25 ডিসেম্বর 2024 রাত 1টা বেজে 52 মিনিটে বাংলাদেশের সচিবালয়ের প্রচন্ড পরিমাণে আগুনের সূত্রপাত হয় যে আগুন থেকে সব মিলিয়ে পাঁচটি মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত পুরোপুরিভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে বলা যায় যে মন্ত্রণালয়গুলোর কোন ধরনের এভিডেন্স আর রেজিস্টোর করা কোনভাবেই সম্ভব নয় অল্প কিছু মন্ত্রণালয়ের কিছু কিছু ডকুমেন্টস হয়তো রেজিস্টোর করা সম্ভব উল্লেখযোগ্য সেসব মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ডাক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সড়ক মন্ত্রণালয়ের মত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় রয়েছে ঠিক একইভাবে ক্রীড়া উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ও রয়েছে যে মন্ত্রণালয়গুলোর কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি গত 15 বছরে সবচেয়ে বেশি হয়ে গেছে ডাক টেলিযোগাযোগ এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং সড়ক যোগাযোগ মন্ত্রণালয়
যে প্রত্যেকটা মন্ত্রণালয় ইন্টেনশনালি কমপ্লিটলি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং এখানে আর কোন এভিডেন্স এখন পর্যন্ত নেই শুনতে অবাক লাগলেও সত্য সেইসব মন্ত্রণালয়ের এভিডেন্স বলতে যত কিছু ছিল তার সবই ছিল লিখিত এবং সেই লিখিত এভিডেন্সের যখন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে তখন রিকভার করার মত ভার্চুয়াল আর কোন কিছু আমাদের কাছে নেই শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী আমলের গত 15 বছরে যে ডিজিটাল বাংলাদেশের বুলি আমাদেরকে শোনা হয়েছে সেই ডিজিটাল বাংলাদেশের বুলির এক অংশ বাস্তবায়ন করা হয়নি ডাক টেলিযোগাযোগ কিংবা সড়ক মন্ত্রণালয়ের মত মন্ত্রণালয়ের গুলোতে যার ফলাফল আজকে পুরো মন্ত্রণালয় যখন আগুন লেগে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে এভিডেন্স বলতে আর কোন কিছু নেই
কোন মন্ত্রণালয় কোন সচিব কত বেশি দুর্নীতি করেছে কোন মন্ত্রী কত টাকা ঘুষের লেনদেন করেছে এবং কোথায় কোন প্রজেক্টে কত বেশি দুর্নীতি হয়েছে তার কোন কিছু এখন পর্যন্ত আর নেই কে কোন মন্ত্রণালয় থেকে কাকে পাঁচে এখানে এসেছেন সেটাও আজকের দিনে আপনি আর খুঁজে পাবেন না এভাবেই ঠকিয়ে দেওয়া হয়েছে কমপ্লিটলি সারা বাংলাদেশের 18 কোটি মানুষের সাথে বিশাল প্রতারণার শিকার হয়েছে আগুন যদি একটা প্রতারণা হয় গত 15 বছরে বিশাল এই মন্ত্রণালয় গুলোকে ডিসেন্ট্রালাইজ না করা ছিল সবচেয়ে বড় প্রতারণা এবং সেটার শিকার বাংলাদেশ অলরেডি হয়ে গেছে রাত পৌনে দুই টার দিকে যখন আগুনের সূত্রপাত হয় তখন সে আগুনের সূত্রপাত
