ব্যাংক কর্মচারী থেকে ১০০ কোটি টাকার মালিক | Latest Movie Explained in Bangla

559.16k views6854 WordsCopy TextShare
Cine Recaps BD
Latest Movie Explanation In Bangla by Cine Recaps BD | লাকি ভাস্কারঃ ব্যাংক কর্মচারী থেকে ১০০ কোটি ট...
Video Transcript:
এই হচ্ছে ভাস্কর কুমার মাত্র ৳6000 টাকার মাইনে পাওয়া এই ব্যাংক কর্মচারী তার জীবনে চলার পথে কেবল টাকার অভাবে দিন দিন লাঞ্ছিত আর অপমানিত হচ্ছিল কিন্তু একদিন সে ব্যাংকের এমন এক কারচবি সিস্টেম আবিষ্কার করে ফেলে যার জন্য মাত্র দুই বছরে সে হয়ে ওঠে 100 কোটি টাকার মালিক কিন্তু কি ছিল সে আলাউদ্দিনের চেরা এখন সেটা জানাতে হাজির হলাম লাকি ভাস্কর মুভিটির এক্সপ্লেনেশন নিয়ে ভাইরে ভাই এই মুভিটা হচ্ছে এই বছরের সবচেয়ে মাথা নষ্ট করার মত মুভি যেটা তোমাকে শেখাবে কিভাবে নিজেরই ছার বুদ্ধি খাটিয়ে লাইফে সাইন করা যায় তো চলো আর প্যাচাল না বাড়িয়ে শুরু করি আজকের মুভি এক্সপ্লেনেশন
সালটা 1992 স্থান ক্যাপিটাল অফ ইন্ডিয়া বোম্বে এই শহরে এক জিনিয়াস মাস্টারমাইন্ডের সাথে আমাদের পরিচয় হয় যার নাম ভাস্কর কুমার দেখে তো বুঝতেই পারছো যে ভাস্কার আর সাধারণ মিডিল ক্লাস মানুষের চেয়ে অনেক বেশি আগে আসলে এই 91 92 সালটা ছিল এই দেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ এক অধ্যায় কারণ সেই সময়টাতেই স্টক এক্সচেঞ্জে হার্শাদ মেহেতা নামের এক ডার্ক ম্যাজিশিয়ান ছিল এই হার্শাদ মেহেতা যখন মার্কেটের শেয়ার কিনতো তখন সেটার প্রাইস বেড়ে যেত হুহু করে আবার যেই শেয়ার সেল করে দিত সেটার প্রাইস পড়ে যেত তাসের ঘরের মতো তবে আজকের গল্পের কাহিনী কিন্তু এই হার্শাদ মেহেতাকে নিয়ে নয় কারণ ভাস্কর কুমার
এমন একজন ছিল যে হার্শাদ মেহেতার সাথেই শেয়ানে শিয়ানের টক্কর দিয়েছিল তো সেই গল্পটাই আজ আমরা জানতে চলেছি তবে গল্পে ঢোকার আগেই দেখা যায় একদল সিবিআই এর লোকজন এসে ভাস্কারকে ইন্টারোগেট করার জন্য নিয়ে যেতে এসেছে বুঝতেই পারছো ভাস্কারের রিয়েলিটি মেনে নেওয়ার টাইম এসে গেছে যাই হোক সিবিআই অফিসার লাক্সমান তাকে সোজা নিয়ে যায় মাঘাদা ব্যাংকের একটা ব্রাঞ্চে আর সেখানে সবাইকে পুরো ব্যাংক তল্লাশি করার জন্য নির্দেশ দেয় ও বলে রাখি ভাস্কর কুমার হলো এই ব্যাংকেরই অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার তো এখানে সিভিয়ার রেট দেওয়ার উদ্দেশ্য হলো তাদের কাছে তথ্য আছে যে ভাস্কার ব্যাংক স্ক্যামিং করে প্রচুর পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছে
তাই তারা ভাস্কারের পার্সোনাল ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রিন্ট করতে শুরু করে তবে যেই না ভাস্কারের স্টেটমেন্ট তাদের হাতে আসে তখন পুরো রুমের সবার চোখ একদম কপালে উঠে যায় কারণ একজন সাধারণ ব্যাংকারের ব্যাংক একাউন্টে পড়ে আছে 100 কোটি টাকা এই কান্ড দেখে লাক্সনের যেন বিশ্বাসই হয় না যার প্রতি মাসের বেতন মাত্র 36 হাজার টাকা সে কিভাবে মাত্র দুই বছর বয়সে এত অ্যামাউন্ট বানিয়ে ফেলেছে মূলত এখান থেকে শুরু হয় তাদের খোঁজ দ্যা সার্চ এবার ভাস্কর কুমার বলতে শুরু করে কিভাবে সে এত টাকা লিগাল মালিক হলো তো চলো আমরা চলে যাই আরো তিন বছর আগে অর্থাৎ 1989 সালে এ হচ্ছে
ভাস্কর কুমার খুব একনিষ্ঠ একজন ব্যাংক কর্মকর্তা মাগাদা ব্যাংকের সামান্য একজন ক্যাশিয়ার যার প্রতি মাসের বেতন মাত্র 6000 টাকা তবে ইতিমধ্যে সে ব্যাংক থেকে 36 হাজার টাকার লোন নিয়ে নিজের জীবন কোন রকম পার করছে কাজকর্মে ভাস্কার হলো পুরো সুপারম্যান কেননা প্রতিবছর শেষে এমপ্লয় অফ দা ইয়ারের ট্রফিটা তার হাতেই ওঠে চলনে বলনে ভাস্কারের ধারে কাছেও কেউ নেই সে যেমন সাধারণ একজন ব্যক্তি ঠিক তেমনি তার ব্যক্তিত্ব অসাধারণ বাড়িতে তার ছোট ভাই জান প্রাণ দিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার ট্রাই করছে তার ছোট বোনও সুন্দর এক ভবিষ্যতের জন্য লড়াই করছে ভাস্করের বাবা প্রহ্লাদ কুমার ছিলেন ইন্ডিয়ার একজন বড় সিএ অর্থাৎ চার্টার্ড
অ্যাকাউন্টেন্ট তবে সবচেয়ে কাছের বন্ধুর কাছ থেকে ব্যবসায় ধোঁকা খেয়ে তিনি এখন প্যারালাইজড হয়ে অবসর জীবনযাপন করছেন তবে এত কিছুর মধ্যেও তাকে ভরসা দিয়ে সবসময় তার পাশে আছে স্ত্রী সুমতি নিজের ছ বছরের ছেলে কার্তিকসহ এই পুরো পরিবারকে নিয়ে সে বেশ ভালোই আছে তবে সমস্যা একটাই আর তা হলো মানি ভাস্করের কাছে টাকা পায় না এমন লোক এই তল্লাটা পাওয়া বেশ দুষ্কর 500 থেকে শুরু করে 10000 টাকা পাওয়া সুদখোর পাটেল তাকে কাছে পেলেই হুমকি দিতে থাকে তার পাওনা পরিশোধ করে দেওয়ার জন্য বরাবরের মতন সামনের মাসে দিয়ে দেবো বলে সে কোনভাবে তা পার করে নেয় তবে এভাবে আর কত
ইতিমধ্যে দেনায় দেনায় তার অবস্থা এমন হয়ে গেছে যে তার আশেপাশের সবাই তাকে অপমান করতেও ছাড়ে না যেমন ছেলের বন্ধুর জন্মদিনে গিফট কেনার টাকা না থাকায় তাকে বাধ্য হতে হয় তার ছেলের খেলনাটি দিয়ে আসতে কিংবা শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গেলে তার চোখের দিকে তারা ঠিকমত তাকিয়েও কথা বলে না তাই ভাস্কার এখন হারে হারে টের পায় যে এই দুনিয়াতে টাকার আসলে কোনই বিকল্প নেই সুমতির মা সবসময় সুমতিকে এই ছেলে ছেড়ে নতুন সংসার করার জন্য উস্কানি দিতে থাকে কিন্তু সুমতি সত্যিকার অর্থেই ভাস্করকে অনেক ভালোবাসে এভাবেই একদিন সুমতির ভাইয়ের ছেলের জন্মদিনেও তাদেরকে সইতে হয় খুব কষ্টের অপমান ভাস্কারের ছেলে কার্তিক একটা
কেক বেশি খেতে চাওয়ায় তার মাম তাকে সেটা পর্যন্ত দেয় না এই দৃশ্য দেখে সুমতি নিজেকে আর ধরে রাখতে পারে না সে তাদের মুখের উপরে কোন কিছু না খেয়েই সেই বাড়ি থেকে বিদায় নেয় পথে যাওয়ার সময় লোকাল স্ট্রিট ফুড থেকে ভাস্কা তার ক্ষুধা মেটাতে তিনটা ভাড়া পাও কিনতে চায় কিন্তু সে দেখে তার পকেটে কেবলমাত্র দুটোরই পয়সা আছে নেহাত ভালো মনের এই দোকানদার তার অবস্থা আজ করতে পেরে তাকে তিনটা ভাড়া পাও দিলে ভাস্কার বুঝতে পারে এই পৃথিবীতে এখনো ভালো মানুষ জীবিত আছে তবে সে এটাও বুঝতে পারে যে এই পৃথিবীতে সম্মান নিয়ে থাকতে হলে তাকে একটা জিনিস অর্জন
