দর্শক সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি ডয় টেবিলে বাংলার এই বিশেষ সাক্ষাৎকারে আমি আছি আপনাদের সঙ্গে জুবায়ের আহমেদ আমার সঙ্গে আছেন জনাব মোঃ ইসলাম তিনি বাংলাদেশের যে এখন যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেই সরকারের ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য মন্ত্রণালয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং তিনি বৈষম্যবিরোধী যে ছাত্র আন্দোলন সেই আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন আপনাকে স্বাগত ধন্যবাদ আমি আসলে প্রথমেই যে প্রশ্নটি দিয়ে আপনার কাছে আসতে চাই সেটি হচ্ছে যে আপনি একটি আন্দোলন গণ আন্দোলন রূপ নিল যেটি এবং সেটি গণঅভ্যুত্থানে রূপ নিল এবং সেখানে আপনি প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করলেন এবং তারপরে এখন যে অন্তর্বর্তীকালে এবং তাতে যেটি হলো
যে পূর্ববর্তী যে সরকার সেই সরকারের পতন হলো তারপরে সেখান থেকে আপনি এখন পরবর্তী যে অন্তর্বর্তীকালের সরকার সেই সরকারের অংশ হলেন এই যে দুটি রোল এই দুটি রোলের মধ্যে আপনি কিভাবে পার্থক্য দেখেন এবং সেইখানে আসলে মানে কাজ করতে গিয়ে আপনি কি কোন এই কিভাবে আপনি নিশ্চিত করেন দেখুন আমরা এটা ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে এই অভ্যুত্থান করেছি এবং অভ্যুত্থানের যে প্রতিশ্রুতি সে প্রতিশ্রুতিগুলো নিয়ে কিন্তু আমরা সরকারে এসেছি ফলে আমাদের ভূমিকা সরকারের মানে আমরা যখন রাজপথে ছিলাম এখন সরকারের এখন সরকারে আছি ভূমিকাটা কিন্তু একই থাকছে উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্যটা একই থাকছে যে আমরা এই ফ্যাসিস্ট যে কাঠামো সে কাঠামোকে বিলোপ করে
একটি নতুন বাংলাদেশ করতে চাই যেখানে সামাজিক ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র নিশ্চিত থাকবে তো আমরা সরকারের থেকেও সে একই কাজটি করছি হয়তো আমাদের পদ্ধতিটি আলাদা হয়েছে কিন্তু আমাদের ভূমিকা এবং লক্ষ্য উদ্দেশ্যে কিন্তু একই রয়েছে আচ্ছা মানে সেই ক্ষেত্রে আমি এই বিষয়ে সরকারে কিভাবে কাজ করছেন আপনারা আমি এই বিষয়টিতে আসছি তার আগে আমি একটু জানতে চাই যে আপনারা মানে এই যে আন্দোলনে যারা মারা গেলেন এবং হচ্ছে যারা আহত হয়েছেন তারা সেটা নিয়ে একটি ডেটাবেস ঘটার কথা সে কাজটা কতটুকু চলছে আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি করা হয়েছে যেখানে বৈষ্ণবিধি আন্দোলনের সদস্যরা রয়েছে তারা আহত ওদের নিয়ে কাজ করতেছে
শহীদদের তালিকা প্রণয়ন করতেছে এটি প্রায় শেষের দিকে এবং যে ফাউন্ডেশন সে ফাউন্ডেশনটিও এই তালিকা কাজের সাথে যুক্ত আছে আশা করি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই এই তালিকাটি প্রকাশিত হবে এইবার একটু আপনি মানে এই সরকারের যেহেতু একটি ম্যান্ডেট বা উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি সংস্কার মূলক একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাওয়া এবং তারপরে নির্বাচন তো এই মানে বিষয়টা একটু যদি বলেন যে আপনি নিজে তরুণদের প্রতিনিধি হিসেবে এই সংস্কারের জায়গা থেকে আপনি কি কি পরামর্শ দিচ্ছেন এবং সরকার আসলে কি ধরনের সংস্কারের জায়গাগুলো নিয়ে কাজ করছে আমরা একটি সামগ্রিক সংস্কারের কথা ভাবছি এবং আমরা যেটা অভ্যুত্থানের ভিতরেও বলেছি যে আমাদের একটা নতুন
