[মিউজিক] ফোকাসের নেশা কারো যদি ফোকাসের নেশা হয় তাহলে সে জীবনে যা চাইবে তাই পাবে ঠিক সাব্বির নামের এই ছেলেটির মত বন্ধুরা তুমি যখন এই ছেলেটির গল্প শুনবে তখন তুমি হতবাক হয়ে যাবে এবং তুমি এটাও শিখে যাবে যে যেকোনো কাজে কিভাবে ফোকাস করতে হয় একটি 12 থেকে 13 বছর বয়সের অনাথ ছেলে সে সাইকেলের মেকানিকের দোকানে কাজ করতো 100 200 টাকা ইনকাম করার জন্য সে দিন-রাত সেই সাইকেলের গ্যারেজে কাজ করতো কেউ কখনো কল্পনাও করতে পারেনি কোনদিন সেই ছেলের জীবনে বড় কোন পরিবর্তন আসবে মানুষেরা যখন সেই সাইকেলের দোকানে তাদের সাইকেল ঠিক করাতে আসতো তখন অনেকে সেই ছেলেকে বিভিন্ন
ধরনের কথা শোনাতো অনেক সময় তাকে গালমন্দ করতো তাকে ছোট বাচ্চা ভেবে অনেকেই আবার টাকাও কম দিত যার কারণে তাকে মালিকের কাছে বকাও শুনতে হতো কিন্তু তাকে তিনবেলা খাবার জোটানোর জন্য এই কাজটি করতেই হবে তাছাড়া কোন উপায় ছিল না একদিন গ্যারেজে কাজ করার সময় সে দেখে তাদের দোকানের পাশেই একজন ব্যক্তি এসেছেন তাকে ঘিরে অনেক মানুষের ভিড় ছেলেটির সে ব্যক্তির সম্পর্কে কোন ধারণাই ছিল না সে সবকিছুই দেখছিল এবং ভাবছিল যে কে এই ব্যক্তি তিনি কেন এখানে এসেছেন সে শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে সবকিছু দেখছিল এবং দেখার সাথে সাথে একটা জিনিস খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করছিল আশেপাশের মানুষেরা সবাই সেই বিজ্ঞ
ব্যক্তির প্রতি অনেক সম্মান প্রদর্শন করছে এমনকি কেউ তার সামনে বেশি কথাও বলছে না সবাই তাকে স্যার স্যার বলে কথা বলছিল সে মনে মনে ভাবতে থাকে একদিকে তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিকে সবাই সম্মান দিচ্ছিল এবং সবাই স্যার স্যার বলে কথা বলছিল আরেকদিকে আমি যে কিনা সবার সাথে এত ভালো ব্যবহার করি শান্তশিষ্ট ভাবে মানুষের কাজ করি তারপরও মানুষ আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে আমাকে গালি দেয় সেই রাতে ছেলেটির ঠিকমত ঘুম হয় না ছেলেটি শুধু ভাবতে থাকে আমার এবং ওই ব্যক্তির সাথে মানুষেরা দুই রকম আচরণ কেন করে আমার এবং তার মধ্যে কি এমন পার্থক্য এমনকি আমি মানুষের কাজ
করে দেই এবং তিনি তো শুধু গাড়িতে করে আসেন আর চলে যান ছেলেটির বয়স কম তাই সে কোন কিছুই ঠিকমত বুঝে উঠতে পারছিল না পরের দিন সে গ্যারেজে আসে আসার পর সে তার গ্যারেজের মালিককে জিজ্ঞেস করে কালকে যে ব্যক্তি এসেছিলেন যাকে সবাই খুব সম্মান দিচ্ছিল তিনি কে ছিল তার গ্যারেজের মালিক তাকে বলে তুই এত কিছু জেনে কি করবি তারপরেও ছেলেটি আবার তাকে জিজ্ঞেস করে তখন তার গ্যারেজের মালিক তাকে বলে কালকে যিনি এসেছিলেন তিনি হলেন একজন ম্যাজিস্ট্রেট তিনি এসেছিলেন একটি নতুন স্কুল উদ্বোধন করার জন্য তখন ছেলেটি আবার জিজ্ঞেস করে ম্যাজিস্ট্রেট হতে হলে কি করতে হয় তখন গ্যারেজের
