[মিউজিক] 1947 সালে উপমহাদেশকে ভাগ করা হয় প্রধানত ধর্মের ভিত্তিতে এরপর 47 থেকে 71 পর্যন্ত চলে নির্মম বৈষম্য সেই বৈষম্যের স্ফুলিঙ্গ থেকে একসময় দাবানল নয় মাসের যুদ্ধ বিজয় অর্জন স্বাধীনতা কিন্তু সত্যি কি স্বাধীনতা আচ্ছা আপনার কাছে স্বাধীনতার মানে কি আপনি আসলে স্বাধীনতা বলতে কি বোঝেন আজ থেকে প্রায় 200 বছর আগে এক জার্মান মনীষী বলতেন মানুষের ইতিহাস মূলত দুই অক্ষে বিভক্ত জালিম আর মজলুম যেদিন মজলুম শিকল ভেঙে মুক্তি পাবে জালিমের হাত থেকে যেদিন জালিম মজলুমের দ্বন্দ হবে নিঃশেষ সেদিন আসবে স্বাধীনতা ঠিক সেদিন মানুষ তার অসীম সম্ভাবনাকে অনুভব করতে পারবে কিন্তু আফসোস আমাদের এই ভূখণ্ডে আজ পর্যন্ত বহু
নেতা এসেছেন গেছেন কিন্তু কেউ আজ পর্যন্ত মুজলুমের স্বাধীনতা নিয়ে ভাবেনি কেউ ভাবেনি মুজলুমের অধিকার নিয়ে একজন কিন্তু একজন ছিলেন যিনি তার শৈশব থেকে শেষ নিঃশ্বাস অব্দি লড়াই করেছেন মুজলুমের পক্ষে লড়াই করেছেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন তাদের রেখে যাওয়া জমিদার শ্রেণীর বিরুদ্ধে আসামের লাইন প্রথার বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে চ্যালেঞ্জ করেছেন নিজেরই দলকে পিন্ডির গোলামীর জিঞ্জির ছিন্ন করেছেন দিল্লির দাসত্বের বিরুদ্ধে করেছেন বিদ্রোহ সময়ের সাথে সাথে হাসের পাতা থেকে সিস্টেমেটিক্যালি সরানোর চেষ্টা করা হয়েছে যাকে আমাদের আজকের বিজয় দিবসের স্পেশাল এপিসোড তাকে নিয়ে দি রেড মাওলানা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান [মিউজিক] ভাষা 1976 সালে 16ই মে বাংলাদেশের
রাজপথে নেমে আসে লক্ষ লক্ষ জনতা গন্তব্য বাংলাদেশের উত্তরে চাঁপাই নবাবগঞ্জ সীমান্ত মিছিলের সামনে সফেদ পাঞ্জাবি পড়ে হাঁটছেন 90 বছর বয়সী এক নেতা উদ্দেশ্য ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে আন্দোলন কিন্তু 90 বছর বয়সী এক বৃদ্ধের অসুস্থ শরীর নিয়ে পায়ে হেঁটে লং মার্চের কি প্রয়োজন ছিল ততদিনে দেশ তো স্বাধীন তাহলে কি দরকার গল্পটাকে আরো গভীরভাবে বুঝতে আমাদেরকে ফিরতে হবে মাওলানার শৈশবে যখন ভারত উপমহাদেশের জাগ্রত হতে শুরু করেছে ইংরেজ হটাও চেতনা গল্পের শুরু যখন থেকে তখনও তিনি মাওলানা কিংবা ভাষানী কোনটাই হয়ে ওঠেননি তিনি তখন সেফ চ্যাগামিয়া চ্যাগামিয়া ওরফে আব্দুল হামিদের জন্ম নেহাতিয়া কৃষক পরিবারে অবিভক্ত বাংলার পাবনায় 1980 সালে যখন
তিনি আসেন পৃথিবীতে তখন কলেরাডা ছিল এক ভয়ঙ্কর রোগের নাম চারদিকে কলেরায় মারা পড়ছে মানুষ সেই একই স্রোতে আব্দুল হামিদ হারান তার মা দুই ভাই আর একমাত্র বোনকে বয়স মাত্র 10 বছর হতে না হতেই চ্যাগামিয়া হারান তার বাবাকেও বলা যায় চ্যাগামিয়ার জীবনের যাত্রা শুরু হয় একেবারে এতিমের বেশে তার চাচা তাকে দত্তক নিলেও সেই সুখটা বেশিদিন তার ভাগ্যে জোটেনি সুখ জুটবেই বা কিভাবে শ্রুতি আছে চ্যাগামিয়ার চাচা ছিলেন অ্যাবিউসিভ সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে 1893 সালে বাড়ি ছেড়ে পালান আব্দুল হামিদ পেটের দায়ে তার কাজ শুরু হয় কৃষি ক্ষেত্রে এর একজন দিন মজুর হিসেবে এতকাল ধরে চলে আসা