রাজনৈতিক বন্দোবস্ত চাই সেক্ষেত্রে আমার আমাদের এই 15-16 বছরে বাংলাদেশের পুরো রাষ্ট্রীয় কাঠামোই কিন্তু পচে গেছে ঘুনে ধরেছে সেক্ষেত্রে সামগ্রিকভাবে যদি আমি সকল সেক্টরে সংস্কার করতে না পারি তাহলে আসলে সমস্যার সমাধান হবে না সেই জায়গা থেকে আমাদের পুলিশ প্রশাসন নির্বাচন কমিশন এবং অবশ্যই প্রধানত সংবিধান থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে আমরা সেই সকল ক্ষেত্রের অভিজ্ঞ এবং এক্সপার্টদের সংস্কারের কথা বলছি জনগণের বিভিন্ন অংশের সাথে আলাপ আলোচনা চলছে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলাপ আলোচনা চলছে এবং আমাদের নিজেদেরও বোঝাপড়া চলছে সামগ্রিকভাবে সবার থেকে পরামর্শ নিয়ে আমরা একটা রূপরেখা প্রণয়নের কাজ চলতেছে আচ্ছা এর মধ্যে তো আপনারা বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে
কথাও বলেছেন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নতুন মানে যেহেতু একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেটাকে রিস্টেট করা এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করেছেন তো মানে মানে বিষয়টা হচ্ছে যে যে পুলিশে আস্থা ফেরানো জনগণের মধ্যে একটা নিরাপত্তার জায়গা তৈরি করা এই বিষয়গুলো নিয়ে আপনি মানে কতটা আসলে কাজ করতে পারছেন এবং কতটা মানে সেটা ফিরেছে বলে আপনার মনে হয় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটাই ফিরে এসেছে তারপরও পুলিশের এখনো সেই আত্মবিশ্বাসটি আসেনি এবং যেহেতু পুলিশেও আসলে সংস্কার প্রয়োজন এবং যেভাবে তারা রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার হয়েছে পুলিশ বাহিনীও এখন আসলে তাদের নিজেদের সংস্কার চাচ্ছে যাতে এরকম করে আর কখনো রাজনৈতিকভাবে তাদেরকে ব্যবহার করা না যায় এবং জনগণের বিপক্ষে
তাদের দাঁড়াতে না হয় ফলে পুরো প্রতিষ্ঠানটি একটি ইমেজ সংকটের ভিতর দিয়ে আছে এ কারণে এখনো পুলিশের যে ভূমিকা সেই ভূমিকায় পুলিশকে এখনো পুরোপুরি নিয়ে আসা যায়নি এখনো পুরো পুলিশ বাহিনী সবাই কাজে যোগদান করেনি তবে বেশিরভাগই যোগদান করেছেন এবং এবং ধীরে ধীরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক দিকে যাচ্ছে আর কি আপনি মানে একটা রাজনৈতিক বন্দোবস্তের কথা বললেন মানে সেটা আসলে নিশ্চিত করবেন কিভাবে আমার মানে প্রশ্নটা এই জায়গায় যে একটা হচ্ছে যে আপনি রাষ্ট্রীয় যে ইনস্টিটিউশন সেই জায়গাগুলোতে কিছু সংস্কারের কাজ আপনারা হয়তো করবেন কিন্তু যে আমাদের যে সংস্কৃতি রাজনৈতিক সংস্কৃতি মাঠে যেটা এতদিন ধরে হয়ে আসছে তো সেই জায়গায়
