হাত পবিত্র হাত আমার মাথার চুলের যেই জায়গায় লেগেছে আমি চাই ওই চুলগুলা নিয়ে আমি আমার কবরের ভিতরে
যাব সাইয়েদেনা আবু মাহজুরা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু ইন্তেকালের আগের পর্যন্ত মাথার সামনের চুলগুলা কাটে নাই মাথার সামনের চুল তিনি কাটেন নাই সুবহানাল্লাহি বিহামদিহি কেমন ভালোবাসতেন বিশ্বনবী সাহাবীদেরকে সাহাবারা কেমন ভালোবাসতেন বিশ্বনবীকে সামনের চুলগুলো বড় হতে হতে এত বড় ছিল পেঁচিয়ে রেখে পাগড়ি পড়তেন কাটতেন না নবীর হাত লেগেছিল সুবহানাল্লাহ পড়েন তাহলে হোয়াট ইজ দা লেসন মোরাল অফ দা স্টোরি কি মোরাল অফ দা স্টোরি হচ্ছে আসছিল আযানকে ব্যঙ্গ করার জন্য বিকৃত করার জন্য হয়ে গেল মাসুল হারামের মুয়াজ্জিন দেখেন বিশ্বনবী একটা খারাপ সিচুয়েশনের মধ্য থেকে কি ভালো জিনিস বের করে আনলেন আমি যে শুরুতে বলেছি কিভাবে তিনি হিউম্যান রিসোর্সকে ডেভেলপ
করেছেন ম্যানেজ করেছেন তিনি যে চৌক ট্যালেন্ট হান্টার ছিল দেখেন সবার মধ্য থেকে এরে বাছাই করে মুয়াজ্জিন বানায় দিছেন সুবহানাল্লাহ পড়েন সুবহানাল্লাহ তার মানে এই না সবাইরে ধইরা ধইরা উনি মুয়াজ্জিন বানাইছেন যার যেই ট্যালেন্ট আছে তাকে ওই কাজে এসাইন করেছেন যার যেই প্রতিভা আছে তার প্রতিভাকে ইসলামের কাজে লাগিয়েছেন সুবহানাল্লাহ পড়েন জায়েদ বিন সাবেত রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু নাম শুনেছেন যশোর কথা বের হয় না যদি জিগায় সালমান খানের নাম শুনছেন সবাই হাত তুলবে জি হুজুর শুনছি মানে সব দেখা শেষ সালমান খান আমির খান অমুক খান সব খান মুখস্ত কিন্তু জায়েদ বিন সাবেতের নাম মুখস্ত নাই মুসলমানদের ঠিক যেই
সাহাবী মাথার সামনের চুল কাটে নাই মসজিদুল হারামের মুয়াজ্জিন বানাইছেন বিশ্বনবী ওই সাহাবীর নাম কি খাইয়া ফালাইছে স্লোগানের সাথে খাইয়া ফালাইছে আবু মাহজুরা কি নাম আবু মাহজুরা আল জুমাহী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এই নামটা আজকে নিয়ে যাইতে হবে যশোর আব্বু মাহজুরা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু দুই নাম্বারে বলছিলাম জায়েদ বিন সাবেত রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বিশ্বনবী দেখলেন মদিনার এই আনসারী সাহাবী হাইলি ট্যালেন্টেড ইন্টেলেকচুয়াল মেরিটরিয়াস জ্ঞানের প্রতি তার আকর্ষণ মারাত্মক আকর্ষণ বিশ্বনবী তাকে দায়িত্ব দিলেন কোরআন যা নাযিল হয় তুমি লিখো কাতিবুল ওহী বানায় দিলেন সুবহানাল্লাহ জায়েদ বিন সাবেতরে আবার আজান শিখান নাই কারণ তার মধ্যে বিশ্বনবীর প্রতিভা দেখেছেন একাডেমিক প্রতিভা বিশ্বনবীর
একাডেমিক প্রজেক্ট গুলো তিনি হ্যান্ডেল করতেন জায়েদ বিন সাবিত ছিল বিশ্বনবীর ব্যক্তিগত সচিব কি ছিল ব্যক্তিগত সচিব বোঝেন নাই বিশ্বনবীর ব্যক্তিগত সচিব এবং দোভাষী ইহুদিরা কিছু লিখে দিলে এটার অর্থ বিশ্বনবীরে বুঝায় দিতেন আবার ইহুদিদের কাছে কিছু লিখতে হলে তিনি লিখে দিতেন বিশ্বনবী একদিন বললেন ইহুদিরা যে চিঠি পাঠায় অর্থ তো বুঝিনা আরেক ইহুদি আইনে অর্থ করা লাগে আবার ইহুদিদের কাছে কিছু লিখে পাঠাইতে চাইলে আমরা তো লিখতে পারি না ইহুদিরে দিয়ে লেখা লাগে ওরা যে পইড়া লিখে দেয় আমি ওদের বিশ্বাস করি না আমার নিজের একজন লোক দরকার বিশ্বনবী জায়েদ বিন সাবেদ কে চুজ করলেন ল্যাঙ্গুয়েজের জন্য উনি বললেন
জায়েদ তোমার সফট স্কিল কে ডেভেলপ করতে হবে তুমি হিব্রু ল্যাঙ্গুয়েজ শিখে ফেলো জায়েদ বিন সাবেদ বলল বিশ্বনবীর মোটিভেশন আর ইন্সপিরেশন পেয়ে আমি 15 দিনে ইহুদিদের এই হিব্রু ল্যাঙ্গুয়েজ শিখে ফেললাম শুধু শিখে ফেললাম না মাস্টার ইন ল্যাঙ্গুয়েজ এ ভাষা আমি পারদর্শী হয়ে গেলাম এরপরে ইহুদিরা চিঠি লিখে পাঠালে আর কোন ইহুদি ডাকা লাগতো না আমি নবীর এটার অর্থ শুনে পড়ে বুঝায় দিতাম আবার ইহুদিদের কাছে চিঠি লেখা লাগলে আমি জায়েদ বিন সাবেত চিঠি লিখে দিতাম সুবহানাল্লাহ দেখেন এত সাহাবীর মধ্য থেকে বিশ্বনবীর একাডেমিক প্রজেক্ট ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে তিনি জায়েদ বিন সাবেতের মত তরুণকে নির্বাচিত করেছেন কেমন ট্যালেন্ট হান্টার ছিল
আমার নবী সুবহানাল্লাহ পড়বেন না বিশ্বনবীর ইন্তেকালের পরে সাইয়েদেনা আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু যখন খলিফা হয়ে আসলেন কোরআনকে সংকলনের দায়িত্ব দেয়া লাগবে কোন সাহাবীকে দিবেন সব সাহাবারা মিলে পরামর্শ করলেন সাইয়েদেনা আবু বকর ওমর সবাই মিলে বিশাল কোরআন সংকলনের গুরু দায়িত্ব বিশ্বনবীর ব্যক্তিগত সচিব দুভাসী বিশ্বনবীর সিলেক্ট করাই লোক জায়েদ ইবনে সাবেত রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু কে দিয়েছে কোরআনের কবি তো আজকে এখানে রাখে নাই এই যে আজকের যে কোরআন পড়েন এটা আগে এরকম ছিল না কোরআন নাযিল হলে সাহাবারা চামড়ার উটের চামড়ায় লিখে ফেলত উটের চ্যাপ্টা হাড্ডির মধ্যে লিখে ফেলত গাছের গুড়ির মধ্যে লিখে ফেলত বিভিন্ন জনের কাছে ছড়ানো