মালিক তাকে বলে ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার জন্য অনেক পড়ালেখা করতে হয় অনেক পরিশ্রম করতে হয় যেটি মানুষের মতো ফোকাস করতে হয় এই কথাটি শোনার পর কথাগুলো ছেলেটির হৃদয়ে গেঁথে যায় সে সন্ধ্যায় বাড়িতে যাওয়ার পর অর্ধেক রাত পর্যন্ত ভাবতে থাকে সে কিভাবে তার বর্তমান জীবন থেকে সেই ম্যাজিস্ট্রেটের জীবনে পৌঁছাতে পারবে সে ভাবতে থাকে যেভাবেই হোক তার জীবনকে পরিবর্তন করতেই হবে ছেলেটি টাকা বাঁচানো শুরু করে খেয়ে না খেয়ে টাকা বাঁচিয়ে এসে বই কিনে পড়ালেখা শুরু করে সে একটা সরকারি স্কুলে ভর্তি হয় দিনের বেলা স্কুলে পড়ালেখা করে এবং রাতে দোকানে কাজ করে তার জীবনের লক্ষ্য তার মাথায় গেঁথে গিয়েছিল যেভাবেই
হোক তাকে ম্যাজিস্ট্রেট হতেই হবে এখন তার বয়স 27 বছর হয়ে গেছে বিগত 14 থেকে 15 বছর তার মাথায় শুধু একটাই ফোকাস ছিল যে তাকে একদিন ম্যাজিস্ট্রেট হতেই হবে সে শুধু এই সময়ের অপেক্ষায় ছিল যেকোনো ভাবে সে যেন শুধু তার গ্রাজুয়েশনটা শেষ করতে পারে তারপরেই সে বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে তারপর তার কাছে শুধুমাত্র এক বছর সময় ছিল বিসিএস প্রিপারেশন নেওয়ার জন্য ছেলেটি কাজ করে অনেকটা টাকা জমা করেছিল যেন এক বছর কোন কাজ না করলেও সে অনায়াসে কাটিয়ে দিতে পারে আগামী 10 থেকে 12 মাস সময় সে তার ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার স্বপ্ন পূরণের জন্য দিতে
চায় তারপর প্রথম মাসে সে অনেক পড়ালেখা করে দিন-রাত করতে থাকে সে শুধুমাত্র দুই বেলা খাবার খেয়ে আর বাকিরা সময় পড়ালেখা করতে থাকে সবসময় সে তার বই খাতা নিয়ে করে থাকতো পরীক্ষার সময় যতই কাছে আসতে থাকে সে পড়ালেখায় তত বেশি সময় দিতে থাকে এভাবেই প্রায় আট মাস পার হয়ে যায় একদিন রাতে সে যখন পড়ালেখা শেষ করে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল হঠাৎ তখন তার মাথা ঘুরে আসে এবং সে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায় তার মত গরীব ছেলেকে সেখানে দেখার মতো কেউ ছিল না এক দুই ঘন্টা পর যখন তার জ্ঞান ফিরে আসে তখন নিজেকে সামলাতে গিয়ে দেখে সে মাটিতে
পড়ে আছে ছেলেটি ভাবে হয়তো খাওয়া-দাওয়া কম করার ফলে তার এরকম হয়েছে তার অল্প কিছু খাবার ছিল সেটা খেতে শুরু করে এক দুইবার মুখে খাবার দেওয়ার পরে সে বমি করতে শুরু করে সারারাত সে বমি করতে থাকে সেই রাতে কোনমতে কিছুক্ষণ ঘুমানোর পর পরের দিন সকালে যখন তার ঘুম ভাঙ্গে তখন তার পেট ব্যথা করতে শুরু করে কিন্তু সে বিষয়টা এড়িয়ে চলে এবং আবার সে প্রতিদিনের মতো নিজের কাজ আর পড়ালেখায় মনোযোগ দেয় দিন পেরিয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেছে এখনো তার পেটে ব্যথা আছে তাই সে বাইরের ওষুধের দোকান থেকে কিছু ওষুধ নিয়ে আসে এবং কিছু খাবার খেয়ে ওষুধগুলো খেয়ে আবার
