সীমান্ত হত্যা প্ল্যান করে সাজানোর নাটক নয়তো [মিউজিক] কি গত 15 বছরে বাংলাদেশ ভারতের সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে মারা গেছে প্রায় 600 জন আই এম নট এগ্রির এনালাইসিস দিস টাইপ অফ গার্বেজ ভাই চুরি করতেও তো আকাল বুদ্ধির প্রয়োজন হয় নাকি হিন্দুস্তান হিম্মত আজ থেকে প্রায় এক যুগ আগের কথা 7 জানুয়ারি 2011 অনন্তপুর দিনহাটা সীমান্ত বাংলাদেশ ভারত বর্ডার উত্তরবঙ্গের কনকনে শীতের কুয়াশায় আবছা আপছা দেখা যায় সীমান্তের কাটাতারে উল্টো হয়ে ঝুলছে একটি দেহ ফেলানি খাতুন বয়স 15 ঠিকানা নাগেশ্বরী উপজেলা কুড়িগ্রাম বাংলাদেশ অবশ্য এতক্ষণে তার নাম পরিচয়ের প্রয়োজন নেই সে এখন শুধুমাত্র একটি লাশ ভারতীয় সেফের গুলিতে প্রাণ হারায়
কুড়িগ্রামের কিশোরী ফেলানি ফেলানির মৃতদেহ কাটাতারে সাড়ে চার ঘন্টা ঝুলে থাকে দীর্ঘ সাড়ে চার ঘন্টা ফেলানি ঝুলছে আর ঠিক তার পেছনে কিছুটা দূরে লাশের দিকে তাকিয়ে আছে বিএসএফ এর দুই জওয়ান বর্ডার তো হর হামেশা অনেক মানুষই পার হয় কিন্তু ফেলানির দোষটা কি ছিল জানেন দেশে বিয়ে ঠিক হওয়ায় বাবার সঙ্গে ফেরার পথে মই দিয়ে সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার সময় কাঁটাতারের বেড়ায় কাপড় আটকে যায় ফেলানির ভয়ে সে চিৎকার করে ওঠে ফেলানির চিৎকারের সাথে সাথে আরেকটি শব্দ শোনা যায় বুলেট বিএসএফ সদস্যরা তাকে গুলি করে হত্যা করে আর লাশ ঝুলিয়ে রাখে কাঁটা তারের বেড়ায় কিন্তু শুধুই কি ফেলানি খাতুন জয়ন্ত কুমার
সিংহ শামসের প্রামাণিক শাহিনুর হক মোহাম্মদ কামাল হোসেন শিমন রায় স্বর্ণা দাস আব্দুল্লাহ রবিউল সহ আরো অনেকে কালের কণ্ঠ পত্রিকার একটি সূত্র বলছে গত 15 বছরে বাংলাদেশ ভারতের সীমান্তে বিএসএফ এর গুণীতে মারা গেছে প্রায় 600 জন অথচ ফেলানের গল্প আপনি যত ভালোভাবে জানেন অনেকের নামও হয়তো সেভাবে জানেন না কিন্তু কেন এত হত্যাকাণ্ড কি এমন অপরাধ আর অপরাধ হলেও কি যেকোনো অপরাধের শাস্তি হিসেবে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডই একমাত্র সমাধান অথবা যাদেরকে মেরে ফেলা হয়েছে তারা সবাই যে অপরাধী তারই বা সুস্পষ্ট প্রমাণ কি বর্ডারের এই কনসেপ্টটাই বা কি কেনই বা বর্ডার ক্রস করে এত এত মানুষ আর সবকিছুর মূলে