ছিটানো ছিল আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু একসাথে করলেন পরবর্তীতে উসমান একসাথে করলেন 114 সূরার এখন এই মুসহাফ এই কম্পাইলেশন এই কপি আমরা পেয়েছি যার হিউজ কন্ট্রিবিউশন ছিল এই পুরো কোরআন কম্পাইলেশনের প্রজেক্ট ম্যানেজার ছিল জায়েদ বিন সাবেত রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু কোরআন কম্পাইলেশনের প্রজেক্ট ম্যানেজার দেখেন উনারে মাথায় হাত দিয়ে আজান শিখায় নাই সুবহানাল্লাহ কইবেন না তাহলে প্রথম সাহাবী আবু মাহজুরাকে মুয়াজ্জিন বানাইলেন জায়েদ বিন সাবেদকে ব্যক্তিগত সচিব আর দোভাষী বানালেন মুসাব ইবনে উমাইর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুকে ইসলামের প্রথম অ্যাম্বাসেডর বানালেন তাহলে তৃতীয় নাম্বার একজন সাহাবীর নাম বলছি ইবনে উমাইর কি নামটা কেমন লাগে এই কয়েকজনের ভাল লাগে বাকিদের ভাল
লাগে না ভাল লাগে এই আর কয়েকটা মিনিট যাবে না আমাকে আল্লাহর ওয়াস্তে হ্যাঁ ঠিক আছে আমি তোমাদেরকে ভালোবাসা দেখাবো দোয়া করব যদি চুপ থাকো একেবারে চুপ কষ্ট সহ্য করো বাকিরা যা সওয়াব পাবে তোমরা ডবল পাবা যেহেতু কষ্ট বেশি কিন্তু চুপ তিন নাম্বার সাহাবীর নাম মুসা এই ধাক্কাধাক্কি কেন ধাক্কাধাক্কি কেন রে ভাই না এরকম হলে আসবো না যশোর আমি আর আসবো না হয় পিছনে চলে যাও নাইলে চুপ ধাক্কা তিন নাম্বার সাহাবীর নাম কি নাম ফার্স্ট অ্যাম্বাসেডর ইন ইসলাম ইসলামের প্রথম ডিপ্লোমাট প্রথম কূটনৈতিক ইসলামের প্রথম কূটনৈতিক ইসলামের প্রথম ডিপ্লোমাট প্রথম অ্যাম্বাসেডর মুসাব ইবনে উমাইর মক্কার তরুণ যুবক
উনি পারফিউম লাগাইলে মানুষ দেখলেই বুঝতো এটা মুসাব লাগাইছে এমন ফেসের ছিল এমন স্মার্ট ড্যাশিং ফেস এমন পার্সোনালিটির মানুষ ছিল রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু কারণ যিনি ইসলামের স্পোকম্যান হবেন মুখপাত্র হবেন তার স্মার্ট হওয়ার দরকার আছে না নাই আকাবার প্রথম শপথ যখন হলো তাদের সাথে বিশ্বনবী মদিনাতে একজন মুখপাত্র পাঠালেন ডিপ্লোমাট কে পাঠালেন অ্যাম্বাসেডর অফ ইসলাম তিনি হচ্ছেন ইবনে উমাইর পড়েন সুবহানাল্লাহ বিশ্বনবী দেখলেন সে অনেক স্মার্ট তার ডেডিকেশন আছে সিনসিয়ারিটি আছে এবং মদিনায় যে আউজ খাজরাজ গোত্রের নেতাদের সাথে ডিল করতে হবে ইহুদিদের সাথে ডিল করতে হবে ওখানে একজন পাক্কা জানু খেলোয়াড়ের দরকার আছে না নাই ইবনে রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু
উনাকে বিশ্বনবী চুজ করলেন এবং বিশ্বনবী এই চুজিংটা সিলেকশনটা এত সুন্দর ছিল তিনি মদিনাতে যেয়ে বিশ্বনবী আসার আগেই মদিনাতে মদিনার জমিনকে তিনি উর্বর করে ফেলছেন ঘরে ঘরে কালিমার দাওয়াত তিনি পৌঁছায় দিছেন জুমার বিধান নাযিল হয়েছে কিন্তু মক্কায় পরিবেশ নাই জুমা পালনের বিশ্বনবী একজনকে দিয়ে খবর পাঠালেন যাও মদিনায় মুসাবকে যেয়ে বলো মুসাব তো আমার শিক্ষক আমার স্পোকম্যান মদিনাতে যেন তারা জুমা কায়েম করে বিশ্বনবীর আগেই মুসাব মদিনার মুসলিমদেরকে নিয়ে মদিনায় প্রথম জুমা কায়েম করে ফেলছে কন সুবহানাল্লাহ ডিপ্লোমারদের কেমন হইতে হয় অ্যাম্বাসেডরের কেমন হইতে হয় মুসাব রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর কাছে থেকে শিখে নাও মুসাব নামটা কেমন লাগে যশোর যাদের
সন্তান হবে ছেলের সন্তান আমার রাস্তায় পাইলে সবাই জিজ্ঞেস করে হুজুর একটা নাম দেন আমার ছেলে হবে যশোরবাসীর জন্য আমি একটা নাম দিয়ে দিলাম নাম রাখতে হবে মুসাব কি নামটা যাদের ভালো লাগে ছেলে সন্তান অনাগত আসবে মনে চাইলে নাম রেখে দিবেন মুসাব রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর নামে তাহলে মুসাব রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুকে বিশ্বনবী ল্যাঙ্গুয়েজ শিখান নাই সফট স্কিল শিখান নাই রাদিয়াল্লাহু তিনি হিব্রু ল্যাঙ্গুয়েজ শিখেছেন সুরিয়ানি শিখেছেন কিন্তু মুসাবকে তিনি বানিয়েছেন স্পোকম্যান অফ ইসলাম ফার্স্ট ডিপ্লোমাট অ্যাম্বাসেডর অফ ইসলাম সুবহানাল্লাহ পড়বেন না আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বিশ্বনবীর কাজিন চাচাতো ভাই আবার মাইমুনা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু মাইমুনা নবীর স্ত্রী