আসলে সংস্কার বা সেই জায়গায় পরিবর্তন নতুন যে বন্ধ অবস্থার কথা বলছেন সেটা আসলে কিভাবে আপনারা মানে নিশ্চিত করবেন বা করার দেখেন রাষ্ট্রের জায়গা থেকে বা সরকারের জায়গা থেকে সবকিছু করা সম্ভব নয় এবং এই ফ্যাসিবাদ কিন্তু কেবল রাষ্ট্রীয়ভাবে রাষ্ট্রীয় ফ্যাসিবাদ নয় তার একটা সামাজিক তাৎপর্য রয়েছে সমাজেও কিন্তু এই ফ্যাসিবাদ রয়ে গেছে আপনি যদি সেই সমাজে পরিবর্তন না আনতে পারেন এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন না আনতে পারেন তাহলে কিন্তু এই ফ্যাসিবাদ থেকে আমরা দীর্ঘমেয়াদী মুক্তি পাবো না তো যেহেতু আমার আমাদের সমাজের ভিতরে একটা নতুন জাগরণ তৈরি হয়েছে মানুষের ভিতরে চিন্তাভাবনা এসেছে মানুষ একটা নতুন রাজনীতির কথা ভাবছে ফলে
আমাদের কিন্তু একটা নতুন ধরনের চুক্তিতে যেতে হবে আসলে যে আমরা আসলে কেমন রাষ্ট্রটা চাই আমাদের সমাজে আসলে রাজনীতির ধরণটা কি হবে কারা রাজনীতি করতে পারবে এবং কারা করতে পারবে না তো এই বিষয়টাকে আমরা বলতেছি একটা নিউ পলিটিক্যাল সেটেলমেন্টে আমাদের যেতে হবে যে আমাদের ফ্যাসিস্ট শক্তিকে আমরা আসলে সমাজে কিভাবে তাদেরকে বিলোপ করব এবং একটা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি কিভাবে আমরা প্রতিষ্ঠা করব তো সেই বিষয়ে তো আমাদের সরকার রাষ্ট্র এবং সমাজের সবদিক থেকে কিন্তু আমাদের একটা নতুন বোঝাপড়ায় যেতে হবে আপনার কি মনে হয় যে আমাদের যে নির্বাচন ব্যবস্থা সেইখানে কোন পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে অবশ্যই নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে কিন্তু সবাই
কথা বলছে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের কথা আছে তো এবং আমাদের গত বছরের যে নির্বাচনগুলো হয়েছে সেগুলো আমাদের পর্যালোচনা করা প্রয়োজন এবং বর্তমান বিশ্বে আসলে যে ধরনের নির্বাচন ব্যবস্থাগুলো আছে সেগুলোর মধ্যে আমাদের যেটা গ্রহণযোগ্য যৌক্তিক নির্বাচন ব্যবস্থার ভিতরে সংস্কার আনা যদি প্রয়োজন হয় সেটি আনা অবশ্যই প্রয়োজন কারণ আমরা যেহেতু বলছি যে সামগ্রিকভাবে আমরা পরিবর্তন করা দরকার তাই আমাদের যেকোনো সেক্টরেই আমাদের যেহেতু এখন সুযোগ এসেছে যেটা আমাদের প্রয়োজন এবং যেটা যৌক্তিক সেইটা আমাদের অবশ্যই করতে হবে আর মানে সেই ক্ষেত্রে আমি যেহেতু নির্বাচনের প্রসঙ্গেই আসছে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে একটি রাজনৈতিক দল করার কথা বেশ কিছুদিন ধরে শোনা যাচ্ছিল এবং এখন
যদিও আলোচনাটা একটু স্থিমিত কিন্তু আমরা কিছুদিন আগেও খুব শুনছিলাম আর কি এবং সেই ক্ষেত্রে মানে সেই রাজনৈতিক দল যেহেতু যারা সমন্বয়ক ছিলেন তাদের কাছে এই প্রশ্নগুলো আসছে বারবার তাই আপনার কাছেও আমি করছি আবার সেই রাজনৈতিক দলের ভাবনাটা এখন কোন পর্যায়ে আছে এবং আপনি আসলে ভবিষ্যতে রাজনীতিতে কিভাবে আসতে চান রাজনৈতিক দলের কোন ভাবনা বা কোন বক্তব্য আসলে আমাদের থেকে যায়নি বরং নানা পক্ষ থেকে এটি বলা হয়েছে বা জনগণের জায়গা থেকেও হয়তো একটা আকাঙ্ক্ষা আছে কিন্তু আমরা বলেছি যে এখন আসলে রাজনৈতিক দল গঠনের সময় নয় এখন আসলে দেশ গঠনের সময় আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধির জায়গা থেকে আমরা সরকারে