কোন কোন বিষয়গুলো ভারতের বিএসএফ কে এত আগ্রাসী করে তুলেছে কেন বছরের পর বছর পার হয়ে যাচ্ছে কিন্তু কোন বিচার হচ্ছে না ভারতের আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের লঙ্ঘন এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং এর পেছনে আসল রাজনীতিটা কি আর এর সম্ভাব্য সমাধানী বা কি হতে পারে সবকিছু মিলিয়ে আমাদের আজকের ভিডিও কাটাতারের জীবন इस देश को हिंदू राष्ट्र बनाने के लिए জরুরত পড়ি তো খুদ মারনে মারনে বিকল্প আমি খুব ছোটবেলায় আব্বার সাথে একবারে হিলি সীমান্ত ঘুরতে গিয়েছিলাম সেটাই ছিল আমার সীমান্ত দেখার প্রথম অভিজ্ঞতা তখনও জানতাম না সীমান্তের এই কাঁটাতার শুধু দুটি ভূখণ্ডকেই ভাগ করেনি এর পেছনেও আছে বিরাট রাজনৈতিক খেল তামাশা আর
ডার্ক সাইড অফ ব্যান্ড পলিটিক্স তাও আবার মানুষের জীবন নিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে কয়েক বছর আগে আমরা যে সময়ের গল্প করছি সাল তখন 1947 ব্রিটিশরা সিদ্ধান্ত নিল তারা ভারত ছেড়ে যাবে কিন্তু ছেড়ে যাওয়ার আগে তারা ভারতকে তিন টুকরো করার কাজটা শেষ করেই যাবে মানচিত্র আঁকার দায়িত্বটা দেওয়া হলো স্যার সাইরিল রেডক্লিফকে আইডিয়া ইন্ডিয়া আইডিয়া ইন্ডিয়ান জিওগ্রাফি আইডিয়া ইন্ডিয়ান পলিটিক্সফ ছিলেন একজন ব্রিটিশ এর আগে কখনোই ভারত উপমহাদেশে আসেননি তিনি দ্রুত কাজ স্বার্থে ব্রিটিশরা তাকেই দায়িত্ব দিল আর তিনিও উপমহাদেশ সম্পর্কে কোন রকম জ্ঞান ছাড়াই শুরু করে দিলেন তার কাজ দায়িত্ব মাত্র চার মাসে ভাগ করতে হবে এই বিরাট
বৈচিত্রময় ভারত উপমহাদেশকে রেন্ডক্লিফ ধর্মের ভিত্তিতে উপমহাদেশকে দুই ভাগে তিন টুকরায় ভাগ করলেন ইন্ডিয়া ওয়েস্ট পাকিস্তান আর ইস্ট পাকিস্তান খেয়াল করলেই বুঝবেন মানুষকে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করে রাজনীতি বর্তমান সময়েও অনেক রাজনৈতিক দলের গদি টিকিয়ে রাখার অন্যতম প্রধান হাতিয়ার কথিত আছে 1947 সালের 15ই আগস্ট শুক্রবার ভোরবেলা অনেকেই ঘুম থেকে উঠে দেখেন বাড়ি এক দেশে সৌচাগার আরেক দেশে কারো কারো রান্নাঘরের এক চুলা বাংলাদেশে আরেক চুলা ভারতে মধ্য রেডক্লিফ সাহেব এমন এক কায়দায় বর্ডারের ম্যাপ একেছিলেন যার কোন আগামাথা ছিল না একেবারে যাচ্ছে তাই অবস্থা এবং বাস্তবতাও তাই আলজাজিরার একটি রিপোর্ট বলছে [মিউজিক] বাংলাদেশ কার্যতই এমন ধোঁয়াসার এক বর্ডার সীমান্ত
এলাকার মানুষের কাছে প্রায়শই দ্বিধাদ্বন্দের তৈরি করে তারা সেখানে সেভাবেই বসবাস করে অভ্যস্ত সুতরাং রাজধানী ঢাকায় বা দিল্লিতে বসে সীমান্ত বা বর্ডার নিয়ে আমরা যে ধারণা পোষণ করি সীমান্ত এলাকার মানুষের কাছে বর্ডারের ধারণা তার থেকেও অনেক বেশি আলাদা আমরা সেটাও বোঝার চেষ্টা করব কিন্তু তার আগে আমাদেরকে বুঝতে হবে বর্ডারের রাজনীতি এবং সার্বিকভাবে বর্ডার আসলে কিভাবে কাজ [মিউজিক] করে 1983 সালে প্রকাশিত বেনেডিক্ট এন্ডারসনের বিখ্যাত বই ইমাজিন কমিউনিটি বর্ডার নিয়ে একটা সুন্দর তাত্ত্বিক আলোচনা পাওয়া যায় যার মধ্যে কথা হলো ন্যাশনালিজম ইজ নট এনসিয়েন্ট অর ইটারনাল ট্রুথ বাট সোশ্যালি এন্ড হিস্টরিক্যালি কনস্ট্রাক্টেড ফেনোমেনা দ্যাট প্লেস ক্রুশিয়াল রোল ইন দি