পড়ালেখা শুরু করে পরের দিন সাত থেকে আট ঘন্টা পড়ালেখা করার পর সে কিছুটা স্বস্তি পায় তারপর সে একটু সন্ধ্যায় বাইরে হাঁটতে বের হয় ধীরে ধীরে এভাবেই সময় পার হচ্ছিল পরীক্ষার আর মাত্র এক মাস বাকি এই সময়ের জন্য সে 14 থেকে 15 বছর অপেক্ষা করেছে হঠাৎ আবার একদিন তার পেট ব্যথা শুরু হয় এবার তার পেট এতটাই ব্যথা করতে শুরু করে যা সে সহ্য করতে পারে না তাই তার মন না চাইলেও ডাক্তারের কাছে যেতে হয় সে যখন ডাক্তারের কাছে যায় ডাক্তার তাকে কিছু টেস্ট করতে বলে সে ওই টেস্ট করার পর এটা জানতে পারে যে তার কিডনিতে পাথর
হয়েছে এই কথা শোনার পর তার অনেক বড় ঝটকা লাগে ডাক্তার তাকে বলে তুমি অপারেশন করাতে পারো অথবা আমি কিছু ওষুধ দিচ্ছি এগুলো খেতে পারো ওষুধ খেয়ে তোমার ভাগ্য যদি ভালো হয় তাহলে তোমার কিডনির পাথর গলে যেতে পারে কিন্তু যদি অপারেশন না করো তাহলে তোমার এই ব্যথা সহ্য করতেই থাকতে হবে সে ভাবতে থাকে আমি অপারেশন করার টাকা কিভাবে জোগাড় করব আমার কাছে তো অপারেশন করার মতো এত টাকা নেই যা কিছু টাকা জমিয়েছি তা যদি অপারেশন করার পেছনেও খরচ করি তাও অপারেশন করার জন্য আমার টাকা কম পড়ে যাবে তাহলে আগামী এক মাস আমি কি খাবো পরীক্ষা কিভাবে
দিব এইসব কথা ভেবে সে কিছু ওষুধ নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসে সে সৃষ্টিকর্তার কাছে শুধু এটাই দোয়া করতে থাকে অন্তত আরেকটি মাস তার যেন কোন সমস্যা না হয় যেন সে পড়ালেখাটা ঠিকমত চালিয়ে যেতে পারে কিন্তু সৃষ্টিকর্তা তার জন্য হয়তো অন্য কিছুই ভেবে রেখেছিল কয়েকদিন পর পরই তার পেট ব্যথা হয় বিশেষ করে সে যখন খাওয়া-দাওয়া করতো তখন তার পেট বেশি ব্যথা করতো কিন্তু সে তো খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিতে পারবে না না খেলে শরীর চলবে কিভাবে গত কয়েক মাসে সে যথেষ্ট পড়ে নিয়েছে তাই এখন শুধু তাকে রিভিশন দিতে হবে সে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে থাকে পড়ালেখার পাশাপাশি সে তার পেট
ব্যথাও সহ্য করতে থাকে পরীক্ষার আর মাত্র সাত দিন বাকি সে তার যথাসাধ্য পড়ালেখা করেছে তার জীবনের সবচাইতে বড় পরীক্ষা দেওয়ার সময় চলে এসেছে তারপর ছেলেটি কোনভাবে প্রিলি পরীক্ষা দেয় এবং পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করে এখন আরো পরীক্ষা বাকি আছে এমন সময় তার সব টাকা শেষ হয়ে যায় বাড়ির ভাড়া না দিতে পারায় সে বাড়ির মালিক তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় অনেক ভাবনা চিন্তা করার পর সে তার একটি বন্ধুর বাড়িতে আশ্রয় নেয় এখন তাকে লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে পরীক্ষার আগের রাতে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায় কালকে তো তাকে পরীক্ষা দিতে হবে পরীক্ষার আগে রাতে সে যদি পড়ালেখা