কৃষকদের লাঞ্ছনার ইতিহাসের সাথে এই প্রথম মোলাকাত হলো তার দিন মজুর হিসেবে কাজ করতে গিয়ে তার মাঝে এক বোধ জন্ম নেয় 1971 সালের 13ই জানুয়ারি দৈনিক পয়গামের এক সাক্ষাৎকারে তিনি শৈশবের স্মৃতিচারণ করে বলেন ছোটবেলা হইতেই আমার মনে দাগ কাটিয়া ছিল সমাজের তথাকথিত খান্দানিপনা জমির পরিমাপে মানুষে মানুষের শ্রেণীভেদ করাটা আমি মোটেই বরদাস্ত করিতে পারতাম না জমিদার মহাজনদের সুপরিকল্পিত শোষণের পরিচয় যেদিন পাই ছিলাম সেদিনই মনে চাইয়া ছিল গোটা সমাজ ব্যবস্থাকে দুমড়াইয়া নতুন কিছুর পত্তন করি মধ্য গরীব কৃষকদের উপরে জমিদারদের যে শোষণ নিপীড়ন অত্যাচার তার বিরুদ্ধে যে আওয়াজ চাগামিয়া তুলেছিলেন সেখান থেকেই শুরু হয় দি রেড মাওলানা মাওলানা আব্দুল
হামিদ খান ভাষানীর যাত্রা যেই মানুষটা বাংলার এত মানুষকে একজোট করতে পেরেছিল প্রতিবাদ করতে পেরেছিল তার সামনে থাকা সমস্ত জালিমের তার মাঝে এত সাহস এলোই বা কোত্থেকে উত্তর খুঁজতে আমাদেরকে ফিরতে হবে ভাষানীর শিক্ষাজীবনে যখন তিনি সিরাজগঞ্জ থেকে যাত্রা করেছিলেন দেওবন্দে দারুল উলুম মাদ্রাসায় বলা দরকার এই দেওবন্দী মাদ্রাসা তখন একটি অ্যান্টিকলোনিয়াল বা সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিল সেখানে আব্দুল হামিদের মোলাকাত হয় শাইখুল হিন্দ মাওলানা মাহমুদ হাসানের সাথে সময়ের সাথে সাথে মাওলানা মাহমুদ হাসান হয়ে ওঠেন আব্দুল হামিদের ওস্তাদ যার কাছে তিনি কোরআন হাদিস ও ফেক শাস্ত্রের পাঠ নেন তাছাড়া মাওলানা আজাদ সুবহানীর সঙ্গেও তার পরিচয় হয় মাওলানা
সুবহানী ছিলেন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের রেশমি রুমালের অন্যতম তাত্ত্বিক এই আজাদ সুবহানী ছিলেন এক অদ্ভুত লোক তিনি একই সঙ্গে যেমন পরহেজগার মুসলমান ছিলেন তেমনি ছিলেন মার্কসীয় চিন্তায় প্রভাবিত সুবহানি মনে করতেন শুধু আখেরাতের মুক্তি মানুষের মুক্তির একমাত্র পথ নয় দুনিয়াও সমান গুরুত্বপূর্ণ আজাদ সুবহানীর এই চিন্তা দ্বারা ভাষানী প্রবলভাবে প্রভাবিত হন ভাষানী 1974 সালে তার এক প্রবন্ধ হুকুমতে রাব্বানিয়া কি ও কেন জানান মাওলানা সুবহানী একবার তাকে বলছেন আজ ওয়াদা করো তুমি রাজনৈতিক জীবনে যত কলাকৌশলী নাও না কেন মূলত হুকুমতে রব্বানিয়া কায়েমের লক্ষ্যেই সংগ্রাম করিয়া যাইবা ভাষানী উত্তরে বলছেন হ্যাঁ ওয়াদা করিলাম রাজনীতিতে যাহা কিছুই করি না কেন হুকুমতে
রব্বানিয়া হইতে লক্ষ্যচ্রুত হইবো না কিন্তু এই হুকুমতে রব্বানিয়া বলতে মাওলানা আজাদ সুবহানী কিংবা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষানী আসলে কি বোঝাতে চাইছেন এই হুকুমতে রব্বানিয়ার কনসেপ্টটাই বা কি আমরা এই জটিল আলোচনার সহজ ব্যাখ্যা ভাষানীর মুখ থেকেই শুনতে চাই মাওলানা ভাষানী 1974 সালে সন্তোষে বলেন শিক্ষা দীক্ষা খাওয়া-পড়া ইত্যাদির প্রশ্নের স্রষ্টার নিকট যেমন হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিস্টান ইত্যাদি পরিচয়ের কোন বালাই নাই মানুষের দৈহিক ও আত্মিক চাহিদার ক্ষেত্রে যেমন ভেদাভেদ নাই ঠিক তেমনি হুকুমতে রব্বানিয়ায় সাম্য মৈত্রী ও ভাতৃত্বের ভিত্তিতে সকল নাগরিককে সমান সুযোগ ও অধিকার দেওয়া হইবে আমি বলিয়া থাকি সকল সম্পদের মালিকানা একমাত্র আল্লাহর তাই আল্লাহর নামে