তিনি ছিলেন আব্দুল্লাহর আপন খালা তো নবীর বউ যদি উনার খালা হয় নবী তার কি নবী তার কি খালু তাহলে সম্পর্ক অনেক গভীর কাজিন আবার খালু ছোট্ট মানুষ তাই রাতে মাঝে মাঝে ঘরে থাকতো বিশ্বনবী দেখলেন আব্দুল্লাহ যেহেতু আমার ঘরে ঢুকতে পারে আব্দুল্লাহরে এই উম্মতের বড় শিক্ষাবিদ বানাইতে হবে কথা বোঝে নাই আব্দুল্লাহকে কি বানাইতে হবে শিক্ষাবিদ এডুকেটর অফ দিস উম্মাহ এই উম্মার শিক্ষাবিদ বানাইতে হবে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাসকে বিশ্বনবী হাতে কলমে শিক্ষা দিয়েছেন আহারে আর এরপরে যে কি ভাষা আসবে তোমাদের জন্য আমার মুখ থেকে আমি নিজেও জানিনা আমি নিজেও জানিনা এক ঘন্টা যাবত ধাক্কা ধাক্কি মারামারি তো আসতে
বলছে কে তোমাকে পেছনে চলে যাও জায়গা না পেলে পুরা প্রোগ্রামটাই নষ্ট করে দিও জি আমার দিকে তাকান আমি শেষ করে দিচ্ছি হবে না ইন্টেলেকচুয়াল আলোচনা এখানে হবে না আমি বুঝতে পারছি আমি শেষ করে দিচ্ছি ঠিক আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু মনোযোগ দিয়ে কয়েকটা মিনিট শুনেন আমি এখনই শেষ করে দিচ্ছি এরপর আওয়াজ করবে এই যে এগুলো কি আমি বুঝলাম না আমি বললাম না সব করা যাবে বসে যাও শুয়ে যাও চলে যাও আওয়াজ করা যাবে না অন্যকে বসো এটাও বলার দরকার নাই জাস্ট এদিকে তাকাও আল্লাহ আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু উনাকে বিশ্বনবী হাতে কলমে শিক্ষা
দিয়েছেন যেহেতু উম্মতের শিক্ষাবিদ হবেন এডুকেটর হবেন তো বিশ্বনবী রাতে যখন তাহাজ্জুদ পড়তেন ছোট্ট আব্দুল্লাহ ঘরে থাকতো বুঝতে পেরেছেন ছোট্ট মানুষ তো ঘরে থাকতো তো বিশ্বনবী তাহাজ্জুদের জন্য একবার দাঁড়িয়েছেন ছোট্ট আব্দুল্লাহ অযু করে দাঁড়াইছে আচ্ছা বলেন তো ইমাম আর মুসল্লি মোট যদি দুইজন হয় একজন ইমাম একজন মুসল্লি তো মুসল্লি ইমামের কোন দিকে দাঁড়াবে ডানে দাঁড়াবে ছোট্ট আব্দুল্লাহ বোঝে নাই বিশ্বনবী তাহাজ্জুদ শুরু করেছেন উনি করছেন আর দাঁড়াইছেন বায়ে কোথায় দাঁড়িয়েছেন আব্দুল্লাহ বলেন যখন আমি বায়ে দাঁড়ালাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশ্বনবী নামাজরত অবস্থায় আমার কান ধরে টেনে আমারে ডানদিকে এনে দাঁড় করায় দিলেন পড়েন সুবহানাল্লাহ শিক্ষা আর জীবনে ভুল
হবে কথা কয় না আর ভুল হবে আর ভুল হবে না এভাবে বিশ্বনবীর অনেক সঙ্গ পেয়েছেন সফর করেছেন একই বাহনে বসেছেন এক বাহনে বসে লম্বা নাসিহত করেছেন বলেছেন গোলাম আল্লাহর বিধান মানো আল্লাহর বিধান রক্ষা করো আল্লাহ তোমায় রক্ষা করবে আব্দুল্লাহ চাইতে হলে আল্লাহর কাছে চাও সাহায্য চাইতে হলে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাও মনে রেখো গোটা বিশ্বের সবাই যদি তোমারে সাহায্য করতে চায় ততটুকুই করতে পারবে যতটুকু আল্লাহ তোমার নসিবে রেখেছে গোটা বিশ্ব যদি তোমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে দাঁড়িয়ে যায় ক্ষতি ততটুকু করতে পারবে যতটুকু তোমার জন্য বরাদ্দ আছে এর বাইরে কিছু করতে পারবে না আওয়াজ করে বলেন ঠিক কিনা এভাবে
হাতে কলমে শিখিয়েছেন বিশ্বনবীর সঙ্গ পেয়েছেন উনাকে বিশ্বনবী শিক্ষাবিদ এডুকেট উম্মাহ হিসেবে সিলেক্ট করেছেন হাতে কলমে শিখিয়েছেন বিশ্বনবী একবার প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে এসেছেন এখন কি করতে হবে নামাজের জন্য অযু করতে হবে বিশ্বনবী এসেই দেখেন ওযুর বদনায় পানি ভরা খুশি হয়ে গেলেন বললেন কে রেখেছে পানি একজন বলল আব্দুল্লাহ রেখেছে বিশ্বনবী অত্যন্ত খুশি হলেন খুশি হয়ে একটা দোয়া করলেন বললেন আল্লাহুম্মা আল্লাহ তুমি আব্দুল্লাহকে দ্বীনের বুঝ দিও আর কোরআনের তাফসীর শিক্ষা দিও বিশ্বনবীর এই দোয়া এমন লাগা লাগছে উনি রইসুল মুফাসসিরিন এই পৃথিবীতে যত মুফাসসির ছিল যত মুফাসসির আসবে সকল মুফাসসিরের সম্রাট হিসেবে স্বীকৃত হয়েছেন আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস বিশ্বনবী
উনারে আজান শিখান নাই বিশ্বনবী উনারে ল্যাঙ্গুয়েজ শিখান নাই বিশ্বনবী উনারে অ্যাম্বাসেডর বানান নাই হাতে কলমে শিক্ষা দিয়েছেন ছোট্ট মানুষ বিশ্বনবী ইন্তেকাল করলেন আবু বকরের সময় গেল ওমরে ফারুকের খেলাফত তখনও তিনি তরুণ ওমরে ফারুক রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু উনার ক্যাবিনেট মিনিস্ট্রির বৈঠকে এই আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাসকে পাশ দিয়ে বসায় রাখতেন বয়স্ক সাহাবারা এটা পছন্দ করতো না তারা বলতো ঘটনা কি আব্দুল্লাহর মত ছেলে নাতি আমাদের আছে এরে কেন রাখে ওমরে ফারুক ওমরে ফারুক এটা টের পেলেন তিনি বুঝতে পারলেন যে ক্যাবিনেট মেম্বাররা এটা পছন্দ করে না ছোট্ট আব্দুল্লাহরে কেন রাখি কেন যে রাখি এটা একদিন বুঝাবো একদিন মিটিং এ তিনি