করতে হবে আর সেটা হলো টাকা তবে ভাস্কার এখনো আশায় আছে তার প্রমোশনের কেননা আর কয়দিন পরে তাদের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার রিটায়ার্ড করতে চলেছে তার বস হিমাংশু তাকে কথা দিয়েছে যে তিনি চলে যাওয়ার পর তাকেই প্রমোশন দিয়ে অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার করা হবে আর এটা হলে ভাস্কারের স্যালারি হবে 16 হাজার টাকা তার মানে তার যত সমস্যা আছে তার সবকিছুই হয়তো এবার শেষ হতে চলেছে এদিকে ভাস্কার তার ব্যাংকের কাজের পাশাপাশি আরো একটা উপরে ইনকাম করে সেটা হলো যারা ব্যাংকের ফর্ম ফিলাপ করতে পারে না তাদের ফর্ম ফিলাপ সে করে দেয় একদম অল্প জায়গায় তার এই কাজে সবসময় তাকে হেল্প করে তার
ছোটবেলার বন্ধু সাম্বা কলেজে ফাস্ট হওয়ায় ভাস্কার এই ব্যাংকের ম্যানেজার আর সাম্বা হলো তারই পিয়ন তবে তার পোস্ট যতই ছোট হোক না কেন ভালোবাসা কিংবা বন্ধুত্ব তাদের মধ্যে একটুও কমেনি এভাবেই উপরে ইনকামের সময় অ্যান্থনি নামের এক লোক আসে ব্যাংকের লোন নেবার ফর্ম ভরার জন্য এখন ব্যাংক লোন নিতে গেলে তো থাকতে হবে যেকোনো সেলেবল অ্যাসেট যেটা অ্যান্থনির মোটেও ছিল না তাই ভাস্কর তাকে এক বাক্যে না করে দিয়ে বলে ভাই তোমাকে ব্যাংক একটা টাকাও দিতে পারবে না অ্যান্থনি তাকে অনেক অনুরোধ করলেও সে কিছুই করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয় তবে পরের দিন অ্যান্থনি আবারো তার কাছে অনুরোধ করলে
সাম্বা এবার তার রাজ খুলে বলে আসলে অ্যান্থনি একজন ইম্পোর্টার যে বাহিরের দেশ থেকে ইলেকট্রনিক্সের জিনিসপত্র কম দামে নিয়ে এসে ব্যবসা করে তবে এবার পোর্টে থাকা কাস্টম অফিসার তার কাছে দুই লাখ টাকা চাইছে কিছু টিভি খালাস করার জন্য অ্যান্থনি জানায় যে যদি সে দুই লাখ টাকা লোন পায় তাহলে সে মালগুলোকে ছাড়িয়ে নিতে পারবে এবং পরের দিনেই ওই মালগুলো চার গুণ টাকায় বিক্রি করে তার লোনও পরিশোধ করে দিতে পারবে মোট কথা হচ্ছে অ্যান্থনির এখন দু লাখ টাকা লাগবে মাত্র দুই দিনের জন্য এখন সে এই দুই লাখ টাকার জন্য বড় অ্যামাউন্টের ইন্টারেস্টও দিতে রাজি আছে তবে এই সবকিছু
শুনে ভাস্কারের যেন সন্দেহ হয় তবে সাম্বা ছিল বেশ কনফিডেন্ট সে বলে আরে ভাই দেখ দুইদিনের জন্য তোর বউয়ের ভাইয়ের কাছ থেকে টাকাটা ম্যানেজ করতে পারিস কিনা তবে ভাস্কার জানায় ওই শালা তো আমাকে মানুষই ভাবে না তাই টাকা দেওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না তবে অ্যান্থনির হাফ ভাব দেখে মনে হচ্ছে যে এই লোক তার পিছে সহজেই ছাড়বে না তাই সে তাকে ঠিক আছে ভেবে দেখব বলে কোন মতন কাটিয়ে দেয় তবে এরপরেই ভাস্কারের সাথে ঘটে যায় খুব খারাপ এক ঘটনা সেই সুদখোর প্যাটেল তার পাওনা ৳10000 টাকা আজই দেওয়ার জন্য দাবি করে ভাস্কা তাকে অনুরোধ করে যেন এত মানুষের
সামনে তাকে যেন অপমান না করে কিন্তু এই পাটেল তাকে সবার সামনে বলতে থাকে যে তুই আমার টাকা এক্ষুনি দিবি এই বলে সে তাকে প্রচুর অপমান করতে থাকে শেষে ভাস্কারের শেষ সম্বল থাকা সেই স্কুটারের দিকে নজর যায় পাটেলে তাই সে ওই স্কুটারটাকে জোর করে তার কাছ থেকে নিয়ে নেয় মহল্লার সবার সামনে একজন ভদ্র মানুষকে এভাবে অপমানিত হয়েছে দেখে ভাস্করের মনটা একদম ভেঙে যায় সেদিন তার অফিসে যাওয়ার জন্য গাড়ি ভাড়া পড়ে পর্যন্ত ছিল না তাইতো সে এক রাশ কষ্ট নিয়ে সেদিন দৌড়ে দৌড়ে অফিসের দিকে রওনা হয় তবে তার এই অপমানের পর্ব তখনো শেষ হয়নি অফিসে এসে সে
দেখতে পায় এত এত বছর ধরে বেস্ট পারফরমেন্স দেওয়ার পরেও তার প্রমোশন না হয়ে সেই অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজারের পথটা দিয়ে দেওয়া হয় মালিক পক্ষের এক লোককে এই দৃশ্য দেখে ভাস্কার যেন নিজের চোখেই বিশ্বাস করতে পারে না দিন নেই রাত নেই সে কেবল পরিশ্রম করে গিয়েছিল একটা ছোট্ট প্রমোশনের জন্য যা এই মুহূর্তে তার খুবই দরকার ছিল রিজিনাল ম্যানেজার হিমাংশু স্যার তো তাকে কথা পর্যন্ত দিয়েছিল যে এই প্রমোশন তাকে দেবে কিন্তু তারপরেও কিভাবে অন্য কেউ এসে তার রিজিক কেড়ে নিল সেটা জানতে রাগে দুঃখে ভাস্কা চলে যায় তার কাছে সেখানে গিয়ে ভাস্কার তাকে সরাসরি বলে যে আপনি একটা মিথ্যাবাদী আপনি
আমাকে আশা দেখিয়ে কেবল কাজই করিয়ে নিয়েছেন আর দিন শেষে আপনি নিজের এলাকার ছেলেকে লবিং করে এই চেয়ারে বসালেন এমন করা করা কথা শুনে হিমাংশুর মেজাজ এবার চরম খারাপ হয়ে যায় একজন জুনিয়রের মুখ থেকে এসব কথা সহ্য করতে না পেরে সে বলে দাঁড়াও আমি তোমাকে বোঝাচ্ছি তোমার অকাত এই বলে সে কোম্পানির এমজি কে ফোন করে ভাস্কারের বিরুদ্ধে কমপ্লেন করতে যায় তবে ঠিক সেই মুহূর্তে ভাস্কার বুঝে যায় না সে বড্ড ভুল করে ফেলছে এখন যদি তার চাকরিটাও চলে যায় তাহলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়ে যাবে তাই সে এবার তার পায়ে পড়া শুরু করে ক্ষমা চাওয়ার জন্য জাস্ট চিন্তা
করো একটা মানুষ কতটা অসহায় হয়ে পড়লে পরিবারের জন্য সে নিজের প্রাপ্যটুকু পাওয়ার জন্য প্রতিবাদও করতে পারে না পুরো অফিসের সবাই এই অবস্থা দেখে তারাও হিমাংশু স্যারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে অবশেষে হিমাংশু স্যারের মন নরম হলে সে তাকে ক্ষমা করে দেয় আর এই কথা জিএম কে জানাবে না বলে কথা দেয় এমন বাজে এক পরিস্থিতির পর ভাস্কার আবারো নিজেকে শক্ত করতে থাকে কারণ এটা ছাড়া এখন তার কাছে আর কিছুই বাকি নেই তাই ফিরে এসে আবারো সে সবার সাথে ঠিক আগের ভাস্কারের মতোই পজিটিভ আচরণ করতে থাকে যা সবাইকে অনেক অবাক করে দেয় অফিস শেষ করে সাম্বা আর
সে যখন হোটেলে বসেছিল তখন আবারো সেই অ্যান্থনি তার কাছে আসে তবে সাম্বা এবার তাকে ফিরে যেতে বললেও খোদ ভাস্কারই তাকে বসতে বলে এবার ভাস্কার তাকে প্রশ্ন করে যদি এখন তোমাকে দুই লাখ টাকা আমি দেই তাহলে বলো তুমি তোমার মাল ছাড়িয়ে প্রফিট করতে পারবে কিনা এই কথা শুনে অ্যান্থনির যুক্ত চকচক করে ওঠে সে বলে শতভাগ গ্যারান্টি দিচ্ছি যে কাল এই দুই লাখ টাকা আমি চার লাখ টাকা করে ফেলবো এবার এই কথা শুনে ভাস্কা তার ব্যাগে হাত দেয় আর সে অ্যান্থনির হাতে তুলে দেয় দুই লাখ টাকা এই দৃশ্য যেন সাম্বা কিছুতেই বিশ্বাস করতে চাইছে না আরেক আজকে
এত টাকা পেল কি করে এখন এই কাহিনী বলার আগেই সে অ্যান্থনিকে বলে এই টাকা আমি তোমার ব্যবসায় খাটাচ্ছি তাই যা প্রফিট হবে তার থেকে আমাকে ও সাম্বাকে 10 10% করে প্রফিট দেবে বলো ডিল ফাইনাল এই কথা শুনে অ্যান্থনি এই ডিলে সাথে সাথে রাজি হয়ে গেলে চলে যায় পোর্টে কল দিয়ে তার নিলাম বন্ধ করার জন্য এবার ভাস্কার এই দুই লাখ টাকা কোথায় পেল তার রাজ সে খুলতে শুরু করে ভাস্কার জানায় এই টাকা সরাসরি ব্যাংক থেকেই সে মেরে দিয়েছে প্রতিদিন যে ক্যাশে ডিপোজিট করে সেখান থেকে আজ সে 2 লাখ টাকা সরিয়ে রেখেছে যেহেতু আজ শুক্রবার তাই আগামী