রাষ্ট্রের সকল সম্পদ প্রয়োজনের ভিত্তিতে সমানুপাতিক হারে বন্টন করিয়া ব্যক্তিগত মালিকানার উচ্ছেদ করিতে হইবে মাওলানা ভাষানীর এই কথার দিকে খুব ভালোভাবে খেয়াল করলে বোঝা যায় তার চিন্তায় ইসলাম এবং একই সাথে মার্কসীয় চিন্তার একটা সংমিশ্রণ ঘটেছে মার্কস যেমন তার কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো চ্যাপ্টার টু তে বলছেন থিওরি অফ কমিউনিস্ট মেবি ইন দি সিঙ্গেল সেন্টেন্স অফ প্রাইভেট প্রপার্টি অর্থাৎ তাকে একটু আগে মাওলানা ভাষানী বলছিলেন আল্লাহর দুনিয়ার সমস্ত ব্যক্তিগত মালিকানার উচ্ছেদ এবং তার রাজনৈতিক জীবনের সম্পূর্ণটাই তিনি এই কমিটমেন্টেই যুদ্ধ চালিয়ে গেছেন জিস ক্ষেত সে দাহকান কোয়াসার নাহি রোজি উস ক্ষেতকে হার খোসায়ে গন্ধমক জ্বালা দো মনে আছে ভিডিওর একেবারে শুরুর দিকে
আমরা একটা এপিগ্রাফ দেখেছিলাম কবিতাটা আল্লামা ইকবালের যেখানে তিনি বলছেন যেই জমির শস্যদানার ভাগ কৃষক পায় না সেই জমির সমস্ত ফসল জ্বালিয়ে দাও যদি আজকের কথা বলেন এই কবিতাটা বারবারই আমাদের আজকের বাজারের সিন্ডিকেটের কথা মনে করিয়ে দেয় 1909 সালে মাওলানা ভাষানী যোগ দেন ব্রিটিশ ও সামন্ত প্রভু বিরোধী এক সশস্ত্র বিপ্লবী দলে একদিন ভাষানী সেই বিপ্লবী দলের সাথে মিলে একটা ভুট্টার গোডাউনে আগুন জ্বালিয়ে দেন দাউ দাউ করে পুড়ে যায় মজুদ করে রাখা সমস্ত ভুট্টা শস্যদানা আমার মনে হয় শস্যদানা যখন পুড়ছে মাওলানা ভাষানী হয়তো সেই আগুনের দিকে তাকিয়ে ভাবছিলেন এই তামাম দুনিয়ার সমস্ত শস্যদানার মালিক একমাত্র আল্লাহর শস্যদানার
উপর হক আছে আল্লাহর সৃষ্টির সমস্ত মাখলুকের সেই হককে মজুদ করে সিন্ডিকেট করার অধিকার কারোর নাই সুতরাং এই শস্যদানা কারো বাপের না সবই আল্লাহর পুড়ে যাক একই আদর্শে এই ভূখণ্ডের বিভিন্ন অঞ্চলের সামন্ত প্রভুদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন তিনি বারবার পড়তে হয় রোশানলে পালিয়ে বেড়াতে হয় এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চল রাজশাহীর কৃষকদের একত্র করে জমিদারদের বিরুদ্ধে যখন বিদ্রোহ করেন তখন জমিদারদের তোপের মুখে তিনি চলে যান টাঙ্গাইলের কাকমারিতে সেখানকার কৃষকদেরকেও যখন তিনি একত্র করেন তখন জমিদার আর ব্রিটিশ এডমিনিস্ট্রেটর তার উপরে চড়াও হয় ময়মনসিংহ এলাকা থেকে তাকে ঘোষণা করা হয় অবাঞ্ছিত তিনি পালাতে বাধ্য হন পাবনায় সেখানেও একই ঘটনা ঘটার