সবাইকে বললেন উদ্দেশ্য কি বলেন তো মুরুব্বি সাহাবীরা এক সাহাবী বলেন এ সূরা দ্বারা উদ্দেশ্য আল্লাহ বলেছেন আমাদেরকে বিভিন্ন ল্যান্ড বিভিন্ন এলাকা বিজয় করতে হবে ওমরে ফারুক বললেন না হয়নি আরেকজন বললেন বিজয় হওয়ার পর আমাদের বেশি বেশি আল্লাহর বড়ত্বের ঘোষণা দিতে হবে এটা উদ্দেশ্য ওমরে ফারুক বললেন না হয় নাই যারে জিজ্ঞেস করেন কেউ পারে না সবশেষে বিশ্বনবী ছোট্ট আব্দুল্লাহরে বলেন আব্দুল্লাহ এর দ্বারা উদ্দেশ্য কি বলতো ছোট্ট আব্দুল্লাহ বলেন বিশ্বনবীর বিদায়কে উদ্দেশ্য নেয়া হয়েছে ওমরে ফারুক বলেন এটাই তো সঠিক উত্তর এটাই সঠিক তাফসীরে আয়াতের কারণ যখন আল্লাহর সাহায্য আর বিজয় আসবে আপনি দেখবেন দলে দলে ঢলে ঢলে
বানের পানির মত মানুষ ইসলামের দিকে ঢুকতেছে ইসলামের বিজয়ী হয়েছে তো ইসলামের বিজয়ের মিশন নিয়ে নবী আসছে বিজয়ী যখন হয়ে গেছে এখন তো নবীর বিদায় হবে জোরে বলেন ঠিক কিনা ঠিক কোন সাহাবী এই সূক্ষ কথাটা ধরতে পারে নাই ওই আব্দুল্লাহ ছাড়া আব্দুল্লাহ যখন উত্তর দিছে সব সাহাবীদের টনক নড়েছে এরপর থেকে কোন ক্যাবিনেট মিটিং এ আর কোন সাহাবারা কোন প্রশ্ন করে নাই আওয়াজ করে পড়েন সুবহানাল্লাহ বিশ্বনবী আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাসকে এডুকেটর অফ দা উম্মাহ উম্মার শিক্ষাবিদ হিসেবে গ্রহণ করেছেন আওয়াজ করে পড়তে হবে আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার সাহাবীদের নামগুলো মনে থাকবে এক নাম্বারে আবু মাহজুরা মুয়াজ্জিন বানাইছেন জায়েদ ইবনে
সাবেত দোভাষী ট্রান্সলেটর অফ প্রফেট এবং তিনি ছিলেন বিশ্বনবীর ব্যক্তিগত সচিব মোসাব ইবনে উমাইর ফার্স্ট অ্যাম্বাসেডর এন্ড ডিপ্লোমাট অফ ইসলাম আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস এই উম্মার সবচাইতে বড় এডুকেটর শিক্ষাবিদ আরেকজন ছিল আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু দুই আব্দুল্লাহ আব্বাস গেল আরেকজন হচ্ছে মাসউদ মক্কার তরুণ ছাগলপালতো মুশরিকের বিশ্বনবী আর আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু একবার গেলেন যেয়ে দেখে এই তরুণ দাঁড়ায় আছে বিশ্বনবী বলেন আমি খুব ক্ষুধার্থ তোমার কাছে কি দুধ আছে ছাগলের আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ বলে আছেন কিন্তু যে দুধ আছে এটা আমানতের আমি দিতে পারবো না বিশ্বনবী এইটা শুইনা তারে টার্গেট করে ফেলছে দুধ আছে কিন্তু এটা
আমার মালিকের আমি তো দরদ দেখাই আমার মালিকের দুধ আপনি পথিক আপনারে দিতে পারি না বিশ্বনবী টার্গেট করে ফেলছেন এরে আমার কাজে লাগাইতে হবে বিশ্বনবী বললেন আচ্ছা ঠিক আছে দুধ দিও না কিন্তু এমন ছাগি আছে কিনা যেই ছাগির সাথে কোন ছাগলের মিলন হয় নাই তার ওলানে দুধও আসে নাই বাচ্চাও নাই এরকম ছাগির থেকে যদি আমি দুধ খাই তাইলে তো সমস্যা নাই বলতেছে এরকম ছাগির থেকে দুধ খাইলে সমস্যা নাই কারণ এরকম ছাগির ওলান থেকে দুধ আসবেও না বলতেছে ঠিক আছে এরকম একটা ছাগি নিয়ে আসো নিয়ে আসা হলো বিশ্বনবী বিসমিল্লাহ বলে ওই ছাগির ওলানে হাত দিলেন হাত দিতে
দেরি পুরো ওলানটা দুধে ভরে যেতে দেরি হয় না বিশ্বনবী আর আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু দহন করে পেট ভরে খেলেন এই দৃশ্য আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের হৃদয়ে দাগ কাটলো এই মোজেজা দেখে তিনি বললেন আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ তিনি ষষ্ঠ মুসলিম ছিলেন ছয় নাম্বার মুসলমান উনাকে টার্গেট করে বিশ্বনবী দেখলেন এমন ইন্টেলেকচুয়াল ব্রেইন উনি সূক্ষ সূক্ষ জিনিস বুঝে বেশি ফিকি জ্ঞান উনার মধ্যে বেশি বিশ্বনবী উনাকে কোরআনের জ্ঞান শিক্ষা দিতে লাগলেন উনি বিশ্বনবী সবার কাছে কোরআন শোনায় কিন্তু বিশ্বনবী নিজে মাসুদের আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদের কাছ থেকে কোরআন বিশ্বনবী একবার বললেন ইবনে মাসুদ একবার শোনাও তো কোরআন