না করে তাহলে তো ভালো রেজাল্ট হবে না সে যদি পড়ালেখা না করে ঘুমিয়ে যায় তাহলে এত বছরের কঠোর পরিশ্রম সব বিফলে যাবে ছেলেটি বাড়ির বাইরে রাস্তার পাশে একটি সোলার ল্যাম্প দেখতে পায় শেষেই সোলার ল্যাম্পের নিচে বই নিয়ে পড়া শুরু করে রাস্তা দিয়ে একের পর এক গাড়ি যাচ্ছিল কিন্তু তার ফোকাস শুধুমাত্র তার বইয়ের দিকে ছিল সে কোন দিকে না তাকিয়ে শুধুমাত্র পড়াতেই মনোযোগ দেয় পড়তে পড়তে সে রাস্তার ধারে কখন ঘুমিয়ে গেছে নিজেও জানেনা সকালে যখন ঘুম ভাঙ্গে তখন দেখে সে রাস্তার ধারে ঘুমিয়ে আছে তাড়াতাড়ি সেখান থেকে উঠে সে তার সে বন্ধুর বাড়িতে যায় যেখানে সে কয়েকদিনের
জন্য আশ্রয় নিয়েছিল দ্রুত ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে সে পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় পরীক্ষার কেন্দ্রে পৌঁছানোর পর সেখানে পরীক্ষার্থীদের ভিড় দেখে কিছুটা নার্ভাস হয়ে পড়ে শেষ পর্যন্ত সেই শুভ সময় চলে আসে যে সময়ের জন্য সে এত কঠোর পরিশ্রম করেছিল লিখিত পরীক্ষা শুরু হয় কোশ্চেন পেপার দেখার পর তার মধ্যে অন্য পরীক্ষার্থীদের মতো কোন ভয় ছিল না সে খুব আরামের সাথে সব পরীক্ষা ভালোভাবে শেষ করে পরীক্ষা শেষ করে সন্ধ্যায় বাসায় যাওয়ার পর সে ভাবতে থাকে আজকে যে সে ভালো পরীক্ষা দিল সবকিছুই তার বনবাসের ফলাফল সে যদি একটি বছর বনবাসে থাকার মতো ঘরবন্দি হয়ে না থাকতো পড়ালেখায় মনোযোগ
না দিত তাহলে সে এত ভালো পরীক্ষা দিতে পারতো না সে এখন মনে মনে শুধু দুইটি প্রার্থনাই করতে থাকে সে যেন ভাইবাতে ভালো করতে পারে এবং কিডনিতে পাথরের জন্য যে ব্যথা তা যেন আর কিছু মাস সমস্যা না করে দেখতে দেখতে এভাবেই সময় পার হতে থাকে ভাইবা দিতে যাওয়ার ঠিক আগের দিন তার পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হয় তার পেটের ব্যথা নিয়ে সারারাত কাঁদতে থাকে পরের দিন সকালে সে কোন মতে পরীক্ষার সেন্টারে গিয়ে পৌঁছায় ততক্ষণে তার পেটের ব্যথা আরো অনেক বেশি বেড়ে গেছে ভাইবা দিতে গিয়ে সে অনেক নার্ভাস হয়ে পড়ে তার পেটের ব্যথা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে সে
সোজা হয়ে ভালো হয়ে বসতেও পারছিল না তার ভাইবা নেওয়ার সময় ভাইবা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা তাকে জিজ্ঞেস করে তোমার কি কোন সমস্যা হচ্ছে তোমার যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে তুমি বাইরে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে পারো কিন্তু সেই ছেলেটি কনফিডেন্সের সাথে বলে না আমার কোন সমস্যা নেই তার ফোকাস 1% ছিল তার পেটের ব্যথার দিকে এবং 99% ছিল তার ভাইবার দিকে সে খুব ভালোভাবে মনোযোগের সাথে তার ভাইবা শেষ করে এবং ভাইবা শেষ হলে সরাসরি ডাক্তারের কাছে যায় এবং সেখানে চিকিৎসা গ্রহণ করে কয়েক মাস পর তার বিসিএস পরীক্ষার ফাইনাল রেজাল্ট বের হয় রেজাল্ট দেখার সময় তার মনে একটু ভয়ে কাজ করেনি
কারণ সে জানতো যে সংঘর্ষ এবং সমস্যার পাহাড়ের উপর পা রেখে আর কঠোর পরিশ্রম করে পরীক্ষা দিয়েছিল তাতে তার সফলতা আসবেই আজকে তার স্বপ্ন সত্যি হয়ে গেছে সে এখন আর সাধারণ কোন মানুষ নয় সে একজন ম্যাজিস্ট্রেট পরবর্তীতে তাকে একটি ইন্টারভিউতে ডাকা হয় সে ইন্টারভিউতে তার সফলতার পেছনের গল্প শুনে সবাই অবাক হয়ে যায় সবাই শুধু এটাই ভাবতে থাকে একটা মানুষ তার স্বপ্নের প্রতি এতটা ফোকাস কিভাবে করতে পারে তিনি আরো একটি ইন্টারভিউতে বলেন যতই সমস্যা হোক যতই কষ্ট হোক এমন মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও তোমার ফোকাস যদি তোমার লক্ষ্য থেকে না সরে যায় তাহলে পৃথিবী নিজেই তোমাকে তোমার লক্ষ্যে পৌঁছে
দেবে আমি আমার কষ্টের দিনে কখনোই আমার কষ্টের দিকে মনোযোগ দেইনি আমার মনোযোগ এবং ফোকাস শুধু একটাই ছিল আমাকে আমার লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে ফোকাস করার প্রতি আমার নেশা এতটাই হয়ে গেছিল যে বই থেকে আমার মনোযোগ কখনোই কোন কারণে বিনষ্ট হয়নি বন্ধুরা তোমরা যদি পুরো গল্পটি শুনে থাকো তাহলে যে মূল জিনিসটি তোমরা দেখতে পাবে সেটি হলো সেই ছেলেটির ফোকাস যা এতটা গভীর ছিল যে তার কিডনিতে পাথরের এত কষ্ট তার দারিদ্রতার এত কষ্ট কোন কিছুই তার লক্ষ্যে পৌঁছানোতে বাধা দিতে পারেনি বাড়ির মালিক তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিল তাকে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিতে হলো এমনকি রাস্তার পাশে বসে
পড়তে হলো এসবের কোন কিছুই তার ফোকাস নষ্ট করতে পারেনি বন্ধুরা তার কাছে তো বাড়ি ছিল না পরিবার ছিল না টাকা ছিল না থাকার ভালো জায়গাও ছিল না তারপরও তার ফোকাস তার লক্ষ্য থেকে সরে যায়নি তার মনোবল কখনো ভেঙে যায়নি কিন্তু তোমার কাছে হয়তো সবকিছুই আছে তুমি কেন আজও পেছনে পড়ে থাকবে তুমি কেন নিজের ভবিষ্যৎ আর বাবা-মায়ের স্বপ্ন নিয়ে হতাশায় ভুগবে কেন নিজেকে এভাবে দোষারোপ করতে থাকবে যে আমার ভাগ্যটাই খারাপ অথবা আমাকে সাপোর্ট করার মতো কেউ নেই বন্ধুরা ভাগ্য এমনিতেই বদলে যায় না ভাগ্য নিজে থেকেই তৈরি করতে হয় জীবনে ফোকাসটা এতটা জোরালো হওয়া উচিত যাতে সামনে
যতই ঝড় আসুক যতই বন্যা আসুক যতই অসুবিধা আসুক লক্ষ্য থেকে ফোকাস যেন সরে না যায় এরকম ফোকাসের নেশা যদি তোমারও হয় তাহলে পৃথিবীর কোন কিছুই তোমাকে সফল হওয়া থেকে আটকাতে পারবে না তো বন্ধুরা ভিডিওটি ভালো লাগলে তোমার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করো এবং নগরবাস্কোপ সাবস্ক্রাইব করে আমাদের সাথেই থাকো থ্যাংকস ফর ওয়াচিং [মিউজিক]