পরে জমিদার ও সুদখোরদের চাপে তিনি চলে যান দিনাজপুর এরপর 1926 সালে আবারো পুরো বাংলায় তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ব্রিটিশ এডমিনিস্ট্রেশন তাকে ছুটে বেড়াতে হয়েছে অঞ্চলের উপর অঞ্চল কিন্তু তার ভেতরের যে আদর্শ তাকে কেউ কোনদিন দমাতে পারেনি আর সেখান থেকেই মাওলানা আব্দুল হামিদের এবারের যাত্রা আসামে এই ভূখণ্ড থেকে মাওলানা একাই আসামে পাড়ি জমাননি মাওলানা আব্দুল হামিদের মতোই যদিও একটু অন্য কনটেক্সটে আসামে পাড়ি জমিয়েছিলেন নদী ভাঙ্গনের শিকার হওয়া প্রায় লক্ষ লক্ষ বাঙালি পরিবার মাওলানা সেখানেও মজলুমের পক্ষ নিয়ে আন্দোলন করেন লাইন প্রথার বিরুদ্ধে আমরা বাংলা পেরিয়ার লাইন সিস্টেম এন্ট্রি থেকে পাই তখন ময়মনসিংহ জেলার অধিবাসীদের মুসলমান সম্প্রদায়ের একটা
বিশাল অংশ আসামের ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে কিছু জায়গায় ঘর করে থাকেন ফলে 1911 সালের আদমশুমারী অনুযায়ী 20 শতকের প্রথম দশকে পূর্ব বাংলা থেকে মুসলমান সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশ আসামে অভিভাষিত হয়েছে ছিল লাইন সিস্টেম ছিল মূলত আসাম রাষ্ট্রের স্বদেশীয় সম্প্রদায়কে অভিভাষী মুসলমান বাংলাভাষী জনগোষ্ঠী থেকে পৃথক করে রাখার একটা বিশেষ ব্যবস্থা অভিবাষী ও বাঙালি আদিবাসীদের মধ্যে নানা কারণে যেন কোন দ্বন্দ্ব সৃষ্টি না হয় এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই লাইন প্রথার প্রবর্তন লাইন সিস্টেমের কারণে ময়মনসিংহ জেলা থেকে মাইগ্রেন্ট হওয়া বাঙালিদের জীবনযাপন হয়ে ওঠে কঠিন শুধুমাত্র একটা নির্দিষ্ট জায়গার বাইরে চলাচল ঘোষণা করা হয় নিষিদ্ধ ভাবুন তো একটা আস্ত কমিউনিটিকে
কে যদি একটা নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে বন্দি করে রাখা হয় যেন অন্য কোন কমিউনিটির সাথে মিশতে না পারে ব্যাপারটা কি পরিমাণ জাতি-বিদ্দেশী বা রেশিয়াল এই জাতিবিদ্দেশ একটা সময় গিয়ে আসামে বাঙাল খেদাও আন্দোলনের রূপ নেয় নুরুল কোভিদ যেমন যথার্থই জানান পূর্ব বাংলার নদী ভাঙ্গনের কারণে জীবিকার তাগিদে কৃষি কাজ করতে যে সমস্ত বাঙালি আসাম পাড়ি জমিয়েছিল মাওলানা আব্দুল হামিদ খান এবার তাদের পাশে এসে দাঁড়ালেন সে সময় আসামের বাঙাল খেদাও আন্দোলনকে বৈধতা দিয়ে আইনি বিল পাশ করানোর জন্য প্রস্তাব আসামের মুসলিম লীগ নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী স্যার মোহাম্মদ সাদুল্লাহ মাওলানা এই বিলের প্রত্যক্ষ বিরোধিতা করেন এবং সাদুল্লাহ সাহেবকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন
তিনি যেন ইংরেজদের দালালি ছেড়ে আসামের মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেন মজলুমের পক্ষে লাইন সিস্টেমের বিরুদ্ধে মাওলানার এই বিপ্লব চলে টানা 20 বছর শেষমেষ সাদুল্লাহ সাহেব প্রায় 1 লক্ষ বাঙালির জন্য ভূমি বরাদ্দ করতে বাধ্য হন কিন্তু মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ছিলেন এমন একজন মানুষ যিনি যেখানেই অন্যায় দেখেছেন সেখানেই করেছেন প্রতিবাদ সেটা নিজ গোত্র কিংবা নিজ কমিউনিটি অথবা নিজ রাজনৈতিক দলই হোক না কেন আসামে বাঙালিরা যখন ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করে তখন সেখানে অভিযোগ ওঠে বাঙালিরা ওজনের ব্যাপারে কারচুপি করছে মাল সামানা কেনার সময় নিজেদের লাভ অনুযায়ী ওজন করা আর বিক্রির সময় লাভ বাড়াতে ক্রেতাকে ঠকানো ব্যবসায়ীদের নতুন ছলচাতুরির অংশ