দুইদিন কেবি এর হিসাব নেবে না আর এই দুইদিনের মধ্যে যদি সে টাকা পেয়ে যায় তাহলে আবারও সে ভল্টে চুপিসারের ওই টাকাটা ফেরত দিয়ে আসবে তার মানে ব্যাংকের টাকা ব্যাংকেই থাকলো খালি মাঝখান দিয়ে দুইদিন সে সেটা ইউজ করলো তবে এই প্ল্যান শুনে তো সাম্বার মাথার খাম্বা পুরোই উড়ে যায় সে বলে ভাই তোর কি জেলে যাওয়ার কোন ডর ভয় নেই একবার ধরা খেলে চাকরিসহ সব যাবে তবে ভাস্কার জানায় আমার লাইফ এখন এমন এক অবস্থায় এসে পৌঁছেছে যেখানে হারাবার আর কিছু নেই ভাইয়ের লেখাপড়া বাবার মেডিসিন ছেলের পেটের খাবার সবকিছু আমাকে জোগাড় করতে হবে আমি আমার চোখের সামনে আমার
পরিবারকে এভাবে কষ্ট দিতে পারবো না তাই আমি আমার পরিবারকে খুশি রাখার জন্য লাইফের শেষ সীমানাও বাড়িয়ে দিতে পারি এইসব কথাবার্তার মাঝেই অ্যান্থনি আবারো উপস্থিত হয়ে জানায় যে সে ওই নিলাম বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে তাই এখন এই টাকা দিয়ে দিলেই সে মালগুলো খালাস করতে পারবে এবার ভাস্কার তার হাতে হাত রেখে বলে ভাই আমার লাইফটা আপনার হাতে বিশ্বাস করে আমি তুলে দিলাম দয়া করে আমার ভরসা ভাঙবেন না এবার সে অ্যান্থনিকে পুরো বিজনেসের ব্যাপারে ডিটেইল বলার অনুরোধ করলে অ্যান্থনি বলতে শুরু করে সেই 80 এর দশকে টেলিভিশন এই উপমহাদেশে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল তবে এই দেশে একটা টেলিভিশন কিনতে
দাম পড়ে যেত প্রায় 40 হাজার টাকা তবে এসব যে দেশগুলো থেকে আসতো সেখানে মাত্র আট থেকে দশ হাজার টাকায় সেগুলো পাওয়া যেত যেহেতু দেশের সরকার এর উপরে চড়া ট্যাক্স আরোপ করে তাই এর দাম বেড়ে যায় বহু গুণে এখন এই ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার জন্য একটা ব্যবস্থা আছে আর সেটা হলো এই টেলিভিশন গুলোকে স্পেয়ার পার্টস বলে লুকিয়ে নিয়ে আসা স্পেয়ার পার্টস বলে আনলে তার উপরে কোন ট্যাক্সই দিতে হয় না ফলে অনেক কম দামে জিনিসগুলো ইম্পোর্ট করা যায় তবে এর জন্য কাস্টম অফিসারকে চা নাস্তার খরচ দিলে আর এই কাজে কোন বাধা থাকে না এভাবেই কিছু এক্সট্রা টাকা ইনভেস্ট
করতে পারলে এই সিস্টেমে রাতারাতি বড় লোক হওয়া কোনই ব্যাপার না এই সবকিছু শুনে ভাস্কার এবার কিছুটা চিন্তামুক্ত হয় তাই সে সাম্বাকে তার সাথে পাঠিয়ে বাড়িতে চলে যায় আর অপেক্ষা করতে থাকে ভালো কোন খবরের জন্য কিন্তু দুই ঘন্টায় আসার কথা থাকলেও সাম্বা বা অ্যান্থনির কোন দেখা পায় না সে ভাস্করের মনে এক রাশ ভয় আর চিন্তা কাজ শুরু করে সে ভাবে তারা ধরা খেয়ে গেল না তো অথবা অ্যান্থনি কি টাকা মেরে চলে গেল এমনও তো হতে পারে যে সাম্বাসহ দুজন মিলে তাকে পল্টিয়ে দিল এসব কিছু চিন্তা করতে করতে ভাস্কার যেন পুরো উন্মাদ হয়ে যাচ্ছে আজ যদি এই
দুই লাখ টাকা সে মার খেয়ে যায় তাহলে কি হবে সেটা তো বুঝতেই পারছো তবে ফাইনালি সাম্বা সেখানে আসলে সে দেখতে পায় তার তার মুখে এক রাস কালো ছায়া নেমে এসেছে ভাস্কারের বুঝতে বাকি থাকে না যে তার মারা সারা হয়ে গেছে তবে জেইনা সে অ্যান্থনিকে দেখতে পায় তখন তার সব ভুল ভেঙে যায় না অ্যান্থনি তাকে ধোঁকা দেয়নি সে ওই মাল ছাড়িয়ে তার থেকে দুই লাখ টাকা কামাই করেছে যার থেকে সাম্বা ভাস্কার পেয়ে যায় 20000 করে প্রফিট তবে ভাস্কার তাকে খুশিতে জড়িয়ে ধরে এই টাকার জন্য নয় সে তাকে জড়িয়ে ধরেছে এটা ভেবেছে অ্যান্থনি তার ওয়াদা রক্ষা করেছে
এভাবেই অ্যান্থনি ভাস্কারের লাইফে এক বড় মোড় তৈরি করে দেয় যা তার এই ছাপোসা লাইফকে ধীরে ধীরে ঠিক করে দেবে ভাস্কার প্যাজেলকে টাকা ফেরত দিয়ে তার প্রিয় স্কুটারটি ব্যাগ নিয়ে আসে যেটা দেখে সুমতি যেন আকাশ থেকে পড়ে এরপরের দিন ভাস্কার আবারো ব্যাংকে যায় সবাই আসার আগেই এবার তার মিশন হচ্ছে খুব গোপনে ওই দুই লাখ টাকা আবার ভল্টে অ্যাড করে দেওয়া সেই কাজ ভাস্কার এমন ভাবে করে দেয় যে একটা পিঁপড়া পর্যন্ত টের পায় না এর মানে তো তোমরা বুঝতে পারছো ভাস্কার ইতিমধ্যে এমন এক সিস্টেম পেয়ে গেছে যার কোন তুলনাই হয় না এরপর থেকে অ্যান্থনি একে একে পোর
থেকে মাল নিয়ে আসে আর ভাস্কর তার ব্যাংক থেকে দুদিনের জন্য টাকা সরিয়ে ব্যবসা করতে থাকে এভাবে ভাস্করের লাইফ এগিয়ে যেতে থাকে রকেট গতিতে এখন তাকে আর টাকার জন্য কারো কাছে অপমানিত হতে হয় না ভাই বোনের পড়ালেখা ব্যাংকের লোন ঘরের আসবাপত্র সবকিছুই তার হতে শুরু করে এই সবকিছু দেখে সুমতির কাছে যেন স্বপ্ন বলেই মনে হয় এত দ্রুত ভাস্কার নিজের লাইফ কিভাবে পাল্টে ফেলেছে তা যেন সে কিছুতেই ধরতে পারছে না আসলে এত অভাবে থাকা মানুষ যখন সেই অভাবকে হত্যা করে দেয় তখন কিন্তু সে এমনই আচরণ করে তবে এইসব কিছু তার বউ ঠিকই নোটিস করে তাকে সত্যি কথা
বলতে বলে যে আসলে সে পয়সা কোথা থেকে পাচ্ছে তবে ভাস্কার তাকে মিথ্যা জানায় যে সে এক্সপোর্ট ইম্পোর্টের ব্যবসা করছে আর এর জন্য সে টাকা ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছে তার ব্যবসা এখন অনেক ভালো যাচ্ছে বিধায় সে এভাবে উঠছে সরল মোনাজ সুমতি তার এই কথা বিশ্বাস করে নেয় আর নিজেকে চিন্তামুক্ত করে তার সাথে উঠতে থাকে এভাবেই একদিন ভাস্কার তার ছেলের জন্মদিনের পার্টি খুব ধুমধাম করে দেয় যা দেখে আশেপাশের সবাই অবাক না হয়ে পারে না সেই পার্টিতে অ্যান্থনি জানায় তার ছেলে তাকে আমেরিকায় শিফট হয়ে যাওয়ার জন্য বলছে তাই সে হয়তো দ্রুতই আমেরিকায় পাড়ি জমাবে তবে তার আগেই সে
একটা লাস্ট কাজ করতে চায় ভাস্কারের সাথে তবে এবারের আইটেম হচ্ছে তিনটা ইম্পোর্টেড বিদেশী কার যেগুলো বেচলে ইনভেস্টমেন্টের চেয়ে ছয় গুণ বেশি টাকা কামানো যাবে তবে এই কাজের জন্য প্রয়োজন হবে 10 লক্ষ টাকা এই টাকার অ্যামাউন্ট শুনে ভাস্কারের মুখে চিন্তার ভাজ পড়ে যায় কারণ এতদিন তারা দুই তিন লাখ টাকা সরিয়েছে অনেক কষ্টে এখন সেখানে ব্যাংক থেকে 10 লাখ টাকা গায়েব করা কিন্তু চারটে খানি কথা নয় যার জন্য সে মোটামুটি সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় যে এই ডিল সে কখনোই করবে না এরপর সে রুমে ফিরে আসলে সুমতি জানায় তাদের ওই পার্টিটা ওয়ান অফ দা বেস্ট হয়েছে তবে দেখা যায়
তার ছেলে কার্তিক কেন যেন কান্না করছে ভাস্কার কারণ জিজ্ঞেস করলে কার্তিক বলে বাবা জানো আমার বন্ধুরা এতদিন আমাকে বলতো যে তুই তো ফ্রিতে কেক খাওয়ার জন্য আমাদের পার্টিতে আসতি কিংবা একই গেঞ্জি বারবার পড়ে গেলে তারা আমাকে ফকির বলতো কিন্তু আজ তারা এত বড় পার্টি দেখে আমাকে অনেক আদর করেছে আজ তোমার জন্যই তাদের সব মুখ বন্ধ হয়ে গেছে বাবা এইসব কথাগুলো শুনে ভাস্করের মন একদম অন্যরকম হয়ে যায় সে বুঝে যায় টাকা আসলে কি না করতে পারে যারা তার দুই পয়সার দাম দিত না তারা এখন তাকে সম্মান দিয়ে কথা বলে যার সবকিছুই হয়েছে এই টাকার কারণে ভাস্কার