আছি আমাদের বাইরে যারা আছে তারাও কাজ করে যাচ্ছে ফলে আমাদের একটা ন্যাশনাল যেই ইউনিটি তৈরি হয়েছে এই গণঅভ্যুত্থান কেন্দ্র করে সেই ঐক্যটাকে ধরে রাখতে হবে ধরে রেখে আমাদের দেশ গঠনের জন্য কাজ করতে হবে যখন নির্বাচন আসবে তখন আসলে রাজনৈতিক দলের প্রশ্নটি আসবে এবং আমরা সেটি সেই সময়ের জন্যই ছেড়ে দিচ্ছি এখন আমরা ছাত্রদের নেতৃত্বে সকলের ভিতরে ঐক্য বজায় রেখে দেশ গঠনের জন্য কাজ করতে চাচ্ছি আর আপনার ভাবনাটা কি আমি আমরা তো আমি ব্যক্তিগত ব্যক্তিগতভাবে তো রাজনীতি করার ইচ্ছা ছিল কিন্তু একটা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণকে সাথে নিয়ে আমার জনগণের প্রতিনিধিত্ব হিসেবে আমি আজকে এখানে আসি এটা রাজনীতি
সেটা জনগণের উপরই আমি ছেড়ে দিচ্ছি যদি জনগণ প্রত্যাশা করে বা আমার সেই ধরনের ভূমিকা রাখার সুযোগ থাকে আমি সেটা ভবিষ্যতে রাখবো আর রাজনীতিতে লেভেল প্লেইং ফিল্ডের বিষয়ে সেই ক্ষেত্রে মানে আওয়ামী লীগ এখন আপনি জানেন যে তাদের পতন হয়েছে তারা এখন কার্যত তারা মাঠে নেই তো ভবিষ্যতে রাজনীতিতে তাদের অবস্থান কি হবে প্রথমত এই যে হত্যাযোগ্য হয়েছে এবং গত 15-16 বছরের যে দুর্নীতি দুঃশাসন লুটপাট এবং ভোটাধিকার হরণ এর জন্য অবশ্যই আওয়ামী লীগকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়া করাতে হবে যেটা অলরেডি যেটার কার্যক্রম শুরু হয়েছে কারণ আওয়ামী লীগ দল হিসেবে এবং তাদের নেতাকর্মীরা ব্যক্তিগত জায়গা থেকেও এই সকল অপকর্মের সাথে
জড়িত ছিলেন এবং এই গণহত্যার প্রধানতম তারা হচ্ছে নির্দেশদাতা ছিলেন তো সেই জায়গা থেকে তাদের হত্যার যে হত্যাগুলো তারা করেছেন এবং যে অপকর্মগুলো করেছে তাদের সেটার জন্য তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করা বিচার প্রক্রিয়ার পরেই আসলে এটা বলা যাবে যে আওয়ামী লীগের রাজনীতি কতটুক থাকবে বা থাকবে না এবং জনগণই সেটা সিদ্ধান্ত নিবে কিন্তু সবার আগে বিচার বিচারের আগে তাদের রাজনীতি বা তাদেরকে পুনর্বাসন করার কোন সুযোগ নেই আচ্ছা এই মানে আমরা যেটি দেখেছি যে পাঁচ তারিখের পর মানে নানাভাবে হচ্ছে যেমন এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে তারপর হচ্ছে সেই ক্ষেত্রে আমরা রাস্তায় বেশ কিছু সময় হচ্ছে