হয়ে ওঠে মাওলানা সে সময় আওয়াজ তোলেন বাঙালি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যাদের অধিকারের জন্যই সংগ্রাম করেছিলেন টানা 20 বছর 1924 সালের একটা ঘটনাবলী আপনাদের ততদিনে মাওলানা হয়ে উঠেছেন মজলুমদের জননেতা দি নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক ও লেখক নুরুল কোভিদ সাহেব তার বই দি রেড মাওলানাই বলছেন 1924 সালে আসামের ধুবড়ি জেলার ভাষাঞ্চরে এক বিশাল জনস্রোতের ডাক দেন মাওলানা সম্মেলন সফল হওয়ার পর মানুষ আব্দুল হামিদ খানের নাম দেন ভাষাঞ্চরের মাওলানা অথবা মাওলানা ভাষা নিয়ে মাওলানা এবার হয়ে ওঠেন মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষানী এবারের যাত্রা আরো বড় আরো অনেক কঠিন মেইনস্ট্রিম পলিটিক্স ভাষানী তখন মেইনস্ট্রিম রাজনৈতিক নেতা দেশভাগের পর
পশ্চিম পাকিস্তানের মুসলিম লীগ ছিল উর্দুকেই একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষপাতী কিন্তু পূর্ব আর পশ্চিম পাকিস্তান মিলে সিচুয়েশনটা ছিল আরো অনেক বেশি ঘোলাটে পূর্ব বাংলার লেজিসলেশন অ্যাসেম্বলিতে কথা বলার সময় তারা উর্দুতে কথা না বলে ইংরেজিতেই বলতেন বিশাল আইরনি একদিকে উর্দু ভাষার ওকালতি আরেকদিকে ইংরেজি ভাষার জাহেরি এখান থেকেই স্পষ্টত বোঝা যায় উর্দু ভাষার পক্ষে ওকালতি ছিল নিতান্ত একটা বৈষম্য তৈরির লক্ষ্যে আচ্ছা আমাকে বলুন তো রাষ্ট্রভাষার কাজটা আসলে কি রাষ্ট্রভাষা মানে হলো একটা রাষ্ট্রের সর্বস্তরে সেই ভাষার চলন উর্দুকে যদি পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করা সম্ভব হয় তাহলে চাকরি-বাকরি থেকে শুরু করে অফিস আদালত পড়ালেখা সব জায়গায় এগিয়ে থাকবে শুধুমাত্র উর্দু
ভাষী মানুষেরা মদ্ধ্যাক কথা বাদ যাবে পূর্ব পাকিস্তানের বাংলা ও অন্যান্য ভাষাভাষী কয়েক কোটি মানুষ রীতিমত বিরাট এক বৈষম্যের ফাঁদ মাওলানা জান ও জবানের এই সম্পর্কটাকে বুঝতেন তিনি জানতেন ভাষার সঙ্গে কর্মক্ষমতার এক বিশাল যোগসূত্র আছে শুধু ভাষাকে ব্যবহার করেই একটা জনগোষ্ঠীকে ভাতে মারা সম্ভব ভাষা নিয়ে দুই পাকিস্তান যখন উত্তাল তখন মাওলানা সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি হন 1952 সালের জানুয়ারি মাসে দাবি তোলেন বাংলা ভাষাকেও রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার তবে এটাই প্রথমবার না মুসলিম লীগের সাথে তার কনফ্লিক্টের সূত্রপাত আরো অনেক আগে থেকেই ঠিক তখন থেকেই যখন মুসলিম লীগ সমাজের সাধারণ মানুষকে উপেক্ষা করে রাজনীতি করতে চেয়েছিল দেশভাগের