বুঝা যায় এই সম্মান ধরে রাখতে হলে টাকার কোন বিকল্প নেই তাই ভাস্কার এবার কল দেয় অ্যান্থনিকে আর বলে স্যার আপনার ডিলে আমি রাজি এরপরেই শুরু হয় ভাস্কারের 10 লাখ টাকা সরিয়ে নেওয়ার এক বিগ মিশন তার ব্যাংকের ভল্ট ম্যানেজার হচ্ছে এই নারায়ণ স্যার তিনি প্রতিদিন অফিসে লেট করে আসে আর দ্রুত বেগে বাড়ি চলে যায় যার কারণে এতদিন ভাস্কার এই সুযোগেরই অসৎ ব্যবহার করেছে কিন্তু আজ দেখা যায় যে এই বান্দা সময় পার হয়ে গেলেও আর ব্যাংক থেকে যাচ্ছে না ভাস্কার আজ বেশি টাকা নিয়ে ঠিকই ভল্টে এসেছে কিন্তু যাওয়ার সময় সেই টাকাটা নিতে না পারলে সবকিছু বৃথা তাহলে
এখন কি করা যায় ভাবতে ভাবতে ভাস্কার একটা চরম ফোন দিয়ে এটে ফেলে সে সাম্বাকে দিয়ে বাইরে থেকে কল দিয়ে তাকে 10 মিনিট বিজি রাখে ঠিক সেই সুযোগে ভাস্কা তার ব্রিফ কেসে সব টাকা ভরে নেয় এভাবে ফাইনালি 10 লাখ টাকা আলাদা করে রেখে ভাস্কার স্বসম্মানে বেরোতে সক্ষম হয় এরপর সেই টাকা দিয়ে তারা ওই গাড়িগুলোকে পোর্ট থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে তবে এবার ঘটে ঠিক সেই কাহিনী যা তোমরা এতক্ষণ ধরে আজ করছিলে গাড়ি ছাড়িয়ে আনার পর দেখা যায় যে যেই ডিলারের কাছে তারা গাড়ি বিক্রি করবে তাদেরকে পুলিশ ইতিমধ্যে স্মাগলার বলে ধরে নিয়ে গেছে তার মানে এই মুহূর্তে তারা
গাড়িগুলোকে আর সেল করতে পারছে না ফলে এখন একদিন পর ভাস্কার ব্যাংকে কই থেকে টাকা ব্যাগ দেবে তার কোন উপায় আর বাকি রইল না সাম্বা তো রেগে মেগে অ্যান্থনিকে মারতে পর্যন্ত চলে যায় কিন্তু ভাস্কার এখানে বিচক্ষণতার পরিচয় দেয় সে বলে এতদিন লাভ যেহেতু একসাথেই করেছি এখন লসের সময়ও আমরা একসাথেই থাকবো সে অ্যান্থনিকে বলে এই ডিলার নেই তো কি হয়েছে আমরা এই গাড়ি চলো অন্য ডিলারের কাছে বিক্রি করি এই বুদ্ধি শোনার পর অ্যান্থনি বলে অন্য এক ডিলার আছে কিন্তু সে তো থাকে গুহাতে এতদূরে এই গাড়িটাকে আমরা নেব কি করে তবে ডিলার যেহেতু পাওয়া গেছে সেহেতু ভাস্কার জানে
কিভাবে তাকে এই গাড়ি পার করে নিতে হবে সেই প্ল্যান অনুসারে সে তিনটা গাড়িতে সরকারি ফ্ল্যাগ লাগিয়ে রওনা দেয় গোয়ার উদ্দেশ্যে তবে ঠিকই তাদের গাড়ি পুলিশে আটকে তাদের গাড়ির কাগজ আর লাইসেন্স দেখা শুরু করে অ্যান্থনি আর ভাস্কার গাড়ি চেক করিয়ে বেরিয়ে যেতে পারলেও মিস্টার হাম্বা ঠিকই ধরা খেয়ে যায় তবে ঠিক সেই সময় ভাস্কার চালে তার আসল চাল তার গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে একজন রুলিং পার্টির মিনিস্টার সেই মিনিস্টারকে দেখে তো পুরো ফোর্সের গলা একদমই শুকিয়ে যায় তারা বলতে থাকে আজ আমাদের চাকরি আর কেউই বাঁচাতে পারবে না কিন্তু এ কি মিনিস্টার হয়ে তাদের কথাবার্তা তো খুব একটা সুবিধার
মনে হচ্ছে না আসলে সুবিধার মনেই বাহবে কেন এই লোকগুলো তো ছিল পথে ভিক্ষা করা ফকির বাহিনী মানে সিরিয়াসলি ভাস্ক তাদের ভিখারী থেকে একদম মিনিস্টার বানিয়ে সবগুলোকে গোল খাইয়ে দিল সাবাস ব্যাটা সাবাস যাই হোক ওই যাত্রায় এক বার্ড ডান্সারকে অমিতাভ বচ্চনের নেক্সট নায়িকা বানিয়ে দিয়ে তারা সেই যাত্রায় সকল চেকপোস্ট পার করতে সক্ষম হয় আর ফাইনালি ওই তিন গাড়ি বিক্রি করে তারা তাদের এই ভয়াবহ বিপদকে উদ্ধার করে অবশেষে অ্যান্থনিকে তারা পৌঁছে দেয় এয়ারপোর্টে কেননা আজই সে আমেরিকার উদ্দেশ্যে রওনা দেবে তবে যাওয়ার সময় অ্যান্থনি তাকে জানায় যে আমি ওখানে গিয়ে একটা হোটেল খুলবো সে আরো বলে ভাস্কার যদি
কখনো তোমার হেল্প লাগে তাহলে আমাকে কিন্তু ভুলবেন না ভাস্কার তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া এই ব্যক্তিটাকে অশ্রুশিক্ত জলে বিদায় জানায় এবার ভাস্কারের মিশন ওই টাকা ব্যাংকে ফেরত দেওয়া সেই উদ্দেশ্যের হয়ে সে জেইনা ব্যাংকে এসে পৌঁছায় ঠিক তখনই সে দেখতে পায় পুলিশ ব্যাংক ঘিরে রেখেছে এই দৃশ্য দেখে ভাস্কারের কলিজা পুরো কেঁপে ওঠে না ফাইনালি এবার সে ধরাই খেয়ে গেছে কিন্তু ভিতরে ঢুকে সে যা দেখতে পায় তাতে আরেকটু হলেই তার হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেত আসলে পুলিশ ও ব্যাংকের ম্যানেজমেন্ট এখানে এসেছে ওই হিমাংশুকে ধরে নিয়ে যেতে কেননা হিমাংশু এতদিন তাদের না জানিয়ে অনেক মানুষের কাছ থেকে ঘুষ খেয়ে
তাদের চাকরি দিচ্ছিল মানে তো বুঝতেই পারছো ভাস্করের সেদিনের প্রমোশন না দিয়ে ঠিকই সে টাকা খেয়ে অন্য একজনকে প্রমোশন দিয়ে দিয়েছে যাই হোক বিপদ কিন্তু এখনো কেটে যায়নি কেননা যতক্ষণ পর্যন্ত ভল্টে টাকা না যাচ্ছে ততক্ষণ ধরা খাওয়ার চান্স কিন্তু কমছে না ইতিমধ্যে নারায়ণ স্যার এসে তাকে নিয়ে যায় ভল্টে আর সেখান থেকে ভাস্কার 40 লাখ টাকা ঠিকই তুলে নেয় কিন্তু খাতায় এবার সে রেজিস্টার করে 50 লাখ টাকা অর্থাৎ নিজের কাছে 10 লাখ টাকা দিয়ে সে আগের হিসাবগুলো ফিক্স করে ফেলবে এই টাকা নিয়ে সে রুমে আসে ঠিকই কিন্তু সেই মুহূর্তেই তার সামনে হাজির হয় এই ব্যাংকের জিএম বিনোদ
বোস তার কাছে থাকা ওই সুটকেসে কি আছে সে এবার সেটা প্রশ্ন করে এই কথায় ভাস্কারের গলা শুকিয়ে একদম কাজ হয়ে যায় এবার ভিনোদ তাকে সেই সুটকেস খুলে দেখাতে বলে তার মানে কি এবার ভাস্কার সত্যি সত্যি ধরা খেয়ে গেল তবে ভাস্কার যেই না সেই সুটকেস খুলে ঠিক তখন দেখা যায় সেখানে কাপড় ছাড়া আর কিচ্ছু নেই ভাইরে ভাই ভাস্কার এই ঘটনার মাত্র পাঁচ মিনিট আগেই সেই টাকা সরিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছিল আর যার কারণে একদম তীরে এসেও তার তড়ি ঠিকই দাঁড়িয়ে থাকে ফাইনালি বিশাল এক বড় ধাক্কা সামলে নিয়ে ভাস্কান নিজের সাথে পন করে যে না এই কাজ সে
আর করবে না কারণ তোমার লোভ যদি তোমার অকাতের চেয়ে বেশি হয়ে যায় তাহলে তোমার ধ্বংস অনিবার্য তবে সাম্বা আর এই পিয়নের চাকরি করতে চায় না বলে সে চাকরি ছেড়ে ওই ধান্দাতেই পড়ে থাকে এদিকে ভাস্কার এতদিন 6 লাখ টাকা জমিয়েছিল তাই সে সেগুলোকে বিভিন্ন খাতের জন্য জমা করে রাখে কিন্তু দেখা যায় তার ভাই বিদেশের একটা বড় ভার্সিটিতে চান্স পেয়েছে যেখানে পড়তে হলে তাকে খরচ করতে হবে ছয় লাখ চাকা অগত্যা পুরো পরিবারের জন্য জমানো টাকা তার শুধুমাত্র এই ভাইয়ের পিছনেই খরচ হয়ে যায় তবে কথাই আছে না ভাগ্য যখন সুপ্রসন্ন হয় তখন তা একটু দেরিতেই থামে ঠিক সেভাবেই