মডার্ন ওয়ার্ল্ড পলিটিক্যাল অর্গানাইজেশন অন্যভাবে খুব সহজে বাংলায় এভাবে বলা যায় যেই বর্ডারকে ঘিরে আমাদের এত জাতীয়তাবাদ আর দেশপ্রেম সেটা কোন চিরন্তন সত্য না বরং পুরোই কল্পিত একটা কনসেপ্ট এই কল্পিত ধারণাকে ঘিরে কত মানুষ প্রাণ দেয় কত মানুষ প্রাণ নেয় চলে রক্তের খেলা কিন্তু আসল খেলাটা খেলে রাজনীতিবিদরা ঠিক যেমন একটা পিঁপড়া পিঁপড়ার চারপাশে যদি কালি দিয়ে দাগ টানা হয় পিঁপড়া সেই দাগকে একটা কাল্পনিক বাধা মনে করে নিজে নিজেই সেই দেয়ালে কাল্পনিক টক্করও খায় কিন্তু বের হতে পারে না অদ্ভুত আমরাও সেই কাল্পনিক বর্ডারে টক্কর খাচ্ছি কখনো কখনো গুলি খেয়ে মরছি কিন্তু প্রশ্ন হলো বিএসএফ কেন এত আগ্রাসী
বিএসএফ এত ক্ষমতা পেল কোথায় আর কেনই বা দশক পেরিয়ে গেলেও কোন বিচার হয় না এসব হত্যাকাণ্ডের উত্তরগুলো আমরা খুঁজবো কিন্তু তার আগে আমাদেরকে আরো একটা গল্প শুনতে হবে যা ফেলানির গল্পের মতোই হৃদয় বিদারক যব দেশমে কমজোর और अस्थिर सरकार रही है तब तक दुश्मनों ने फायदा उठाया है आज भारत में मोदी की मजबूत सरकार है इसलिए आतंकवादियों को घर में মারা যাতা ফেলানিকে হত্যা করা হয় বর্ডার ক্রস করার সময় কিন্তু এখন যার গল্প শুনবেন তাকে গুলি করে মেরে ফেলা হয় বাংলাদেশেরই মাটিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের একটি সূত্র বলছে ঘটনাটা 2020 সালের এপ্রিলের 19 তারিখ ঠাকুরগায়ের সীমান্ত
এলাকা শিমুল রায় তার বাবার সাথে পাঠক্ষেতের বেড়া দিচ্ছে নিজেদের জমিতেই হঠাৎ একটা বিএসএফ কর্মকর্তা তাদের জমিতে ঢুকে পড়ে আর দাবি করে সেটা ভারতের মাটি বিএসএফ কর্মকর্তার কথা অনুসারে শিমন আর তার বাবা ভারত মাটিতে বেড়া দিচ্ছে যেটা স্বাভাবিকভাবেই মিথ্যা একটা দাবি শিমন আর তার বাবা অনেক চেষ্টার পরেও বিএসএফ এর সেই কর্মকর্তাকে বোঝাতে ব্যর্থ হলেন জমিটা তাদের নিজের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বিএসএফ জওয়ান শিমন রায়ের পেটে গুলি করে শিমন রায় সেখানেই মারা যায় এবার আপনাদেরকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং মোদির ভাষণটা আরেকবার শোনাই আজ ভারত মে মোদি কি মজবুত সরকার হে ইসলিয়ে আতঙ্কবাদিও ঘরমে ঘুসকার মারা যাতা কিছু