যে পুলিশ ছিল সেখানে আমরা দেখি শিক্ষার্থীরা সেখানে কাজ করেছে মানে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আমরা দেখেছি যে তারা যখন সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হয়েছে তারা অনেকেই সেখানে গিয়ে সেটা প্রটেক্ট করার চেষ্টা করেছে বা পাহারা দিয়েছে ডাকাতের একটি বিষয় তৈরি হয়েছিল সিচুয়েশন সেখানে তারা গিয়েছে তো এরকম বিভিন্ন সময়ে তারা আসলে এগিয়ে এসেছে কিন্তু একই সঙ্গে কিছু কিছু ঘটনায় আমরা দেখেছি যে কিছু প্রশ্ন উঠেছে তো এই মানে এইগুলো এই ধরনের ঘটনাগুলো সেটি মানে আপনাদের যে কাজ সেটার প্রতিও প্রশ্ন মানে এক ধরনের প্রশ্ন তোলার একটা সুযোগ তৈরি করে দেয় সেই জায়গাগুলোতে আপনারা কিভাবে কারেকশন করছেন বা করেন আমরা তো
আমাদের প্রত্যেকটি বিষয়ই কিন্তু আমাদের যারা আন্দোলনকারী রয়েছে তারা সেই যে ব্যবস্থা নিয়েছে এবং বক্তব্য দিয়েছে যারা দুর্নীতি বা যারা চাঁদাবাজ সেটা যে নামে কোন রাজনৈতিক দল বা আন্দোলনকারীদের নামে করা হোক না কেন আমরা তার সুস্পষ্টভাবে তার বিরোধিতা করেছি এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি এবং বিভিন্ন জায়গায় আসলে আন্দোলনকারীদের নাম ব্যবহার পরে অনেক ধরনের দুর্ঘটনা ঘটনা হয়েছে আমরা বলেছি যে সেই সেই ধরনের ঘটনার সাথে কিন্তু এই আন্দোলনকারীদের কোন সম্পর্ক নেই তারা যারা এটি করে থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে যাতে ব্যবস্থা নেওয়া হোক তো এখন যেহেতু দেশে একটা পরিস্থিতি যাচ্ছে যেমন শিক্ষার্থীরা এখনো মাঠে আছে এবং
একটা ভূমিকা পালন করছে সেই জায়গা থেকে এরকম কিছু ঘটনা ঘটছে তবে একটা চাঁদাবাজি বা দখল দারিত্বের একটা কিন্তু বড় ঘটনা ঘটছে আমাদের রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের দ্বারা আমরা সে বিষয়ে কিন্তু স্পষ্টভাবে বলেছি যে যে তাদের বিরুদ্ধে যাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয় আশা করি যে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই আমরা আইন-শৃঙ্খলা বা পরিস্থিতি যখন আরো অনুকূলে আসবে তখন এই ঘটনাগুলো ঘটবে না এবং সারাদেশেই বৈষমবৃদ্ধি ছাত্র আন্দোলনের যারা মাঠে আছে তারা সাংগঠনিকভাবে কার্যক্রম করছে এবং পুরো আন্দোলনকারী যারা আছে স্টুডেন্ট কমিউনিটি কাছে তাদেরকে নতুন করে সংগঠিত করছে যাতে এই ধরনের ঘটনাগুলো না ঘটে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে বা ঘটলেও তাদের বিরুদ্ধে যাতে
ব্যবস্থা এবং জবাবদিহিতা করার অনুযায়ী আচ্ছা আপনার মন্ত্রণালয় আপনি তো তথ্য মন্ত্রণালয়ও আছেন মানে যেই কয়েকটি বিষয় নিয়ে আসলে সাংবাদিকদের মধ্যে একটা বিষয় একটা ইয়ে আছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এই আইনের জায়গা থেকে মানে এরকম বেশ কিছু আইন আছে যেগুলো নিয়ে হচ্ছে নানা সময় আমরা দেখেছি যে সংবাদকর্মীরা তারা নানান রকমের প্রশ্ন তুলেছেন এবং একই সঙ্গে ঔপনিবেশিক আমলের আরো বেশ কিছু আইন যেগুলো আসলে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়েছে তো এই আইনগুলো নিয়ে আপনাদের কোন ভাবনা আছে কিনা যে এগুলোকে কারেকশন করা কারণ নানান রকমের এই প্রস্তাব বা আলোচনা এর আগেও হয়েছে এগুলো নিয়ে কিন্তু