পরের দিন অফিসে গিয়ে ভাস্কার এমন এক নিউজ পায় যা তার পুরো দুনিয়া একদম উল্টে দেয় স্বয়ং চেয়ারম্যান তাকে মিটিং এ কল করে জানায় যে আজ থেকে তুমি মাগাদা ব্যাংকের এজিএম আমি তোমার নামে অনেক ভালো রিপোর্ট পেয়েছি যার কারণে তুমি একমাত্র এই পদের জন্য সঠিক ব্যক্তি মাত্র একদিনের মধ্যেই ভাস্কারের লাইফ ৳6000 টাকা স্যালারি থেকে ৳19000 টাকা স্যালারি হয়ে যায় সেই সাথে সাথে মারু 800 গাড়িটা তো বোনাস সে সেই লাল গাড়িটা নিয়ে বাড়ি ফিরে এই খবর সুমতিকে দিলেও সেও আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠে তবে আসল গল্প কিন্তু এখনো শুরুই হয়নি এতো গেল ভাস্কারের জীবনের শুরুর দিকের পার্ট তবে
এখন শুরু হয় সেই পার্ট যেখানে আমরা জানতে পারবো যে ভাস্কার কিভাবে দুই বছরে বানিয়েছিল শত কোটি টাকা তবে সেই পার্টে যাওয়ার আগে যদি এক্সপ্লেইনটা ইনজয় করো তাহলে লাইক দিতে কিন্তু মোটেও ভুলে যাও যাই হোক ভাস্কাকে ট্রান্সফার করা হয় বোম্বে মেইন ব্রাঞ্চে সেখানে প্রথম দিন ব্যাংকের চেয়ারম্যান তাকে একটা বড় দায়িত্ব দিয়ে বসে এখন সেই দায়িত্বটা হলো হার্শাদ মেহেতা আসলে ওই ডার্ক ম্যাজিশিয়ানের কোম্পানি গ্রোমোর এবং তার পার্সোনাল একাউন্ট এই ব্যাংকে অবস্থিত চেয়ারম্যান জানায় হার্শাদ আমাদের সবচেয়ে ভিআইপি ক্লায়েন্ট তাই তার যা যা লাগবে তাই যেন সে পূরণ করে দেয় ভাস্কার চেয়ারম্যানের এই কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে বলে
কথা দেয় পরের দিন হারসাদ মেহেতার এক ঘনিষ্ঠ চালা সুরাজ এসে হাজির হয় ভাস্কারের সামনে যার হাতে ছিল কাতারি ব্যাংক নামের এক ব্যাংকে দুটো বিআর বা ব্যাংক রিসিভ এখন চলো একটা ফিন্যান্সের ছোট্ট ক্লাস করে আসি আর জেনে নেই কি এই বিআর দেখো ব্যাংক কোন ব্যক্তি বা কোম্পানিকে যেমন লোন দেয় ঠিক সেভাবে অন্য ব্যাংকেও লোন দিতে পারে তবে এর জন্য তারা ডিরেক্ট ব্যাংক টু ব্যাংক টাকা ট্রান্সফার করতে পারে না ফলে এই ধরনের ট্রান্সফার কমপ্লিট করে কোন এক ব্রোকার কোম্পানি যেমন মাগাদা ব্যাংক যদি কাটারি ব্যাংকে লোন দেয় তাহলে প্রথমে মাগাদা ব্যাংক হার্শাদ মেহেতাকে টাকা ট্রান্সফার করবে এরপর হার্শাদ
সেই টাকা ট্রান্সফার করবে কাটারি ব্যাংকে ঠিক সেইম ভাবে টাকা ফেরত দেবে প্রথম হারসাদের কাছে আর সে পৌঁছে দেবে মাঘাদা ব্যাংকে এর বিনিময়ে হারসাদ মেহেতা পাবে 0001% কমিশন মূলত বিয়ার হচ্ছে সেই ডকুমেন্টস যেটার মাধ্যমে ব্যাংক এই ডিলগুলো ফাইনাল করে তো সুরা যেখানে দুটো বিয়ার নিয়ে সেগুলোতে সাইন করিয়ে নেয় তবে ভাস্কার তাকে বলে আপনার হাতে মাত্র দুই সপ্তাহ সময় পাবেন এই টাকা ফেরত দেওয়ার আর হ্যাঁ আমি চাই না আপনি লেট করেন মূলত এখানে ভাস্কার তাকে লিগালি চলার জন্য আহ্বান জানায় তবে দু সপ্তাহের জায়গায় চার সপ্তাহ পর হারসাদ মেহেতা তাকে সেই টাকা ফেরত দিলে ভাস্কার ঠান্ডা মাথায় তাকে
কে থ্রেড দিয়ে জানায় যে পরের বার থেকে সেই ব্যাপারটা আর টলারেট করবে না এসব শুনে সুরাজ ঠিকই বুঝে যায় যে এই লোক তাদের পথের কাটা হতে চলেছে যাই হোক সে এবার ভাস্করকে অনুরোধ করে হার্শাদ মেহেতা ও তার কোম্পানি গ্রো মোরের ব্যাংকের স্টেটমেন্টের কপি প্রিন্ট করে দেওয়ার জন্য তবে ভুল করে ডাবল স্টেটমেন্ট প্রিন্ট হয়ে গেলে ভাস্কার তাকে এক কপি এখানে রেখে বিদায় জানায় এবার ভাস্কারের মনে একটু খাইয়েশ জাগে সে বলে দেখি তো ইন্ডিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির ব্যাংক একাউন্টে কত টাকা আছে সে হার্সাদ মেহেতার একাউন্ট আর তার বিশাল ফিগার দেখে তার চোখ কপালে উঠে যায় কারণ ততদিনে
হার্শাদ মেহেতার ধন সম্পত্তি যে কত বিশাল হয়ে গিয়েছিল তা কল্পনার বাইরে তবে এই স্টেটমেন্ট দেখে তার চোখে এক জায়গায় আটকে যায় সে দেখতে পায় নিয়ম অনুসারে তার ব্যাংক থেকে যে টাকা বিয়ারের মাধ্যমে কাটারি ব্যাংকে যাওয়ার কথা ছিল সেই টাকা কাটারি ব্যাংকে না গিয়ে বরং তার কোম্পানি গ্রুম মরে যাচ্ছে তার মানে হচ্ছে এই ব্যাংক টু ব্যাংক লোনটা সিফ একটা ধোঁকা আসলে হার্সাদ মেহেতা তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিজেই কোন কাজ করছে আর পরে কাজ শেষ হয়ে গেলে সে আবার ওই টাকাটা ব্যাক দিয়ে দিচ্ছে এই পুরো কাহিনীটা মিলে যায় একদম ভাস্কারের সাথে কেননা সেও তো একবার এমনই
কাজ করে টাকা বানিয়েছিল তারপরেও সে ভালোভাবে খোঁজে নেওয়ার জন্য চলে যায় কাচারি ব্যাংকে আর সেখানে গিয়ে তাদের টাকা রিসিভ করার স্টেটমেন্ট দেখতে চায় কিন্তু ব্যাংকের ম্যানেজারের হাবভাব আর দামি ঘড়ি দেখে সে বুঝা যায় যে এরা সবাই ইতিমধ্যে হার্শাদ মেহেতার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে কিন্তু প্রশ্ন হলো এই টাকা নিয়ে হার্শাদ আসলে কিসের বিজনেস করছে এখন সেটার রহস্য জানার জন্য সে সোজা চলে যায় বিএসসিতে আর সেখানকার ব্রোকারদের কাছে সে এমন এক জিনিস জানতে পারে যেটা তার পুরোই হুশ উড়িয়ে দেয় সে জানতে পারে যে হার্শাদ মূলত শেয়ার মার্কেট রিগিং করে বিষয়টা ক্লিয়ার করে বলি হার্শাদ মেহেতা প্রথমে নাম
সর্বস্ব কিছু কোম্পানির শেয়ার একদম কম মূল্যে কেনা শুরু করে এরপর তার পুরো টিম মিলে সেই কোম্পানির শেয়ার কম দামে কেনা শুরু করলে তা দেখে আম জনতারা সেই শেয়ার ধুমিয়ে কেনা শুরু করে ফলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই 20 টাকা শেয়ার হয়ে যায় 500 টাকা ঠিক সেই সময় হার্সাদ মেহেতা তার কেনা নামে বেনামের সব শেয়ার গুলো একসাথে বিক্রি করে দেয় তার মানে তারা কেনে টাকায় আর মানুষকে লোভ দেখিয়ে তার দাম বাড়িয়ে বিক্রি করে 500 টাকায় ফলে এভাবেই সে একসময় হয়ে ওঠে পুরো স্টক এক্সচেঞ্জে দা বিগ বুল আশা করি তোমরা বুঝতে পারছো যে এই হার্শাদ মেহেতা কি চাল উলুচিস
ছিল তবে এই রিগিং করার জন্য তার অনেক টাকার প্রয়োজন ছিল যেটা সে এই সকল ব্যাংকের সাথে ধান্দাবাজি করে জোগাড় করে নিত এইসব কাহিনী শুনে ভাস্কার এবার পুরো কাহিনী বুঝে ফেলে যে কিভাবে হার্শাদ ম্যার পুরো ইন্ডিয়াকে গোল খাওয়াচ্ছে এবার ভাস্কারের কাছে দুটো অপশন হয় হার্শাদের কেনাগোলাম হয়ে যাওয়া না হয় ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে সব জানিয়ে দেওয়া ভাস্কা সেকেন্ড অপশনটি বেছে নিয়ে চেয়ারম্যানকে কল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তবে সেই সময় ঘটে তার লাইফের সবচেয়ে বড় টুইস্ট দেখা যায় কার্তিক স্কুল থেকে ফিরছে আর তার মা তাকে বকাঝকা করছে ঘটনা জানতে চাইলে সে জানতে পারে যে তার স্কুলের এক ছেলে একটা মেয়ের