বুঝতে পারলেন বিজেপির মত সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদী রাজনৈতিক দলের রাজনীতিটা চলেই সাধারণ জনগণের মাঝে একটা ভয়ের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আতঙ্ক বিগত কয়েক বছর ধরে বিজেপি তাদের গদিকে দুই ভাবে আরো অনেক বেশি শক্ত করেছে এক বিজেপির নেতারা তাদের ভাষণ থেকে শুরু করে সিনেমা মিডিয়া সব জায়গায় তাদের জিওপলিটিক্স কে এমন ভাবে তুলে ধরেছে যেন তাদের সীমান্তের চারদিকে সবকটি দেশই তাদের শত্রু যেটা একদিক থেকে সত্য যেই শত্রুতাকে তারা নিজেরাও পুঁজি করে রেখেছে আর দুই ধর্মকে পুঁজি করে জীবন নিয়ে খেলা বিজেপির রাজনীতিটা চলে হিন্দুত্ববাদের হিন্দু ধর্ম নয় কিন্তু হিন্দুত্ববাদের পায়ে ভর করে অথচ এই উগ্র হিন্দুত্ববাদ নিয়ে যতবারই প্রশ্ন তোলা হয়েছে তারা
কোন রকম উত্তর না দিয়েই এড়িয়ে গেছেন প্রতিবার justice what would you say to them i am not agree with your analysis i am not agree with your information this absolutely misguided information to you from where you have দিস টাইপ অফ গার্বেজ আই ডু আর ইসলাম ধর্মকে টেরোরিজমের ট্যাগ দিয়ে জনগণের মাঝে ভয়ের সংস্কৃতি কায়েম করতে চায় মোদি সরকার যেই কাজগুলো করে তাদের নিউজ মিডিয়া সিনেমা মুভিজ আর সাইবার সেল ডিরেক্ট না ইনডিরেক্ট ভাবে আর আগামী কয়েক মিনিটে আমরা সেই কথার প্রমাণও দেখব আসুন আমরা শুরুতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর যোগদানের একটা অ্যাডভার্টাইজমেন্ট ব্রেকডাউন করে বোঝার চেষ্টা করি এটা কিন্তু
তাদের অফিশিয়াল অ্যাড এই অ্যাড টেলিভিশনে প্রচারের মাধ্যমে তারা ভারতের যুবকদেরকে ডাকছে বিএসএফ এ যোগদানের জন্য টিভিসির ফুটেজে একেবারেই স্পষ্ট দাড়ি টুপি পাঞ্জাবি পড়া সশস্ত্র জঙ্গিকে গুলি করে মারছে বিএসএফ শুধুমাত্র এই ফুটেজ থেকেই যেকোনো বিচক্ষণ দর্শকই ধারণা করতে পারবেন বিএসএফ এর মাইন্ডসেটকে কিভাবে ট্রেইন করানো হয় ভারত সরকার দাড়ি টুপি পাঞ্জাবিকে বোঝাচ্ছে টেরোরিজমের সিম্বল আর মাঝখান থেকে ব্যাকগ্রাউন্ডে যেই মেসেজ তৈরি হচ্ছে তা হলো ইসলাম ধর্ম মানেই জঙ্গিবাদ যা ভারতের জন্য রীতিমত একটা একটা থ্রেট ভারতের সীমান্ত জুড়ে দুই দিকে দুই মুসলিম দেশ বাংলাদেশ আর পাকিস্তান তার মানে কি এই দাঁড়ালো না পাকিস্তান আর বাংলাদেশের বিরাট একটা মুসলিম জনসংখ্যাকে