আসলে ফাইনালি আমরা কোন আউটপুট বা সেভাবে দেখিনি আমি যেটা দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনই এটা বলেছি যে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিঘ্ন ঘটে এই ধরনের আইন বা ধারাগুলো আমরা বাতিল অথবা সংশোধন করব এবং সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়েও অলরেডি কাজ শুরু হয়েছে এবং আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও কিন্তু এই কথাটি বলা হয়েছে এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার বিরোধী যে আইন বা ধারাগুলো রয়েছে ওগুলো আমরা অবশ্যই করব আমরা দেখছি যে এখন অনেক মামলাও হচ্ছে তো এই মামলাগুলোর বিষয়ে আপনাদের মতামত কি এবং মানে এগুলোর একটু যাচাই বাছাই বা মামলা নেয়া না নেয়ার ক্ষেত্রে কোন ধরনের মানে কোন ধরনের যাচাই বাছাই সুযোগ আছে
কিনা আসলে এখানে অনেকগুলো মামলা হয়েছে যেই মামলাগুলো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সমালোচনা হয়েছে আমরা এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি আমাদের ক্যাবিনেটে এবং সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে যার বিরুদ্ধে যতটুকু অভিযোগ সেই অভিযোগের মাধ্যমেই যাতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং সবাইকে খুনের মামলা দেওয়া কোন প্রয়োজনীয়তা নেই সেই মামলাগুলা যেগুলার যৌক্তিকতা নেই সেগুলা প্রত্যাহার করা হবে কেউ নিরপরাধী থাকলে তাকে মামলা থেকে রেহাই দেওয়া হবে অথবা যার যতটুক অভিযোগ যার বিরুদ্ধে সেটা তদন্তের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে সে অনুযায়ী মামলা বা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে আচ্ছা আচ্ছা আর আন্তর্জাতিক মহলের একটা মানে এক ধরনের উদ্বেগ আগেও ছিল বিভিন্ন সময় ছিল
সেটা হচ্ছে যে অতি মানে ফান্ডামেন্টাল যেটা এই মুহূর্তে এই পর্যায়ে এসে সেটা কি আবার মাথাচাড়া দেয়ার কোন সুযোগ আছে বা সেটাকে আপনারা কিভাবে ট্যাকেল করবেন বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের কোন স্থান হবে না বাংলাদেশের মানুষ সবসময় গণতন্ত্রকামী এবং আমরাও গণতন্ত্র এবং ন্যায়বিচারের জন্যই এ অভ্যুত্থানটি করি করেছি তো সরকার এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে প্রথম থেকেই সচেতন সে ধরনের কোন ঘটনার সুযোগ হবে না এবং সেটার জন্য আগাম প্রস্তুতি সতর্কতা রয়েছে সরকারের পক্ষে ওকে ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য দর্শক কথা বলছিলাম জনাব নাহিদ ইসলামের সঙ্গে তিনি বলছিলেন নানান বিষয়ে শিক্ষার্থীদের যে আন্দোলন সেটি নিয়ে কথা বলেছেন তারপর বর্তমান
সরকারে এসে তারা কি ধরনের সংস্কারের চেষ্টা করছেন সেগুলো নিয়ে কথা বলছিলেন এছাড়াও রাজনীতির নানা বিষয় নিয়ে রাজনীতির নতুন একটা ল্যান্ডস্কেপ সেই বিষয় নিয়ে তারা কথা বলছেন তিনি কথা বলছিলেন ধন্যবাদ আপনাকে আপনাদের আমরা আবারো আসবো অন্য কোন বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে