চারদিকে যেন শুধু যুদ্ধ আর যুদ্ধ এই যুদ্ধের বিষাক্ত বাতাস যেন ভারত-বাংলাদেশেও এসে পড়েছে যেকোনো মুহূর্তে ভারত বাংলাদেশে আক্রমণ করতে পারে কারণ সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের সবচাইতে বড় মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্লট পরিবর্তন বাংলাদেশ আর কারো নিয়ন্ত্রণে নেই আর এ কারণেই তারা বাংলাদেশকে পরোক্ষ ভাবে দখল করার হুমকি দিয়ে আসছে প্রতিনিয়ত যদিও এগুলোকে রাজনৈতিক বক্তব্য বলেই উড়িয়ে দেওয়া যায় কিন্তু আসলেই যদি ভারত এমনটা করার চিন্তা করে থাকে তাহলে কি পরিস্থিতি দাঁড়াবে বাংলাদেশ কি পারবে পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম ভারতের মত সামরিক দানবের মুখোমুখি হতে নাকি নতুন আরেকটা গাঁজায় পরিণত হবে নাকি ভারত বাংলাদেশকে আক্রমণ করলে নিজেই বিভক্ত
হয়ে যাবে আলাদা হয়ে যাবে সেভেন সিস্টার আজ চলুন সেই বিশ্লেষণই করা যাক ভারতীয় সেনাবাহিনীর সংখ্যা প্রায় 13 লাখ যা চীনের পর পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সৈন্যের অধিকারী দেশ তবে ভারতের সেনাবাহিনীর একটা বড় অংশ তাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছে কাশ্মীর মধ্য প্রদেশ এবং পূর্বাঞ্চলের সাতটা রাজ্যের যাদেরকে আমরা সেভেন সিস্টার হিসেবে জানি সেখানকার বিদ্রোহীদের দমন করতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটা বিশাল অংশ সেখানে নিয়োজিত আছে আর তাদেরকে সেখানে থাকতেই হবে তা না হলে সেভেন সিস্টার সহ আরো বেশ কিছু রাজ্য বিভক্ত হয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা আছে অন্যদিকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর অ্যাক্টিভ রিজার্ভ সবকিছু মিলিয়ে সংখ্যা প্রায় 7 লাখের কাছাকাছি যাদের একটা বড়
অংশ সবসময় ভারতকে আক্রমণ করার সুযোগ খুঁজতে মুখিয়ে থাকে আর এতে করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অন্ততপক্ষ 8 লাখ সৈন্য প্রয়োজন পাকিস্তান এবং নিজেদের অভ্যন্তরীণ সব সংকট মোকাবেলা করতেই এখানেই শেষ না ভারতকে অবশ্যই চীনের আগ্রাসন থেকে বাঁচার জন্য আরো তিন লক্ষ সেনাবাহিনী চীন ভারত সীমান্তে সবসময় মোতায়ন রাখতে হয় কিন্তু অবশিষ্ট 2 লাখ সৈন্য নিয়ে ভারত যদি বাংলাদেশে আক্রমণ করতে চায় তবে সেটা যেন ভারতের জন্য হবে নিজের পায়েই নিজের কুড়াল মারার মতো কেন বলছি এই কথা কারণ সামরিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন কোন দেশকে দখল করতে গেলে সেই দেশের শক্তির চাইতে তিন গুণ সৈন্য থাকা প্রয়োজন মজার ব্যাপার হলো আপনি যুদ্ধবিমান
দিয়ে শত্রুর দেশকে শুধু ধ্বংসই করতে পারবেন কিন্তু দখলে নিতে গেলে অবশ্যই আপনাকে সেখানে মোতায়ন করতে হবে পদাতিক বাহিনী আর তাই ভারতের 2 লাখ সৈন্য দিয়ে বাংলাদেশকে দখলে নেওয়া সম্ভব না কারণ বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সংখ্যাও একেবারে কম না আর তাই বলাই যায় এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য বাংলাদেশকে আক্রমণ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে তবে এখানে চীন পাকিস্তান নিজেদের স্বার্থে ভারতকে সীমান্ত থেকে দূরে ব্যস্ত রাখতে বাংলাদেশকে অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করার সম্ভাবনা অনেক বেশি যা ভারতের জন্য জন্য কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে কিন্তু ভারতের সক্ষমতা কিন্তু এখানেই শেষ না কারণ তাদের আছে পৃথিবীর অন্যতম আধুনিক এবং বিশাল শক্তির বিমান বাহিনী তবে
মজার ব্যাপার হলো তাদের সেখানেও রয়েছে বেশ দুর্বলতা কারণ তাদের পর্যাপ্ত যুদ্ধবিমান আছে ঠিকই কিন্তু লজিস্টিক সহযোগিতা করার সক্ষমতা অতটাও নেই কারণ ভারতীয় বিমান বাহিনীর কাছে মাত্র 10 টা হেভি ওয়েট পরিবহন বিমান এবং 30 টা মিডিয়াম ক্যাটাগরির লজিস্টিক বিমান রয়েছে অথচ ভারতের মত একটা বিশাল দেশের সৈন্য এবং রসদ মোতায়ন করতে এই কিছু ট্রান্সপোর্ট বিমান কোনভাবেই যথেষ্ট হবে না যেমন 2020 সালে চীনের সংঘর্ষের সময় ভারতের ট্রান্সপোর্ট ফ্লাইটের অভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল বেশ কয়েক সপ্তাহ সময় লেগেছিল ভারতের সৈন্য এবং সরঞ্জাম মোতায়ন করতে এর ফলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেলে ভারতের বিমান বাহিনীর লজিস্টিক ফ্লাইট কোন বড় ভূমিকা পালন
করতে পারবে না তবে ভারতীয় বিমান বাহিনীর কাছে প্রায় সব মিলিয়ে 500 টা যুদ্ধবিমান আছে এবং এতে কোন সন্দেহ নেই এত সংখ্যক বিমান দিয়ে তারা অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশকে ধুলিস্বাদ করে দিতে পারে কারণ বাংলাদেশের কাছে এমন কোন শক্তিশালী যুদ্ধবিমান নেই যা ভারতীয় ফাইটার জেট গুলোকে মোকাবেলা করতে পারবে সেই সাথে নেই তেমন কোন শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তবে এখানেও ভারতের জন্য বিপদ রয়েছে কারণ ভারতের বেশিরভাগ যুদ্ধবিমান কাউন্টার স্ট্রাইক মিশন পরিচালনা করতে সক্ষম না হ্যাঁ ভারতের কাছে আছে 270 টা এসইউ থার্টি এছাড়াও মিগ 21 এবং জাগুয়ার ফাইটার জেট কিন্তু মজার ব্যাপার হলো এগুলো বর্তমানের আধুনিক যুগে কিন্তু
বেশ পুরনো মডেল ভারতীয় বিমান বাহিনীর একমাত্র কার্যক্রম করি অ্যাটাক মিশন বিমান হলো মিরাজ 2000 এবং ডাসালট রাফায়েল যুদ্ধবিমান কিন্তু এদের সংখ্যাও প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম তাছাড়াও ডাসাল্ট রাফায়েলের মত যুদ্ধবিমানগুলো কিন্তু বাংলাদেশে ব্যবহার করার মতো সুযোগ নেই কারণ ভারতের কাছে মাত্র 36 টা রাফায়েল ফাইটার জেট আছে এবং এগুলো মূলত চীন এবং পাকিস্তানকে মোকাবেলা করার জন্য প্রতিনিয়তই ভারতকে প্রস্তুত রাখতে হয় তাই বলাই যায় ভারতীয় বিমান বাহিনীর জন্য বাংলাদেশে ব্যবহার করা যেতে পারে এমন যুদ্ধবিমানের সংখ্যা খুব বেশি না ভারতের বিমান বাহিনী একদিকে যুদ্ধবিমানের সংকটে ভুগছে অন্যদিকে পাকিস্তানের কাছে রয়েছে বিপুল সংখ্যক জেট এবং f16 যুদ্ধবিমান যার সামনে ভারতীয়
রাফায়েল যুদ্ধবিমানও যথেষ্ট কার্যকরী হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম এদিকে চীনের বিমান বাহিনীর তুলনায় ভারতের বিমান বাহিনীর সামরিক শক্তি অনেক পিছিয়ে সুতরাং 40 টা মিরাজ 2000 দিয়ে বাংলাদেশে আক্রমণ চালানো ভারতের জন্য অসম্ভব ভারতের বিমান বাহিনী মাত্র কয়েকটা স্থানেই সাপোর্ট দিতে সক্ষম হবে যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই কম তাছাড়া গ্রাউন্ড স্ট্রাইক মিশনে ম্যানপেড সিস্টেমের কারণে নিয়মিত যুদ্ধবিমান ধ্বংস হবে যার ফলে ভারতীয় বিমান বাহিনীর শক্তি ধীরে ধীরে কমে যাবে আর এটাও মনে রাখতে হবে ধীরে ধীরে বাংলাদেশও পরিণত হবে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ হারাতে থাকবে হাজার হাজার নিরীহ মানুষ তবে এর মানে এই নয় যে বাংলাদেশের সামরিক শক্তি একদম পিছিয়ে আছে এখানে বাংলাদেশও
মিলিটারি শক্তির দিক থেকে যথেষ্ট শক্তিশালী একটা দেশ তাছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রতিনিয়ত নতুন নতুন অস্ত্রশস্ত্র ক্রয়ের দিকে মনোযোগী হচ্ছে সেই সাথে আপনাকে এটাও মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম শক্তিশালী বাহিনী এবং এই বাহিনী দেশের যেকোনো বিপদের সময় নিজেদের সবকিছু দিয়ে লড়াই করতে প্রস্তুত এমনকি এটা বললেও ভুল হবে না যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব এবং দক্ষতা ভারতীয় সেনাবাহিনীর চাইতে অনেক এগিয়ে কারণ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন পর্যন্ত পৃথিবীর 43 টা দেশে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করার অভিজ্ঞতা লাভ করছে বিপরীতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর যুদ্ধের অভিজ্ঞতা আন্তর্জাতিকভাবে খুবই সীমিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘের অধীনে প্রায় অর্ধশতাধিক দেশে সরাসরি যুদ্ধের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে এতে
তাদের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা ভারতীয় সেনাবাহিনীর চাইতে অনেকটা বেশি বলা যায় তাছাড়া পেশাগত দক্ষতার পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অত্যাধুনিক সমরাষ্ট্র ক্রয়ের দিকেও ধাবিত হচ্ছে বিশেষ করে বিভিন্ন আগ্রাসন মোকাবেলায় বাংলাদেশ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে যুদ্ধ ট্যাংক যুদ্ধবিমান এবং অন্যান্য সমরাস্ত্র সংগ্রহ করছে যা বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো মজবুত করবে এমনকি বাংলাদেশ তুরস্কের কাছ থেকে বেশ কিছু সংখ্যক বর্তমান পৃথিবীর সবচাইতে অত্যাধুনিক ড্রোন বায়ার আক্তার টিভি টু কিনেছে আরো কিছু সংখ্যক কেনার জন্য চুক্তিও করেছে যার মাত্র 50 টা দিয়েই ইউক্রেন হাজার হাজার রাশিয়ান যুদ্ধজন ধ্বংস করেছিল সেই সাথে সমরাষ্ট্রের উৎপাদন বাড়ানো এবং বাইরের দেশ থেকে আধুনিক অস্ত্র ক্রয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
আরো শক্তিশালী হওয়ার চেষ্টা করছে 2030 সালের মধ্যে এই সমস্ত নতুন অস্ত্র বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বহরে যুক্ত হবে যা বাংলাদেশকে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিবে তাছাড়াও বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর কৌশলগত শক্তি বৃদ্ধি করতে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গুলোর মধ্যে একটা হলো এমফিবিয়াস ট্যাংক সম্প্রতি বাংলাদেশ চীন থেকে 54 টা অত্যাধুনিক উভচর ট্যাংক অর্ডার করেছে যা পানিতে এবং মাটিতে দুই জায়গাতেই বেশ কার্যকরীভাবে চলতে পারে এই ট্যাংকগুলো এমন ভাবে তৈরি যা তীব্র স্রোতেও অনায়াসেই চলতে পারে এগুলো বিশেষ ধরনের হামলা চালানোর জন্য অত্যন্ত কার্যকরী যা বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা শক্তি আরো মজবুত করবে আর তাছাড়া চীন ভারতের কাছে এই ট্যাংকগুলো বিক্রিও করবে না তবে পরিশেষে আমাদেরকে
একটা কথা মনে রাখতে হবে যে যুদ্ধ কখনো শান্তি বয়ে আনতে পারে না কারণ ভারত যদি বাংলাদেশের উপরে আক্রমণ করে তবে হয়তো তারা দখল করতে পারবে না তবে ধ্বংসস্তপে পরিণত হতে পারে বাংলাদেশ প্রাণ হারাবে হাজার হাজার লাখ লাখ মানুষ এমনকি ভারতের জন্য রয়েছে অসনি সংকেত কারণ বাংলাদেশের সাথে যুদ্ধে ব্যস্ত থাকলে চীন এবং পাকিস্তান অবশ্যই ভারতীয় মানচিত্রে আক্রমণ করতে দ্বিধাবোধ করবে না আর সেভেন সিস্টার আলাদা হওয়ার জন্য তাদের নিরস্ত্র আন্দোলনকে হয়তো সশস্ত্র আন্দোলনে পরিণত করতে পারে এমন ভয়াবহ কিছু হলে দুইটা দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হবে আর তাই প্রতিবেশী দুইটা দেশের জনগণের উচিত এমন কোন মূলক কার্যক্রম না করা যাতে
দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের পরিবর্তে শত্রুতার সৃষ্টি হয় কারণ এতে উভয় দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হবে