হয়েছিল ভবনের পঞ্চমত তলায় সেখান থেকে কিছুক্ষণের মধ্যেই অপর প্রান্তেও আগুনের সূত্রপাত হয় এবং তারপর কিছুক্ষণের মধ্যেই সে আগুন পুরো ভবনে ছড়িয়ে যায় ইন্টেনশনালি আগুনকে এমন ভাবে দেওয়া হয়েছে যে এক প্রান্তের আগুন নেভাতে নেভাতে অপর প্রান্তে নতুন করে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে পুরো আগুন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রায় আট ঘন্টার বেশি সময় লেগে গেছে আল্টিমেট মিনিংস হচ্ছে এ আগুনকে পুরোপুরিভাবে পরিকল্পিতভাবে এমন ভাবে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে যেন যত চেষ্টাই করুক এভিডেন্স কোনভাবেই আর রক্ষা পাবে না এবং সেটাই হয়েছে আগুনের টাইমিংটা এমন ভাবে নেওয়া হয়েছে রাত দুটো বাজে যখন সারাদেশের মানুষ ঘুমিয়ে আছে এবং সারাদেশ পুরোটাই নীরব এবং এর চেয়েও
বড় কথা সে আগুন নেভানোর জন্য মন্ত্রণালয়ের ভেতরেই কোন ধরনের ফায়ার ফিটিং সিস্টেম অতটা স্ট্রাবল ছিল না যে আগুনটাকে পুরোপুরি সহজ ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে যার সবগুলো ইন্ডিকেশন আপনাকে ক্লিয়ারলি বলে দিচ্ছি আগুনটাকে পরিকল্পিতভাবে লাগা হয়েছে কোথায় লাগানো হলে আগুন কত দ্রুত ছড়াবে এবং কোন প্রান্ত থেকে কোন প্রান্ত পর্যন্ত আগুনকে নিয়ন্ত্রণ করা সবচেয়ে কঠিন হয়ে যাবে মন্ত্রণালয়ের ভেতরের লোকজন সেটা খুব ভালো করে জানে এবং সেজন্য আগুনটাকে পরিকল্পিতভাবে এতটাই সিস্টেমেটিক ওয়েতে লাগানো হয়েছে যেন সেটা নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে এবং আমরা বাস্তবে সেটাই দেখেছি আট ঘন্টার বেশি সময় লেগে গেছে আগুন নিয়ন্ত্রণ হয়নি যার ফলাফল সরকারি অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ যত নথি ছিল বিদেশী চুক্তি ছিল কিংবা যত ধরনের রেকর্ড ছিল অথবা দুর্নীতির যত প্রমাণ ছিল তার সবকিছু এই মুহূর্তে গায়েব হয়ে গেছে এবং আগুনটা এমন সময় লাগানো হয়েছে কিছু কর্মকর্তার দুর্নীতি নিয়ে ঘাটাঘাটি শুরু হয়েছিল তার পরবর্তী সময়ে আগুন লেগেছে এখানেও সন্দেহ আরো বেশি বেড়েছে আজকে সচিবালয়ে যে আগুন লেগেছে সে আগুনকে শুধুমাত্র আগুন হিসেবে যদি দেখেন তাহলে এখানে সবচেয়ে বড় ভুল হয়ে যাবে সচিবালয়ে বরং আগুন লাগানো হয়নি আগুন লাগানো হয়েছে পুরো বাংলাদেশের বুকে সচিবালয় এমন একটা জায়গা যেখান থেকে পুরো বাংলাদেশকে মূলত পরিচালিত হয় এবং সচিবালয়কে যখন টার্গেট করা হয় তখন আপনাকে বুঝতে হবে দেশের ভেতরে
চরম লেভেলের শত্রু অপেক্ষা করে যাচ্ছে এবং মন্ত্রণালয়ের ভেতরেই শত্রুর অবস্থান আছে এবং সেই জন্যই আগুনটা লেগেছে আপনারা ক্লিয়ারলি জানেন গত পাঁচ মাস ধরে শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে তার দোষর তার কর্মী তার ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে সবাই বিভিন্নভাবে বিভিন্ন ধরনের পায়তারা করে যাচ্ছে একের পর এক বিভিন্ন ধরনের উদ্দীপনায় তারা মেতেছে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার পুরো দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছে বলা যায় এবং সেই জায়গায় সবচেয়ে বড় অংশে কাজ করে যাচ্ছে মূলত সচিবালয় কেন্দ্রিক যতগুলো অসাধু কর্মকর্তা রয়েছে যারা এখনো মনে করে শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের শাসনের সবচেয়ে উপযোগী ব্যক্তি এবং তারা তাকে এখনো লিডারি ভাবে এবং