ভারতীয় বিএসএফ এর কাছে উপস্থাপন করা হচ্ছে জঙ্গি হিসেবে এমনকি অনেক উস্কানিমূলক রাজনৈতিক বক্তব্য একই দিকে ইঙ্গিত করে পাকিস্তান কি আওয়াম হুকুম যারা পুছে কি দোনো দেশ এক সাথ আজাদ হুয়ে क्या कारण है कि हिंदुस्तान दुनिया में सॉफ्टवेयर एक्सपोर्ट करता है और आपके हुक्मरान টেরোরিস্টো এক্সপোর্ট করতে হে কারণ হে দিনের পর দিন এই কনসেপ্ট সেট হওয়া মাইন্ডসেট নিয়ে চলতে চলতে হয়তো বিএসএফ এখন হিতাহিত জ্ঞানই হারিয়ে ফেলেছে কে হিন্দু কে মুসলিম দেখার সময় আর কই ভারতের সীমানার বাইরে সবাই এখন তাদের চোখে পটেনশিয়াল থ্রেট দেখামাত্র গুলি করাই যেন তার কাছে দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ শুধু বিএসএফ কিংবা সশস্ত্র বাহিনীর কাছে
না ধর্মকে পুঁজি করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য ভারতীয় পত্রিকাগুলো কিভাবে সাধারণ মানুষের মগজ ধোলাই করছে তাও এখন আমাদের কাছে স্পষ্ট এন্ড রিসার্চ করতে করতে উই ফাউন্ড সামথিং ভেরি স্ট্রেঞ্জ 4 সেপ্টেম্বর 2024 টাইমস অফ ইন্ডিয়ার হেডলাইন অন এস্কেপ বিট টু ত্রিপুরা মাইনর বাংলাদেশ হিন্দু গার্লস ডেড বাই বিজিবি ওপি ইন্ডিয়ার হেডলাইন বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ কিলস মাইনর হিন্দু গার্ল হোয়াইল শি ওয়াজ ট্রাইং টু ফ্লিট টু ইন্ডিয়া উইথ হার প্যারেন্টস বিএসএফ রিকভারস ডেড বডি এখানে আসলে কাকে নিয়ে কথা বলা হচ্ছে জানেন শুনলে অবাক হবেন মেয়েটার নাম স্বর্ণা দাস 16 বছর বয়সী সেই স্বর্ণা দাস যাকে কিছুদিন আগে গুলি করে হত্যা
করেছে বিএসএফ ভারতীয় পত্রিকাগুলো সেই হত্যাকাণ্ডের দোষ চাপাচ্ছে বিজিবির উপর মেক এনি সেন্স ভাই চুরি করতেও তো আকাল বুদ্ধির প্রয়োজন হয় নাকি নিজের দেশের মানুষকেই গুলি করে হত্যা করল বিজিবি আর সেই লাশ উদ্ধার করল বিএসএফ সেই বিএসএফ যে 15 বছরে 600 বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে মানে যাচ্ছে তাই কিন্তু মাথা খাটালেই বোঝা যায় ব্যাপারটা যাচ্ছে তাই না এই হেডলাইন গুলোতে আছে শব্দের বিরাট এক রাজনীতি মাইনর বাংলাদেশ হিন্দু গার্ল মাইনর হিন্দু গার্ল খেয়াল করলেন তারা খেলাটা কোথায় দেখালো সংখ্যালঘু হিন্দু বালিকা শব্দগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যবহার করা যেন ভারতীয় হিন্দুদের কাছে এমন একটা ইম্প্রেশন তৈরি হয় যে মোদি ছাড়া তারাও সেফ থাকবে
না বলছি গদি মিডিয়ার ভাইয়েরা আপনারা কি শুধু ধর্মই দেখেন নাকি মানুষও দেখেন কই ফেলানিকে মেরে কাটাতারে ঝুলিয়ে রাখার সময় তো কোন বাংলাদেশী পত্রিকা উল্লেখ করেনি মুসলিম গার্ল ফেলানী খাতুন দেশের ভেতর ঢুকে শিমন রায় কে মেরে ফেলার পরেও তো কোন বাংলাদেশী পত্রিকা উল্লেখ করেনি বিএসএফ কিলড দেয়ার হিন্দু ব্রাদার সীমন রয় বলবেও না কারণ একজন মানুষকে মানুষ হিসেবেই দেখা উচিত ফেলানি খাতুন শুধুই ফেলানী খাতুন একজন মানুষ যাকে মেরে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখেছিল বিএসএফ বরং 13 বছর পার হয়েছে বিচার হয়নি দোষ স্বীকার করলেও আদালত থেকে বেখসুর খালাস করে দেওয়া হয়েছে ফেলানির হত্যাকারী বিএসএফ জয় অমিয় ঘোষকে বিচার হবেও না
কারণ বিচার হলে শাস্তির ভয়ে বিএসএফ তো আর মানুষ মারবে না মোদির গদি টিকবেই বা কিভাবে চারপাশের শত্রু টেরোরিস্ট রাষ্ট্রগুলো থেকে ভারতের মানুষকে সেফ রেখেছে বিজেপি এটাই তো তাদের প্রধান রাজনৈতিক বক্তব্য সেহনা চাহতা হু আপক গুমরাহ করনে কে লিয়ে আপকে হুকম হাজার সাল তাক হিন্দুস্তান সে লড়নে কি বাতে करते है आज दिल्ली में ऐसी सरकार बैठी है मैं आपकी इस चुनौती को स्वीकार करने के लिए तैयार हूं पाकिस्तान की आवामম मैं आपको कहना चाहता हूं हिंदुस्तान आपसे लड़ाई लड़ने को तैयार है आओ आओ हिम्मत हो শুধু তাই না আরো কয়েক ধাপে ভারত সরকার এই নোংরা রাজনীতির
চাকাকে সচল রেখেছে এবং সবকটি মানুষের প্যাসিভ ব্রেইন সাইকোলজিকে পুঁজি করে তৈরি করা যার প্রথম ধাপ হলো সিনেমা ভারতের বলিউড এই সীমান্ত যুদ্ধ র এজেন্ট আর দেশাত্মবোধক যত সিনেমা বানায় পৃথিবীর আর কোন দেশ তা বানায় কিনা সন্দেহ সিনেমায় দেখানো হয় নায়ক দেশকে ভালোবেসে কিভাবে শত্রুর সাথে লড়াই করছে ভারত পাকিস্তান ভারত চায়না সীমান্ত নিয়ে তো এরকম সিনেমার অন্তই নেই আর বাংলাদেশ নিয়েও আছে অসংখ্য উদাহরণ 2024 এর যোদ্ধা সিনেমা শুরুই হয় বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে বাংলাদেশী টেরোরিস্ট হত্যার সিন দিয়ে কি হলো রে চল আমাকে একবার বলবেন ফেলানি খাতুন থেকে শুরু করে স্বর্ণাদাস পর্যন্ত এদের কারো হাতেই কি কোন রকম
অস্ত্র ছিল যে তাদেরকে হত্যা করে দমন করতে হলো আমি জানি কোন রকম উত্তরই আপনাদের কাছে নেই কিন্তু বলিউড সীমান্ত হত্যাকে প্রমোট করে আশেপাশের সব দেশকে নিজেদের জন্য থ্রেড দেখিয়ে সিনেমা ঠিকই বানাবে কারণ রাজনীতি কারণ ভোট ব্যাংক ফ্যাসিস্টের সবচেয়ে বড় লক্ষণ হলো ক্ষমতায় টিকিয়ে থাকার জন্য জনগণের মাঝে উগ্র জাতীয়তাবাদকে প্রমোট করা জনগণকে অহেতুক জাতীয়তাবাদী জোষে বোধ করে রাখা আমি মেনে নিচ্ছি ইল্লিগাল ভাবে সীমান্ত ক্রস করা অপরাধ সীমান্তে ইল্লিগাল ভাবে মাদক পাচার আদম পাচারের মতো আরো অনেক ধরনের অপরাধমূলক কাজ হয়েই থাকে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাজ এগুলো অবশ্যই তদারুকী করা কিন্তু তাই বলে কোন রকম আইনি বিচার ছাড়া যাকে
