নাসিম ওসমান সেলিম ওসমান আর শামিম ওসমানদের যোগ্য উত্তরসরী হয়ে ওঠে আজমেরি ওসমান এবং অয়ন ওসমান নির্যাতন আর মানুষ খুন ছিল তাদের সাধারণ বিষয় ওসমান পরিবারের সদস্যদের মধ্যে খুন খারাবিতে সবচেয়ে আলোচিত হন নাসিম ওসমানের বড় ছেলে আজমেরি ওসমান অন্তত 16 টি হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ নিয়ে শহর দাপিয়ে বেড়াতেন তিনি এমনকি হত্যা মামলায় তার নাম দিতে চাইলে সেই মামলাও নেয়া হতো না বাধাহীনভাবে নারায়ণগঞ্জের আল্লামা ইকবাল রোডের টর্চার সেল বানিয়ে চালিয়েছেন নানা অত্যাচার নিপীড়ন তার খুনের শুরু হয় 1998 সালে নগরীর চাষারা বালুর মাঠ এলাকায় বাড়ির কেয়ারটেকার নুরুন্নবীর মাধ্যমে অভিযোগ তার গতিবিধি সম্পর্কে বাবা নাসিম ওসমানকে তথ্য দেয়ায়
আজমেরই তাকে খুন করেন পরে এই পুরো পরিবারকে আর নারায়ণগঞ্জে খুঁজে পাওয়া যায়নি 2000 সালের 19 নভেম্বর নগরীর ইজদায়ের উসমানী স্টেডিয়ামের সামনে আজমেরি ওসমান কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে খুন করেন তারই একসময়ের বন্ধু আলমগীরকে 2009 সালে শহরের আমলাপাড়ায় অজ্ঞাত একজনকে মেরে 14 টুকরা করার অভিযোগ আজমিরীর বিরুদ্ধে 2010 সালের 18 এপ্রিল গাজীপুরের নুরুল আমিন মাকসুদ 2011 সালের অবৈধ অস্ত্র ও মাদক পরিবহনে রাজি না হওয়ায় আজমেরি বাহিনী খুন করে অটোচালক জামালকে ওই বছর মে মাসের শুরুতে আশিক ইসলাম মে মাসের শেষের দিকে অজ্ঞাত পরিচয় দুই যুবককে 2013 সালের 29 জানুয়ারি টানবাজারের রংসুতা ব্যবসায়ী গোবিন্দ সাহা ভুলু 2012 সালের 15 জুলাই মিঠুকে
শহরের হীরা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে প্রকাশ্যে খুন করা হয় পরদিনই সাংস্কৃতিক কর্মী দিদারুল আলম চঞ্চলকে খুন করা হয় খুনের সাক্ষী না রাখার জন্য মিঠু হত্যার তিনদিন পর হত্যায় জড়িত হামিমকে কক্সবাজারে নিয়ে মদের সঙ্গে বিষ পান করিয়ে হত্যা করা হয় বলেও প্রচার রয়েছে 2013 সালের শুরুতে নগরীর মাসদার এলাকায় একটি গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যান আজ আজমেরি ওসমান সেখানে গান গাইছিলেন উম্মে হানি নামে এক মেয়ে আজমেরি অনুষ্ঠানের সব অতিথিকে নামিয়ে দিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ ও অপহরণ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে পরে ওই মেয়ে আর তার পরিবারকে নারায়ণগঞ্জ শহরে আর দেখা যায়নি 2013 সালের 6 মার্চ চাষারায় সুধীজন পাঠাগারে যাওয়ার পথে তানভীর
মোহাম্মদ তৌকি অপহরণ করা হয় মার্চের 8 তারিখে শীতলক্ষা নদীর কুমোদনী পতাশ্রয় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয় তৌকি ওসমান পরিবারের 11 জন মিলে হত্যা করেছে এবং তাদেরই টর্চার ছিলে তুকির আগে এবং পরে এই আজমিরি ওসমান প্রায় 20 টি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে কোন হত্যাকাণ্ডের মামলাতে আজমিরীর নাম নাই শুধুমাত্র এই তুকি হত্যার মধ্য দিয়েই এই আজমিরী ওসমান এবং এই ওসমান পরিবার নামটা সামনে এসেছে এ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আজমিরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সুলতান শওকত ভ্রমর 2013 সালের 13 নভেম্বর আদালতে স্বীকারক্তিমূলক জবানবন্দী দেয় চৌকি হত্যার নেপথ্যের কারিগর ছিল আজমেরি ওসমান অয়ন উসমান শাহিম ওসমান এবং তাদের চেলা চামুন্ডা শাহনিজাম সহ
অন্যেরা দেশ জুড়ে তোলপা ওয়াজেন ফ্রিজ কিনে আপনিও হয়ে যেতে পারেন মিলেনিয়ার এটি আমার কথা না এটি র্যাবের তৎকালীন তদন্তে এটি উঠে এসেছে 2013 সালের নভেম্বরে এক নম্বর বাবুরাইল থেকে নিখোঁজ হন নাট্যকার মামুনুর রশিদের আত্মীয় আসিফ আজমেরি বাহিনী তাকে গুম করে বলে অভিযোগ রয়েছে আশিক হত্যাকাণ্ডের মামলায় সদর থানায় ওর নাম দিতে যাওয়ায় মামলা নেয় নাই মিঠুকে হত্যা করেছে দাঁড়িয়ে থেকে দিনে দুপুরে এই ফতুল্লা থানায় মামলা দিতে গিয়ে আদমেরির নাম থাকাতে মামলা নেয় নাই শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমানের দাপটে কাঁপতো নারায়ণগঞ্জ ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব ছিল তার অভিযোগ ছিল আধিপত্য আর [মিউজিক] চাঁদাবাজির তারা নারায়ণগঞ্জকে খুনের নগরী তৈরি
করে নারায়ণগঞ্জকে একটি ত্রাসের নগরী তৈরি করে তাদের অর্থের বাণিজ্য অবাধে করে গেছে সাধারণ জনগণ তাদের কাছে জিম্মি ছিল সরকারি কর্মকর্তার জিম্মি ছিল [মিউজিক]