আজকের দিনেও সচিবালয় থেকে শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক কিংবা যত মন্ত্রণালয় রয়েছে সেখানে যদি একটা নির্বাচন দেন দেখবেন যে শেখ হাসিনার দোষরাই সেখানে জিতে গেছে কারণ এই সবগুলো মন্ত্রণালয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিয়োগপ্রাপ্ত লিডার কর্মী ক্যাডার যত কিছু রয়েছে তারাই সবচেয়ে বেশি অংশে সেখানে আছে এবং তারা এখন ওপেন ফিল্ডে কথা বলে যাচ্ছে তারা সচিবালয়ের নিয়ন্ত্রণ করে তারা ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করে তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ করে এবং এবং আল্টিমেটলি দেশের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে এটা তারা ওভেনফিল্ডে এখন বলে যাচ্ছে এর আল্টিমেট মিনিংস হচ্ছে যে সচিবালয় যে বিশাল দুর্নীতি হয়েছে লাখ কোটি টাকার একটা দুর্নীতির শ্বেতপত্র কদিন আগে আমরা হাতে পেয়েছি
সেই দুর্নীতির শ্বেতপত্রের পুরোটা কোনভাবেই মিথ্যা নয় এবং এর বিশাল অংশ জুড়ে সচিবালয়ের এই কর্মকর্তারা শতভাগ জড়িত সরকার গত 15 বছরে যত দুর্নীতি করেছে শেখ হাসিনার হাত ধরে তার পুরোটার সহযোগী ফোর্স ছিল মূলত সচিবালয়ের এই কর্মকর্তারা এবং রাজনৈতিক রাজনৈতিক শক্তি যেকোনো ধরনের দুর্নীতি করুক সেখানে সচিবালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারী সহযোগিতা ছাড়া কোন দুর্নীতি সফলভাবে করা সম্ভব নয় এবং সেটাকে গোপন করাও সম্ভব নয় সো আগের যে দুটো কারণ বলেছি সেই দুই কারণের চেয়ে সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে রাজনৈতিক কারণ এবং প্রতিহিংসামূলক কারণ অথবা নিজেকে সেভ করার কারণ সবগুলোর একটা কারণ এসে দাঁড়ায় শেখ হাসিনাকে সেভ করার কারণ এবং তার মন্ত্রী
এমপিদের সেভ করে দেওয়ার জন্য বিশাল এই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে কিনা যদি আগুনটাকে আপনি আরো ভালোভাবে তাকান এটা লেগেছে মূলত সচিবালয়ে এমন একটা জায়গায় লেগেছে যেখানে বাংলাদেশের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ হয় সব ধরনের ডকুমেন্টস সেখানে রয়েছে বাংলাদেশের আগামীর দিন কি হবে তার সবকিছু এখান থেকে লিপিবদ্ধ হয় শেখ হাসিনা বিতাড়িত হওয়ার পর বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল অবস্থা থেকে স্থিতিশীলে ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুই কাজ সবচেয়ে বেশি করা উচিত ছিল যার প্রথমটা হচ্ছে জনপ্রশাসন এবং পরেরটাই ছিল মূলত পুলিশ বাহিনী এই দুটোতে যদি গুরুত্বপূর্ণভাবে সব ধরনের স্বৈরাচারের দোষদেরকে এখান থেকে ঝেড়ে ফেলা যেত আজকের দিনে হয়তো আমরা আগুনের সূত্রপাত দেখতাম না
শেখ হাসিনা পতনের পর আজকের দিন পর্যন্ত যদি জনপ্রশাসন থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসন পর্যন্ত আপনি ঘেটে দেখেন সব মিলিয়ে প্রায় 10% কর্মকর্তা কর্মচারীদের পর্যন্ত সেখান থেকে চাকরি থেকে বিতাড়িত করা হয়নি অথচ সেখানে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রায় 90% শেখ হাসিনার হাতে নিয়ন্ত্রিত ছিল এবং তাদের হাতে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিল সো আল্টিমেটলি প্রবাবলি সবচেয়ে বেশি অংশে তারা শেখ হাসিনাকে এখনো প্রায়োরিটি দিয়ে যাচ্ছে এবং এত বড় নেককারজনক ঘটনা এখানে ঘটানো হয়েছে তার সম্ভবত সামনে এসে দাঁড়ানোর সাহসও কেউ করেনি ঠিক একইভাবে সচিবালয়ের মত জায়গাকে গুরুত্বপূর্ণভাবে সিকিউরিটি দেওয়ার ক্ষেত্রে কিংবা ইনফ্রাস্ট্রাকচারগতভাবে সেটাকে পিনপয়েন্ট সিকিউর করার জন্য যত ধরনের ডেভেলপ প্রয়োজন তার কোন কিছুই
তারা ঠিকভাবে করেনি যার অন্যতম কারণ হচ্ছে তারা নিজেরাই একটা খালি ফাঁকা রাখার চেষ্টা করেছে যেন যেকোনো মুহূর্তে তারা সেভোটেজ করতে পারে এবং সেটাই করেছে প্রত্যেকটা অভ্যুত্থানের একটা ভাষা থাকে সেই অভ্যুত্থানের ভাষায় এমন কিছু আসে যেটা সবসময় কমপ্লিটলি নতুন কিছুকে চিন্তা করে কিন্তু আমাদের এখানে হয়েছে উল্টোটা পুরনোটাকে নিয়ে আমরা বসে আছি একটা উদাহরণ দিচ্ছি এ ধরনের উদাহরণ অসংখ্য রয়েছে পৃথিবীতে যে বিপ্লবের পরে মানুষ কতটা বদলায় এবং দেশটাকে কিভাবে ঘুরে নেয় এবং সেখানে কেন মানুষ সময় দেয় না তার কয়েকটা উদাহরণ দিচ্ছি 2016 সালে এরদোগানের টার্কিতে একটা কু হয়েছিল যেটা আপনাদের সবারই মনে থাকার কথা সেই সময় সাধারণ
মানুষের সহযোগিতায় এরদোগান মসনদে ফেরত যায় এবং ক্ষমতায় ফেরত যাওয়ার পর এরদোগান সরাসরি 1 লক্ষ 50000 এর বেশি এমপ্লয়ীকে সরাসরি চাকরি থেকে বিতাড়িত করেন তাদের চাকরি নট করে দেন এবং সরকারি চাকরিতে তাদের আর কোন জায়গা হয়নি প্রায় 77000 মানুষকে তিনি জেলবন্দী করেন যারা সবাই ছিল সরকারি চাকরিজীবী এবং এর মধ্যে সব মিলিয়ে প্রায় 5700 এরও বেশি শিক্ষক-চিকিৎসক সাইন্টিস্ট থেকে শুরু করে এমন যত ধরনের চিন্তাবিদ ছিলেন তারা ছিলেন সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ সে সময় চিরতরে টার্কি থেকে পালিয়েছে আর কখনো টার্কিতে ফিরে আসেনি এবং এটা ছিল আজকের দিনে এরদোগান 2016 থেকে 24 পর্যন্ত টিকে যাওয়ার একমাত্র মূলমন্ত্র এবং
টার্কিকে স্টেবল রাখার একমাত্র মূলমন্ত্র টার্কি সেটা দেখিয়েছে কিভাবে করতে হয় টার্কি সেটা দেখিয়েছে একটা কু হওয়ার পর কিভাবে টিকে থাকতে হয় ঠিক একই অবস্থাটা আপনি দেখেছেন ইরানি রেভুলেশনের পর ইরান কিভাবে আমেরিকান পাপেট এবং রেজাশাহ পল্লবীর যত কিছু আছে তার সবকিছুকে ঝেড়ে ফেলে দিয়ে একটা ইসলামিক রেভুলেশনে নিয়ে এসেছে এবং ইসলাম শাসন কায়েম করা শুরু করেছে এবার যদি ওই দুইটার প্রেক্ষিতে আপনি আমাদের দিকে তাকান আমাদের প্রায় দেড় হাজারের বেশি মানুষ রাজপথে তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে প্রায় 24 হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে এবং একটা স্বৈরাচার তার পুরো দল নিয়ে পালিয়ে গেছে 300 আসনে যত এমপি ছিল তারা দেশ
ছাড়া হয়েছে কিছু জেলে বন্দি আছে কিন্তু মন্ত্রণালয়ের যত কর্মকর্তা রয়েছে তাদের দিকে তাকান তারা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে সব মিলিয়ে 2% মানুষকে চাকরিচুত্ত করা হয়েছে কিনা সেটাও সন্দেহজনক শুধুমাত্র টার্কির সাথে যদি কম্পেয়ার করেন টার্কির একটা এডমিনিস্ট্রেশনের সাইজ আর আমাদের এডমিনিস্ট্রেশন এর সাইজ কমপ্লিটলি ডিফারেন্ট তারকি সব মিলিয়ে সাড়ে আট কোটি মানুষ তাদের এডমিনিস্ট্রেশন ডেফিনেটলি আমাদের থেকে অনেক ছোট কিন্তু আমাদের 18 কোটি মানুষের বিশাল এডমিনিস্ট্রেশন কিন্তু আমাদের এখানে ভয়ে এখন পর্যন্ত 2000 মানুষকেও চাকরিচুত্র করা হয়নি যেখানে তারকি করেছিল সব মিলিয়ে 1 লক্ষ 50000 এর বেশি যে সুশীলরা আজকের দিনে আমাদেরকে প্রশ্ন করে যে মানুষগুলোকে চাকরি থেকে বিতাড়িত
করলে প্রশাসন চলবে কিভাবে দেশ চলবে কিভাবে রাষ্ট্রের কাঠামো চালাবেন কিভাবে তাদের কাছে শুধু এইটুকু প্রশ্ন করেন তার কি দেড় লক্ষ মানুষকে চাকরিচূত করার পর কি টার্কির দেশ চলেনি তাদেরকে এই প্রশ্নটা করেন যে প্রশাসন চালানোর জন্য শুধুমাত্র বিসিএস ক্যাডারি কেন প্রয়োজন হবে ইমারজেন্সি মুহূর্তে কেন রিকভার করার মত অপশন এখানে তৈরি করা হয়নি অতীতেও করা হয়নি এখনো করা হচ্ছে না অথচ 18 কোটি মানুষের দেশে কিভাবে জনবলের সব অভাব হয় সেই প্রশ্ন তাদেরকে করুন এই প্রশ্ন তাদেরকে আরো ভালোভাবে করুন এখানে লাখ লাখ শিক্ষার্থী প্রতিবছর কেন দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে এবং তারা দেশে চাকরি পর্যন্ত পাচ্ছে না উপযুক্ত জায়গায়
উপযুক্ত মানুষকে না দিয়ে বরং রাজনৈতিকভাবে উপযুক্ত জায়গায় অনুপযুক্ত মানুষকে যখন নিয়োগ দেওয়া হয় তখন রাষ্ট্রের কাঠামো এভাবেই ঢলে পড়ে এবং এভাবেই ভেঙে পড়ে এভাবেই প্রশাসনে আগুন লাগে এভাবেই দেশকে আগুনে জ্বালানো হয় এবং আজকের দিনে আমরা সেটার খেসারত দিচ্ছি দিন দিন পরিস্থিতিকে যেভাবে ড্রাইভ করা হচ্ছে এবং যেভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাতে আগামীর দিনগুলোতে খুব অল্প সময়ের মধ্যে সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিতে যাচ্ছে সবচেয়ে বড় আকারে এবং পুরো জাতিকে একটা বিপদজনক অবস্থায় ফেলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট পরিমাণে খারাপ কাজ তারা করে ফেলেছে একটা এডভাইজরি বোর্ডে যদি আপনি চার পাঁচ জনের বেশি উপদেষ্টা রাখেন যারা সরাসরি আওয়ামী লীগের দোসর এবং
আওয়ামী লীগের হয়ে আজীবন কাজ করে গিয়েছিল তাদেরকে আপনি এখানে নিয়োগ দেন তাহলে আপনি কোনভাবেই আশা করতে পারেন না মন্ত্রণালয়ে আগুন লাগবে না আপনার পরিস্থিতি ভালো থাকবে যেসব উপদেষ্টাদের নিয়ে এত বেশি প্রশ্ন করা হয়েছে তাদেরকে এখনো কেন সেখানে রাখা হয়েছে এবং এখনো কেন রেখে যাওয়া হচ্ছে তার কোন উত্তর আমাদের আসলে জানা নেই এবং এখনো খুঁজে পায়নি মাসখানেক আগে আমি ক্লিয়ারলি দেখিয়েছিলাম ছাত্রদের বিশাল আন্দোলনকে পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে প্রায় চারটা জায়গায় আজকের দিনে যদি সেটা নিয়ে আমি বলতে চাই অন্তত এক ডজনের বেশি জায়গায় আমি দেখাতে পারবো যেখানে ছাত্রদেরকে ইন্টেনশনালি ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে এবং আজকের দিনেও
ব্যর্থ করা হচ্ছে এটা যদি এভাবে চলতে থাকে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনি সমন্বয়কদের মাঠে আর খুঁজে পাবেন না দেখবেন যে সমন্বয়ক বলতে কোন কিছু নেই এবং সমন্বয়কদেরকে টার্গেট করে এখন পর্যন্ত হত্যা করা হচ্ছে যেটা ক্লিয়ারলি পত্রিকায় এসেছে টিভিতে নিউজ হয়েছে এবং সমন্বয়করা নিজেরা গিয়ে সেসব নোট করেছে ফাইল করেছে জিডি করেছে মামলা করেছে কিন্তু কোন অ্যাকশন নেওয়া হয়নি অ্যাকশন না নেওয়ার পেছনের সবচেয়ে বড় কারণগুলো হচ্ছে অ্যাকশন যারা নেবে তারাই মূলত সবচেয়ে বেশি আওয়ামী লীগের এবং স্বৈরাচারীর দোষ তাই স্বৈরাচারী এর দোসরকে কোলে বসিয়ে আপনি কোনদিনও আশা করতে পারেন না মন্ত্রণালয় ভালো থাকবে সচিবালয়ে আগুন লাগবে না কিংবা
আপনার আইন শাসন থেকে শুরু করে সবকিছু খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে এটা কোনভাবেই সম্ভব নয় এবং আজকের দিনে আমি ক্লিয়ারলি বলতে পারি যে আমাদের সচিবালয়ে যে আগুন লেগেছে সেটা কোনভাবেই এক্সিডেন্ট নয় এটা ইন্টেনশনাল এবং এটা আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ কিংবা ইন্ডিয়ান ইন্টেনশনে লাগানো হয়েছে ইন্ডিয়াকে এখানে আসতে হবে না কখনো আগুন লাগানোর জন্য তাদের পকেটে যদি আওয়ামী লীগ থাকে আর আওয়ামী লীগের পকেটে যখন পুরো সচিবালয়ের রয়েছে তখন আমাদের এন্টায়ার সচিবালয় মূলত ইন্ডিয়ার পকেটে রয়েছে ইন্ডিয়া বলবে আগুন লাগাও লাগিয়েছে এবং সেটাই হয়েছে এমন অসংখ্য তথ্য পাচ্ছে যেখানে এটা ক্লিয়ারলি দেখানো হচ্ছে যে আগামীর দিনগুলোতে আমাদের কি