থেকে চকলেট চুরি করেছিল তবে সেই ঘটনা কার্তিক জেনে গেলে ওই ছেলেরা তাকে অফার দেয় যে যদি সেই চুরির কথা না বলে তাহলে তাকেও সে অর্ধেক চকলেট দেবে যার কারণে কার্তিক সেটা গোপন করলে সেও ভাগীদার হয় সেই চকলেটের এসব শুনে ভাস্কার বলে বাবা এটা তো ঠিক না তবে জবাবে কার্তিক জানায় যদি আমি ভালো মানুষ হয়ে এটা বলে দিতাম তাহলে আমি তো কিছুই পেতাম না ঠিক এই লাইনটা শুনে ভাস্কর তাবদা খেয়ে যায় সে বুঝতে পারে আসলেই তো হারসাদকে যদি আমি ধরিয়ে দিই তাহলে এতে আমার কি লাভ কিন্তু আমি যদি হার্শাদের সাথে থাকি তাহলে আমার লাভের কোন শেষ
নেই তাই ভাস্কার এবার সিদ্ধান্ত নেয় এই গেমে নিজেকে এন্ট্রি করাতে ঠিক সেভাবেই সে সরাসরি সুরাজের কাছে চলে যায় তার প্ল্যান নিয়ে প্রথমে সুরাজ তাকে বড় অ্যামাউন্টের চেক অফার করে এই বিষয়টা চাপা দিতে কিন্তু ভাস্কা সব চেক ছিড়ে ফেলে বলে যদি তুমি আমাকে কিনতে চাও তাহলে আমি আমার প্রাইস নির্ধারণ করব আমি তোমাদের সবকিছু পানির মতন ক্লিয়ার রাখবো এর বদলে আমার চাওয়া হচ্ছে তোমরা যে বিয়ার আমাকে দেবে তার 1% কমিশন আমার এবং তোমরা যে শেয়ার রেগিং করবে তার ইনফরমেশন আমাকে একদিন আগেই দিতে হবে এসব অফার শুনে সুরাজ এক বাক্যেই রাজি হয়ে যায় কারণ হার্শাদ মেহেতার কাছে এমন
অফার একেবারে বাচ্চা শিশুর মতন তবে পরের দিনেই 25 কোটি টাকার বিয়ার সাইন করে ভাস্কার কামিয়ে নেয় 25 লক্ষ টাকা যেহেতু এই টাকাগুলো ইল্লিগাল বা ব্ল্যাক মানি ছিল তাই এবার সেগুলোকে লিগাল বা হোয়াইট মানিতে পরিণত করতে হবে তাই ভাস্কার সেই টাকা হোয়াইট করার জন্য আনোয়ার নামের এক ছেলের কাছে চলে যায় যে ছিল এই মানি লন্ডারিং এর ওস্তাদ ভাস্কার তাকে এই 25 লাখ টাকা হোয়াইট করার উপায় জানতে চাইলে সে জানায় যে লটারিতে বিজয়ী হয়ে আপনি চাইলে এই টাকাকে ইজিলি লিগাল করতে পারবেন এর জন্য আপনাকে 4% কমিশন দিতে হবে যদি এটা দিতে পারেন তাহলে নেক্সট লটারির বিজয়ী আপনাকেই
বানিয়ে দেওয়া হবে আর আপনি পুরো 17 লাখ টাকা দেখার একদম লিগাল মালিক হয়ে যাবেন কি বুঝতে পারলে তো এসব লটারি ফটারি তো কোন লেভেলের খেলা হয় যাই হোক সেই প্ল্যান অনুসারে ভাস্করকে বানিয়ে দেওয়া হয় 25 লাখ টাকা লটারি বিজয়ী এবং এই নিউজ পেপারে চলে এলে সবাই সত্যিকার অর্থে ভাবে যে ভাস্কার হয়তো তার ভাগ্যের জোরে এই লটারি জিতেছে ফলে এই টাকা খরচ করতে তার আর কোন বাধা থাকে না এখন লিগাল টাকা তো চলে এলো এবার সেইটাকে লিগাল ওয়েতে বাড়াতে হবে ফলে এর জন্য এখন তার প্রয়োজন শেয়ার মার্কেটে ইনভেস্ট করা আগের ডিল অনুসারে সুরাজ ফোন দিয়ে জানায়
যে আজকে জামাটা শেয়ার যত ইচ্ছা কিনে রাখেন এটা শুনেই সে বুঝে যায় যে এই কোম্পানির শেয়ার হারসাদ রিগিং করতে চলেছে তাই সে সোজা চলে যায় এক গরীব দুঃখী এক্সচেঞ্জ ব্রোকারের কাছে এবং সেখানে জামাটা 17 লাখ টাকা শেয়ার কেনার কথা বলে এর তিন সপ্তাহ পর সুরাজ আবারো বলে যে স্যার আজকে মার্কেট ক্লোজ হওয়ার আগেই সব শেয়ার সেল করে দিন এই কথা শুনে ভাস্কা ছুটে যায় ওই ব্রোকার হাউজে কেননা এই ব্যাটারা এতই গরীব ছিল যে তাদের ফোন লাইন ঠিক করারও পয়সা ছিল না যাই হোক ফাইনালি টাইম মতন সে শেয়ার গুলো সেল করতে সক্ষম হয় নয় আর এবার
এই 17 লাখ টাকা ইনভেস্ট করে মাত্র চার সপ্তাহে ভাস্কার মালিক হয়ে যায় 70 লাখ টাকায় এইসব কথা শুনে সেই সিবিআই অফিসার লাক্সতো পুরাই তাপ দেখে যায় এভাবেই ভাস্কারের লাইফ যেন পুরো রকেট গতিতে আগাতে থাকে এরই মধ্যে একদিন ভাস্কারের বোনের বিয়ে ঠিক হয় আর ভাস্কার চায় সেই বিয়েটাকে প্রচুর ধুমধাম করে দিতে তবে ওই যে টাকা পকেটে থাকলেও ভাস্করের এখনো গেটআপ হয়ে আছে সেই মিডিল ক্লাসের তাইতো এক জুয়েলারির দোকানে গহনা কিনতে গেলে তারা এমন ভাবে নাকশিটকায় যেন মনে হয় এর তো এক ভরি স্বর্ণ কেনার অওত নেই এছাড়াও এক গ্লাস পানি পর্যন্ত তাকে নিজ হাতে নিয়ে খেতে হয়
তবে এখানে ভাস্কার খেয়াল করে যে এক লোক দামি গাড়ি নিয়ে আর সুটবুট পড়ে এসেছে দেখে তাকে অন্য লেভেলের খাতির আপ্যায়ন করা হচ্ছে এটা দেখে সে বুঝে যায় শুধু পকেটে টাকা থাকলে হবে না সম্মান পেতে হলে সেটার কারিশমা পুরো বডিতে থাকতে হবে তাই ভাস্কা সেখান থেকে বেরিয়ে সোজা চলে যায় ব্যাংকে আর সেখান থেকে ওই 70 লাখ টাকা তুলে নিয়ে চলে আসে এক ফ্যাশন হাউজে সেখানে গিয়েও প্রথমে তাকে সবাই ছোট লোক ভাবতে থাকে কিন্তু যেই না সে টাকার ব্যাগ খুলে দেখায় তখন তারা স্যার স্যার বলে তাদের মুখে ফেনা তুলে ফেলে এরপর ভাস্কার তার বোন ও স্ত্রীকে বলে
তোমাদের যা মন চায় তাই কেনো কেননা ভাস্কারের এখন টাকার কোন অভাব নেই এই বলে তারা সব দামি কাপড় পড়ে সোজা চলে যায় গাড়ি কেনার জন্য ভাস্ক নিসানের এক গাড়ি কিনে নেয় 17 লাখ টাকায় যা ওই সময় কেবল আমির লোকজনের কাছে ছিল সেই মারাত্মক গাড়ি নিয়ে যখন সে আবারো ওই জুয়েলারির দোকানে যায় তখন তো পুরো সেলসম্যানরা বোকা ছেলে বনে যায় এখন তাদের হাবভাব একদম মিউ মিউ হয়ে গেছে দেখে ভাস্কার বলে থাকার সাথে সাথে তার ঝলক বডিতে থাকাও জরুরি না হয় এরা কোনদিনও আপনাকে সম্মান দেবে না এভাবেই তার বোনের বিয়ে প্রচুর ধুমধাম করে দিতে থাকে ভাস্কার এখন
সুরাজের কাছ থেকে সে যে ব্ল্যাক মানি পায় সেটা তো বারবার লটারের মাধ্যমে হোয়াইট করা সম্ভব না কারণ এতে করে সিবায়ের লোকজন সন্দেহ করতে পারে তাই এবার তাকে আরো বড় ধরনের মানি লন্ডারিং এর সিস্টেম বের করতে হবে সেই সিস্টেম অনুসারে আনোয়ার তাকে জানায় যে বাইরে এমন অনেক কোম্পানি আছে যাদের এজেন্টের কাছে আমরা এখান থেকে ক্যাশ টাকা দিলে তারা ওই কোম্পানি থেকে আমাদেরকে রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেবে তবে এর জন্য থাকতে হবে আমাদের একটা লিমিটেড কোম্পানি ফলে ভাস্কার এবার তার বউয়ের নামে একটা আচারের কোম্পানি খুলে সেই মানি লন্ডারিং এর মাধ্যমে টাকা পাচার করা শুরু করে দেয় তবে তার স্ত্রী
কিন্তু এসব কিছুই জানে না সে শুধু জানে যে দুবাই বা সিঙ্গাপুরে তার আচার অনেক বেশি পছন্দ হয়েছে বিধায় সবাই বড় বড় আকারে অর্ডার করছে যার জন্য তারা রাতারাতি এত ফুলে ফেঁপে উঠেছে তবে সুমতি বিষয়টা ধরতে না পারলেও তার বাবা কিন্তু ঠিকই আজ করতে পারে কারণ হাজার হলেও প্রহ্লাদ কুমার ছিল একজন জাদ্রেল চার্টারড একাউন্টেন্ট তাইতো তাকে ফাঁকি দেওয়া এতটা সহজ নয় এভাবেই দিনের পর দিন সবকিছু ঠিকঠাক চলতে থাকলেও ভাস্কারের আচরণে কিন্তু অনেক পরিবর্তন আসে সে এখন আর আগের মতন সহজ সরল কিংবা ভালো মানুষ নেই সে তার নিজের মানুষদের সাথেই রেগে কথা বলে কাউকে সে এখন আর
