আপনি কি জানেন পৃথিবীব্যাপী কার্বন নিঃস্বরণ কমানোর এই যে তোলপার এর পেছনে রয়েছে একজন বাংলাদেশীর অবদান তিনি আর কেউ নন নোবেল পিস প্রাইজ বিজয়ী অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের যে থিওরি গুলো সমগ্র পৃথিবীব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয় তার মধ্যে অন্যতম হলো থ্রি জিরো তত্ত্ব এই তত্ত্ব অনুযায়ী পৃথিবীকে বসবাস উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য আমাদের কেবল তিনটি শূন্য অর্জন করতে হবে সেগুলো হলো শূন্য দারিদ্র শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য কার্বন নিঃস্বরণ এই তিনটি শূন্য নিয়েই ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের থ্রি জিরো তত্ত্ব 2015 সালের 28 মে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সামাজিক ব্যবসা দিবস 2015 উদযাপনকালে তিনি এই তথ্য বিশ্ববাসীর সামনে
তুলে ধরেন ডক্টর ইউনুস বলেন এই তিনটি শূন্য অর্জন করতে আমাদের প্রয়োজন তারুণ্য প্রযুক্তি সুশাসন ও সামাজিক ব্যবসা যদি চারটি সংমিশ্রণে আমরা থ্রি জিরো বাস্তবায়ন করি করতে পারি তবেই এই পৃথিবী হবে টেকশই ও সমৃদ্ধশালী সারা বিশ্ব থেকে আসা সামাজিক ব্যবসার বিশেষজ্ঞদের সামনে টেকশই উন্নয়নের এই তত্ত্ব তুলে ধরে তিনি ব্যাপক প্রশংসিত হন সম্মেলনে তিনি দেখান কিভাবে প্রতিবছর পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এই মানুষগুলোই এখন পৃথিবীর সম্পদ আর এই অতিরিক্ত জনসংখ্যাকেই আমাদের তারুণ্যের শক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে প্রতিনিয়ত ব্যাপক হারে যে বেকারত্বের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তা পৃথিবীর জন্য বড় হুমকিস্বরূপ উল্লেখ করে তিনি দেখান যদি আমরা এই মানুষগুলোকে এই তরুণ
জনগোষ্ঠীকে সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারি তাহলে এদের হাত ধরেই একসময় পৃথিবীতে পরিবর্তনে আসবে আজকের তরুণরাই চেয়ে আগামীর ভবিষ্যৎ ডক্টর ইউনুসের ফ্রি জিরো তত্ত্ব বিশ্ববাসীকে দেখায় টেকশই পৃথিবী গড়তে তারুণ্য শক্তির কোন বিকল্প নেই পৃথিবীব্যাপী অর্থনৈতিক যে বৈষম্য এই বৈষম্য দূর করতে তরুণদের সৃজনশীল ক্ষমতা প্রয়োগের সুযোগ করে দিতে হবে কারণ প্রতিটি তরুণ উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষমতা রাখে আর তারা যখন চাকরির জন্য হাহুতাস বাদ দিয়ে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য নিজেদের দক্ষতা ও জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করবে তখনই তোর হবে দারিদ্র ও বেকারত্ব একই সাথে তরুণরা যখন জাগ্রত হবে তখন পরিবর্তন আসবে পৃথিবীর সমাজ ব্যবস্থাতেও ডক্টর ইউনুসের এই তত্ত্ব অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করে
বৈশ্বিক নেতৃত্ব দেয়া দেশগুলো তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শাল বার্নিকার থ্রি জিরো তত্ত্বকে স্বাগত জানিয়ে তরুণ উদ্যোক্তাদের পেছনে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের আশ্বাস দেন ডক্টর ইউনুসের এই থ্রি জিরো তত্ত্ব কিভাবে পৃথিবীতে প্রভাব ফেলছে তা আমরা আজকের উন্নত ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারব উন্নত রাষ্ট্রগুলো একদিকে যেমন কার্বন নিঃস্বরণ শূন্যতে নামে নিয়ে আসতে বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে অন্যদিকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলো বিনিয়োগ করছে তরুণ উদ্যোক্তাদের পেছনে ফলে সেদিনের সম্মেলনে ডক্টর ইউনুসের দেয়া থ্রিরো তত্ত্ব কেবল শুধু একটি তত্ত্বই নয় আজকে তা প্রমাণিত বাস্তব আর এই তথ্যটি কিভাবে পৃথিবীতে আলোড়ন তৈরি করেছিল তার আরেকটি উদাহরণ দেই এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে ফ্রান্স
2016 সালে অলিম্পিক গেমস আয়োজনের আবেদন জানায় এবং আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি এই থিমকে স্বাগত জানিয়ে 100 বছর পর ফ্রান্সে 2024 এর অলিম্পিক আয়োজনের ঘোষণা দেয় আজ সারা বিশ্বের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলো এই থ্রি জিরো তথ্যকে সামনে রেখেই কাজ করে যাচ্ছে ডক্টর পৃথিবীর সামনে একটি নতুন লক্ষ্য স্থির করে দিয়েছেন এমন একটি সমাজ ব্যবস্থার লক্ষ্য যেখানে থাকবে শূন্য দারিদ্র পৃথিবীকে করতে হবে দারিদ্রের অভিশাপ থেকে মুক্ত লক্ষ্য এমন একটি পৃথিবীর যেখানে থাকবে না কোন বেকারত্ব তরুণদের পেছনে করতে হবে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ যেন প্রতিটি তরুণ একটি সম্পদে পরিণত হতে পারে তাদেরকে নিজেদের দক্ষতা ও সম্ভাবনাকে তুলে ধরার সুযোগ করে দিতে
হবে সর্বোপরি লক্ষ্য এমন একটি পৃথিবীর যেখানে থাকবে না কোন কার্বন নিঃস্বরণ ফলে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যে ভয়াবহ হুমকির মুখে দাঁড়িয়ে আমরা সেখান থেকে রক্ষা পাবে পৃথিবী আর এর উপর ভিত্তি করেই জাতিসংঘ ঘোষণা করেছে টেকশই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা যা পরিবর্তন নিয়ে আসবে গোটা পৃথিবীর সমাজব্যবস্থায় [মিউজিক] [মিউজিক]