ইনফ্রাস্ট্রাকচার গুলোতে এ ধরনের একই ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর চিন্তা করা হচ্ছে সেই কি ইনফ্রাস্ট্রাকচার হতে পারে পদ্মা সেতু হতে পারে বিমানবন্দর হতে পারে মাতারবাড়ি পাওয়ার প্রজেক্ট কিংবা এই ধরনের যত ইনফ্রাস্ট্রাকচার রয়েছে সেগুলো স্কাইস্কেপার ঢাকা সিটিতে এখন অসংখ্য সেই স্কাইস্কেপারে আগুন যদি লাগিয়ে দেওয়া হয় সেটা অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না আপনি হয়তো ভাবতে পারেন যে এ ধরনের আগুন লাগিয়ে তারা আসলে কি উসুল করবে একটা আগুন লাগানোর পর একের পর এক যখন পরিস্থিতি ঘোলাটি হবে তখন আপনি আর সহ্য করতে পারবেন না সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে যাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হবে এবং সেই পরিস্থিতির ফায়দা লুটার জন্য একটা দল
বাংলাদেশের সবসময় ওস্তাদ সেটা হচ্ছে আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগ সেটা করে দেখাবে এবং তারা ইন্টেনশনালি এগুলো লাগাচ্ছে করে দেখাচ্ছে এবং সারা দেশকে মূলত ডেস্ট্রয় করার প্ল্যান করে গেছে আওয়ামী লীগের কাছে দেশের কোন মূল্য নেই বিলিভ করেন আর না করেন এটাই সত্য আওয়ামী লীগের কাছে দেশের কোন ভ্যালু নেই তাদের কাছে একটা ভ্যালু আছে ক্ষমতায় যাওয়া ইন্ডিয়াকে সার্ভ করা এর বাইরে আর কোন কিছু তাদের নেই তারা এখন কোন কিছুকে মূল্যায়নও করে না সো ফাইনালি বিশালী অভ্যুত্থানের পরও সরকারে যখন আওয়ামী উপদেষ্টা থাকে প্রশাসনে যখন আওয়ামী সচিব আওয়ামী যুগ্ন সচিব উপসচিব উপদেষ্টা প্রশাসনিক ক্যাডার আমলা সবাই থাকে কিংবা একইভাবে
পুরো পুলিশ প্রশাসন জুড়ে যখন আওয়ামী লীগের দোষরা বসবাস করে যাচ্ছে এবং ইভেন সেনাবাহিনীতে আওয়ামী লীগের দোষরা ভর্তি ডিজিএফআই থেকে শুরু করে সিকিউরিটি সার্ভিস যতগুলো রয়েছে আওয়ামী লীগের দোসরে ভর্তি তখন আপনি কোনভাবেই আশা করতে পারেন না দেশ ভালো থাকবে এবং ভালো থাকার কোন সম্ভাবনা নেই হাসনাত আব্দুল্লাহ ক্লিয়ারলি একবার বলেছিলেন যে বিপ্লবীদের দিকে ফাঁসির রশি ধেয়ে আসছে বাস্তবতা সেটাই হচ্ছে এবং ফাঁসির রশি খুব দ্রুত আকারে ধেয়ে আসছে ঠিক একইভাবে ফিদেল ক্যাস্ট্রো একবার বলেছিলেন বিপ্লবীরা যদি বিনয়ী হয় গণবিধ্বংসীরা শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং আমাদের দেশে সেটাই হচ্ছে আমাদের দেশে ঠিক সেটাই হচ্ছে আমরা বিপ্লবী ছিলাম বিপ্লবের পর আমাদের পুরো
নেতাকর্মী থেকে সবাই বিনয়ী হয়ে গেছে এবং এখন সময়ের প্রেক্ষিতে পুরো আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ স্বৈরাচার সবাই বিপ্লবী হয়ে উঠে এসেছে এবং তারা এখন এতটাই ব্যাকফায়ার করে যাচ্ছে আগামীর দিনগুলোতে তাদেরকে আপনি কতটা স্ট্রংলি কাউন্টার দিতে পারবেন এটা বিশাল প্রশ্ন এই প্রশ্নের যদি সমাধান না পাই আগামীর দিনগুলোতে আপনি আমি বাংলাদেশে বসবাস করতে পারবো না ভিডিওটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত জানান এবং আপনার যত কথা আছে আমার কাছে পৌঁছানোর জন্য ফেসবুক টুইটার instagram কিংবা টেলিগ্রাম এও কানেক্টেড হয়ে যেতে পারেন এনজয় করুন পরের অন্য একটা ভিডিও ততক্ষণ পর্যন্ত টাটা বাই বাই আল্লাহ হাফেজ