দেখি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ বলে নবী আপনার উপর কোরআন নাযিল হয় আর আমি আপনার সামনে কোরআন পড়বো বিশ্বনবী বললেন আমি নিজে পড়তে যেমনি ভালোবাসি অন্য পড়ুক আমি শুনবো এটাও আমি ভালোবাসি সূরা নিসা তিনি তেলাওয়াত করে শুনিয়েছেন এমন সূক্ষ সূক্ষ বিষয় বিশ্বনবী উনাকে দিয়েছেন উনি হয়ে গিয়েছেন আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস হয়েছেন মুফাসসিরিন উনি হয়ে গিয়েছেন উনার চাইতে বড় ফকি এই পৃথিবী আর দেখবে না চিল্লায় বলেন সুবহানাল্লাহ উনি [প্রশংসা] বলতেন বিশ্বনবী এমন ভাবে কোরআনের আমাকে দিয়েছেন কোরআনে যত সূরা নাযিল হয়েছে যেখানে নাযিল হোক না কেন আমি জানি এটা কোথায় নাযিল হয়েছে এবং কোন প্রেক্ষাপটে নাযিল হয়েছে এমন একটা সূরা
নাই যে সূরার কোথায় নাযিল হয়েছে আমি মাসুদের জানা নাই কোন প্রেক্ষাপটে নাযিল হয়েছে আমার জানা নাই এরকম ঘটবে না চিল্লায় বলেন আল্লাহু আকবার এই আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু ওমরে ফারুকের সময় কুফার চিফ জাস্টিস ছিলেন কুফা নগরীর চিফ জাস্টিস চিফ জাস্টিস বোঝেন নাই বিচারপতি কি ছিলেন সবাই বলে নাই কি ছিলেন বিচারপতি ছিলেন এবং উনার যে ফিকহি জ্ঞানের ধারা এটাই আলকামা ইব্রাহিম না হাম্মাদ ইবনে সুলাইমান হয়ে ইমাম আবু হানিফা পর্যন্ত পৌঁছেছে এবং উনার ফিকহি জ্ঞানের ধারাই হানাফী মাযহাবে একসেপ্ট হয়েছে আজও এগুলো হানাফী মাযহাবে চর্চিত হয় হানাফী মাযহাবের সব ফিক আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের ফিকহি জ্ঞানের ধারা
থেকে নেয়া হয়েছে চিল্লায় পড়েন সুবহানাল্লাহ তাহলে উনাকে বিশ্বনবী বানিয়েছেন জুরিস্ট জুরিস্ট আইনবিদ উনারে আযান শিখান নাই হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট কিভাবে করবেন মানব সম্পদের উন্নয়ন কিভাবে করতে হয় কিভাবে যার যেখানে প্রতিভা কাজে লাগাতে হয় উনি দেখিয়েছেন সুবহানাল্লাহ পড়বেন না খালিদ বিন ওয়ালিদ নাম শুনছেন কে কে শোনেন নাই হাত তোলেন কি ছিলেন বীর যোদ্ধা বীর যোদ্ধা ছিলেন খালিদ বিন ওয়ালিদ কিন্তু তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন অনেক দেরিতে অষ্টম হিজরীতে তার মানে অষ্টম হিজরীর আগে উনি মুশরিকদের পক্ষে লড়াই করেছেন উনার হাতে কত মুসলিম সাহাবী যে নিহত হয়েছে হিসাব নাই বিশ্বনবী টার্গেট করে রাখছে তুমি আমাদের মুসলিমদের এত ক্ষতি
করলা তুমি যখন মুসলমান হবা তোমারে দিয়ে আমি এমন কাম করামু যে এটা আর কেউ করতে পারবে না সুবহানাল্লাহ নাই সুবহানাল্লাহ যশোর ক্লান্ত হয়ে গেছে [প্রশংসা] মাশাল্লাহ বসুন বসুন বসুন খালিদ বিন ওয়ালিদ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু অষ্টম হিজরীতে মুসলিম হয়েছেন মক্কা বিজয়ের আগে তো মক্কা বিজয়ের আগে যখন মুসলিম হয়েছেন এর আগে কি করছেন কাফিরদের সাথে যুদ্ধ করেছেন উনি ওহুদের যুদ্ধে মুসলমানদের যে পরাজয় পরাজয় ভাব কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি উনার কারণে পিছন থেকে এমন আতর্কিত আক্রমণ করেছেন মুসলমানদেরকে কচুকাটা করেছেন অষ্টম হিজরীতে আল্লাহ তাআলা হেদায়েতের নূর দিয়ে উনার হৃদয়টাকে উজালা করে দিলেন লা ইলাহা এটা এমন বাণী তার হৃদয়ে একবার
টাচ খাবে এইটা থেকে সে আর পালিয়ে বেড়াতে পারে না ঝিনুকের ভেতর লুকিয়ে থাকে যে মনমতি ঝিনুকের ভেতর লুকিয়ে থাকে যে মন মতি কালমা শাহাদাতে আছে আল্লাহরও জ্যোতি কালমা শাহাদাতে আছে আল্লাহরও জ্যোতি ঠিক কিনা বলেন ঠিক মক্কা বিজয়ের আগে মুসলিম হলেন হওয়ার পরেই বিশ্বনবীর টার্গেট ফুলফিল হলো ওই যে টার্গেট করে রেখেছেন আর দোয়া করেছেন খালিদ বিন ওয়ালিদ যদি মুসলিম হয় তাকে আমি মিলিটারি চিফ বানাবো উনাকে আযান শিখান নাই উনারে কান ধইরা নামাজের এই মাথা থেকে ওই মাথা আনেন নাই ফিকহি কোরআনের সূক্ষ তাফসীর উনারে শিখান নাই অ্যাম্বাসেডর বানান নাই বিশ্বনবী উনাকে সামরিক অভিযানে প্রেরণ করেছেন সামরিক অভিযানে
তিনি প্রেরণ করেছেন উনার জীবদ্দশায় উনার নেতৃত্বে যতগুলো যুদ্ধ হয়েছে একটা যুদ্ধেও তিনি পরাজয় বরণ করেন নাই ওমরে ফারুকের সময়কালে তিনি চিফ অফ মুসলিম মিলিটারি মানে মুসলিম সেনাপতি হয়েছেন যশোর আওয়াজ করো ঠিক কিনা বলো সেনাপতি মুসলিম সেনাপতি তাহলে কিভাবে হিউম্যান রিসোর্স ব্যবহার করতে হয় গোটা বিশ্ব আমার নবীর কাছ থেকে শিখে নাও খালিদ বিন ওয়ালিদ উনাকে বিশ্বনবী একটা উপাধি দিয়েছেন উপাধিটা হচ্ছে আল্লাহর নাঙ্গা তলোয়ারি আল্লাহর খোলা তরবারি ওপেন সোল্ড অফ আল্লাহ খালিদ বিন ওয়ালিদ মুসলিম সেনাপতি হাসান বিন সাবেত নাম শুনছেন দেখি উনি কি ছিল বলেন রাসূলের সভাকবি কালচারাল হিজিমনিকে ডিফিট করার জন্য উনি ভালো অস্ত্র চালানো জানতেন
না ওই কাজে উনি যেতেন না উনার ছিল কাব্য প্রতিভা কাব্য প্রতিভা কাফেররা কবিতা দিয়ে নবীকে গালি দিত বিশ্বনবী বলতেন ইয়া হাসান আজিবান রাসূলিল্লাহ তুমি নবীর হয়ে কাফেরদের এই কথাগুলোর জবাব দাও বিশ্বনবীর একটা মিম্বার ছিল বিশ্বনবীর মিম্বারের পাশাপাশি মসজিদে নববীতে এই হাসান বিন সাবেতের জন্য বিশ্বনবী একটা স্পেশাল মিম্বার বানিয়ে দিয়েছেন এখান থেকে তুমি জবাব দাও এবং বিশ্বনবী বলেছেন আমার পক্ষে জবাব দেয় তুমি জিব্রাইল মারফত তাকে সাহায্য পাঠাইয়া দিও রাসূল সালামের সভাকবি পয়েট অফ দা প্রফেট নবীর কবি উনি কবিতা দিয়ে এমন উচ্চাঙ্গের ভাষায় কবিতা দিয়ে তিনি জবাব দিতেন কাফিরদের গা শিহরে যেত তাদের হৃদয়ে আগুন ধরে যেত
তাহলে এরকম কবিরও দরকার আছে না নাই এখন যাকে আল্লাহ দিছে কাব্য প্রতিভা এরে যদি আপনি যুদ্ধের ময়দানে পাঠানো হবে যারে দিছে সুরেলা গলা এরে যদি অ্যাম্বাসেডর বানানো হবে না হাসান বিন সাবেত ছিলেন বিশ্বনবীর কবি হুজাইফাতু ইবনুল ইয়ামান বিশ্বনবীর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান কিসের প্রধান হুজাইফাতু ইবনুল ইয়ামান উনার ছিল ডিটেক্টিভ মাইন্ড ডিটেক্টিভ মাইন্ড গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান এবং উনি হচ্ছেন সাহেব সির রাসূলিল্লাহ রাসূলের গোপন তথ্যের ধারক বাহক নবীর যেই কথা কেউ জানেনা সব হুজাইফার পেটের ভিতরে ছিল সুবহানাল্লাহ মদিনার যত ইহুদি ইহুদিদের একটা লিস্ট ছিল এই লিস্ট শুধু দুইজন জানতো বিশ্বনবী আর হুজাইফা সুবহানাল্লাহ পড়বেন না তাহলে উনাকে কোন
দায়িত্ব দিছে কোন বিভাগ যশোর আওয়াজ করো কোন বিভাগ গোয়েন্দা বিভাগের হেড ছিল খন্দকের যুদ্ধে প্রচন্ড আজকের মত সৈত্য প্রবাহ মাটি খনন করতে করতে সাহাবীদের পেটে ক্ষুধা নাই দাঁড়াইতে পারে না নামাজের জন্য এত ক্লান্ত ক্ষুধা ক্লান্ত শ্রান্ত বিশ্বনবী বললেন কে আছো এই কঠিন শীত এই ভয় আর ক্ষুধার মধ্যেও খন্দকের পরীক্ষার টপকে শত্রুর শিবিরে যেয়ে আমাকে তথ্য দিবা কে আছো কারো গায়ে শক্তি নাই যে দাঁড়াবে কেউ দাঁড়ায় না বিশ্বনবী তখন নিজে হুজাইফাকে ডাক দিলেন হুজাইফা যে আমাকে আজকে শত্রু শিবিরের তথ্য এনে দিবে সে জান্নাতে আমার মোরাফাকা আমার সঙ্গী হবে হুজাইফা রাদিয়াল্লাহ ইবনুল ইয়ামান জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই
ক্ষুধা সৈত্য প্রবাহ কোল্ড ওয়েভস কে উপেক্ষা করে পরীক্ষা টপকে শত্রু শিবিরে যেয়ে সবার কথাগুলো চুপে চুপে শুনে বিশ্বনবীর দরবারে এসে গোয়েন্দাদের মত তথ্য সরবরাহ করেছেন বিশ্বনবীর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হুজাইফাতু ইবনুল ইয়ামান ইন্টেলিজেন্স বিভাগ চালাতেন মুনাফিকদের নাম উনার কাছে ছিল ইবনে জাবাল মদিনা রাষ্ট্রের সবচেয়ে সিনিয়র আমলা ছিলেন আমলাতন্ত্র চিনেন তো প্রশাসনিক কাজ যারা চালায় এডমিনিস্ট্রেশন বোঝেন না ডিপার্টমেন্ট অফ এডমিনিস্ট্রেশন মদিনার রাষ্ট্রের সিনিয়র আমলাদ ইবনে জাবালুন হারাম হালাল হারামের স্পেশালিস্ট ছিলেন বিশ্বনবী উনাকে ইয়ামানের গভর্নর করে পাঠিয়েছেন বলেছেন এমন গোষ্ঠীর কাছে যাবার ইহুদি নাসারা আগে শাহাদা পড়লে এরপরে নামাজের দাওয়াত নামাজ পড়লে যাকাতের দাওয়াত দিও গভর্নরের অ্যাটিটিউড যেমন
থাকে তেমন অ্যাটিটিউড ধরে রেখো সুবহানাল্লাহ পড়েন ইবনে জাবালকে দিয়ে বিশ্বনবী কবিতা লেখায় নাই চিঠি লেখায় নাই আজান দেওয়ায় নাই পড়বেন না সবশেষ সাহাবী বলি আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু নাম শুনছেন বিড়ালের বাবা কি করতেন খালি হাদিস মুখস্ত করতেন উনি বলতেন আমার শুধু পেট ক্ষুধার বন্দোবস্ত হইলে আমি নবীর সঙ্গ ছাড়তাম না আমার আনসার সাহাবারা ক্ষেত খামারের কাজ করতো আমার মুহাজির সাহাবারা ব্যবসা করতো আর আমি নবীর সাথে সাথে থাকতাম শুধু সকাল বিকাল দুই বেলা যদি আমার খাবারের বন্দোবস্ত হয় আমি আর নবীর লক ছাড়ি না কইবেন না 5374 টা হাদিস তিনি বর্ণনা করেছেন সবচেয়ে বেশি হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবী হাদিস প্রিজারভেশনের
কাজে বিশ্বনবী উনাকে কাজে লাগিয়েছেন উনি নবী অনেক কথা শুনি আমার মনে থাকে না বিশ্বনবী বললেন তাই তোমার চাদরটা বিছাও আবু হুরায়রা বিছালেন বিশ্বনবী হাত বুলায় দিলেন এরপরে অনেক হাদিস বর্ণনা করলেন আবু হুরায়রা বলে তারপর থেকে বিশ্বনবী যাই বর্ণনা করে আমি শুনি আর একটাও বলি না কন সুবহানাল্লাহ বিশ্বনবী উনাকে হাদিস প্রিজারভেশন নবীর এই যে লক্ষ হাদিস প্রিজারভেশনের এই দায়-দায়িত্ব দিয়েছেন সাইয়েদেনা আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু প্রিয় ভাইয়েরা তাহলে 10 জন সাহাবীর কথা যে বললাম আপনারা কি খেয়াল করেছেন কত বড় ট্যালেন্ট হান্টার চৌকোশ ট্যালেন্ট হান্টার ছিল আমার নবী একেকজনের একেক ট্যালেন্ট একেক কাজে এসাইন করেছেন একেকজনকে একেক
দায়িত্ব দিয়েছেন একেকজনের প্রতিভাকে একেকভাবে বিকশিত হওয়ার সুযোগ দিয়েছেন আওয়াজ করে বলেন ঠিক কিনা এখন আমার পর্দার আড়ালে আমার মায়েরা বলবে এতগুলো পুরুষ সাহাবীর কথা বলল নারী সাহাবীরা কি কিছু করে না মোনাজাত হবে দোয়া ছাড়া কেউ যাব না রুফাইদা আসলামিয়া রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা উনার বাবার নাম সাদ আল আসলামী বিশ্বনবী কি খেয়াল করলেন দেখেন সাদ ছিল মদিনার বড় ডাক্তার এই নারী সাহাবী রুফাইদা বাবার কাছ থেকে চিকিৎসাবিদ্যা শিখেছেন যখন শিখছে বিশ্বনবী দেখলেন আমার তো প্রতি সপ্তাহে সপ্তাহে যুদ্ধ যুদ্ধে আহত সাহাবীদের সেবা দিবে কে বিশ্বনবী রুফাইদাকে বললেন রুফাইদা তুমি মসজিদে নববীর পাশে একটা মেডিকেল ক্যাম্প করো এই যে সাকিনা
দিন মেডিকেল মেডিকেলের আমার ছাত্রী বন্ধুরা শুনে রাখো তোমাদের আইকন হচ্ছে রুফাইদা আল আসলামিয়া বিশ্বনবীর ডিরেকশন অনুযায়ী তিনি মসজিদে নববীর পাশে একটা মেডিকেল ক্যাম্প করলেন এবং আহত সাহাবাদের চিকিৎসা উনি উনার টিম নিয়ে দিতেন বিশ্বনবীর পরামর্শে উনি আনসারী এবং মহাজির মহিলা সাহাবীদেরকে নিয়ে একটা স্পেশাল মেডিকেল টিম গঠন করলেন খায়বার যুদ্ধে সপ্তম হিজরীতে যখন বিশ্বনবী যায় উনি উনার টিম নিয়ে আসলেন বললেন ইয়া রাসূলাল্লাহ আমরা তো তলোয়ার চালাতে পারি না আমরা তো তীর মারতে পারি না আপনি যদি অনুমতি দেন খায়বার অভিযানে আমি আমার টিম নিয়ে মেডিকেল টিমের সেবাটা সার্ভিসটা দিতে চাই পড়েন সুবহানাল্লাহ বিশ্বনবী অনুমতি দিলেন যোদ্ধা সাহাবীদের সাথে
রুফাইদা আল আসলামিয়া উনিও মেডিকেল টিম নিয়ে অগ্রসর হলেন খায়বারের প্রতিটা আহত ইনজুর্ড সাহাবী যারা ইনজুরির শিকার হয়েছেন সবাই এই মেডিকেল ক্যাম্প থেকে চিকিৎসা সহায়তা পেয়েছেন সুবহানাল্লাহ পড়েন দেখেন কিভাবে বিশ্বনবী ট্যালেন্ট বাছাই করতেন আপনি অবাক হবেন বাহরাইনের মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে রুফাইদা আল আসলামিয়া মেডিকেল প্রাইজ অ্যাওয়ার্ড প্রতিবছর দেয়া হয় যদি আট দিনের এই মেডিকেল আমার বোনেরা যদি জেনে থাকো জানো না হলে নতুন করে জানো সার্চ দিও রুফাইদা আল আসলামিয়া মেডিকেল অ্যাওয়ার্ড বাহরাইনের ইউনিভার্সিটিতে দেয়া হয় প্রিয় ভাইয়েরা তাহলে আলোচনার সামারি আমরা করি বিশ্বনবী যার যেখানে ট্যালেন্ট তাকে ওইখানে কাজে লাগাতেন আওয়াজ করে বলেন ঠিক কিনা এবার একটা ইন্টারভিউ হবে
আওয়াজ করে বলেন আবু মাহজুরাকে বিশ্বনবী কি বানাইছেন ভুইলা গেছেন সামনের চুলায় হাত দিয়ে বিশ্বনবী কি সুন্দর গলায় আযান শিখালেন জায়েদ বিন সাবেতকে একাডেমিক প্রজেক্টের দায়িত্ব দিছেন তিনি ছিলেন বিশ্বনবীর দোভাষী ব্যক্তিগত সচিব ওমায়ের ফার্স্ট অ্যাম্বাসেডর অফ ইসলাম আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস উম্মার বড় শিক্ষাবিদ মুফাসসির আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ ছিলেন জুরিস্ট কি ছিলেন জুরিস্ট ছিলেন এই উম্মার সবচেয়ে বড় জুরিস্ট খালিদ বিন ওয়ালিদ সেনাপ্রধান হাসান বিন সাবেত হাসান বিন সাবেত ছিলেন বিশ্বনবীর সভাকবি কি ছিলেন বিশ্বনবীর সভাকবি ছিলেন এরপরে হুজাইফাতু ইবনুল ইয়ামান কি ছিলেন গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান মুয়াজ ইবনে জাবাল কি ছিলেন সিনিয়র আমলা ইয়ামানের গভর্নর আবু হুরায়রা
রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হাদিস প্রিজারভেশনের কাজ করেছেন আর আমাদের রুফাইদা আল আসলামিয়া রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা কি ছিলেন নার্স ছিলেন নার্স হয়ে মেডিকেল সেবা দিয়েছেন প্রিয় ভাইয়েরা পুরো আলোচনার যদি সামারি করি তাহলে বিশ্বনবী যেভাবে হিউম্যান রিসোর্সকে ম্যানেজ করেছেন যার যেখানে প্রতিভা কাজে লাগিয়েছেন আমরাও যদি করি আমাদের বাংলাদেশের চিত্র আমরা পাল্টে দিতে পারবো আমরা শুরুতে শুনেছি মানুষের আছে অসীম সম্ভাবনা প্রতিটা মানুষ অনন্য যত্ন নিলে যথাযথ পরিচর্যা করলে মানুষ বিশ্বজয় করতে পারে ঠিক কিনা আমাদের কোরআনের সামনে দাঁড়াতে পারে এমন কোন হাফেজে কোরআন আল্লাহর জমিনে জন্ম হয় নাই গোটা বিশ্বকাপে তারা সেরা আমাদের ক্রিকেটাররা সেরা আমাদের তৈরি পোশাক শিল্প সেরা