খুশি তাকে হত্যা করা কোনভাবেই জাস্টিফাইড না সেটা যে কোন ঘরতর অপরাধী হোক না কেন এক্সট্রা জুডিশিয়াল হত্যাকাণ্ড রীতিমত ক্রাইম আর সেই ক্রাইম সীমান্ত হত্যা প্ল্যান করে সাজা নাটক নয়তো কি এইতো গেল সমস্যার ফেরিস্তি আর সেই ফিরিস্তির এক্সপ্লেনেশন কিন্তু মনে প্রশ্ন জাগে এই সমস্যার সমাধান কি নেই আছে 1990 সালের 7 সেপ্টেম্বর কিউবাতে জাতিসংঘের এক সভায় প্রস্তাব করা হয় বল ও আগ্নে আস্ত্র ব্যবহারের কয়েকটি মৌলিক নীতিমালা যেমন যতটা সম্ভব বল প্রয়োগ ও অস্ত্র ব্যবহারের আগে অহিংস উপায় প্রয়োগ করা অন্য উপায়গুলো যদি একেবারেই কার্যকর না হয় একমাত্র তখনই তারা বল প্রয়োগ ও অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে অর্থাৎ ফেলার্নির
চিৎকার শুনেই তাকে গুলি করার আগে তাকে অ্যারেস্ট করার চেষ্টা করতে হতো ইচ্ছা হলো আর গুলি করে দিলেন এটা নীতিমালা বহির্ভূত নীতিমালা আরো বলছে সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ আগ্নেয়া আস্ত্র অবৈধ বা নির্বিচারে ব্যবহার করলে তাকে যেন আইনের আওতায় এনে অপরাধ হিসেবে শাস্তি দেওয়া হয় অর্থাৎ ফেলানীকে হত্যা করা বিএসএফ জয়ন অমিওয় ঘোষকে বেখুসুর খালাস দেওয়া নীতিমালা বহির্ভূত উচিত ছিল তাকে তার অপরাধের যথাযথ শাস্তিটা দেওয়া এভাবে ধরতে থাকলে প্রত্যেকটা নীতিমালায় ভারতকে পাকড়াও করা সম্ভব এত এত হত্যাকাণ্ডের জন্য কয়েক লক্ষ ফৌজদারী মামলা ভারতের বিরুদ্ধে রেডিওও করা সম্ভব কিন্তু আমি কোন হিংসা বা বিদ্বেষ থেকে কথা
বলছি না আমি চাচ্ছি সমাধান সমাধান গুলোর ভেতরে আরো হতে পারে লাইভ বুলেটস ব্যবহার না করে রাবার বুলেটস ব্যবহার করা কেউ সীমান্ত পাড়ি দিতে গেলে দেখামাত্র গুলি না করে আগে তদন্ত করা যাচাই বাছাই করা সীমান্তরক্ষী বাহিনীদের যেসব কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডের সাথে যুক্ত তাদের সিভিলিয়ান কোর্টে বিচার করা জাতিসংঘের এই প্রস্তাবিত নীতিমা যথাযথ বাস্তবায়নের পাশাপাশি আরো পসিবল সমাধান নিয়ে দুপক্ষের মাঝে আলোচনাই হতে পারে সীমান্ত হত্যার সমাধান ভারতের সাথে বাংলাদেশের এত এত চুক্তি হয় সীমান্ত হত্যার সমাধান নিয়ে চুক্তি করাও কি এখন সময়ের দাবি নয় শুধু যে বাংলাদেশীরাই বিএসএফ তান্ডবের শিকার বিষয়টা একেবারেই এরকম না বিএসএফ অনেক ভারতীয় নাগরিককেও বিদেশী সন্দেহে
হত্যা করেছে এরকম খবরও অনেক পাওয়া যায় সো মেনি মার্ডারস হ্যাভ বিন টেকেন আউট বাই দা বিএসএফ ইন্ডিয়ান সিটিজেন বাট ইন নট এ সিঙ্গেল কেস পারপেক্টর বিএসএফ পার্সোনাল হ্যাজ বিন কনভিক্টেড শেষে শুধু একটা কথাই বলতে চাই মানুষের জীবন নিয়ে রাজনীতি না করাই ভালো আর কোন ফেলানি না ঝুলুক আর কোন মানুষ প্রাণ না হারাক সীমান্তে