কেয়ারই করে না এভাবে একদিন ওই পাটেল তার গাড়িতে ধাক্কা দিলে সে রেগে গিয়ে তার স্কুটারটাকেই দুমড়ে মুছড়ে দেয় এই সবকিছু দেখে তার স্ত্রী তাকে বলে টাকার অহংকার তাহলে তোমাকেও খারাপ বানিয়ে ছেড়েছে তাই না তবে জবাবে ভাস্কর জানায় আই এম নট এ ব্যাড গাই আই এম জাস্ট রিচ আর এটাই রিচ পার্সনদের অ্যাটিটিউড ভাইরে ভাই এই ডায়লগ পুরো মুভির মধ্যে সবচেয়ে বোল্ড ছিল তবে কথাই আছে না অহংকারী পতনের মূল তাইতো এখান থেকেই ভাস্কারের লাইফে শুরু হয় ডাউনফল একদিন তার অফিসে কাটারি ব্যাংকের সেই ম্যানেজার একটা কাজের জন্য আসলে ভাস্কার তার সাথে দেখা করে সেখানে ভাস্কার বলে আপনার ব্যাংক
থেকে ইদানিং অনেক বড় বড় অ্যামাউন্টের বিয়ার আসছে এছাড়াও হার্শাদ এই পেমেন্ট গুলো ডিউ রাখতে রাখতে তা প্রায় 100 কোটি টাকাতে ছাড়িয়ে গেছে তবে এই কথাগুলো শুনে ওই ম্যানেজারের চোখ বড় বড় হয়ে যায় কারণ সে জানায় যে আজ পর্যন্ত সে এত অ্যামাউন্টের বিয়ার কখনোই এপ্রুভ করেনি তাই সে ওই বিয়ারের কপি গুলো তার কাছ থেকে নিয়ে যেই না দেখে তখন তার আকাশ যেন পুরোই ভেঙে পড়ে আসলে হার্ষাত মেহেতা তাদের এই বিয়ার গুলোকে পুরো কপি বা জালিয়াতি করে এতদিন টাকা মেরে খেয়েছে তারা ব্যাংকের লেটার হেড সিল এমনকি ম্যানেজারের সাইন পর্যন্ত করে এত বড় বড় অ্যামাউন্টের বিয়ার ফর্জ করেছে
এবার এই কথা শুনে ভাস্করের পা থেকে যেন মাটি সরে যায় চিন্তা করো শুধু একটা ব্যাংক নয় এমন কত ব্যাংক থেকে হাসসা টাকা নিয়েছে তার কোন ইয়াত্তাও নেই এখন এই কথা যদি বাহিরে লিক হয় তাহলে পুরো দেশের অর্থনীতি একদম ভেঙে পড়বে এছাড়াও পুরো শেয়ার মার্কেট ধষে পড়বে তাসের ঘরের মতো এছাড়াও হার্শাল যদি ধরা খেয়ে যায় তাহলে তাদেরকেও জেলে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না তার মানে এমন পরিস্থিতিতে ভাস্কার এখন কি করবে সে যে এই জালে এভাবে ফেসে যাবে তা সে কখনো কল্পনাও করতে পারেনি তখন ওই ম্যানেজার তাকে বারবার অনুরোধ করে যে সে যেন আর একটা
বিয়ারও এপ্রুভ না করে আর সেই সাথে সাথে এই কথাগুলো যেন কোনভাবে বাহিরে না যায় এই বলে সে সেখান থেকে বিদায় নেয় তবে যাওয়ার পথেই সেই লোকটা হার্ট অ্যাটাক করে বসে আর সেখানেই মারা যায় এরপর এই ঘটনা ভাস্কারকে একদম ভিতর থেকে দোমড়ে মুছড়ে দেয় সে বুঝতে পারে যে এত বড় বড় রাঘব বোয়ালের কাছে সে একটা পুতুল মাত্র ইতিমধ্যেই এই ফ্রডের চক্করে পড়ে তার ব্যাঙ কোটি টাকার লোকসানে আছে কিন্তু ভাস্কার এসব কাউকেই বলতে পারছে না আবার নিজেও সেটা সহ্য করতে পারছে না এদিকে ছেলের এমন হাল দেখে তার বাবা তাকে ডেকে নেয় আর বলে দেয় যে আমি জানি
এসব কিছুই তুমি ফ্যামিলির জন্য করেছো কিন্তু একটা সময় এই টাকা তোমার প্রয়োজন ছিল কিন্তু এখন এটা তোমার লোভ হয়ে গেছে একটা কথা মনে রেখো জুয়া খেলারও একটা নিয়ম আছে তুমি যতই ভালো খেলোয়াড় হও না কেন তাতে কিচ্ছু যায় আসে না তবে কোথায় যেয়ে তোমাকে এই খেলা থামাতে হবে তার উপরে নির্ভর করবে তোমার আসল ভাগ্য এই দামি কথা শুনে ভাস্কারও বুঝতে পারে যে তার থেমে যাওয়ার সময় চলে এসেছে তাই সে প্ল্যান করে নিজেকে আবারো সেই আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে থাকে এর জন্য ভাস্কার তার লাইফে এতদিন যা যা করেছে তার সবকিছুই একে একে বন্টন শুরু করে
দেয় সে তার ভাইকে আমেরিকায় একটা বাড়ি কিনে দেয় তার বোনকে উপহার দেয় একটা ফ্ল্যাট এছাড়াও তার স্ত্রীর ভাইকে বিজনেস করার জন্য সে টাকা ইনভেস্ট করে এরপর থেকে ভাস্কারা আর সুরাজের কোন বিয়ার এপ্রুভ করে না তবে এটা করে দেওয়ার জন্য ম্যানেজমেন্ট বোর্ড পর্যন্ত তাকে রিকোয়েস্ট করতে থাকে কিন্তু ভাস্কর জানায় স্যার আমি এই কোম্পানির ভালোর জন্য আর একটা বিয়ারও এপ্রুভ করতে পারবো না কারণ ইতিমধ্যে 100 কোটি টাকা হারসাদ পেন্ডিং রেখেছে যদি সে এটা পরিশোধ করে তাহলে আমি পারবো আর অন্যথায় যদি আমাকে দিয়ে আপনারা ফোর্স করেন তাহলে এই নেন আমার রিজাইন লেটার আজ থেকে আমি ইস্তফা দিলাম এই
বলে ভাস্কার সেদিন চাকরি ছেড়ে দেয় যা দেখে পুরো অফিসের সবাই একদম অবাক হয়ে পড়ে তো এখনকার এই সিচুয়েশনে কিন্তু আমরা মুভির একদম শুরুতে দেখতে পেয়েছিলাম যেখান থেকে ভাস্কার কে সিবিআই ধরে নিয়ে এসেছিল এতক্ষণ ভাস্কার তাদেরকে এই গল্প করছিল যে সে কিভাবে এত টাকার লিগাল মালিক হলো তবে সে শুধু ভাগ্য আর লিগাল ওয়ের কথাই তাদের কাছে স্বীকার করে কেননা এমন দুই নম্বরের কথা জানলে তার তো জেলেই যাওয়া লাগতো যাই হোক সিবিআই অফিসার এসব কিছু শুনে বলে তোমার গল্প ভালো এছাড়াও তোমাকে যে জেলে ধরে নিয়ে যাব তারও কোন প্রুফ আমাদের কাছে নেই কেননা খাতা কলমে এসব কিছু
তুমি লিগালি আয় করেছো তবে এভাবে খালি হাতে আমরা তো ফিরে যেতে পারবো না কেননা আমাকে যে হায়ার করেছে সে আর কেউই নয় সে হচ্ছে এই ব্যাংকের চেয়ারম্যান মিস্টার রাজভীর তার মানে তো তোমরা বুঝতেই পারছো আসলে এই পুরো স্ক্যামিং এর কথা কিন্তু ব্যাংকের সবাই জানতো তবে এত কিছু জানার পরেও তারা ভাস্কারকে কেবল পুতুল হিসেবে ব্যবহার করার জন্যই এই পোস্টে নিয়ে এসেছিল এসব দেখে ভাস্কার যেন নিজেকে বিশ্বাসই করতে পারে না স্বয়ং ব্যাংক নিজেই এই করাপশনের সাথে জড়িত তা তার কল্পনার বাহিরে এবার ব্যাংকের চেয়ারম্যান তার আসল চেহারা ভাস্কারকে দেখায় সে বলে আমি জানি তুমি অনেক কামিয়েছো এই ধান্দায়
কিন্তু যখন তোমার মন ঘুরে গেল তখন তুমি আমাদের সাথেই পল্টি নিতে চাইলে তাইতো কাউকে না জানিয়ে তুমি রিজার্ভ ব্যাংকে গিয়ে আমাদের নামে নালিশ করে এসেছো এখন এই বিয়ারে যে 100 কোটি টাকা পেন্ডিং আছে সেটা আমাদেরকে দিতে হবে অন্যথায় পুরো ব্যাংক কলাপস করবে আর সাথে জেল ফ্রি তো এই মুহূর্তে তোমাকে আমি দুটো অপশন দিচ্ছি এক আইটি ডিপার্টমেন্টকে বলে আমরা তোমার একাউন্ট ফিক্স করে রাখি আর জেলের ভাত খাওয়াই অথবা দুই এই পেন্ডিং 100 কোটি টাকা তুমি হাসরাতকে দেওয়ার মাধ্যমে ব্যাংকের পেন্ডিং ক্লিয়ার করে দেবে এতে করে তোমার টাকা হারালেও তুমি স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবে এসব কথা শুনে ভাস্কগারজিয়ানো