এরকম অনেক অনেক সেরা জিনিস আছে আমরা এগুলোরে নার্চারিং করতে পারি নাই পরিচর্যা করতে পারি নাই সঠিক তারবিয়াতের অভাব তাহলে মানুষের অসীম সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে ঠিক কিনা বলেন ইউনুস গভর্নমেন্ট কে আমি বলব অল্প সময়ের জন্য আপনারা এসেছেন সংস্কারও করতে হবে আবার নির্বাচনও করতে হবে সব সংস্কার হয়তো করতে পারবেন না যতটুকু পারবেন এর মধ্যে আমাদের যেই হিউজ ম্যানপাওয়ার আমাদের যেই মানবসম্পদ হিউম্যান রিসোর্স এটাকে ডেভেলপ করে আপনাদের যেতে হবে যেটা পারবেন না সেটাকে পরবর্তী নির্বাচিত গভর্মেন্টের কাছে রেখে যেতে হবে যে তারা যেন করে তাদের কাছে আপনারা এটা রেখে যাবেন তাহলে মানুষ চাইলে বিশ্বজয় করতে পারে আর মানুষকে
হারাতে পারে কেউ জোরে বলো যশোর মানুষকে হারাতে পারে কেউ আল্লাহ আমাদেরকে জনসংখ্যা দিয়েছেন প্রিয় ভাইয়েরা এই জনসংখ্যা অনেক বড় সম্পদ এটা আমাদের জন্য অভিশাপ নয় আশীর্বাদ আমাদের জনসংখ্যাকে যদি আমরা জনশক্তিতে রূপান্তর করতে পারি আজকে বাংলাদেশ যে অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ তার 20 গুণ উন্নতির শিখরে চলে যাবে চিল্লায় বলো ঠিক কিনা আমাদের শ্রমিক ভাইয়েরা বাইরে কাজ করে আমাদের শ্রমজীবী ভাইয়েরা প্রবাসী তাদের ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে হবে আমাদের শ্রমের দাম সবচেয়ে কম সবচেয়ে কম তারা এম্বাসিতে গুরুত্ব পায় না এয়ারপোর্টে গুরুত্ব পায় না এই সরকার অবশ্য তাদেরকে অনেক গুরুত্ব দিচ্ছে আমাদের অদক্ষ শ্রমিককে যখন আমরা দুবাই পাঠাই অল্প বেতন
পায় কিন্তু ইন্ডিয়ানরা দক্ষ শ্রমিক পাঠালে তার তিন গুণ বেতন পায় আমরা আমাদের শ্রমিকদেরকে অদক্ষভাবে আর পাঠাতে চাই না দক্ষ শ্রমিক পাঠিয়ে আমরা রেমিটেন্সের বন্যা বইয়ে দেব আমাদের শ্রমিকদের পাঠানো টেন্সের টাকায় সচল থাকে আমার দেশের অর্থনীতির চাকা তাদেরকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে আমরা পেয়েছি ফ্রিডম ফাইটার মুক্তিযোদ্ধা আর আমার প্রবাসী ভাইয়েরা হচ্ছে রেমিটেন্স ফাইটার জোরে বলো ঠিক কিনা তাহলে আমাদের এই জনশক্তিকে জনসম্পদে ট্রান্সফর্ম করতে হবে ঠিক কিনা বলেন সরকার জনগণকে এভাবে পলিশ করতে হবে মা-বাবারা ছেলেমেয়েদের মধ্যে কার কোন যোগ্যতা তাকে ওইভাবে কাজে লাগাতে হবে সবার এ প্লাস পাওয়ার কোন দরকার নাই আমাদের দেশে একটা টেন্ডেন্সি আছে পরীক্ষায়
এ প্লাস না পাইলে কয় তুই কি করলি পাশের বাড়ির ছেলে এ প্লাস পাইছে যা ওর পা ধোয়া পানি খা কি খা আমি ভাবছি যে পা ধোয়া এ প্লাস পাওয়া ছেলেদের পা ধোয়া পানির একটা পানির ব্র্যান্ড বানাইতে হবে এরকম লেখা থাকবে এ প্লাস পাওয়া ছেলেদের পা ধোয়া পানি খাওয়া নাই এগুলার খাওয়া নাই ওরে আল্লাহ এ প্লাস পাওয়ার জন্য বানাইছে আর আপনার ছেলেকে এই এ প্লাস গুলারে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আল্লাহ বানাইছে ওকে দিয়ে আল্লাহ কি করবে আপনি জানেনই না একটা এ প্লাস একটা এ গ্রেড একটা মানুষের জীবনকে ঠিক করে দিতে পারে না আপনার ছেলেকে আল্লাহ অন্যদিকে যোগ্যতা
দিয়েছে ওদের মনোবল ভাঙবেন না খবরদার খবরদার ছেলেমেয়েদের মনোবল ভাঙবেন না যাকে দিয়ে যেটা হবে তাকে দিয়ে সেটা করতে হবে তার প্রতিভাকে সেভাবে কাজে লাগাতে হবে তাহলে বাংলাদেশ আমাদের জনসংখ্যা জনসম্পদে রূপান্তরিত হবে আমাদের সরকারের তত্ত্বাবধানে আমাদের 18 কোটি জনগণ দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত হোক আমরা চাই কি চাই না আমরা ভালো মানুষ শ্রেষ্ঠ মানুষ হতে চাই কি চাই না ওই জাপানিজদের মত সৎ ওই ইউরোপিয়ানদের মত কালচার আমাদেরকে আল্লাহতালা কোরআন সুন্নাহ অনেক কিছু দিয়েছেন যেহেতু বর্তমানে আমরা দেখছি তারা সৎ তাদের মধ্যে ভ্যালু আছে সেগুলো আমাদের মধ্যে আনার দরকার আছে না নাই আছে আর ইসলাম দিয়ে আমাদের জীবনকে সাজাতে হবে
ইসলাম দিয়ে আমার পরিবারকে সাজাতে হবে ইসলাম থেকে কোরআন থেকে প্রেসক্রিপশন না নিলে জীবন সুন্দর হবে না কোরআন থেকে প্রেসক্রিপশন না নিলে সমাজ সুন্দর হবে না কোরআনের প্রেসক্রিপশন না মানলে রাষ্ট্র সুন্দর হবে না কোরআনের প্রেসক্রিপশন এপ্লাই না করলে শুধু দুর্নীতি দমন কমিশন দিয়ে দুর্নীতি বন্ধ করা যাবে না এজন্য কোরআনের আইন আমরা চাই কি চাই না প্রিয় ভাইয়েরা এই রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট মানব সম্পদের উন্নয়ন আমাদের সরকার যেন এদিকে নজর দেয় আমরা যেন এ ব্যাপারে যত্নবান হয়ে উঠি যাকে আল্লাহ যে যোগ্যতা দিয়েছে এই যোগ্যতা দিয়ে আমরা যেন ইসলামের জন্য দেশের জন্য কাজ করি আমরা যেন আমাদের স্কিল ডেভেলপ করি
আমাদের পটেনশিয়াল কে ডেভেলপ করি মোরালিটি ভ্যালুস নিয়ে শায়েখ আহমদুল্লাহ আলোচনা করেছেন এগুলো দিয়ে যেন আমরা আমাদেরকে সাজাই আল্লাহতালা আমাদের দেশকে তুমি নিরাপদ করো আমরা পড়ি আমিন