পর যেই জনমানুষের পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখেছিল এই ভূখণ্ডের মানুষেরা মুসলিম লীগের হাত ধরে তা অনেকটাই বিফলে যেতে শুরু করে মাওলানা সেটা বুঝতে পারেন 1948 সালে ইস্ট বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলি থেকে বেরিয়ে 1949 সালে তিনি শুরু করেন জনমানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নতুন এক রাজনৈতিক দল ইস্ট পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ আওয়াম মানে কমন পিপল বা সাধারণ জনতা জনমানুষের পাশে দাঁড়ানোর আদর্শে ঢাকায় 1949 সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করে ইস্ট পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ অন্যদিকে হোসেন শহীদ সোরাওয়ার্দি 1950 সালের লাহোরে একই নামে আরেকটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন শুধু নামের ইস্ট পাকিস্তানকে নাম দেন অল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ এবং নিজেকে
ঘোষণা করেন সেই দলের প্রেসিডেন্ট এবং একমাত্র সংগঠক এবারই একমাত্র না হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সাথে ভাষানীর আইডিওলজিক্যাল দ্বন্দ ছিল আরো অনেক কিছুতে বারবারই সোরাওয়ার্দির মতাদর্শের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন ভাষানী যতবারই প্রশ্ন উঠেছে সমাজের সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করা নিয়ে এই জনমানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে বারবার একা হতে হয়েছে ভাষানীকে যাদের সাথে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার তারাই বারবার দূরে সরে গেছেন ভাষানীর থেকে 1950 এর দশকে তিনি ত্যাগ করেন তাদের নিজের হাতে গড়া আওয়ামী মুসলিম লীগ দল ত্যাগ করার পেছনে প্রধানত দুটি কারণ ছিল এক শহীদ সোরাওয়ার্দীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞার অভাবে তিনি বারবার সাম্রাজ্যবাদী শক্তির খপ্পরে পড়েন যেটা একেবারেই পছন্দ হয়নি মাওলানা ভাষানীর
আর দুই পূর্ব পাকিস্তানের যে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সাহিত্যশাসনের কমিটমেন্ট সেখান থেকে সোলা ক্রমশ দূরে সরে যান যার কারণে ভাষানী দল ছাড়তে আরো বেশি উদ্যোগী হয়ে ওঠেন আমি খুব সহজে ঘটনাগুলো ব্যাখ্যা করছি 1954 সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী হন হোসেন শহীদ সোরাওয়ার্দি 21 দফা পূরণের একটা কমিটমেন্ট নিয়ে এরপর 1955 সালের ফেব্রুয়ারি মাসের 17 তারিখ পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল উদ্যোগ নেন পাকিস্তানের সংবিধান তৈরির এবং প্রস্তাব জানান দুই পাকিস্তান থেকে সমান সংখ্যক প্রতিনিধি থাকবে সংবিধান তৈরির কমিটিতে কিন্তু মুশকিল হলো পশ্চিম পাকিস্তানের তুলনায় পূর্ব পাকিস্তানের জনসংখ্যা যেহেতু বেশি ছিল সুতরাং সমান সংখ্যক প্রতিনিধির ধারণা আসলে সমান নয় বরং বৈষম্যমূলক
ভাষানী ঠিক এই জায়গাটাতেই প্রশ্ন তুলেছিলেন যেহেতু পূর্ব পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বেশি সুতরাং সংবিধান তৈরির ওই কমিটিতে ভাষানী মনে করতেন পূর্ব পাকিস্তান থেকে প্রতিনিধির সংখ্যা বেশি হওয়া উচিত সোহরাওয়ার্দি সেই দাবিকে কনভিন্স করার চেষ্টা করেন আর ভাষানীর কাছে ওয়াদা করেন আই আই শ্যাল ট্রাই মাই আটমোস্ট টু গেট 21 পয়েন্টস অফ ইউনাইটেড ফ্রন্ট প্রোগ্রাম এন্ড জয়েন্ট ইলেক্টরেট এক্সেপ্টেড বাই কনস্টিটিউশন কনভেনশন সো ফার প্রপোজালে কনস্টিটিউশন অন মাই ফেইলিয়ার টু ডু সো আই শ্যাল রিজাইন ফ্রম মাই মিনিস্ট্রি বলা যায় ভাষানীর সমান সংখ্যক প্রতিনিধির ব্যাপারে কনভিন্স হন একটা শর্তে তিনি সোরাওয়ার্দিকে পদত্যাগপত্রে ওয়াদা করতে বাধ্য করেন সোরাওয়ার্দি যদি কোনভাবে সংবিধানে 21 দফার
প্রতিফলন না দেখাতে পারেন তাহলে তাকে পদত্যাগ করতে হবে এক বছর পর যখন সংবিধান তৈরি হয়ে যায় সেখানে 21 দফার প্রতিফলন দেখা যায় না কিন্তু সোরাওয়ার্দি তার কথাও রাখেন না রিজাইন না করে ক্ষমতায় বহাল থাকেন যার কারণে ভাষানী বুঝতে পারেন জনমানুষের জন্য এই পাকিস্তান রাষ্ট্র নয় সুতরাং যদি সত্যিই জনমানুষের উন্নতির কথা ভাবতে হয় তবে ভাষানীকেই দল ছাড়তে হবে তিনি সেটাও করলেন গঠন করলেন আরেক নতুন রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি বা যার লক্ষ্য ছিল পূর্ব বাংলার মানুষের স্বার্থে একটা স্বাত্য শাসন প্রতিষ্ঠা করা ন্যাপের ম্যানিফেস্টোতে ছিল পাকিস্তান উইল বি ফেডারেল স্টেট কম্প্রাইজিং টু ইউনিটস ইস্ট পাকিস্তান এন্ড ওয়েস্ট
পাকিস্তান বেসড অন কমপ্লিট রিজিওনাল অটোনমি এরপর শুরু হয় আরো এক নতুন যাত্রা ঘটে যায় অনেক কিছু পাকিস্তানি নয়া সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেন ভাষানী ঘটে যায় উত্তাল 69 গণঅভ্যুত্থান 70 এর জলোচ্ছাস সাধারণ নির্বাচনের বিরুদ্ধে মুজিবের সাথেই দ্বিমত করেন তিনি বলেন নির্বাচন হলেও জনমানুষের মুক্তি অসম্ভব ভোটের আগে পেটের চিন্তা বড় যদিও মুজিব তার কথা শোনেননি এরপর নির্বাচন হলো মুজিব নির্বাচনে জিতেও ক্ষমতা পেলেন না ভাষানের কথা সত্যি হলো হলো 71 এর মুক্তিযুদ্ধ দেশ স্বাধীন হলো কিন্তু প্রশ্ন আদৌ কি স্বাধীন চাহে লোক কিতনে আরোপাত ভারত কি নিন্দা করে দুনিয়া সাল তখন 1975 ইন্দিরা গান্ধী গঙ্গা নদীর উপর উদ্বোধন করলেন
ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জ সীমান্ত থেকে ভারতের 18 কিলোমিটার ভেতরে এই বাঁধ নির্মাণ করে ভারত কলকাতা বন্দরের নাব্যতা বাড়ানোর যুক্তি দেখিয়ে ভারত এই বাঁধ নির্মাণ করলেও বাংলাদেশের উপর বিরূপ প্রভাব ডেকে আনে ফারাক্কা শুকনো মৌসুমে বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে হাহাকার তৈরি হয় পানির জন্য কি মনে হয় যেই মানুষটা শস্য দানালা মজুদ করার বিরুদ্ধে গোটা একটা ভুট্টা গোদাম জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন নদীর উপর বাঁধ দিয়ে পানি মজুদ করার সময় তিনি চুপ থাকবেন ভাষানীর বয়স তখন 90 এর বেশি হাসপাতালের বেডে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার সাথে লড়াই করছেন তিনি কিন্তু বার্ধক্য কিংবা অসুস্থতা কোনটাই দমিয়ে রাখতে পারেনি তাকে হুকুমে রাব্বানিয়ার যে বিশ্বাসকে ধারণ করে