এক অধয় সাগরে পড়ে তিলতিল করে কামানো টাকা কিনা শেষমেষ এভাবে তাদের দিয়ে দিতে হবে কিন্তু সেটা না করে তার আর কোন উপায় নেই তাই আর কোন কিছু চিন্তা না করে ভাস্কর কুমার তার ব্যাংকের সমস্ত টাকা চেক লিখে দেয় হার্সাদ মেহেতার নামে আর নিজে এই পাপ থেকে মুক্তি নেয় চিরতরে আচ্ছা তবে কি কাহিনী এখানেই শেষ হতে যাচ্ছে আরে না একটু ওয়েট করে দেখো না কি মারাত্মক টুইস্ট অপেক্ষা করছে তোমার জন্য তো কাহিনী শুরু হয় ঠিক তখনই যখন ভাস্কারের চেক ব্যাংকে ডিপোজিটের জন্য পাঠানো হয় সেখানেই জানা যায় যে এই লোকের ব্যাংক একাউন্টে একটা ফুটো পয়সাও নেই তার
মানে গত 10 দিন আগে ভাস্কার তার ব্যাংক ডিএক্টিভ করার পাশাপাশি সব টাকা তুলে নিয়ে গেছে ভাইরে ভাই শেষে এসে ভাস্কার যে এমন এক খেল দেখাবে তা একদম মাথার উপর দিয়ে যায় শুধু তাই নয় ভাস্ক সেই টাকা নিয়ে প্রথমে কল দেয় অ্যান্থনিকে আর তার মাধ্যমে পুরো টাকা ইনভেস্ট করে আমেরিকার একটা হোটেল কেনার জন্য তার এই টাকা হোয়াইট করার জন্য দরকার ছিল এনআরবি ও আরবিআই এর অ্যাপ্রুভাল যেটা তার বাবার লবিং এর সাহায্যে সে ঠিকই করে নেয় এরপর একজন ইনভেস্টর হিসেবে ভাস্কর কুমার তার লাইফ সেট করে ফেলে আমেরিকায় অন্যদিকে পুরো ব্যাংক ম্যানেজমেন্টকে পুলিশ গ্রেফতার করে টাকা আত্মসাতের মামলায়
এই পুরো কাহিনী যখন চেয়ারম্যান জানতে পারে তখন জাস্ট সে একটা কথাই বলে ভাস্কর ইউ প্লেড ওয়েল তো কি বুঝলে আসলে ভাস্কার আগেই ধরতে পেরেছিল যে এই স্ক্যামের সাথে জড়িত আছে ব্যাংকের চেয়ারম্যানও আর তারা তাকে সিফ অ্যাপয়েন্ট করেছিল যাতে তার উপরে সব দোষ চাপিয়ে দেওয়া যায় তাই ভাস্কার আগে থেকেই প্রিপেয়ার ছিল এই সুবর্ণ সময়ের জন্য কেননা ভাস্কার তার বাবার কাছ থেকে এটাই জেনেছিল যে খেলা যত ভালোই হোক না কেন খেলাটা কখন থামাতে হবে সেটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার ঠিক এই সঠিক সময়ের সঠিক সিদ্ধান্তই আজ তাকে সবকিছুর থেকে বাঁচিয়ে নেয় ঠিক এই সিনের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় এই
বছরের সবচেয়ে বেস্ট মুভিটি তো ভিডিওটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই আমাকে জানিও আর হার্শাদ মেহেতাকে নিয়ে কিন্তু পুরো একটা ওয়েব সিরিজেই আছে এখন তোমরা যদি চাও তাহলে সেই ওয়েব সিরিজটা এক্সপ্লেইন হবে সিনারি ক্যাপস বিডিতে তো কমেন্টের মাধ্যমে তোমরা জানিও আর নতুন ভিডিও খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে সবাই ভালো ও সুস্থ থেকো আল্লাহ হাফেজ
Related Videos
হারশাদ মেহতাঃ শেয়ার মার্কেটের মাফিয়া | Scam 1992 | Movie Explained In Bangla | Part 1
44:53
হারশাদ মেহতাঃ শেয়ার মার্কেটের মাফিয়া | S...
Cine Recaps BD
22,761 views
বস্তির ছেলে থেকে কোটিপতি হবার গল্প! Movie Explained in Bangla
28:29
বস্তির ছেলে থেকে কোটিপতি হবার গল্প! Movie ...
Cine Recaps BD
2,065,896 views
ফ্যান্টাসি ড্রামা 😹 Taxi Driver (2021) Korean Drama Explain in Bangla 🎭 Yaam Explain
19:24
ফ্যান্টাসি ড্রামা 😹 Taxi Driver (2021) Ko...
Yaam Explain
852,051 views
ছেলে হত্যার একি ভয়ংকর প্রতিশোধ! | Movie Explained In Bangla | Cine Thrillers BD
20:49
ছেলে হত্যার একি ভয়ংকর প্রতিশোধ! | Movie E...
Cine Thrillers BD
210,840 views
টম ক্রজের মিশন ইম্পসিবল | Movie Explain in Bangla | Action | Thriller | Cineplex52
29:28
টম ক্রজের মিশন ইম্পসিবল | Movie Explain in...
Cineplex52
178,564 views
লুপিন - একজন মাস্টারমাইন্ড চোর | Lupin Season 1 | Movie Explained in Bangla | Heist | Cineplex52
31:04
লুপিন - একজন মাস্টারমাইন্ড চোর | Lupin Sea...
Cineplex52
753,441 views
কোটিপতি ছেলেটি ১০০ দিনের জন্য গরিব সেজে গ্রামে থাকতে শুরু করে !! New Tamil Movie Explain In Bangla
24:56
কোটিপতি ছেলেটি ১০০ দিনের জন্য গরিব সেজে গ্...
Arsey Cineplex Channel
523,838 views
বাবার মৃত্যুর পরে তার সাথে যা হলো | Movie Explained in Bangla/Bengali | Story Explained in Bangla
27:54
বাবার মৃত্যুর পরে তার সাথে যা হলো | Movie ...
The Bongo Flix
122,330 views
একজন ঘুষখোর সরকারি কর্মকর্তা রাতের ঘুম উড়িয়ে দেয় দেশের সব নেতার। মাস্টারপিস একটি মুভি 🔥
39:56
একজন ঘুষখোর সরকারি কর্মকর্তা রাতের ঘুম উড়...
South Recap BD
301,540 views
সাধারণ শ্রমিক থেকে গ্যাংস্টার | Move Explained In Bangla | Pushpa | Bollywood | Action | Drama
39:29
সাধারণ শ্রমিক থেকে গ্যাংস্টার | Move Expla...
Cine Recaps BD
580,523 views
ক্যাসিনো হ্যাকিং করে কোটিপতি | Movie Explained In Bangla
25:22
ক্যাসিনো হ্যাকিং করে কোটিপতি | Movie Expla...
Cine Recaps BD
1,353,092 views
৩০০ কোটি টাকার হীরা চুরি করলো ড্যান্সার সেজে ! | Happy New Year Movie Explained In Bangla
18:43
৩০০ কোটি টাকার হীরা চুরি করলো ড্যান্সার সে...
Anik Alvin Recapped
84,483 views
ভারতের সত্য ঘটনা! মধ্যবিত্ত থেকে ৪ হাজার  কোটি টাকার মালিক। গল্পকেও হার মানাবে!
33:52
ভারতের সত্য ঘটনা! মধ্যবিত্ত থেকে ৪ হাজার ...
সিনেগল্প
271,524 views
ফকির থেকে কোটিপতি👌😱 Movie Explained In Bangla | Explain In Bangla | Tamil Bangla | Cr GopSop
30:03
ফকির থেকে কোটিপতি👌😱 Movie Explained In B...
Cr GopSop
1,926,537 views
৭০০ কোটি ডলার ডাকাতি | Kaleidoscope Full Series | Movie Explained in Bangla | Heist | Cineplex52
50:54
৭০০ কোটি ডলার ডাকাতি | Kaleidoscope Full S...
Cineplex52
157,278 views
পুলিশ রোবট যখন মাফিয়া হয়ে যায়| chappi (2015) Artificial intelligence movie explained in bangla.
16:47
পুলিশ রোবট যখন মাফিয়া হয়ে যায়| chappi (...
Shafi'r GoppoShoppo
90,624 views
রিয়েল স্টোরি | বোকা ছেলেটি ২৭ টা ব্যাংক একা ডাকাতি করেছে | Whisky Bandit Movie Explain Bangla
24:00
রিয়েল স্টোরি | বোকা ছেলেটি ২৭ টা ব্যাংক এ...
সম্মোহন
2,248,967 views
দ্য রক এর নতুন সিনেমা explanation In Bangla | Random Video Channel
25:41
দ্য রক এর নতুন সিনেমা explanation In Bangl...
Savage420
149,988 views
টয়লেট ক্লিনার যখন পুলিশ অফিসার - Movie Explained in Bangla
35:27
টয়লেট ক্লিনার যখন পুলিশ অফিসার - Movie Ex...
Cine Recaps BD
1,180,609 views
কলেজে মারের বদলা নিতে ডন কে পটালো | AAVESHAM movie explained in bangla | Cineverse Bangla
26:29
কলেজে মারের বদলা নিতে ডন কে পটালো | AAVESH...
CineVerse Bangla
226,685 views
Copyright © 2024. Made with ♥ in London by YTScribe.com