এতকাল লড়েছেন ভাষানী সেই আদর্শেই যেন তিনি আবার আরেক ফিরলেন রাজপথে 1976 সালের 18ই এপ্রিল হাসপাতাল থেকে ফেরার পর মাওলানা ঘোষণা করলেন ভারত যদি বাংলাদেশকে পানির অধিকার থেকে বঞ্চিত করে তাহলে তিনি লং মার্চ করবেন এই কথা শুনে অনেকেই চমকে উঠলো 90 বছর বয়সী একজন মানুষ তো হাসপাতাল কিংবা বাসায় বিশ্রামরত অবস্থায় থাকার কথা তিনি করবেন লং মার্চ কিভাবে লং মার্চের আগে ভাষানী ইন্দিরা গান্ধীকে একটি চিঠি লেখেন এ বিষয়ে কিন্তু কোন সুবিধা না হলে মাওলানা সিদ্ধান্ত নেন ফারাক্কা লং মার্চের কারণ বাংলাদেশের বুকে যে সর্বনাশ বয়ে আসছে তা মাওলানার চেয়ে ভালো আর কেউ বুঝতে পারেননি লং মার্চের মিছিল রাজশাহী
থেকে প্রেমতলী প্রেমতলী থেকে চাঁপাই নবাবগঞ্জ চাঁপাই নবাবগঞ্জ থেকে মনকশা মনকশা থেকে শিবগঞ্জ পর্যন্ত 64 মাইল অতিক্রম করবে রাস্তায় রাস্তায় লাউডস্পিকারে ঘোষণা করা হয় 16ই মে রোববার মাদ্রাসা মাঠ থেকে লং মার্চ শুরু হবে অবশেষে 16ই মে রাজশাহী শহর থেকে ফারাক্কা অভিমুখে মিছিল শুরু হয় লং মার্চের 68 মাইল যাত্রা ছিল বেশ কঠিন হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয় সেই মিছিল ও জনসভায় ভাষা নিয়ে এলেন নীল গাড়িতে চেপে জনসমুদ্র গর্জে উঠলো খুব অল্প সময়ের জন্য তিনি বক্তৃতা করলেন বহু সাংবাদিক বহু ফটোগ্রাফার মিছিলটি তিন মাইল দূরে রাজশাহী কোর্ট এলাকায় যেতে না যেতেই মুসলধারে বৃষ্টি তা সত্ত্বেও লক্ষ জনতার মিছিল এগিয়ে
চলে 11 মাইল অতিক্রম করে যখন প্রেমতলী পৌঁছে মিছিল তখন দুপুর দুটো একদিন পেরিয়ে যায় খানিকটা বিশ্রাম নিয়ে মিছিল চলছেই পথের দুধারে সারি বেঁধে দাঁড়িয়েছে হাজার হাজার মানুষ উদ্দেশ্য ফারাক্কা লং মার্চের মিছিলকারীদের অভ্যর্থনা জানানো মিছিলকারীদের পানি ও বিভিন্ন খাবার খাওয়ান তারা চাঁপাই নবাবগঞ্জ থেকে আরো ছয় মাইল পথ অতিক্রম করে দুপুরের মাঝে কানসা পৌঁছায় মিছিল বিকেল চার টার দিকে সেখানে জনসভায় বক্তব্য রাখেন মাওলানা ভাষানী সেই জনসভায় তিনি বলেন ফারাক্কা সমস্যার সমাধানের জন্য ভারত যদি বাংলাদেশের মানুষের দাবি উপেক্ষা করে তাহলে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলন শুরু হবে সেই আন্দোলন আজও চলছে বয়কট ইন্ডিয়ান প্রোডাক্টস নামে বাংলাদেশের উপর ভারতের আগ্রাসনকে
বুঝতে পেরে মাওলানা বলেছিলেন পিন্ডির গোলামীর জিঞ্জির ছিন্ন করেছি দিল্লির দাসত্ব করার জন্য নয় আফসোস আমরা এখনো জ্বলে পুড়ে মরছি সেই দিল্লির আগুনে কৃষি মাঠের দিন মজুর হয়ে জমিদারদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ থেকে শুরু করে স্বাধীনতার পর ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ পর্যন্ত ভাষানী পেরিয়েছেন অনেক পথ কৈশোর থেকে শুরু করে শেষ নিঃশ্বাস অব্দি প্রতিবাদ করেছেন সমস্ত জালিমের লং মার্চের পর সে বছরই 17ই নভেম্বর এই পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন মাওলানা কিন্তু লং মার্চ আজও চলছে সেদিন পর্যন্ত চলবে যেদিন এই পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হবে সমস্ত জালিম তবে একটা কথা বলে রাখি আমাদের আজকের ভিডিও কোন জাতির জাতির পিতা খোঁজার উদ্দেশ্যে নয়
ভাষানী শুধুই ভাষানী একজন মজলুম জননেতা [মিউজিক]